ক্রিকেট

‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা কঠিন’, লিটনকে নিয়ে আশাবাদী সালাহউদ্দিন

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১১ মে ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম

news-details

ফরম্যাট যেটাই হোক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক যেই হন, তাকে পড়তে হয় বাড়তি চাপের মুখে। দল সাফল্য পেলে খুব একটা প্রশংসা না পেলেও বাজে পারফরম্যান্স হলে সবচেয়ে বেশি সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়। টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের জন্যও অপেক্ষা করছে একই চ্যালেঞ্জ। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার কাজটা যে কঠিন, তা মানেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনও। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, লিটনের মাঝে ভালো করার সব গুণাবলীই আছে। 


অস্থায়ীভাবে অবশ্য আগেও সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন। ভারতের সাথে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সাথে রয়েছে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২০ ওভারের সিরিজ জয়। তবে এবার স্থায়ীভাবে এই ফরম্যাটের দায়িত্ব পেয়েছেন ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ফলে এখন থেকে দল একটু খারাপ করলে বাড়তি সমালোচনা শুনতে হতে পারে অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটারকে। 


আরও পড়ুন

ক্লাবের বাজে পারফরম্যান্স, ক্ষুব্ধ ভক্তদের হামলা ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ক্লাবের বাজে পারফরম্যান্স, ক্ষুব্ধ ভক্তদের হামলা ট্রেনিং গ্রাউন্ডে


রোববার অনুশীলনের ফাঁকে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন বলেছেন, লিটনের মাঝে নতুন ভূমিকায় ভালো করার সব সম্ভাবনাই দেখেন তিনি। 

“লিটনকে আমরা একটু অনুভাবেই দেখি। সে কম কথা বলে, তাই সবাই ভিন্ন কিছু ভেবে নেয়। যারা কাছ থেকে দেখে, মিশে, তাদের সেই ধারণা থাকে না। “অধিনায়কের যেসব গুণ থাকা দরকার, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যা যা থাকা দরকার, টেকনিক্যাল দিক, এসব দিকদ দিয়ে সে খুব ভালো। সে চেষ্টা করছে দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। অধিনায়কই এই দল চালাবে। আমরা যারা তার সাথে আছি, আমাদের তাকে সমর্থন আর স্বাধীনতা দিতে হবে। তাহলেই সে ভালো করবে।”


উপমহাদেশে ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক পজিশনটা সবসময়ই থাকে চাপময়। তবে বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রে নানা দিক থেকে সেটা একটু ভিন্নই। দেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়কদেরও সমালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। পারফর্মিং অধিনায়ক না হলে তার জন্য আবহ হয়ে যায় কঠিন।


সালাহউদ্দদিন মনে করেন, দলের অধারাবাহিকতা অধিনায়ককে বাড়তি চাপের মুখে ঠেলে দেয়। 

“আমরা দলগতভাবে পারফর্ম করতে পারি না। এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। আমাদের দলে যদি অনেক পারফর্মার থাকত, তাহলে কিন্তু অধিনায়কত্ব করাটা সহজ হয়ে যেত। সাথে এটাও মনে রাখতে হবে জাতি হিসেবে আমরা কিন্তু অনেক আবেগপ্রবণ। এটা ব্যক্তিগতভাবে মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয় মাঝেমধ্য‍েই। তবে এই পরিণতবোধ চলে আসবে দ্রুতই। অধিনায়ক হিসেবে এই চাপটা নিতেই হবে। পারফরম্যান্স উন্নতির দিকে উঠলে তার জন্য সহজ হবে।”
সর্বশেষ খবর
N/A
৬ গোলের মহারণে বার্সা-ইন্তার উপহার দিলো মৌসুম সেরা ম্যাচ

১২ দিন আগে

N/A
তাইজুলের ফাইফারে শেষে বিকেলে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ

১৪ দিন আগে

N/A
কোপা দেল রের ফাইনালে ‘অনিশ্চিত’ লেভানদভস্কি

২২ দিন আগে

N/A
৭ গোলের থ্রিলারে জিতে উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনা কোচ

২৩ দিন আগে

N/A
রিয়াল অধ্যায় শেষে সেই ব্রাজিলই হচ্ছে আনচেলত্তির গন্তব্য?

২৩ দিন আগে

N/A
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, নিজেদের দোষে বাদ পড়ার হতাশায় ক্যারিবিয়ানরা

২৩ দিন আগে

N/A
জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে ফর্মে ফেরার আশায় শান্ত

২৩ দিন আগে

N/A
মেজর লীগ ক্রিকেটে দল পেলেন ওয়ার্নার

২৩ দিন আগে

N/A
উইন্ডিজের কাছে হেরে এবার সমীকরণের মারপ্যাচে বাংলাদেশ

২৫ দিন আগে

N/A
শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু

২৫ দিন আগে

bottom-logo

ক্রিকেট

কোহলি : টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন!

 
মাজহারুল ইসলাম রিমন
মাজহারুল ইসলাম রিমন
ঢাকা

১২ মে ২০২৫, ৮:০৪ পিএম

news-details
“সবাই শুধু তোমার রেকর্ড আর মাইলফলকগুলো নিয়েই কথা বলবে - কিন্তু আমি মনে রাখব সেই অশ্রুগুলোর কথা, যা তুমি কখনও কাউকে দেখাওনি; আমি মনে রাখব সেই যুদ্ধগুলো, যা কেউ দেখেনি; আর তোমার সেই নিঃশর্ত ভালোবাসা, যা তুমি এই ফরম্যাটটাকে দিয়েছ। প্রতিটি টেস্ট সিরিজের পর তুমি ফিরে এসেছো আরও একটু বেশি জ্ঞানী হয়ে, একটু বেশি স্থির হয়ে। তোমার এই পুরো যাত্রাটা দেখা ছিল আমার জন্য অনন্য এক সৌভাগ্য। কোনো এক অজানা কারণে আমি সবসময় ভেবেছি তুমি সাদা পোশাকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবে। কিন্তু সবসময়ের মত নিজের হৃদয়ের কথাই শুনেছো।”

 - কথাগুলো বিরাট কোহলিকে নিয়ে বলেছেন তার সহধর্মিণী ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। ক্রিকেটের প্রতি বিরাট কোহলির নিবেদন সবচেয়ে কাছ থেকে যিনি দেখেছেন, তার বলা কথাগুলোই বুঝিয়ে দেয় লাল বলের ক্রিকেটকে কীভাবে ধারণ করতেন ভারতীয় এই ব্যাটিং গ্রেট।


এই করতেন বলার কারণ, গত কয়েকদিনের গুঞ্জনকে সত্যি করে অনেকটা নীরবেই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নাকি জোর চেষ্টাই ছিল অত্যন্ত ইংল্যান্ড সফরে তাকে খেলানোর। মাস দুয়েক আগেও ব্যাপারটি নিয়ে যে আলোচনা হতে পারে, সেটাই তো ছিল বিস্ময়কর। কারণ, টেস্টকেই তো সবচেয়ে বেশি লালন করলেন। তবে আনুশকা শর্মা যেমনটা বলেছেন, মনের কথা শুনেছেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার।


আরও পড়ুন

নাহিদ-তাসকিনদের নতুন বোলিং কোচ টেইট নাহিদ-তাসকিনদের নতুন বোলিং কোচ টেইট


ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসেও কোহলি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বর্ণিল এক চরিত্র হিসেবে। শচীন টেন্ডুলকার ভারতের ক্রিকেট ‘ঈশ্বর’, যিনি ছিলেন ব্যক্তি হিসেবে ধীরস্থির, শান্ত আর নিখুঁত ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। আর কোহলি তার ঠিক বিপরীত। তিনি বুনো চরিত্রের ভীষণ আগ্রাসী একজন ক্রিকেটার, যিনি ব্যাটসম্যানশিপের চূড়ান্ত স্তরে থাকার পাশাপাশি মাঠে প্রতিপক্ষকে একচুল ছাড় দিতে নারাজ। অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে ভারতকে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশে কীভাবে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হয়। আর এই বিষয়গুলো অনেক সময়ই আড়াল হয়ে যায় হাজার হাজার রান বা সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির স্তুতিগাথায়।


কোহলির অধিনায়কত্বে ভারত প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে ২০১৮-১৯ মৌসুমে। তার সময়েই ভারত একটা লম্বা সময় ধরে থাকে টেস্টের র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে।


লাল বলের ক্রিকেটে কোহলির অবসরের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শচীন বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের পরের প্রজন্মকে এই ফরম্যাটের প্রতি আগ্রহী করে তোলায় তার উত্তরসূরি রেখেছেন বিশাল এক অবদান। খুব একটা ভুল বলেননি তিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে যে নিবেদন, আগ্রাসন দেখাতেন কোহলি, তা পুরো বিশ্ব ক্রিকেটেই ছিল উপভোগ্য এক বিষয়।


আর সেই কাজটা করতে গিয়ে অধিনায়ক হিসেবে বড় একটা পরিবর্তন আনেন ভারতীয় ক্রিকেট সংস্কৃতিতে। ফিটনেস ও পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব এসেছে তার হাত ধরেই। কীভাবে টেস্টের প্রতিটি বলেই সমান একাগ্রতা নিয়ে লড়তে হয়, খাদের কিনারায় থেকেও আশার প্রদীপ জ্বালাতে হয়, সেটা সামনে থেকে দেখিয়েছেন ম্যাচের পর ম্যাচ ধরে।


সবসময়ই স্পিনে শক্তিশালী হওয়ায় ভারতের জন্য দেশের মাটিতে জেতাটা সহজ হলেও বিদেশের মাটিতে টেস্টে বড় সাফল্য পাওয়া ছিল ভীষণ অনিয়মিত ঘটনা। সেটা বুঝতে পেরে কোহলি সবার আগে জোর দেন গতিময়, আগ্রাসী পেসারদের দলে নেওয়ার। সেটার ফলও ভারত পায় হাতেনাতে। ‘সেনা’ দেশগুলোতে তার অধিনায়কত্বেই দলটি পায় নিজেদের ইতিহাসের সেরা সব সাফল্য। এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর সময় কোহলি যখন দেখছেন দলে পেসারদের আধিপত্য এমনকি ঘরের মাটিতেও, তখন তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারেন তিনি।


এক নজরে কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ার : 

১২৩টি টেস্ট

৯ হাজার ২৮৩ রান

গড় : ৪৬.৮৫

শতক : ৩০

ডাবল সেঞ্চুরি : ৭ (ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ)

ফিফটি ৩১

সর্বোচ্চ : ২৫৪*

অধিনায়ক হিসেবে ৬৮ ম্যাচে, ৪০টি জয় - ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।


তবে টেস্টের কোহলিকে স্রেফ রান-সেঞ্চুরি দিয়ে মাপতে গেলে ভুলই করবেন আপনি। যে সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জোয়ারে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে পাঁচদিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ, সেই সময়েই কোহলি এই ফরম্যাটকে দিয়েছেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব। ব্যাটিংয়ে প্রতিটি রানের জন্য তার লড়াই, ফিল্ডিংয়ে প্রতিটি বলেই আগ্রাসন দেখানো, উইকেট পতনে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠা, এই জিনিসগুলোর কারণেই তিনি সবার চেয়ে আলাদা হয়ে থাকবেন। এভাবেই এই যুগে এসেও ভারতের তরুণ প্রজন্ম কোহলিকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়, হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট খেলার, রেকর্ড গড়ার, ইতিহাসের অংশ হওয়ার।


আরও পড়ুন

রোহিতের পর টেস্ট অবসরের পথে কোহলিও? রোহিতের পর টেস্ট অবসরের পথে কোহলিও?


এই প্রসঙ্গে স্টিভেন স্মিথ একবার বলেছিলেন, 

“সে শুধু একজন গ্রেট খেলোয়াড়ই নয়, একজন দুর্দান্ত প্রতিপক্ষও। খেলার মাঠে বিরাট শুধুমাত্র নিজের প্রাণশক্তিই নিয়ে আসে না, পুরো দলের মাঝেও সেটা ছড়িয়ে দেয়।”


খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দর্শকদের কাছেও কোহলি ছিলেন এমন একজন, যিনি টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তৈরি করতে পেরেছিলেন অন্যরকম এক আবেদন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তেমনই একজন যেমনটা বলেছেন, 

“আমরা শুধু তাকে খেলতেই দেখতাম না, আমরা তার করা প্রতিটি রান, প্রতিটি চিৎকার, শূন্যে মারা প্রতিটি ঘুষিকেও অনুভব করতাম। সে কেবল ক্রিকেট খেলতই না, সে এটিকে কেন্দ্র করেই চলত।”


একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! কোহলি সেটা করতে পেরেছেন, কারণ টেস্ট ক্রিকেটকে তিনি সত্যিকারের ভালোবাসাই দিয়ে গেছেন শেষ দিন পর্যন্ত। এই কারণেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের বিদায়ী টেস্ট সিরিজে তিনি সংগ্রাম করে একটা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, ছন্দে না থেকেও ছিলেন সিরিজের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এতোটাই ছিল টেস্ট ক্রিকেটার কোহলির প্রভাব।


হার না মানা মানসিকতার কারণেই কোহলি ২০২০ সালের পর থেকে এই ফরম্যাটে সেরা ছন্দে না থেকেও লড়াই চালিয়ে যেতে পেরেছেন। আসলে ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের সময়টা বাদ দিলে কোহলির টেস্ট গড়টা থাকতে পারত আরও ইর্ষনীয়। এই মাপের একজন ব্যাটার কেন আর কীভাবে এত লম্বা সময় অফ ফর্মে আটকে থাকলেন, সেটা বড় এক রহস্যই থেকে যাবে। তবে ওয়ানডে গ্রেট কোহলিকে এরপরও আপনাকের টেস্টের সেরাদের কাতারের বিবেচনা করতেই হবে। 


সেটা কেন, তা নিয়ে চলতে পারে নানা তর্ক। তবে ২০১৪ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চতুর্থ ইনিংস রান তাড়ায় যে ইনিংসটি খেলেছিলেন, সেটা ক্রিকেটের প্রিয় একজন ছাত্র সহজে ভুলতে পারবেন না। একটা হেরে যাওয়া ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি কীভাবে দাগ কেটে যেতে পারে, সেটা অনুভব করতে হলে আপনাকে সেই ম্যাচটি দেখতে হবে বারবার।


প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর ৩৬৪ রানের টার্গেটে নেমে ড্রয়ের আশা বাদ দিয়ে ব্যাট চালান জয়ের লক্ষ্যে, প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যা ছিল অবিশ্বাস্য এক চেষ্টাই। এই দফায়ও সেঞ্চুরি করে ছুটছিলেন জয়ের লক্ষ্যেই। তবে নাথান লায়নের বলে ক্যাচ দিয়ে তার ফেরার পরই পথ হারিয়ে ভারত ম্যাচও হেরে যায়। আউট হওয়ার পর চোখেমুখে যে অবিশ্বাস আর হতাশা ছিল কোহলির, ঠিক সেই কারণেই তিনি টেস্ট গ্রেট হয়ে উঠেছেন। জয়ের জন্য শেষ বিন্দু নিংড়ে দেওয়া কোহলি তাই লাল বলের ক্রিকেটের একজন বড় বিজ্ঞাপন হয়েই প্রাণবন্ত থাকবেন ইতিহাসের পাতায়।

bottom-logo

ক্রিকেট

নাহিদ-তাসকিনদের নতুন বোলিং কোচ টেইট

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১২ মে ২০২৫, ৪:১০ পিএম

news-details

আন্দ্রে অ্যাডামস যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে আর বেশিদিন থাকছেন না, তা একরকম নিশ্চিতই ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের ঠিক আগে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিদায় জানাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতিময় পেসার শন টেইট। 


সোমবার বিবৃতি দিয়ে বিসিবি জানিয়েছে, টেইটের সাথে জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত চুক্তি করেছেন তারা। ৪২ বছর বয়সী টেইট চলতি মাসেই দলের সাথে যুক্ত হবেন।


আরও পড়ুন

‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা কঠিন’, লিটনকে নিয়ে আশাবাদী সালাহউদ্দিন ‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা কঠিন’, লিটনকে নিয়ে আশাবাদী সালাহউদ্দিন


চোটের কারণে ক্যারিয়ার খুব লম্বা না হওয়া টেইটের কোচিং ক্যারিয়ার এরই মধ্যে বেশ সমৃদ্ধ। অভিজ্ঞতা আছে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (টেস্ট দলে) এবং আফগানিস্তানের জাতীয় দলে বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করার।


ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও টেইট বেশ চেনা ও ব্যস্ত এক নাম। গত বিপিএলে ছিলেন চিটাগাং কিংসের প্রধান কোচ, যেখানে শেষ পর্যন্ত দলটি হয় রানার্সআপ। এছাড়াও তিনি কোচিং করিয়েছেন বিগ ব্যাশ লিগ, পিএসএল, লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) এবং ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটের দলেও।


তাসকিন-নাহিদ-হাসানদের কোচ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় টেইট শুনিয়েছেন উজ্জ্বল আগামীর সম্ভাবনার কথা। 

“বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য এটা দারুণ একটা সময়, যা একটা নতুন যুগের সূচনার মত। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার এটা উচ্চারিত হচ্ছে যে আমাদের দলের তরুণ ফাস্ট বোলারদের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে - এটা সত্যিই ইতিবাচক দিক। তবে এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, উন্নতি করতে চাওয়া একটা দল নয়। তাই সবাই এখানে প্রত্যাশা করে প্রতিভাবানরা যেন ফলাফলও এনে দেয়। আমারও মূল লক্ষ্য থাকবে এই প্রতিভাবান পেসারদের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স বের করে আনা এবং দলকে বেশি বেশি জয় এনে দেওয়া।”

বাংলাদেশের পেস বিপ্লবের এই সময়ে টেইট হতে পারেন সামনের দিকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার একজন যোগ্য ব্যক্তি। নিজের সময়ে তিনি ছিলেন সময়ের অন্যতম গতিময় পেসারদের একজন। অস্ট্রেলিয়ার সোনালি যুগে অভিষেক হলেও চোট আর নানা কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি তার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মোট ৫৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা টেইট ছিলেন অজিদের ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। 

bottom-logo

ক্রিকেট

পরপারে পাড়ি জমালেন সাবেক অজি ব্যাটার কাউপার

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১১ মে ২০২৫, ৪:০৩ পিএম

news-details

৩৭ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর ছিল যার দখলে, সেই বব কাউপার আর নেই। ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটার, নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

 

কাউপার ১৯৬০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৭টি টেস্ট খেলেছিলেন। সেখানে ৪৮.০২ গড় ও পাঁচ সেঞ্চুরিতে তার নামের পাশে রান ২ হাজার ৬১। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাঁহাতি এই ব্যাটরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইনিংসটি এসেছিল ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। 

 

এমসিজিতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে ব্যাটিং করে খেলেন ৩০৭ রানের এক ম্যারাথন ইনিংস। বল খেলেন ৫৮০ প্লাস। সেই ইনিংসটি এতটাই মন্থর ছিল যে, পুরো ইনিংস চলতে প্রায় দুই দিনের মত লেগে গিয়েছিল। চার মারেন ২০টি। স্ট্রাইক রেট ছিল চল্লিশের ঘরে।

 

২০০৩-০৪ মৌসুমে ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০ রানের ইনিংসের আগে কাউপারই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান।

 

ঘরোয়াতে কাউপার মূলত ভিক্টোরিয়ার হয়ে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন। ক্লাবটির হয়ে ১৯৫৯-৬০ থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত মোট ১৪৭টি ম্যাচে করেন ১০ হাজার ৫৯৫ রান। সেঞ্চুরি ২৬টি, আর গড় ৫৩.৭৮।

