বাংলাদেশের ফুটবলাররা কুয়েত এয়ারপোর্টে নেমে হয়ত কিছুটা চমকেই গেছেন। আসলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের চমকে দিয়েছে। দারুণ অভ্যর্থনায় জামাল-তপুদের বরণ করে নিয়েছে। এবার পালা ফুটবলারদের। ফিলিস্তিনের সাথে দুর্দান্ত কিছু করে সেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দে ভাসানোর। কাজটা কঠিন তবে লেবানন ম্যাচ প্রমাণ দেয় অসম্ভব নয় বাংলাদেশের জন্য।
কবে কখন?
বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই, গ্রুপ ‘আই’
বৃহস্পতিবার, রাত: ১২:৩০
জাবের আল আহমেদ স্টেডিয়াম, কুয়েত সিটি
কিভাবে দেখবেন?
সরাসরি টি স্পোর্টস ও টি স্পোর্টস অ্যাপ
বাংলাদেশ: সৌদি আরবের ক্যাম্পটাই হতে পারে শক্তি
ফিলিস্তিনের সঙ্গে এই ম্যাচটা হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু ফিলিস্তিনের অনুরোধেই পরে হোম আর অ্যাওয়ে ম্যাচ অদল-বদল করা হয়। তাতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ক্যাম্প করাটা হয়েছে আরও অর্থবহ। দুই সপ্তাহের বেশি সময় সৌদি আরবে একসঙ্গে অনুশীলন করে ম্যাচের তিনদিন আগে কুয়েত গেছে জামাল ভূঁইয়ারা। নিউট্রাল ভেন্যু হিসেবে এই দেশকেই বেছে নিয়েছে নিজ দেশে খেলতে না পারা ফিলিস্তিন।
সৌদি আরবের ক্যাম্পে বাংলাদেশ দল নিজেদের ঝালিয়ে নিতে সুদানের বিপক্ষে খেলেছে দুটি আনঅফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচও। একটায় ড্র, একটায় হার- ফল অবশ্য এসব ম্যাচে গুরুত্ব বহন করেও না। তবে আর যাই হোক প্রস্তুতিতে অন্ততপক্ষে এই দলের ঘাটতি থাকার কথা নয়। তবে ইনজুরির জন্য ছিটকে পড়া তারিক কাজী আর শেখ মোরসালিনদের অভাব পুষিয়ে নিতে হাভিয়ের কাবরেরা কী দল সাজাচ্ছেন তা নিয়েই যত সংশয়।
কাবরেরার অধীনে বাংলাদেশ দল গেল এক বছরে আশাজাগানিয়া ফুটবল খেলেছে। ৪-৪-২ ডায়মন্ড ফর্মেশনে মোরসালিন গোল করেছেন নিয়মিতই। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে লেবানোনের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল যে এক পয়েন্ট পেয়েছিল তাতেও মোরসালিনই ছিলেন ত্রাণকর্তা।
কাবরেরা রক্ষণাত্মক কৌশলের ডেরা থেকে দলকে বের করে এনে আক্রমণাত্মক হওয়ার মন্ত্র শিখিয়েছন। তবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের মূল মন্ত্র হতে পারে কাউন্টার অ্যাটাক। বল পজিশনে কম রেখেও লেবাননকে যেভাবে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ ঠিকই একই কাজ এই ম্যাচেও করে দেখাতে চাইবে কাবরেরার দল।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেনের দায়িত্বটা বেশি। চলতি মৌসুমে রাকিব এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে করে ফেলেছেন ৬ গোল। কাউন্টার অ্যাটাকে এই দুজনের গতি পাল্টে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। সেই সাথে মিডফিল্ডে জামাল ভুঁইয়া সোহেল রানা, হৃদয়দের বল দখলের লড়াইয়ে টেক্কা দিতে হবে ফিলিস্তিনের মিডফিল্ডকে। তবে জামাল ভুঁইয়াকে নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়। প্রায় পাঁচ মাসের মতো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের বাইরে এই ফুটবলার। প্রস্তুতি ম্যাচেও বেশ তাড়াতাড়ি এই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ককে তুলে নিয়েছিলেন কাবরেরা।
অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন। ফিলিস্তিনের আক্রমণ আটকে দিতে তাকে যে এদিন নেতার ভূমিকায় থাকতে হবে। তারিক কাজীর না থাকা বাংলাদেশের জন্য বড় সেট ব্যাক হলেও তপু-বিশ্বনাথ কিংবা ইসা ফয়সাল সেই দায়িত্ব নিতে পারবেন বলেই শুনিয়েছেন সংবাদমাধ্যমগুলোকে।
বাংলাদেশের দলের গোলপোস্টের দায়িত্ব কে থাকবেন তা নিয়েও থাকবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরা জিকোর ওপর আস্থা রাখবেন কোচ, নাকি শেখ রাসেলের হয়ে উড়তে থাকা মিতুল মারমাই পাবেন গোলপোস্ট সামলানোর দায়িত্ব? এই জবাবটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচের দিন পর্যন্ত।
ফিলিস্তিন: যোদ্ধাদের এবার ফুটবলের লড়াই
যুদ্ধের-দামামা এখনো বাজছে ফিলিস্তিনে। ইসরায়েলি হামলায় আপনজন হারিয়েছেন দেশটির অনেক খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। ফুটবল মাঠেও লড়ে যাচ্ছে ওরা। সব হারানো ফিলিস্তিনবাসীদের মুখে এই ফুটবলাররাই হাসি ফোটান।
জানুয়ারির এশিয়ান কাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে ইতিহাস গড়েছিল ফিলিস্তিন। মাসের পর মাস বিভিন্ন দেশ থেকে নিজেদের প্রস্তুত করা ফিলিস্তিন হংকংকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো খেলে এএফসি এশিয়ান কাপের শেষ ষোলোতে। স্বাগতিক কাতারের সাথে জমজমাট লড়াইয়ে শেষ ষোলোর বাধা পার হতে না পারলেও সেই সাফল্য আনন্দের অশ্রুতেও ভাসিয়েছে লাখো ফিলিস্তিনিদের।
ফিলিস্তিন নিজেদের ঘরের মাঠে শেষবার খেলেছিল ২০১৯ সালে। গত পাঁচ বছর থেকেই তারা বিভিন্ন দেশকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বাংলাদেশের বিপক্ষেও কুয়েতে তারা খেলতে নামবে স্বাগতিক হিসেবেই।
ফিলিস্তিন কোচ মার্কাম দাবুবও তার দলকে খেলান ৪-৪-২ এর ডাইমন্ড ফর্মেশনে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ফুটবলারে ইনজুরিতে বদলাতে পারেন ফর্মেশন।
এই ম্যাচে ফিলিস্তিন ফেভারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নামবে। তবে দলের বেশ কয়েকজন ফর্মে থাক ফুটবলারের না থাকা তাদের জন্য কিছুটা চাপেরই বলা চলে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তামের সায়েম থাকছেন না ইনজুরির কারণে, একই কারণে ছিটকে গেছেন মাহমুদ ওয়াদি ও আতা জাবের।
হেড টু হেড
দুই দল এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৪বার। যেখানে তিনবারই জয়ের দেখা পেয়েছে ফিলিস্তিন বাংলাদেশ এখনো পায়নি ফিলিস্তিনকে হারাতে। তবে একটা ম্যাচ লালা-সবুজেরা ড্র করেছে। তাও সেটা ২০০৬ সালে।
গ্রুপের সমীকরণ
গ্রুফ ‘আই’ তে দুই দলই খেলেছে দুই ম্যাচ। যেখানে জয়ের দেখা মেলেনি কারোরই। দুই ম্যাচে দুই দলই দেখেছে একটি করে হার আর একটি করে ড্র। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফিলিস্তিন আছে তিনে আর বাংলাদেশের অবস্থান চারে। দুই ম্যাচের দুটিতে জিতে অস্ট্রেলিয়া আছে সবার ওপরে। আর দুই ড্র তে দুই পয়েন্ট নিয়ে লেবানন আছে দুইয়ে।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে