ম্যাচ সামারি
সাউথ আফ্রিকা ৩১১/৭ (৫০ ওভার)
ডি কক ১০৯ (১০৬) ম্যাক্সওয়েল ২/৩৪
মার্করাম ৫৬ (৪৪) স্টার্ক ২/৫৩
অস্ট্রেলিয়া ১৭৭ (৪০.৫ ওভার)
লাবুশেন ৪৬ (৭৪) রাবাদা ৩/৩৩
স্টার্ক ২৭ (৫১) মহারাজ ২/৪০
ফল : সাউথ আফ্রিকা ১৩৪ রানে জয়ী।
দুটি ম্যাচে দুই প্রেক্ষাপট, একবার আগে ব্যাটিং আর আরেকবার রান তাড়া। তবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয় যেন কাটছেই না। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে ব্যাটিংয়ের আরেক প্রদর্শনীতে বিশাল হার বরণ করতে হল প্যাট কামিন্সের দলকে। পেশাদার পারফরম্যান্সে হেসেখেলেই জিতে বিশ্বকাপে নিজেদের দুরন্ত শুরু বজায় রাখল প্রোটিয়া শিবির।
ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের দশম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকা জিতেছে ১৩৪ রানে। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩১১ রান করে টেম্বা বাভুমার দল। জবাবে আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৭৭ রানেই প্যাকড হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন কামিন্স। এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৯৯ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারতে হয়েছিল ৬ উইকেটে। এই দফায় অবশ্য টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক। দুই পরিবর্তন এনে দল সাজায় অস্ট্রেলিয়া, ক্যামেরন গ্রিনের জায়গায় মার্কাস স্টইনিস আর উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির বদলে জোশ ইংলিস।
প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা কুইন্টন ডি কক এদিনও শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী মেলে ধরেন। অন্য প্রান্তে টেম্বা বাভুমা অবশ্য সেভাবে সুবিধা করতে পারছিলেননা। অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা সাউথ আফ্রিকা অধিনায়কের তিনটি ক্যাচ ফেলেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বিগ শট খেলতে গিয়ে শেষ হয় বাভুমার ৫৫ বলে ৩৫ রানের সংগ্রামী ইনিংসের। তবে রানের চাকা সচল রাখেন ডি কক। অস্ট্রেলিয়ার দুই মূল বোলার কামিন্স ও জশ হ্যাজলউডের ওপর বেশি চড়াও হন তিনি।
শুরুটা ভালো হলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। ১০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরি করে থামেন ডি কক। ম্যাক্সওয়েলের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এর আগে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় তার সংগ্রহ ১০৯ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি ডি ককের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সাউথ আফ্রিকার দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দুটি সেঞ্চুরি করেছেন ডি কক। এর আগে এই কীর্তি ছিল কেবল এবি ডি ভিলিয়ার্সের, ২০১১ বিশ্বকাপে।
৩৫ ওভার শেষে সাউথ আফ্রিকার রান ছিল ৩ উইকেটে ১৯৮। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৮ রান করা প্রোটিয়াদের চোখ তখন আরেকটি ৪০০ প্লাস স্কোরের দিকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরি করা এইডেন মার্করাম এই ম্যাচেও ছন্দ ধরে রাখেন। ৪০ বলে তুলে নেন ফিফটি। তবে ফিরতি স্পেলে এসে মার্করামকে ফেরান কামিন্স।
আরও পড়ুন: যেভাবে দেখবেন আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ?
পরের ওভারে আঘাত হানেন হ্যাজলউড। সেট ব্যাটার হেইনরিচ ক্লাসেনকে ২৯ রানে ফিরিয়ে আভাস দেন ফাইটব্যাকের। শেষের দিকে মার্কো জ্যানসেনের ২৬ ও ডেভিড মিলারের ১৭ রানে ভর করে ৩০০ পার করে সাউথ আফ্রিকা। ১০ ওভারের দারুণ স্পেলে মাত্র ৩৪ রানে ২ উইকেট নেওয়া ম্যাক্সওয়েলই অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার। সাউথ আফ্রিকার ইনিংসে প্রায় হাফ ডজন ক্যাচ ফেলে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা, নাহলে হয়ত আরও অল্পেই বেঁধে রাখা সম্ভব হত সাউথ আফ্রিকাকে।
অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয় হতাশা জাগানিয়া। রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা মিচেল মার্শ ৭ রান করে পরিণত হন জ্যানসেনের প্রথম শিকারে। অন্য প্রান্তে অভিজ্ঞ ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরান লুঙ্গি এনগিডি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার চাপ বাড়িয়ে তারকা ব্যাটার স্টিভেন স্মিথকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান কাগিসো রাবাদা। ১৬ বলে স্মিথ করেন ১৯।
যদিও এই আউট নিয়ে কিছুটা বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। আম্পায়ার দিয়েছিলেন নট আউট, তবে রিভিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে পেয়ে যায় সাউথ আফ্রিকা। স্মিথ যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেননা যে তাকে এলবিডব্লিউ আউট দেওয়া হয়েছে।
নিজের পরের ওভারে আরেকটি উইকেট নেন রাবাদা। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ক্লিন বোল্ড করে দেন ইংলিসকে। আউট হওয়ার পর এই ব্যাটারের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল, বিশেষ কিছুই ছিল রাবাদার বলটি। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন প্রচন্ড চাপের মুখে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়াকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ না দিয়ে খুব দ্রুতই আরও দুটি উইকেট নেন সাউথ আফ্রিকার বোলাররা। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়ার কিছুটা হলেও মান রক্ষা হয় মার্নাস লাবুশেন-স্টার্ট জুটিতে। এই দুজন যোগ করেন ৬৯ রান। ২৭ রানে স্টার্ককে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দেন জ্যানসেন। বাকি অংশে কামিন্স ও অ্যাডাম জ্যাম্পা হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন কেবল। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন রাবাদা।
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৭:১৫ পিএম
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৫:৩৮ পিএম
প্রথম দিনের শেষ দিকে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে অনেকটাই ভারসাম্য এনেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। সেই ধারাটা বজায় রেখে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে দারুণ এক স্পেলে হাসান মাহমুদ এনে দিলেন জোড়া উইকেট। তবে এরপরই যেন কমে গেল সফরকারীদের বোলিংয়ের ধার। সেই সুযোগে অষ্টম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন জাস্টিন গ্রিভস ও কেমার রোচ। বড় স্কোরের পথে তাতে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা।
অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টের লাঞ্চ বিরতিতে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১১০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩৬ রান। ক্রিজে আছেন গ্রিভস (৬৩) ও রোচ (১৯)।
আরও পড়ুন
হাসানের প্রথম টেস্ট উইকেট, শক্ত ভিতে শ্রীলঙ্কা |
অথচ প্রথম ঘণ্টায় হাসানের স্পেল বাংলাদেশ শিবিরে আশা জাগিয়েছিল প্রতিপক্ষকে ২৮০-৩০০ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলার। দিনের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই গ্রিভসের বিরুদ্ধে হাসানের ছিল কট বিহাইন্ডের আবেদন। তবে সাড়া মেলেনি। তবে তিন বল বাদে জোশুয়া দা সিলভাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তরুণ এই ডানহাতি পেসার। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি এই কিপার-ব্যাটারের।
পরের ওভারের প্রথম বলে হাসানকে চার মারেন আলজারি জোসেফ। পরের বলেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। তবে এই উইকেটে বোলারের চেয়ে বড় কৃতিত্ব পেতে পারেন গালিতে দাঁড়ানো জাকির হাসান। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে নেন অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ। ওই ওভারেই রোচকে প্রায় ফিরিয়েই দিচ্ছিলেন হাসান। তবে আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে যান ক্যারিবিয়ান পেসার।
আরও পড়ুন
হাসানের তোপ সামলে অশ্বিন-জাদেজার ব্যাটে চড়ে শক্ত অবস্থানে ভারত |
দুই ব্যাটার মিলে এরপর জুটি গড়েন ধীরলয়ে। ৫ রানে থাকতে তাইজুল ইসলামের বলে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন রোচ। ডিপে থাকা হাসান দৌড়ে গিয়ে পাননি বলের নাগাল, বাংলাদেশ হারায় উইকেটে সুযোগ। অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে খেলা গ্রিভস। প্রায় নিখুঁত এই ইনিংস খেলার পথে তিনি পরিচয় দেন দুর্দান্ত টেম্পারমেন্টের, যা বাংলাদেশ বোলারদের কাজটা আরও কঠিন করে দেয়।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচের একটা বড় অংশ জুড়ে রানের জন্য করতে হয়েছে সংগ্রাম। সেই ম্যাচে তাও একটা লড়াকু স্কোর ছিল দলটির। তবে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের দলের কেউই পারলেন না আলো ছড়াতে ব্যাটে বা বলে। মামুলি পুঁজি নিয়ে সামান্যতম লড়াইও তাই জমাতে ব্যর্থ হল বাংলা টাইগার্স।
আবুধাবি টি-টেনের শনিবারের ম্যাচে বাংলা টাইগার্স হেরেছে ৭ উইকেটে। তাদের করা ৮ উইকেটে ৬৮ রান ৪ ওভার ও ২৪ বল হাতে রেখেই পাড়ি দিয়েছে নিউইয়র্ক।
শুরুতেই দুই ওপেনার হারানো বাংলা টাইগার্সের বড় আশা ছিলেন দাসুন শানাকা। আগের ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার এদিনও ছন্দেই ছিলেন। তবে মাত্র ১০ ওভারের খেলায় যে ধরনের ব্যাটিং প্রয়োজন, সেটা করতে পারেননি। ১৯ বলে ২ ছক্কায় করেন মোটে ২২।
আরও পড়ুন
সাকিবে ট্রফি জিতবে বাংলা টাইগার্স? |
তবে দলকে বিপদে ফেলেন মূলত দুই তারকা স্পিন অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিনস্টোন ও ইফতিখার আহমেদ। যাওয়া-আসার মিছিলের মধ্যে এক সাকিবই যা কিছুটা লড়াই করেন। খেলেন ১২ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৯ রানের ক্যামিও। তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি আর। তার দল বোর্ডে জমা করতে পারে মামুলি স্কোর।
এরপর বল হাতে বলতে গেলে প্রথম ওভারেই আশা মিলিয়ে যায় দলটির। ওয়াইড-নো বলময় ওভারে মোট ১২টি ডেলিভারি করা ডেভিড পেইনে দেন ১৭ রান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এভিন লুইসকে ফেরান ইমরান তাহির।
ছুটতে থাকা নিউইয়র্ককে জোড়া আঘাতে ধাক্কাটা দেন সাকিবই। প্রথম বলেই ডেল্যাড ব্রেভিসকে ফেরানোর পর আসিফ আলিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এক বল বাদে। সেই ওভারে বাংলা টাইগার্স অধিনায়ক দেন মাত্র দুই রান।
আরও পড়ুন
সাকিবকে বিদায়ী টেস্ট খেলাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি বিসিবি, বললেন ফারুক |
তবে হার আটকাতে তা যথেষ্ট হয়নি। চার ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেন নিউইয়র্ক।
দেশের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির ঝড় তুলতে আসছে আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক এনসিএল টি-টোয়েন্টি পাওয়ার্ড বাই ওয়ালটন। সিলভার স্পন্সর হিসেবে থাকছে লিলি ময়েশ্চারাইজ লোশন। শনিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক ফাহিম সিনহা। স্পন্সরদের পক্ষ থেকে ছিলেন আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ফরমান আর. চৌধুরী, ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিনুল ইসলাম খান ও রিমার্ক-হারল্যান গ্রুপের ব্র্যান্ড এম্বোসেডর, চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ।
বিসিবি সভাপতি ফারুক মনে করেন, এই টুর্নামেন্টে দেশীয় ক্রিকেটারদের প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে।
“বিপিএলের আগে এই টুর্নামেন্ট দেশী ক্রিকেটারদের প্রমাণের মঞ্চ। আমি আশা করি ক্রিকেটাররা সে সুযোগ নেবে এবং নিজেদের মেলে ধরবে, যা কিনা দেশের ক্রিকেটকে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। এছাড়া আমি টুর্নামেন্টের ব্রডকাস্টার টি স্পোর্টসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে।”
শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। আগামী ১১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। অংশ নেবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের সাত দল ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, সিলেট বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। আট দলের লিগ পর্বের ম্যাচগুলো হবে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম আউটার মাঠে। প্লে-অফের চারটি ম্যাচ হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
সবগুলো ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের প্রথম ও একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। এছাড়া ভারতে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ফ্যানকোড ও বিশ্বের বাকি অংশে ম্যাচগুলো দেখা যাবে টি স্পোর্টস ইউটিউব চ্যানেলে।
প্রথম ইনিংসে ৮ বলে শূন্য রান করা ইশাসভি জয়সওয়াল ২য় ইনিংসেই গড়লেন রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে এক পঞ্জিকাবর্ষে এখন সর্বোচ্চ ছক্কা মারা ব্যাটার ভারতের এই ওপেনার। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ৫ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে এই রেকর্ড গড়লেন ইয়াশাসভি।
পার্থ টেস্টের শুরুটা ভালো না হলেও ২য় ইনিংসে তা পুষিয়ে দিয়েছেন জয়সওয়াল। ১৫০ রানে সবকটা উইকেট হারানো ভারত ২য় দিন শেষে ২য় ইনিংসে তুলেছে বিনা উইকেটে ১৭২ রান। ১৯৩ বলে ৯০ রান করেছেন ইয়াশাসভি। অন্য ওপেনার কে এল রাহুল দাঁড়িয়ে ১৫৩ বলে অপরাজিত ৬২ রানে।
জয়সওয়ালের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা রয়েছে। ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে প্রথম ছক্কাটি মেরে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের বর্তমান কোচ ম্যাককালাম ২০১৪ সালে ৩৩টি ছক্কা মেরে গড়েছিলেন রেকর্ড।
রেকর্ড ভাঙতে খুব বেশি অপেক্ষা করেননি জয়সওয়াল। ৫২তম ওভারের চতুর্থ বলে অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনার নাথান লায়নকে ১০০ মিটার দূরত্ব পার করা এক ছক্কায় ছাড়িয়ে যান ম্যাককালামকে।
আগের রেকর্ডধারী ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৩৩টি ছক্কা মেরেছিলেন মাত্র ৯ টেস্ট খেলে। জয়সোয়াল ৩৪ টি ছক্কায় সে রেকপর্ড ভাঙলেন ১২ টেস্টে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এক পঞ্জিকাবর্ষে সবোঁচ্চ ছক্কার তালিকার সেরা ৫ জনকে।
খেলোয়াড় | ছক্কা |
ইয়াশাসভি জয়সওয়াল | ৩৪ (২০২৪) |
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম | ৩৩ (২০১৪) |
বেন স্টোকস | ২৬ (২০২২) |
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট | ২২ (২০০৫) |
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ | ২১ (২০০৪) |
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে এসে পৌছেছে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। সাদা বলের ক্রিকেটের এই চ্যালেঞ্জের আগে নিজেদের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে দুই দলের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন।
সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। মূলত নিজেদের ফিটনেস নিয়েই এদিন বেশি মনোযোগ দিয়েছে নিগার সুলতান জ্যোতিরা। জিমে ট্রেনিং সেশন করে, নেটে করেছে ব্যাট-বলের অনুশীলন।
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের অনুশীলন করার কথা ছিল দুপুরে। বাংলাদেশের মাটিতে ৩ টি ওয়ানডে ও ৩ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে আইরিশরা। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে হোম অব ক্রিকেটে। ২৭ নভেম্বর মাঠে গড়াবে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। সিরিজের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে সিরিজ শেষ করেই তাই সিলেটে চলে যাবে দুই দল। সেখানেই খেলবে ৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ৫ ডিসেম্বর হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৮ দিন আগে