 

পার্ট টাইম স্পিনও ভালোই করতেন কাউপার। টেস্টে তার শিকার ৩৬ উইকেট, আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়েছেন ১৮৩টি উইকেট।

 

প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অবশ্য থেমে যায় বেশ আগেই। কাউপার মাত্র ২৮ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি আইসিসির ম্যাচ রেফারিও ছিলেন।

bottom-logo

ক্রিকেট

রোহিতের পর টেস্ট অবসরের পথে কোহলিও?

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১০ মে ২০২৫, ৬:১৫ পিএম

news-details

ফর্ম যেমনই হোক, মাস দুয়েক আগেও ইংল্যান্ড সফরে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির খেলা নিয়ে ছিল না সংশয়। তবে আচমকাই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন প্রথম জন। সেই ধাক্কার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটে জোর গুঞ্জন, একই পথে হাঁটতে চান কোহলিও। যদিও প্রাথমিকভাবে এতে সম্মতি নেই বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই)। 


আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের হাইভোল্টেজ পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, যা হবে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের অংশ। ইএসপিএনের খবর অনুযায়ী, গত এপ্রিলেই নাকি বোর্ডকে এই নিজের এই সিরিজে না খেলা এবং লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন কোহলি।


ইএসপিএন জানিয়েছে, গত এক মাস ধরে কোহলি এই বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআই কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিতভাবে আলোচনা করে যাচ্ছেন। এটি দীর্ঘ হওয়ার কারণ, অন্তত ইংল্যান্ড সফরে সাবেক অধিনায়ককে দলে চাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।


শেষ পর্যন্ত যদি কোহলি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তাহলে ইতি ঘটবে ১৪ বছরের এক গৌরবময় টেস্ট ক্যারিয়ারের, যেখানে তিনি ১২৩টি টেস্টে ৪৬.৮৫ গড়ে করেছেন ৯ হাজার ২৩০ রান। এর মধ্যে অধিনায়কত্ব করেছেন ৬৮টি ম্যাচে।


তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ২০২০ সালের পর থেকে এই ফরম্যাটে তার গড় চল্লিশের নিচে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনে সেঞ্চুরির পর টেস্টে পরবর্তী শতকের দেখা পেতে সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০২৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ পর্যন্ত।


২০২০ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে কোহলি তিন ফরম্যাটেই রানের জন্য বেশ ভুগেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি তার রান খরা যাচ্ছে টেস্টেই। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে ২৫৪ রানের ইনিংসের সময় তার গড় ছিল ৫৫.১০। অথচ গত ২৪ মাসে ডানহাতি এই ব্যাটারের গড় ছিল কেবল ৩২.৫৬! অস্ট্রেলিয়ার সাথে ভারতের শেষ সিরিজে একটি সেঞ্চুরি করলেও বাকি ইনিংসগুলোতে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে।


ভারতের বর্তমান টেস্ট দলে ইংল্যান্ডের মাটিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে কোহলির। এই কারণেই সেরা ছন্দে না থাকলেও ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা মনে করেন, ইংল্যান্ড সফরে কোহলির অভিজ্ঞতা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে যখন তাদের খেলতে হবে নতুন একজন অধিনায়কের অধীনে। 


টেস্টে কোহলির অন্যতম সেরা সাফল্য ছিল ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে। সে বছর পাঁচ টেস্টের সিরিজে তিনি ছিলেন দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানস্কোরার (৫৮৩ রান)। 


ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ৬৮ ম্যাচের মধ্যে কোহলি জয় পান ৪০টি ম্যাচে, আর ছিল ১৭টিতে। এই রেকর্ডে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক তিনিই। পরের দুটি স্থানে যথাক্রমে মাহেন্দ্রা সিং ধোনি (৬০ ম্যাচে ২৭ জয়) এবং সৌরভ গাঙ্গুলি (৪৯ ম্যাচে ২১ জয়)।

bottom-logo

ক্রিকেট

১ সপ্তাহের জন্য স্থগিত আইপিএল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৯ মে ২০২৫, ৪:৫১ পিএম

news-details

আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই ছিল কেবল বাকি। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) যে আপাতত আর মাঠে গড়াচ্ছে না, শুক্রবার দিনের শুরু থেকেই মিলছিল তার আভাস। শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই সেক্রেটারি দেবজিত সাইকিয়া নিশ্চিত করলেন, এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল।

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই, যেখানে গত তিন দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ের কারণে এর আগে স্থগিত হয় পিএসএল। সেটার ধারায় এবার বন্ধ হল আইপিএলও।


আরও পড়ুন

পিএসএলে রিশাদ-নাহিদের খেলা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি পিএসএলে রিশাদ-নাহিদের খেলা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি


সাইকিয়া তার বিবৃতিতে অবশ্য আইপিএল আবার শুরুর সম্ভাব্য সময় জানাননি। 

“চলমান পরিস্থিতি পূর্ণাঙ্গভাবে মূল্যায়ন করার পর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে আইপিএলের নতুন সূচি ও ভেন্যুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এপ্রিলের শেষ থেকে চলে আসছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক অস্থিরতা। সীমান্তে চলছে ড্রোন হামলাও। এসবের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের চারটি ফ্ল্যাডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। শুরুতে টেকনিক্যাল ত্রুটির কথা বলা হলেও খুব শীঘ্রই খেলোয়াড় এবং আম্পায়াররা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন। পরে দর্শকদের স্টেডিয়ামে ছাড়তে বলা হয় নিরাপত্তার কারণে।

 

ধর্মশালার বিমানবন্দর এবং আশপাশের এয়ারপোর্টগুলো বন্ধ থাকায় পাঞ্জাব ও দিল্লির খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা বাসে ও ট্রেনে করে ধর্মশালা থেকে ট্রেনে দিল্লি পৌঁছান।

 

সব পক্ষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে আইপিএল স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানালেন সাইকিয়া। 

“আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে আসা উদ্বেগ ও খেলোয়াড়দের আবেগ-অনুভূতি, ব্রডকাস্টার, স্পন্সর ও ভক্তদের মতামতের ভিত্তিতে। সব স্টেকহোল্ডারের সম্মিলিত স্বার্থে এই সিদ্ধান্তটিকে বিচক্ষণ বলে বিবেচনা করেছে বিসিসিআই।”

এই সিদ্ধান্তটি এসেছে বিসিসিআই-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি জরুরি মিটিংয়ের পর, যেখানে সাইকিয়া এবং আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমলও অংশ নেন। আইপিএল স্থগিতের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশের আগেই সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়।

 এখন পর্যন্ত আইপিএলের গ্রুপ পর্বের ৫৮টি ম্যাচ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে (ধর্মশালার ম্যাচটি বাদে)। গ্রুপ পর্বে এখনও বাকি ১২টি ম্যাচ, এরপর প্লে-অফ ও ফাইনাল। 


আরও পড়ুন

পাকিস্তানে হচ্ছে না পিএসএল, ধোঁয়াশায় বাংলাদেশ সিরিজ পাকিস্তানে হচ্ছে না পিএসএল, ধোঁয়াশায় বাংলাদেশ সিরিজ


আইপিএল যদি খুব দ্রুত শুরু না করা যায়, তাহলে এরপর সেটা হতে পারে আবার আগামী সেপ্টেম্বরে, যে সময়ের ভারতের কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নেই। সেই সময়ে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান বাস্তবতায় ভারত ও পাকিস্তানের একই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

 

এর আগে আগামী ২০ জুন থেকে ইংল্যান্ড সফরের পাঁচ টেস্ট ম্যাচের সিরিজ শুরু হবে ভারতের। ফলে এই মাসেই আইপিএল শেষ না করা গেলে তা পিছিয়ে যেতে পারে লম্বা সময়ের জন্যই।

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo