১১ মে ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
ফরম্যাট যেটাই হোক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক যেই হন, তাকে পড়তে হয় বাড়তি চাপের মুখে। দল সাফল্য পেলে খুব একটা প্রশংসা না পেলেও বাজে পারফরম্যান্স হলে সবচেয়ে বেশি সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়। টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের জন্যও অপেক্ষা করছে একই চ্যালেঞ্জ। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার কাজটা যে কঠিন, তা মানেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনও। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, লিটনের মাঝে ভালো করার সব গুণাবলীই আছে।
অস্থায়ীভাবে অবশ্য আগেও সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন। ভারতের সাথে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সাথে রয়েছে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২০ ওভারের সিরিজ জয়। তবে এবার স্থায়ীভাবে এই ফরম্যাটের দায়িত্ব পেয়েছেন ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ফলে এখন থেকে দল একটু খারাপ করলে বাড়তি সমালোচনা শুনতে হতে পারে অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটারকে।
আরও পড়ুন
ক্লাবের বাজে পারফরম্যান্স, ক্ষুব্ধ ভক্তদের হামলা ট্রেনিং গ্রাউন্ডে |
![]() |
রোববার অনুশীলনের ফাঁকে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন বলেছেন, লিটনের মাঝে নতুন ভূমিকায় ভালো করার সব সম্ভাবনাই দেখেন তিনি।
“লিটনকে আমরা একটু অনুভাবেই দেখি। সে কম কথা বলে, তাই সবাই ভিন্ন কিছু ভেবে নেয়। যারা কাছ থেকে দেখে, মিশে, তাদের সেই ধারণা থাকে না। “অধিনায়কের যেসব গুণ থাকা দরকার, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যা যা থাকা দরকার, টেকনিক্যাল দিক, এসব দিকদ দিয়ে সে খুব ভালো। সে চেষ্টা করছে দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। অধিনায়কই এই দল চালাবে। আমরা যারা তার সাথে আছি, আমাদের তাকে সমর্থন আর স্বাধীনতা দিতে হবে। তাহলেই সে ভালো করবে।”
উপমহাদেশে ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক পজিশনটা সবসময়ই থাকে চাপময়। তবে বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রে নানা দিক থেকে সেটা একটু ভিন্নই। দেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়কদেরও সমালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। পারফর্মিং অধিনায়ক না হলে তার জন্য আবহ হয়ে যায় কঠিন।
সালাহউদ্দদিন মনে করেন, দলের অধারাবাহিকতা অধিনায়ককে বাড়তি চাপের মুখে ঠেলে দেয়।
“আমরা দলগতভাবে পারফর্ম করতে পারি না। এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। আমাদের দলে যদি অনেক পারফর্মার থাকত, তাহলে কিন্তু অধিনায়কত্ব করাটা সহজ হয়ে যেত। সাথে এটাও মনে রাখতে হবে জাতি হিসেবে আমরা কিন্তু অনেক আবেগপ্রবণ। এটা ব্যক্তিগতভাবে মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয় মাঝেমধ্যেই। তবে এই পরিণতবোধ চলে আসবে দ্রুতই। অধিনায়ক হিসেবে এই চাপটা নিতেই হবে। পারফরম্যান্স উন্নতির দিকে উঠলে তার জন্য সহজ হবে।”
No posts available.
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৯ এম
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
টি-টোয়েন্টিতে দারুণ ছন্দ নিয়েই এশিয়া কাপ অভিযানে নামছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কাল মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা হংকং এশিয়া কাপে কখনো জয়ের স্বাদ পায়নি। এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাই সহজ জয়ই পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
অবশ্য হংকংয়ের মতো দলের বিপক্ষে হারলে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে। হংকং ম্যাচের আগে কি এমন চাপ অনুভব করেন বাংলাদেশ অধিনায়কও? লিটন কুমার দাসের উত্তর,
‘আপনি প্রশ্নটা যেকোনো অধিনায়ককে করলেই বলবে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। প্রতিটি ম্যাচেই (সামর্থ্যের) সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে হবে। কোনো প্রতিপক্ষই শক্তিশালী বা দুর্বল নয়, নির্দিষ্ট দিনে যে কেউ যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে।’
আরও পড়ুন
একেই বলে পেশাদার দল |
![]() |
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চার-ছক্কার কোনো বিকল্প নেই। তবে শুধু চার-ছক্কা নয়, লিটন বলছেন স্মার্ট ক্রিকেট খেলার কথা,
‘অবশ্যই, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আপনি যখন বড় বড় ছয় মারবেন এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। আপনি জানেন যেকোনো বিপদে, পরিস্থিতি থেকে আপনি বের হয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু একই সঙ্গে আপনাকে এটা বুঝতে হবে প্রতি ম্যাচে ছয় মারলেই চলবে না। আপনাকে বুঝতে হবে বাউন্ডারি কতখানি আছে, প্রতিপক্ষ কেমন। আমার মনে হয় আমাদেরকে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে, শুধু ছয় মারার চেষ্টার থেকে।‘
হংকংয়ের মতো দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার সুযোগ থাকে। রানরেটে এগিয়ে থাকতে হলে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে হংকংকে। তবে বড় জয়ের আগে শুধু জয়টাকেই আগে টার্গেট করছেন লিটন,
‘বড় ব্যবধানে জেতা অবশ্যই ভালো কিন্তু মূল লক্ষ্য ম্যাচ জেতা। প্রতিটি দল একদিন ভালো বা খারাপ ক্রিকেট খেলতে পারে। তাই আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি দরকার।’
আরও পড়ুন
আমিরাতকে উড়িয়ে দিতে ৫ ওভার লাগেনি ভারতের |
![]() |
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে অনিশ্চয়তার খেলা বলে লিটন বলেন,
‘যেকোনো অধিনায়কই বলবে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। প্রতিটি ম্যাচে নিজের সেরা দিতে হয়। কোনো প্রতিপক্ষকে দুর্বল বা শক্তিশালী বলা যায় না। যে কোনো দিন যে কেউ জয় পেতে পারে।’
প্রতিপক্ষ বিবেচনায় না নিয়ে নিজেদের শতভাগ দেওয়ার কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক ,
‘নেতিবাচক কিছু পেছনে ফিরে দেখার কোনো মানে নেই। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ক্রিকেট খেলছি। আমাদের ফোকাস শুধু ম্যাচ জেতা। আমরা কার বিরুদ্ধে খেলছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, প্রত্যেক ম্যাচেই শতভাগ দিতে হবে।’
স্রেফ উড়িয়ে দেওয়া যাকে বলে। এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা হলো চ্যাম্পিয়নের মতোই। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট করার পর, রাত তাড়াতেও বিশ্বরেকর্ডই করলো ভারত। ৫৮ রান তাড়া করতে ভারত খেলেছে মাত্র ২৭টি ডেলিভারি, হারিয়েছে একটি উইকেট।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে বলের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় পেল ভারত। ২০২৪ সালে ওমানের বিপক্ষে ১০১ বল হাতে রেখে জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর কুড়ি ওভারে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জিতল তারা। আমিরাতের ৫৮ রান তাড়ায় ৯৩ বল হাতে রেখে জিতেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৮১ হাতে থাকতে জিতেছিল ভারত।
আরও পড়ুন
একেই বলে পেশাদার দল |
![]() |
মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান অভিষেক শর্মা। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ছয় মেরে ইনিংস সূচনা করলেন এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৩০ রান করে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে শুবমান গিল ৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে দুবাইয়ে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম ওভারেই ৮ রান তুলে নেন আলিশান শারাফু। পরের দুই ওভারে আরো ১৫ রান যোগ করে আমিরাত। ধসের শুরুটা হয় চতুর্থ ওভারে। ১৭ বলে ২২ রান করা শরাফুর স্ট্যাম্প ছত্রখান করে দেন বুমরাহ। আমিরাতের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকেই।
এরপর বাকি ব্যাটারা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই। আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের (১৯ বলে ২২) ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আর বাকি কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ২.১ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন কুলদিব যাদব। আর ২ ওভারে ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন দুবে।
আগামী রোববার ভারতের পরের ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে।
চার মাস আগে সারজায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানে জয়ে কী উৎসবই না করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মাত্র ক'দিন আগে নিজেদের মাঠে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ৪টি ম্যাচেই দারুণ লড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। অথচ, যে-ই না প্রতিপক্ষ ভারত, সেই ছিন্ন ভিন্ন হতে হলো পেট্রো ডলারের এই দেশের ক্রিকেট দলকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড দুটিই ৯ উইকেটে। ৯ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মিরপুরে ৮২ রান তাড়া করে ভারত ৯ উইকেটে জিতেছে ৫৯ বল হাতে রেখে। আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বুধবার রাতের জয়টিও সেই একই ব্যবধানে। তবে ৫৮ রান তাড়া করে এই ব্যবধানে জিতেছে ভারত ৯৩ বল হাতে রেখে।
প্রতিপক্ষ পুঁচকে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে তাই বলে কিন্তু বিন্দুমাত্র হালকা মেজাজে খেলেনি ভারত। পুরোপুরি পেশাদার দলের মতোই নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে খেলে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ রাউন্ডে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই নেট রান রেটকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের কাজটা এগিয়ে রেখেছে ভারত।
আরও পড়ুন
কুলদিব-দুবের তোপে সর্বনিম্ন রানের বিব্রতকর রেকর্ড আমিরাতের |
![]() |
টসে জিতে আবুধাবির উইকেটে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৫৭ রানে ইনিংস গুড়িয়ে দেয়ার নায়ক চায়নাম্যান বোলার কুলদ্বীপ যাদব, পেসার শিবাম দুবে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে নিজের অভিষেককে স্মরনীয় করে রেখেছেন এই দুই বোলার। চায়নাম্যান কুলদ্বীপ যাদব ১৩ বলের এক স্পেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্যাটারদের গোলক ধাঁধায় ফেলে পেয়েছেন ৪ উইকেট (২.১-০-৭-৪)। পেসার শিবাম দুবে ১২ বলের স্পেলে পেয়েছেন ৩ উইকেট (২-০-৪-৩)।
৭৯ বল স্থায়ীত্ব পাওয়া ইনিংসে ৫২টি ডট করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৬টি চার-এর পাশে একটি মাত্র ছক্কা মারতে পেরেছে তারা। অথচ কী জানেন, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে স্বাগতিক দলটির স্কোর ছিল ৪১/২। ২২ বলে ২৬ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ ভেঙ্গে যাওয়ায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়েছে তাদের ইনিংস। ৩১ রানে হারিয়েছে তারা ১০ উইকেট! দুই ওপেনার আলিশান শরাফু (১৭ বলে ২২) এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম (২২ বলে ১৯) ছাড়া অবশিষ্ট ৯ ব্যাটারের কেউ ডাবল ফিগারের দেখা পাননি। এই ৯ জনের মধ্যে ৩ জন ১-এ থেমেছেন, ৪ জন ফিরে গেছেন ২ রান করে!
আরও পড়ুন
অভিজ্ঞ পেসারকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ দল |
![]() |
৫৮ রানের টার্গেট পেয়েও ধীরে-সুস্থে ব্যাটিংয়ের পক্ষে নন অভিষেক শর্মা-শুভমন গিল। ইনিংসের প্রথম বলে হায়দার আলীকে মিড অফের উপর দিয়ে ছক্কায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রোহিত শর্মার আদর্শ রিপ্লেশমেন্ট। জুনায়েদের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দেয়ার আগে ১৮৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় করেছেন ৩০। শুভমন গিল ৯ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ২০ রানের হার না মানা ইনিংসে অভিষেককে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা যে মহাদেশীয় টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মিশনে এসেছে, প্রথম ম্যাচেই জানিয়ে দিয়েছে তা সূর্যকুমারের দল।
এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভালো দারুণ শুরুরই আভাস দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩.৪ ওভারে ২৬ রান করে স্বাগতিকরা। তবে জাসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আমিরাতের ইনিংস। কুলদিব যাদব ও শিবাম দুবের ঘূর্নিতে দিশেহারা হয়ে ১৩.১ ওভারে ৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
টি-২০ তে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডেই লিখল আমিরাত। এর আগে দুবাইতেই ২০২৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬২ রানে অলআউট হয় তারা। কুড়ি ওভারে ভারতের বিপক্ষে যেকোনো দলের এটি সর্বনিম্ন ইনিংস। এছাড়া এশিয়া কাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের বিব্রতকর রেকর্ডেও জায়গা হলো মধ্য প্রাচ্যের দেশটির। ২০২২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে হংকংয়ের ৩৮ রান টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন
অবসরের সময় জানালেন ওতামেন্ডি |
![]() |
দুবাইয়ে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম ওভারেই ৮ রান তুলে নেন আলিশান শারাফু। পরের দুই ওভারে আরো ১৫ রান যোগ করে আমিরাত। ধসের শুরুটা হয় চতুর্থ ওভারে। ১৭ বলে ২২ রান করা শরাফুর স্ট্যাম্প ছত্রখান করে দেন বুমরাহ। আমিরাতের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকেই।
এরপর বাকি ব্যাটারা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই। আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের (১৯ বলে ২২) ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আর বাকি কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ২.১ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন কুলদিব যাদব। আর ২ ওভারে ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন দুবে।
চোট কাটিয়ে প্রায় এক বছর পর সরাসরি বিশ্বকাপ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেন উদেশিকা প্রবোধানি। তাকে নিয়েই সামনের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।
ঘরের মাঠে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের দল থেকে বাদ পড়া ব্যাটার ইমেশা দুলানিকেও ফেরানো হয়েছে দলে। তবে বাদ পড়েছেন রাশ্মিকা সেভান্দি, মানুদি নানিয়াক্কারা, হানশিমা করুনারত্নে ও ইনোশি ফার্নান্দো।
গত বছরের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন প্রবোধানি। ফিরে ফিরে আসা হ্যামস্ট্রিং চোট কাটিয়ে প্রায় এক বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপ দিয়েই আবার মাঠে নামবেন ৩৯ বছর বয়সী বাঁহাতি এই অভিজ্ঞ পেসার।
আরও পড়ুন
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে দুই ‘জুজু’ |
![]() |
প্রবোধানির সঙ্গে পেস বিভাগে আরও থাকছেন ৩৫ বছর বয়সী আচিনি কুলাসুরিয়া ও ২৪ বছর বয়সী মালকি মাদারা। নানিয়াক্কারার জায়গায় স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া দুলানি মূলত ব্যাক-আপ হিসেবে থাকবেন দলের সঙ্গে।
ব্যাটিং বিভাগে অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুর সঙ্গে আছেন হাসিনি পেরেরা, বিশ্মি গুনারত্নে, হার্শিতা সামারাবিক্রমা, কাভিশা দিলহারি, নিলাক্ষী ডি সিলভা, পিউমি বাদালগে ও আনুশকা সাঞ্জিভানি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে বিশ্বকাপের নতুন আসর। গুয়াহাটিতে উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের সঙ্গে খেলবে তারা। এরপর চারটি ম্যাচ কলম্বোতে খেলবে লঙ্কানরা। পরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে মুম্বাই যাবে তারা।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলার কিছু নেই: অশ্বিন |
![]() |
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে আবার কলম্বোয় ফিরবে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ স্কোয়াড
চামারি আতাপাত্তু (অধিনায়ক), হার্শিতা সামারাবিক্রমা, বিশ্মি গুনারত্নে, নিলাক্ষী সিলভা, কাভিশা দিলহারি, আনুশকা সাঞ্জিভানি (উইকেটরক্ষক), ইমেশা দুলানি, হাসিনি পেরেরা, আচিনি কুলাসুরিয়া, পিউমি বাদালগে, ডেওমি ভিহাঙ্গা, মালকি মাদারা, উদেশিকা প্রবোধানি, সুগান্ধিকা কুমারি, ইনোকা রানাভিরা।