‘ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৩’ এর সেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। এ দৌঁড়ে আছেন লিওনেল মেসি, এর্লিং হলান্ড এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসির ঝুলিতে বাদ নেই আর কোন ট্রফিই জেতা। তবে গেল মৌসুমে ইন্টার মায়ামিতে চলে যাওয়ায় ইউরোপিয়ান ফুটবলে আর ছাপ নেই তার। তারপরও বেস্টের দৌড়ে থাকছেন তিনি। কিছুদিন আগেই হলান্ডকে হারিয়ে জিতেছিলেন ব্যালন ডি অর। আবার মেসিকে হারিয়ে হলান্ড জিতে নিয়েছিলেন এ বছরের উয়েফার বর্ষসেরার তকমা। দুজনের মধ্যে ভালোই চলছে ট্রফির লড়াই। এবার তবে ফিফার সেরাটা কে হবে?
বিশ্বকাপজয়ী মেসি আর ম্যানসিটির গোল মেশিন হলান্ডের সঙ্গে টেক্কা দিতে প্রস্তুত এমবাপ্পেও। এ তালিকায় ছিলেন মোট ১২ জন ফুটবলার। সিটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ, প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ- ট্রেবল জিতিয়ে হলান্ড ছুটছেন এ মৌসুমেও। নির্ধারিত সময়ে এমবাপ্পের আছে ১৭ ম্যাচে ২০ গোল্।
২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত পারফরমেন্সের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এ তালিকা। পুরুষ জাতীয় দলের কোচ, জাতীয় দলের অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক এবং ভক্তরা ফিফার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেন তাদের পছন্দের খেলোয়াড়দের।
এর আগে সেরা তিন গোলকিপার ও কোচেরও তালিকা প্রকাশ করে ফিফা। কোচের তালিকায় আছেন, প্রিমিয়ার লিগের ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা, ইন্টার মিলানের কোচ সিমন ইনজাঘি এবং ইতালির জাতীয় দলের কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি।
গোলকিপার ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মরক্কোর ইয়াসিন বুনো, বেলজিয়ামের থিবো কোর্তোয়া এবং ব্রাজিলের এদারসন রয়েছেন। পাঁচ জনের লিস্ট থেকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করেছেন এই তিন জন।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর হয়ে দারুণ পারফরমেন্স করা ইয়াসিন বুনো এখন খেলছেন সৌদি লিগে। থিবো কোর্তোয়া রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে এবং এদারসন খেলছেন ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে।
নারী ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককেনজি আরনল্ড, স্পেনের কাতালিনা কোল এবং ইংল্যান্ডের ম্যারি ইয়ারপস। আগামী ১৫ জানুয়ারি লন্ডনে বসবে ফিফা দ্য বেস্টের ৮ম আসর।
২৩ জুন ২০২৫, ৭:০৬ পিএম
বলছি, হেরে না হয় কাঁদা যায়। জিতেও কী চোখে আসে জল? লিওনেল আন্দ্রেস মেসির উত্তরটা জানা। শুধু জানা? সবচেয়ে ভালো জানা।
ধরুন, একটা গল্প বলছি। একজন ফুটবলার ছোটবেলায় জেনে যাবেন হরমোন সমস্যায় দৌঁড়াতে পারবেন না, বাড়ন্ত শরীরটা 'না' করে দিবে। ফুটবলার তিনি ঠিকই হবেন। সব রেকর্ড নিজের করে নিবেন। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে একেবারে শূন্যতার হাহাকার। তবে সেসব স্মৃতি বানিয়ে তিনিও জিতবেন সবচেয়ে বড় ট্রফিটাই, একেবারে সব রেকর্ড ভেঙেচুরে নিজের নামে করেই। সিনেমা হলেও বাড়াবাড়ি বলতেন না? সম্ভব। যে সম্ভব লিওনেল মেসির নামেই।
লুসাইল অমরত্বের পেরিয়েছে বছর আড়াই। অথচ এমন সহস্র প্রহর মেসি অপেক্ষা করে গেছেন জবাবটা দেবেন বলে। কীসের জবাব? নিন্দুকেরা বছরের পর বছর বলে গেছে, 'ও কে দিয়ে হবে না জাতীয় দলের জার্সিতে...' শেষে ঠিকই হলো। ঐ যে সব রেকর্ড ভেঙেচুরে নিজের নামে করে একটা বিশ্বকাপ জিতেই তো হলো।
তারচেয়ে বেশি বোধহয় দেশের জন্য করতে হতো। বার্সেলোনা শৈশব-কৈশোর-জীবনটা কাটিয়ে দিলেও সুযোগ থাকা স্বত্তেও স্পেনকে জাতীয় দল না বানিয়ে জন্মভূমি আর্জেন্টিনার জার্সিতেই নেমেছিলেন। সেই ঋণও ঘুচতে হতো। লাতিনের ঐ অঞ্চলে ফুটবল তো অনেকটাই ধর্মের মতো দেখে লোকে। মেসিরও তা জানা। '১৪ এর ফাইনালে না হয় কেঁদেছেন। ২২'এ ফিরিয়ে দিয়ে দিলেন ৩৬ বছরের জমা ঋণ। মেসি এখানেও জিতেছেন নিজের লড়াইয়ে।
মেসি নিজেই এক 'ফুটবল' মহাসাগর। গল্পের অন্ত নেই তাতে। জবাব গুলোও তেমনই ছিল। যুব দলে অলিম্পিকের গোল্ডটা বাগিয়েছিলেন তবে অন্য আকাশী নীলে অন্য আর কিছুই জেতা হচ্ছিল না। কখনো কোচের ভুলে, কখনো সতীর্থদের ভুলে। চোখের জলও কম জমেনি, পড়েনি। কান্নাতেও যেনো মেসিকেই নেতৃত্ব দিতে হচ্ছিল। যে সতীর্থ্যরা মেসির জন্য জীবন দিতেও রাজি ছিল, তাদের জন্যও করতে হতো, জিততে হতো। মেসি শুধু অধিনায়ক না, নেতাও হয়ে উঠেছিলেন কাতার বিশ্বকাপে।
ক্লাবের জার্সিতে সম্ভাব্য সবই জেতা হয়ে গেছে, সকাল-সন্ধ্যা কেটে যাবে অর্জনের গল্পে। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন, কতশত ইতিহাস গড়ে ফেলেছিলেন নিজের নামে। তবুও নিন্দুকের যে মেসিকে সর্বকালের অন্যতম সেরা মানতে জাতীয় দলের ট্রফিই আগে দেখতে চাইতো। মেসি তারও জাবাব দিলেন।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ, আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল, ভিন্ন পাঁচ বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট, বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ, সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলা, সবচেয়ে বেশি গোল অবদানে মেসি একাই নিজের করে নেন কাতার বিশ্বকাপ।
লুসাইলে ১৮ ডিসেম্বর এক মেসি অমরত্ব পেয়েছেন তবে মেসি কী শুধু একা জিতেছেন? না, কোটি মানুষ জিতেছেন। যারা জীবনে একবারের জন্য হলেও মেসি নামের আবেগে ভেসেছে, একবারের জন্য হলেও মেসির ঐ কান্নায় আক্ষেপের অনলে পুড়েছে, না পাওয়ার হাহাকার করেছে। লুসাইলে কী তারাও জেতেননি?
শুভ জন্মদিন জাদুকর, এই শব্দটা খুব যাচ্ছে আপনার সাথে...
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বিখ্যাত ‘সিউ’ গোল উদযাপন এখন ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় উদযাপন। এবার সেটা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন পালমেইরাসের ডিফেন্ডার মুরিলোও। ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে গোল করলে পর্তুগাল তারকার মত করে সেটা উদযাপন করবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ১৩৮ গোল করা রোনালদো এখন খেলছেন আল নাসরের হয়ে। তিনি এবার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন না। তবে মায়ামির হয়ে খেলা মেসি অংশ নিয়েছেন টুর্নামেন্টে। প্রায় দেড় যুগ তার ও রোনালদোর মধ্যে চলেছে সমানে সমান সেরার বিতর্ক। অর্জনের দিক থেকে তারা দুজনেই আছেন ক্যারিয়ারের শীর্ষ পর্যায়ে।
তবে মায়ামির বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মুরিলো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভক্ত রোনালদোরই।
“আমি টিম সিআরসেভেন। তার পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা সব কিছুই দারুণ। আমি তার রুটিন আর লড়াকু মানসিকতাকে খুব সম্মান করি। তিনি আমার আদর্শ।”
মায়ামির বিপক্ষে যদি গোল করেন, তাহলে রোনালদোর মতো 'সিউ' উদযাপনও করবেন কিনা, এই প্রশ্নে ২৬ বছর বয়সী এই সেন্টার-ব্যাক বলেছেন,
“অবশ্যই, কেন নয়? গোল করলে আমি রোনালদোর মতই উদযাপনই করব।”
মুরিলো রোনালদোর ভক্ত হলেও, পালমেইরাসের মত একটি ক্লাবের খেলোয়াড়দের জন্য মেসির বিপক্ষে খেলতে পারাটাই গৌরবের ব্যাপার। আর তাই নিশ্চিতভাবেই এই ম্যাচে মেসির জার্সি নেওয়ার জন্য ব্রাজিলের ক্লাবটির ফুটবলারদের কাড়াকাড়ি পড়ে যেতেই পারে।
মুরিলো অবশ্য মেসির জার্সিতে আগ্রহ নেই।
“ওটা (মেসির জার্সি) নিয়ে আমি লড়তে যাব না। অনেকেই তার জার্সি চাচ্ছে। তবে আমি শুধু তাকে ভালোভাবে মার্ক করব, যাতে আমরা জিততে পারি।”
তবে পালমেইরাসের লেফট-ব্যাক ভ্যান্ডারলান জানিয়েছেন, তিনি 'টিম মেসি'।
“সেই ছোটবেলা থেকেই আমি মেসির খেলা দেখে বড় হয়েছি। তার প্রতি বরাবরই আমার দুর্বলতা ছিল। তাই আমি অবশ্যই মেসির জার্সি পেতে চাইব।”
ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে সেভাবে আলো না ছড়ালেও পোর্তোর বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিকে গোল করে মায়ামিকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন মেসি। পালমেইরাসের বিপক্ষে তাই সবার নজর থাকবে তার দিকেই।
সাম্প্রতিক সময়ে স্পেন ও আথলেতিক বিলবাওয়ের উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামস হয়ে উঠেছেন বার্সেলোনার গ্রীষ্মের দলবদলের প্রধান টার্গেট। তার ঠিকানা বদল নিয়ে দুই ক্লাবের মধ্যে আলোচনা চলমান বলেই বাতাসে ভাসছে খবর। এসবের মাঝেই বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো বললেন, নিকো তাদের ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য তার আগ্রহ ও ইচ্ছা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
নিকোর বর্তমান চুক্তিতে রিলিজ ক্লজ রাখা হয়েছে ৫৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৬৬.৭ মিলিয়ন ডলার)। বিলবাও আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের জন্য ট্রান্সফার ফি নিয়ে তারা কোনো আলোচনা করবে না। আগ্রহী ক্লাবকে দিতে হবে রিলিজ ক্লজের অর্থ।
সম্প্রতি স্প্যানিশ পত্রিকা লা ভ্যাঙ্গুয়ার্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেকো জানান নিকোর নিয়ে তাদের শেষ অবস্থান।
“এই পজিশনে (উইঙ্গার) আমাদের শক্তি বাড়ানো দরকার। বর্তমানে আমাদের দলে উইঙ্গার আছে শুধু লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। তাই আমাদের নতুন কাউকে প্রয়োজন। নিকো বার্সায় আসার জন্য খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে। যদি পরিস্থিতি ঠিক থালে, আমরা চুক্তিটি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করব।”
২০২৪ সালেও বার্সেলোনা চেষ্টা করেছিল নিকোকে দলে আনার। তবে লা লিগায় নিবন্ধন জটিলতার কারণে সেই সময় চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। এবারও সেই সমস্যা কাটেনি ক্লাবটির। নিকোর রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করতে হলে প্রয়োজন হতে পারে স্কোয়াডের এক-দুজন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দেওয়ার।
ডেকোর আশা, সব প্রক্রিয়া মেনেই নিকোকে দলে নিতে পারবেন তারা।
“প্রত্যেক সাইনিংয়েরই একটা প্রক্রিয়া থাকে… এজেন্টের সঙ্গে কথা বলা, ক্লাবের সাথে আলোচনা, চুক্তির শর্ত বোঝা ইত্যাদি। নিকোর ক্ষেত্রে সব কিছুই পরিষ্কার। আমরা তার এজেন্টের সাথে আলোচনায় বসেছি।”
মেক্সিকান ক্লাব পাচুকার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেলেও ম্যাচের শেষ দিকে ঘটে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দলটির জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার অভিযোগ করেছেন, তিনি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন। আর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ফিফা তদন্ত শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো।
রিয়ালের ৩-১ গোলে জেতা ম্যাচের ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে একটি ফাউলের পর রুডিগারের সাথে পাচুকার গুস্তাভো কাবরালের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। ওই সময় রেফারি র্যামন আবাত্তি তার হাত বুকের সামনে ক্রস করে ধরেন, যা ফিফার ‘অ্যান্টি-রেসিজম প্রটোকল’ চালুর সংকেত হিসেবেই বিবেচিত।
ম্যাচের পর আলোনসো বলেছেন, এই ঘটনার বিচার চান তারা।
“রুডিগার বলেছে যে সে বর্ণবাদের শিকার হয়েছে, আর আমি তাকে বিশ্বাস করি। এই ধরনের ঘটনায় আমাদের জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকা উচিত। এখন ফিফা বিষয়টি তদন্ত করছে। দেখা যাক কী হয়। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারছি না।”
অন্যদিকে রুডিগারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো পাচুকার ডিফেন্ডার কাবরাল অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
“আমি তাকে শুধু ‘চিকেন শিট’ বলেছি, যেটা আর্জেন্টিনায় খুব সাধারণ একটা গালি। এখানে কোনো বর্ণবাদই ছিল না।”
৩২ বছর বয়সী রুডিগারের জন্য এটাই বর্ণবাদী আক্রমণের প্রথম অভিজ্ঞতা নয়। চেলসি, রোমা ও রিয়ালের হয়ে খেলার সময় মাঠে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তিনি।
রুডিগারের রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও লম্বা সময় ধরে স্পেনে মুখোমুখি হচ্ছেন বর্ণবাদী আচরণের। সম্প্রতি বড় শাস্তিও এজন্য দেওয়া হয়েছে তিন ব্যক্তিকে, যার মধ্যে রয়েছে কারাদণ্ডও।
প্রায় দেড় বছর ধরেই ওয়ানডেতে ব্যাটে নেই রান। লিটন দাস এই সময়ের মধ্যে এই ফরম্যাটে বারবার আউটও হয়েছেন বাজেভাবে। দল থেকে বাদ পড়ার পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে করতে পারেননি বলার মত কিছুই। এরপরই শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এই কিপার-ব্যাটার। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ায় লিটনকে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতেই ওয়ানডের দলেও রাখা হয়েছে।
আগামী জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বেশ কিছু পরিবর্তনের মাঝে বড় চমক লিটনের ফেরাই, যিনি নিজের শেষ ৮টি ওয়ানডেতে মাত্র ৩৫ রান করেছেন। বাদ পড়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকেও। সদ্যই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পেলেও ফরম্যাট ভিন্ন হওয়ায় ওয়ানডে দলে তার ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণই।
তবে গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, লিটনের দলে ফেরার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে তার টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের বিষয়টি!
“(ওয়ানডেতে) লিটন দাস খারাপ ফর্মে ছিলেন, তবে সময় সবকিছু ঠিক করে দেয়। তিনি টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক, তাই আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমরা তাকে বিবেচনায় রাখতে পারি। কারও যদি ফর্মে ফিরতে হয়, তাহলে তার জন্য মাঠে যত বেশি সম্ভব সময় কাটানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি লিটন তার ওয়ানডের ফর্ম টি-টোয়েন্টিতেও বয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।”
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে মোট আনা হয়েছে পাঁচটি পরিবর্তন। অবসরের কারণে নেই অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। লিটন ছাড়াও আরও ফিরেছেন ব্যাটার মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শামীম হোসেন, স্পিনার তানভীর ইসলাম ও পেসার হাসান মাহমুদ। তানভীর অপেক্ষায় আছেন ওয়ানডে অভিষেকের।
নাঈম সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তাকে দলে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ ওপেনার সৌম্য সরকার, যিনি অনেকটা সময় ধরেই ওয়ানডে দলে ছিলেন নিয়মিত পছন্দ। সম্প্রতি চোটের কারণে মিস করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
নাঈমের ফেরা আর সৌম্যর বাদ পড়া, দুটির ব্যাখাই দিয়েছেন গাজী আশরাফ।
“নাঈম প্রমাণ করেছে যে, সাদা বলের ক্রিকেটের ওপেনারদের মতোই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও সে ভালো করেছে। সৌম্য গত ১২-১৫ মাসে তিনটি চোটে ভুগেছে। আমরা তাই তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফেরার জন্য সময় দিতে চাই। এরপর আবার তাকে বিবেচনা করা হবে।“
স্কোয়াডে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার, যার মধ্যে আছেন চোট কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানও। প্রধান নির্বাচক বলেছেন, পেসারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টকে মাথায় রেখেই বাড়তি পেসার রেখেছেন তারা।
আগামী ২ ও ৫ জুলাই কলম্বোতে হবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ। ৮ জুলাই শেষ ম্যাচটি হবে পাল্লেকেলেতে। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হবে মেহেদি হাসান মিরাজের ওয়ানডে অধিনায়ক অধ্যায়।
বাংলাদেশ ওয়ানডে স্কোয়াড :
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ ইমন, মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলি অনিক, শামিম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৩ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে