১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:০৯ এম
চোটে পড়ে প্রায় এক বছর ধরেই মাঠের বাইরে আছেন নেইমার। তার অনুপস্থিতি ব্রাজিল দল বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে। কোপা আমেরিকায় কিংবা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স অন্তত তাই বলে। নেইমারের না থাকার সময়টাতে ব্রাজিলে রদ্রিগোকেই বেশিরভাগ ম্যাচে দেখা গেছে তার পজিশনে খেলতে। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড নিজেও অনুভব করছেন নেইমারের শূন্যতা। তিনি বলেছেন, পরবর্তী বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে আল হিলাল তারকাকে তাদের প্রয়োজন হবেই।
আরও পড়ুন: ‘ইয়ামালের মতো ফুটবলার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার’, বললেন স্পেন কোচ
গত বছরের শেষের দিকে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে গিয়েই চোট পান নেইমার। দীর্ঘ সময় জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও দূর থেকে দলকে নিয়মিত সমর্থন জুগিয়ে গেছেন ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিতই দেখা গেছে নেইমারকে। দলে না থাকলেও পেছনে থেকে নেতার ভূমিকাটা ঠিকই পালন করে গেছেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। তবে বাছাই ও কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের খেলায় স্পষ্ট, নেইমার ছাড়া তাদের পক্ষে ভালো কিছু করা বেশ কঠিন।
বছর দুয়েক পরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবে বিশ্বকাপ। ব্রাজিল দলের যে হাল তাতে নেইমার ছাড়া যে বিকল্প নেই সেটা রদ্রিগো ভালোই টের পাচ্ছেন। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেটাই তুলে ধরেন তিনি। “সে আমাদের তারকা, সেরা ফুটবলার। যে কেউই দেখতে পারে আমরা তাকে কতটা মিস করেছি এই সময়ে। তাকে সুস্থভাবে ফিরে পাওয়া আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, যেটা আমরা সবাই চাইছি। সে পুনর্বাসনের শেষ দিকে আছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে আমরা ফিরে পেতে চাই।”
সম্প্রতি রদ্রিগো ব্যালন ডি’অর-এর ৩০ জনের মধ্যে রদ্রিগো মনোনয়ন না পাওয়ায় পোস্ট করে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেইমার। দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা যে মাঠের বাইরে বেশ ভালো, সেটাও জানালেন রদ্রিগো। “আমরা একজন আরেকজনকে নিয়মিতই মেসেজ দেই। সে অনুশীলনে ফিরছে অন্যদের সাথে। সতীর্থ হিসেবে সে দারুণ। সে মানুষ হিসেবে যেমন, কেউ তাকে নিয়ে বাজে কথা বললে আমি কষ্ট পাই। সে আমাকে মেসেজ দেয় সবসময়ই, সাহায্যও করে। তাকে আমি ভালোবাসি ব্যক্তি হিসেবে কিংবা আমার আইডল হিসেবে।”
চোট কাটিয়ে আগামী অক্টোবরে নেইমারের মাঠে ফেরার কথা রয়েছে। যদিও তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৩০ পিএম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:২৭ পিএম
আন্তর্জাতিক বিরতিতে ভুটানের সাথে চলতি মাসেই দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। উদ্দেশ্য ছিল ভুটানকে দুই ম্যাচে হারিয়ে নিজেদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করা। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা। ভুটানের সাথে প্রথম ম্যাচ জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচ হার দেখেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এতে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে প্রভাব। দুই ধাপ পিছিয়ে ফিফার সেপ্টেম্বর মাসের র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৪ থেকে ১৮৬ তে নেমে গেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এমন উল্টোপথে যাত্রা হলেও খুব একটা নড়াচড়া নেই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে। যথারীতি সবার ওপরের এক নম্বর জায়গাটা পাকাপোক্ত রেখেছে আর্জেন্টিনা। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার সাথে ম্যাচ হেরে যাওয়ার খেসারত আলবিসেলেস্তেদের দিতে হয়েছে পয়েন্ট হারিয়ে । ১৯০১ থেকে ১৮৮৯ তে নেমে এসেছে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট।
দুই নম্বর অবস্থান ফ্রান্সের, তিন ও চার নম্বরে আছে যথাক্রমে স্পেন ও ইংল্যান্ড। আর পাঁচ নম্বরে অবস্থান ব্রাজিলের। প্যারাগুয়ের সাথে হারায় র্যাঙ্কিংয়ে পেছনে না গেলেও ব্রাজিলকেও হারাতে হয়েছে পয়েন্ট। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল আছে ৮ নম্বরে।
সেপ্টেম্বর মাসের হালনাগাদে সবচেয়ে বড় লাফটা দিয়েছে ব্রুনেই। ১০ ধাপ এগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বর্তমান অবস্থান ১৮৩ তে। আর সবচেয়ে বেশি পিছিয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার। ১০ ধাপ পিছিয়ে কাতারের অবস্থান ৪৪ নম্বরে।
এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে জাপান। দুই ধাপ এগিয়ে তাদের অবস্থান ১৬-তে।
ম্যাচ শুরুর আগে একটা পরিসংখ্যান বেশ নজর কেড়েছিল বিশ্লেষকদের মাঝে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জিরোনার সব ফুটবলার মিলিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে ৬৫ ম্যাচ, যেই অভিজ্ঞতা কিনা আছে পিএসজির মার্কো অ্যাসেনসিওর একারই। এর কারণ অবশ্য জিরোনা প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসাটা। তাদের ফুবলারদের এই ৬৫ ম্যাচের অভিজ্ঞতাও হয়েছে ভিন্ন ক্লাবের হয়ে। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পিএসজির কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে তারা। শেষ মূহর্তে ম্যাচ হারলেও জিরোনা জিতে নিয়েছে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের মন।
ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও তারা জিরোনার রক্ষণ টলাতে পারেনি। ম্যাচের একেবারে শেষ মূহর্তে জিরোনা গোলকিপার পাওলো গাযানিগার ভুলে গোল হজম করেছে তারা। তাতে পুরো ম্যাচের কঠিন পরিশ্রমটাই যেন বৃথা গেল দলটার।
অবশ্য পয়েন্ট না পেলেও জিরোনা ঠিকই প্রশংসা কুড়িয়েছেন পিএসজি কোচ এনরিকের। স্প্যানিশ ক্লাবটার বিপক্ষে খেলা কতটা কঠিন সেটাই ম্যাচ শেষে শুনিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। “আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে ছিলাম, তবে রক্ষণে তারা আমাদের আটকে দিয়েছিল বারবারই। খুবই কঠিন ছিল তাদের বিপক্ষে খেলা। সম্মান রেখেই ম্যাচে শেষে ওদের কোচকে বলেছি তাদের বিপক্ষে খেলা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার চেয়েও কষ্টকর।”
সব মিলিয়ে এদিন ৬৪ ভাগ বলের দখল আর ২৬ শট নিয়েও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পিএসজিকে শেষ মূহর্ত পর্যন্ত। অবশ্য এর মধ্যে তারা অন টার্গেটে শট রাখতে পেরেছে মোটে পাঁচটা। যার বড় কৃতিত্বই জিরোনার। দলের এমন পারফরম্যান্সে গর্বিত জিরোনা কোচ মিচেল।
ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের ভাসিয়েছেন প্রশংসায়, “ড্রেসিংরুমে ফুটবলাররা এখন কিছুটা হতাশ। তবে আমি ওদের বলেছি যেই পারফরম্যান্স দেখিয়েছি আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করা উচিত। পিএসজি আমাদের চাপে রেখেছিল, গাযানিগা বেশ কিছু ভালো সেইভ দিয়েছিল। যার মধ্যে দুই তিনটা গোলও হতে পারতো। জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল, তবে আমরা যেই পরিশ্রম করেছি তা নিয়ে নিজেদের গর্ব করা উচিত।”
বুধবার রাতে জয় পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, সেল্টিক এবং স্পার্তা প্রাগও। সর্বশেষ আসরের ফাইনাল খেলা ডর্টমুন্ড ৩-০ গোলে হারিয়েছে ক্লাব ব্রাগাকে। সেল্টিক নিজেদের মাঠে স্লভোন ব্রাতিসলাভাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-১ গোলে। সালজবুর্গের বিপক্ষে স্পার্তার জয় ৩-০ ব্যবধানে। আর বোলোনিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে শাখতারের সাথে।
ইতিহাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুটা এবার ঠিকঠাক হলো না ম্যানচেস্টার সিটির। অবশ্য এর পুরো কৃতিত্বই দিতে হবে ইন্তার মিলানকে। সিমনে ইনজাগির দল ম্যাচজুড়েই রক্ষণে ছিল বেশ সাবলীল। অনেকটা গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দেখানো পথেই হেঁটেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। তাতে তারা বেশ সফলও। উড়ন্ত সিটিকে তাদের ঘরের মাঠেই আটকে দিয়েছে গোল শূন্য ড্র-তে।
দুই দলের শেষবার দেখা হয়েছে ইস্তানবুলে ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। ৪৬৬ দিন পর ইউরোপিয়ান দুই সেরা দল আর সেরা কোচের লড়াই ছিল কিছুটা ধীরগতিরই। যার কারণ ইন্তারের রক্ষণাত্মক মনোভাব। সিটি বলের দখল কিংবা আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি। ৪ ম্যাচে ৯ গোল করা হলান্ড এদিন আটকে গেছেন আকেরবি-বাস্তোনিদের রক্ষণের সামনে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পেপ গার্দিওলার অধীনে সিটি ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো গোল করতে পারেনি। তাই ম্যাচ শেষে টিনএনটি স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে ইন্তারকে গার্দিওলা দিয়েছেন পুরো কৃতিত্বই, “আমরা খুবই ভালো খেলেছি, এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ফাইনাল থেকেও। আমার দলের ওপর ভরসা আছে, খুবই দারুণ একটা দল। ইন্তার রক্ষণে ছিল দুর্দান্ত। ডিফেন্সে আর ট্রাঞ্জিশনে তারা সেরা ছিল।”
অন্যদিকে ইন্তার কোচ ইনজাগিও সন্তুষ্ট ইতিহাদ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারায়, “দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে ছেলেরা। ওদের বলেছি তোমারা ভালো করেছো। যেমনটা বলেছি তারা তেমনটাই খেলছে। সবাই জানি সিটি কতটা শক্তিশালী, তাদের আটকাতে আমাদের সেরা একটা ম্যাচ খেলতে হতো। যেটা আমরা করেছি। আমরা কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছি আবার একসাথে তাদের রুখতে ডিফেন্সও করেছি।”
এদিন সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ৬০ ভাগ বলই রেখেছিল তাদের কাছে। অন টার্গেট শটেও এগিয়ে ছিল গার্দিওলার দল। সব মিলিয়ে ৫টি অন টার্গেট শট নিয়েছিল তারা। অন্যদিকে ইন্তারও কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল। তারা সব মিলিয়ে সিটির গোলপোস্টে শট রাখতে পেরেছিল ৪টি।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে