রাজকোট টেস্টটা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্য যাচ্ছে মিশ্র অনূভুতির। ব্যক্তিগত অসাধারণ এক অর্জনের দিনেই ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন পারিবারিক প্রয়োজনে। তবে এক দিন বাদে দলে সাথে যোগ দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই স্পিনার।
আরও পড়ুন: ভারতের ‘বাজবল’ ক্রিকেটে চারদিনেই বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড
টেস্টের দ্বিতীয় দিন নবম বোলার ও দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ৫০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখান অশ্বিন। তবে সেদিন রাতেই ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানায়, জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে টিম হোটেল ছেড়েছেন তিনি এবং এই টেস্টে আর অংশ নেবেন না।
এরপর তৃতীয় দিন অশ্বিনের জায়গায় বদলি ফিল্ডার নিয়ে খেলে ভারত। নিয়ম অনুযায়ী, এই ডানহাতি অফ স্পিনার আর না খেললে দশজনই কেবল ব্যাটিং ও বোলিং করত স্বাগতিকদের।
তবে রবিবার সকালে বিসিসিআই বিবৃতিতে জানায়, চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতিতে দলের সাথে যোগ দেবেন এবং খেলবেন ম্যাচের বাকি অংশে।
চতুর্থ দিন লাঞ্চের সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ৩১৪। লিড ৪৪০ রানের।
১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ এম
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:২৫ পিএম
ঘরোয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০২৪ সালে গতির ঝড় তুলে আলোচনায় এসেছেন বারবার। রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন নাহিদ রানা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে চার উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পর তরুণ এই পেসার শোনালেন রংপুরের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার আনন্দের কথা।
বছর জুড়ে গতিময় বোলিং দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন নাহিদ। সেই ধারায় রংপুরের হয়ে চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচেও আলো ছড়িয়েছেন। তবে আগুন ঝরা বোলিংটা উপহার দিয়েছেন সিলেটের বিপক্ষে। দুই স্পেলে চার উইকেট নিয়ে গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের ব্যবধান।
৩৪ রানে দলকে জিতিয়ে তাই ম্যাচ সেরা হয়ে নাহিদ জানিয়েছেন দলের চাওয়া পূরণের কথা। “রংপুর রাইডার্স যখন আমাকে দলে নিয়েছে, তাদের চাওয়া আছে, তা পূরণ করতে পেরে আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে।”
আক্রমণে এসে নিজের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান নাহিদ। ভেতরে প্রবেশ করানো গতিময় ড়েলিভারিতে বোল্ড করেন জাকির হাসানকে। একই ওভারে ফেরান আইরিশ ব্যাটার পল স্টার্লিংকেও। ফিরতি স্পেলে শিকার বানান জাতীয় দলের ব্যাটার জাকের আলি অনিক ও আরিফুল হককে।
চারটি উইকেটই এসেছে নাহিদের বাড়তি গতির কল্যাণে, যা ক্রমেই হয়ে উঠছে ডানহাতি এই পেসারের ট্রেডমার্ক চিত্র। এমন গতির রহস্য কী? সরল উত্তরই দিয়েছেন তিনি। “আসলে এটা হার্ড ওয়ার্ক, নিজের ফিটনেস, মেইনটেইন, সব কিছু মিলিয়ে।”
এর আগে কখনও বিপিএলে ম্যাচ সেরা না হওয়া নাহিদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও আগে পাননি এই স্বাদ। বাড়তি একটা খুশির উপলক্ষ্য পাচ্ছেন তিনি। “আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো লাগছে। যেহেতু এর আগে আমি কখনও বিপিএলে বা জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হইনি। এই প্রথম ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়ে তাই ভালো লাগছে।”
আরও একবার টপ অর্ডার ব্যাটাররা পারলেন না রংপুর রাইডার্সকে ভালো সূচনা এনে দিতে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাল ধরলেন ইফতেখার আহমেদ। শেষের দিকে নেমে ক্যামিও ইনিংসে দলকে লড়িয়ে স্কোর এনে দিলেন নুরুল হাসান সোহান। নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে খেই হারানো সিলেট স্ট্রাইকার্স ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় হয়ে থাকল দ্বিতীয় সেরা হয়ে। শেষ পর্যন্ত তাতে দলটির সঙ্গী হল হারই। আর রংপুর পেল টানা দ্বিতীয় জয়।
মিরপুরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ ম্যাচে রংপুর জিতেছে ৩৪ রানে। আগে ব্যাটিং করে দলটি করেছিল ৬ উইকেটে ১৫৩ রান। রান তাড়ায় সিলেট ২০ ওভারে করেছে ১২১।
আরও পড়ুন
ইফতেখার-সোহানের দৃঢ়তায় রংপুরের ১৫৩ |
মাঝারি স্কোর ডিফেন্ড করতে রংপুরের বল হাতে দরকার ছিল ভালো একটা শুরু। নিজের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলে জর্জ মুনসিকে বোল্ড করে সেই কাজটা শুরু করেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তবে ওই ওভারেই রনি তালুকদারের হাতে দুই চার সহ ১৫ রান হজম করে বসেন অভিজ্ঞ এই পেসার।
অন্যপ্রান্তে শেখ মাহেদি হাসানকে দুটি বাউন্ডারি মেরে ভালো সূচনা হয় জাকির হাসানেরও। তবে আক্রমণে এসেই সিলেট শিবিরে ভীতি সঞ্চার করেন নাহিদ রানা। গতিময় বোলিংয়ের জন্য অল্প সময়েই খ্যাতি পেয়ে যাওয়া এই পেসার প্রথম বলেই বোল্ড করে দেন জাকিরকে।
ওপেনাররা আরও একবার পারলেন না রংপুর রাইডার্সকে ভালো সূচনা এনে দিতে। অল্পে বিদায় নিলেন দুজনই। খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ রান করলেন বটে, তবে রান তোলার গতি তাতে কমে গেল কিছুটা। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান খেললেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও ইনিংস, যা তার দলকে এনে দিল লড়াকু পুঁজি।
মিরপুরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা রংপুর ২০ ওভারে করেছে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।
তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে রংপুর রাইডার্সকে দারুণ সূচনা এনে দেন স্টিভেন টেলর। আল-আমিন হোসেনের করা দ্বিতীয় ওভারটি ছিল ব্যয়বহুল। দুটি বাউন্ডারি আসে টেলরের ব্যাট থেকে। তবে ওপেনিং জুটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। অ্যালেক্স হেলসকে ৬ রানে সাজঘরে ফেরান তানজিম।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতির ঝড় বিপর্যস্ত সিলেট, রংপুরের দুইয়ে দুই |
আল-আমিন এরপর জোড়া আঘাতে চাপে ফেলে দেন রংপুরকে। সাইফ হাসানের পর তার শিকার হন টেলরও। ৫ ওভার দলতির রান ৩ উইকেটে মাত্র ২৮। আগের ম্যাচে দুটি দারুণ ইনিংস খেলা ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ বিপদের সময়ে দলের হাল ধরেন।
সুযোগ বুঝে কিছু বড় শট মারেন দুজনই। তবে তবে রানের গতিও কমে যায় বেশ কিছুটা। সিলেতের বোলাররাও করেন আঁটসাঁট বোলিং। চাপ সরাতে বড় শট খেলতে গিয়ে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে খুশদিল আউট হয়ে যান ২১ রানে।
একপ্রান্তে সেট ইফতেখার ১০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করায় রানের চাকা সচল করার জন্য দরকার ছিল আগ্রাসী ব্যাটিং। ক্রিজে নেমেই সেই কাজটা করে দেন সোহান। রংপুর অধিনায়ক চড়াও হন রিস টপলির ওপর। ইংলিশ পেসারের এক ওভারে দুটি চারের পাশাপাশি মারেন একটি ছক্কাও।
তানজিমের করা ১৮তম ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা আসে সোহানের ব্যাট থেকে। তার ক্যামিও ইনিংসের শেষটা হয় টপলির বলে। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় বল চলে যায় লং-অনে থাকা আরিফুল হকের হাতে, যিনি ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। মাত্র ২৪ বলে ৪১ রান করেন সোহান।
আরও পড়ুন
বিফলে গেল শামিম ঝড়, উড়ন্ত সূচনা খুলনার |
এরপর শেষের দিকে নামা শেখ মাহেদি হাসান খেলেন ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস, যা রংপুরকে ১৫০ পার করতে সাহায্য করে। ইফতেখার অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৪৭ রানে। তানজিম ২ উইকেট নিয়েছেন ২৭ রানে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের একজন তিনি। তবে আফিফ হোসেন এখন পর্যন্ত জাতীয় দল বা ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও ধারাবাহিকভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। এর পেছনে নানা কারণে ভূমিকা রেখেছে তার ব্যাটিং পজিশন, যা বারবার বদলে গেছে। বিপিএলে তার কোচ তালহা জুবায়ের চান আফিফকে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ করে দিতে। সাবেক এই পেসারের বিশ্বাস, আরও অনেক ভালো খেলার সামর্থ্য আছে আফিফের।
চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের আসরের প্রথম ম্যাচে আফিফ ব্যাট করেছেন পাঁচে। শেষের দিকে নেমে ৭ বলে করতে পেরেছেন মাত্র ৮ রান। জাতীয় দলেও বাঁহাতি এই ব্যাটারকে প্রায় নিয়মিতভাবে ব্যাট করতে হয় পাঁচ থেকে সাত নম্বর পজিশনে। ওপেনিং বা তিনে ব্যাট করার সুযোগ পান কালেভদ্রে। আরেকটু ওপরের দিকে তাকে নামানো যায় কিনা, সেই প্রশ্নটা তাই উঠে আসে প্রায়ই।
তবে চিটাগং ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তালহা আফিফকে নিয়ে শুনিয়েছেন আশার কথাই।
“আশা করি আফিফ সামনে অনেকগুলো ম্যাচ আছে, সেখানে সে ওপরে ব্যাটিং করবে। আমি সেই সুযোগটা তাকে অবশ্যই দিব, তিনে ব্যাট করার। এমনও হতে পারে ও ওপেন করছে। আর ওপেন করতে পারলে ও খুশি। তাই ওকে যদি আমরা অপরের দিকে কাজে লাগাতে পারি, কারণ, আফিফ পাওয়ার প্লে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে, তাহলে সেটা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা এনে দেবে।”
বাংলাদেশ দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩০টি ওয়ানডে খেলেছেন আফিফ। ফিফটি মাত্র তিনটি। গড় ২৭.৭৯। আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ৭০টি খেলার পর স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১৯.০৮। ফিনিশারের রোল তাকে দেওয়া হলেও এক-দুইটি ইনিংসে বাদে সেই কাজটা সেভাবে করতে পারেননি আফিফ। তার ব্যাটিংয়ের যে ধরন, তাতে পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিংয়ে বরং তার জন্য হতে পারে সেরা জায়গা।
তালহা তাই ব্যক্তিগতভাবেও চান, আফিফ যেন এই বিপিএল দিয়ে নিজেকে নতুন করে চেনাতে পারেন।
“আফিফ যে মাপের খেলোয়াড়, সত্যি বলতে বাংলাদেশ এখনও সেটা দেখেনি। আমি মন থেকেই খুব করে চাই যাতে আফিফ খুব বড় মাপের খেলোয়াড় হোক এবং নিজেকে মেলে ধরতে পারে। সেই সুযোগটা যেন সে পায়।”
চিটাগংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আফিফ ব্যাট হাতে উজ্জ্বল না হলেও আলো ছড়ান অন্য ব্যাটাররা। ফিফটি করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও উইলিয়াম বোসিস্টো। ৪ উইকেটে ২০৩ রান করা খুলনা শেষ পর্যন্ত জয় পায় ৩৭ রানে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এখন পর্যন্ত হওয়া তিনটি ম্যাচেই আগে ব্যাটিং করা দল গড়েছে বিশাল স্কোর। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের বিধ্বংসী ফিফটিতে সেই ধারা বজায় রাখল খুলনা টাইগার্স। দুইশ ছড়ানো স্কোর পাড়ি দিতে সামান্যতম লড়াইও জমাতে ব্যর্থ হল চিটাগং কিংসের টপ অর্ডার। তবে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে নিভু নিভু জয়ের আশা জাগিয়ে তুললেন শামিম হোসেন। একাই শেষ পর্যন্ত লড়লেন মারমুখী এক ফিফটিতে, তবে সেটা যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য। বড় জয় দিয়েই আসর শুরু করল খুলনা।
মিরপুর বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজের দল জিতেছে ৩৭ রানে। খুলনার দেওয়া ২০৪ রানের টার্গেটে চিটাগং ১৮.৫ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে করতে পারে মোটে ১৬৬ রান।
বড় স্কোর ডিফেন্ড করতে নেমে বল হাতে খুলনার শুরুটা ছিল একটু অন্যরকমই। পাঁচটি নো বল ও দুই ওয়াইড সহ প্রথম ওভার করতে ওশানে থমাস করেন ১২টি বল! ১৮ রানের সেই ওভারেই অবশ্য নাইম ইসলামকেও ফেরান এই ক্যারিবিয়ান পেসার।
ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা পারভেজ হোসেন ইমন বিপদ ডেকে আনেন অতি আগ্রাসী হতে গিয়েই। আবু হায়দার রনির প্রথম শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। পাওয়ার প্লেতে ৫৬ রান তুলতেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে যায় চিটাগং।
ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ক্রমেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দলটি। ইনিংসের মাঝের সময়ে খুলনার স্পিনারদের সামনে সংগ্রাম করতে হয়ে তাদের। তাতে ৭৪ রান তুলতেই চলে যায় ৮ উইকেট।
আর সেখান থেকেই শুরু হয় শামিমের একক লড়াই। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই খেলতে থাকেন বড় শট। নাসুম আহমেদের এক ওভারে চার বলের মধ্যে মারেন দুটি করে চার ও ছক্কা।
এরপর শামিমের আক্রমণের মুখে পড়েন আবু হায়দার। ১৫তম ওভারের প্রথম বলটি বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সীমানা পার করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। মাত্র ২৩ বলে করে ফেলেন ফিফটি।
শেষ পর্যন্ত আবু হায়দারের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় শামিমকে। তবে তার আগে খেলেন স্মরণীয় এক ইনিংস, যা কিছুটা হলেও তার দলকে যুগিয়েছিল জয়ের আশা। মাত্র ৩৮ বলে শামিম ৭৮ রান করেন ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারের মারে। ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে খুলনার সেরা বোলার আবু হায়দার।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার নাইম শেখ প্রথম ওভারেই ছক্কা হাকিয়ে আভাস দেন আগ্রাসনের। অন্যপ্রান্তে উইলিয়াম বোসিস্টোও শুরুটা করেন ইতিবাচকভাবে। খালেদ আহমেদের প্রথম ওভারে টানা দুই ছক্কার পাশাপাশি একটি চারও মারেন নাইম।
শেষ পর্যন্ত আলিস আল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে নাইমের ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান। খালেদকে চার ও ছয় মেরে শুরুটা ভালো পান মিরাজ। তবে এরপর আর সেভাবে এগিয়ে যেতে পারেননি খুলনা অধিনায়ক। ১০০ স্ট্রাইক রেটে করতে পারেন ১৮ রান।
৩৬ বলে পঞ্চাশে পা রাখা বোসিস্টো রানের চাকা কিছুটা সচল রাখার চেষ্টা করেন। তবে অন্যপ্রান্তে সেভাবে পাচ্ছিলেন না সমর্থন। শেষ পর্যন্ত কাজের কাজটা করে দেন অঙ্কন। ১৬তম ওভারে শামিম হোসেনকে টানা দুই ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন তরুণ এই ব্যাটার।
স্রেফ চার-ছক্কায় রান বের করা অঙ্কন এরপর শরিফুল ইসলামের এক ওভারেই হাঁকান তিন ছক্কা। ১৯তম ওভারে তুলে নেন ফিফটি মাত্র ১৮ বলে, যা বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম বলে অর্ধশতকের রেকর্ড। আর সব মিলিয়ে অঙ্কনের ফিফটি এখন বিপিএলের চতুর্থ দ্রুততম।
অঙ্কন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। ১৮ বলের ইনিংস সাজান ৮টি চার ও ৩ ছক্কায়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে বোসিস্টো খেলেন ৫০ বলে ৭৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। খুলনা ইনিংস শেষ করে ৪ উইকেটে ২০৩ রানে, যা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয় দলের জয়ের জন্য।
২২ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে