বলছি, হেরে না হয় কাঁদা যায়। জিতেও কী চোখে আসে জল? লিওনেল আন্দ্রেস মেসির উত্তরটা জানা। শুধু জানা? সবচেয়ে ভালো জানা।
ধরুন, একটা গল্প বলছি। একজন ফুটবলার ছোটবেলায় জেনে যাবেন হরমোন সমস্যায় দৌঁড়াতে পারবেন না, বাড়ন্ত শরীরটা 'না' করে দিবে। ফুটবলার তিনি ঠিকই হবেন। সব রেকর্ড নিজের করে নিবেন। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে একেবারে শূন্যতার হাহাকার। তবে সেসব স্মৃতি বানিয়ে তিনিও জিতবেন সবচেয়ে বড় ট্রফিটাই, একেবারে সব রেকর্ড ভেঙেচুরে নিজের নামে করেই। সিনেমা হলেও বাড়াবাড়ি বলতেন না? সম্ভব। যে সম্ভব লিওনেল মেসির নামেই।
লুসাইল অমরত্বের পেরিয়েছে বছর আড়াই। অথচ এমন সহস্র প্রহর মেসি অপেক্ষা করে গেছেন জবাবটা দেবেন বলে। কীসের জবাব? নিন্দুকেরা বছরের পর বছর বলে গেছে, 'ও কে দিয়ে হবে না জাতীয় দলের জার্সিতে...' শেষে ঠিকই হলো। ঐ যে সব রেকর্ড ভেঙেচুরে নিজের নামে করে একটা বিশ্বকাপ জিতেই তো হলো।
আরও পড়ুন
মেসিদের বিপক্ষে গোল করলে রোনালদোর 'সিউ' উদযাপন করবেন মুরিলো |
![]() |
তারচেয়ে বেশি বোধহয় দেশের জন্য করতে হতো। বার্সেলোনা শৈশব-কৈশোর-জীবনটা কাটিয়ে দিলেও সুযোগ থাকা স্বত্তেও স্পেনকে জাতীয় দল না বানিয়ে জন্মভূমি আর্জেন্টিনার জার্সিতেই নেমেছিলেন। সেই ঋণও ঘুচতে হতো। লাতিনের ঐ অঞ্চলে ফুটবল তো অনেকটাই ধর্মের মতো দেখে লোকে। মেসিরও তা জানা। '১৪ এর ফাইনালে না হয় কেঁদেছেন। ২২'এ ফিরিয়ে দিয়ে দিলেন ৩৬ বছরের জমা ঋণ। মেসি এখানেও জিতেছেন নিজের লড়াইয়ে।
মেসি নিজেই এক 'ফুটবল' মহাসাগর। গল্পের অন্ত নেই তাতে। জবাব গুলোও তেমনই ছিল। যুব দলে অলিম্পিকের গোল্ডটা বাগিয়েছিলেন তবে অন্য আকাশী নীলে অন্য আর কিছুই জেতা হচ্ছিল না। কখনো কোচের ভুলে, কখনো সতীর্থদের ভুলে। চোখের জলও কম জমেনি, পড়েনি। কান্নাতেও যেনো মেসিকেই নেতৃত্ব দিতে হচ্ছিল। যে সতীর্থ্যরা মেসির জন্য জীবন দিতেও রাজি ছিল, তাদের জন্যও করতে হতো, জিততে হতো। মেসি শুধু অধিনায়ক না, নেতাও হয়ে উঠেছিলেন কাতার বিশ্বকাপে।
ক্লাবের জার্সিতে সম্ভাব্য সবই জেতা হয়ে গেছে, সকাল-সন্ধ্যা কেটে যাবে অর্জনের গল্পে। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন, কতশত ইতিহাস গড়ে ফেলেছিলেন নিজের নামে। তবুও নিন্দুকের যে মেসিকে সর্বকালের অন্যতম সেরা মানতে জাতীয় দলের ট্রফিই আগে দেখতে চাইতো। মেসি তারও জাবাব দিলেন।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ, আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল, ভিন্ন পাঁচ বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট, বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ, সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলা, সবচেয়ে বেশি গোল অবদানে মেসি একাই নিজের করে নেন কাতার বিশ্বকাপ।
আরও পড়ুন
মেসিকে ছাড়াও ভালো খেলতে জানে আর্জেন্টিনা : স্কালোনি |
![]() |
লুসাইলে ১৮ ডিসেম্বর এক মেসি অমরত্ব পেয়েছেন তবে মেসি কী শুধু একা জিতেছেন? না, কোটি মানুষ জিতেছেন। যারা জীবনে একবারের জন্য হলেও মেসি নামের আবেগে ভেসেছে, একবারের জন্য হলেও মেসির ঐ কান্নায় আক্ষেপের অনলে পুড়েছে, না পাওয়ার হাহাকার করেছে। লুসাইলে কী তারাও জেতেননি?
শুভ জন্মদিন জাদুকর, এই শব্দটা খুব যাচ্ছে আপনার সাথে...
২৫ জুন ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
২৫ জুন ২০২৫, ৩:৩৪ পিএম
স্টেডিয়ামের চলমান সংস্কার কাজের মধ্যেই নিজেদের চেনা আঙিনা ক্যাম্প নিউয়ে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে বার্সেলোনা। আগামী ১০ আগস্ট বার্ষিক প্রাক-মৌসুমের ম্যাচ জোয়ান গাম্পার ট্রফির ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর এই ভেন্যুতে ফিরবে কাতালান ক্লাবটি।
ক্যাম্প নিউয়ের সংস্কার কাজ চলার কারণে গত দুই মৌসুম ধরে লুইস কোম্পানিস অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বার্সেলোনা। ক্যাম্প নিউয়ে তাদের শেষ ম্যাচ ছিল ২০২৩ সালের মে মাসে। আর তাই নিজেদের মূল হোম ভেন্যুতে এই প্রত্যাবর্তন সমর্থকদের জন্য এক আবেগঘন উপলক্ষ্য হতে যাচ্ছে।
বার্সেলোনার তাদের ঘরের মাঠে ফিরলেও আপাতত দর্শকরা সেখানে যোগ দিতে পারবেন না পূর্ণ মাত্রায়। সংস্কার কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় শুরুতে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজারের মধ্যে সীমিত থাকবে। আর যাতে নির্মাণকাজ যাতে আরও কিছুটা এগিয়ে নেওয়া যায়, সেজন্য আগামী মৌসুমে লা লিগা শুরুতে তিনটি ম্যাচ ক্যাম্প নিউয়ের বাইরে খেলতে পারেন ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা।
আরও পড়ুন
‘হৃদয়ের ডাক শুনেছি’, সান্তোসে চুক্তি নবায়ন করে উচ্ছ্বসিত নেইমার |
![]() |
গত মঙ্গলবার বার্সেলোনা এক বিবৃতিতে বলেছে,
“এই প্রত্যাবর্তন ক্লাব এবং আমাদের সমর্থকদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার চলার পর আমাদের প্রিয় স্টেডিয়ামে আবার ফুটবলের উন্মাদনা ফিরতে যাচ্ছে। এটা একটা নতুন যুগের সূচনা ঘটাবে।”
‘স্পটিফাই’ ক্যাম্প নিউ স্টেডিয়ামের পুরো সংস্কার কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো চলমান রয়েছে নতুন তৃতীয় ধাপের গ্যালারির কাজ, ডুয়াল ভিআইপি রিং এর নির্মাণ, ছাদ বসানো, স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন কাজ এবং স্টেডিয়ামের আশেপাশের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও। এসব প্রকল্প ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বার্সেলোনার।
গত কয়েকদিন যেভাবে খবর আসছিল,তাতে এই সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার ছিল জোর সম্ভাবনা। সেই ধারায় গত মঙ্গলবার রাতে নেইমার জুনিয়র শৈশবের ক্লাব সান্তোসের সাথে চুক্তি নবায়ন করেছেন। ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার নেইমার এরপর জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া।
এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির সান্তোস জানায়, নেইমার ছয় মাসের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছেন। এই নতুন চুক্তির ফলে ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা ফরোয়ার্ড চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবেন ক্লাবটিতে। তবে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা আরও বাড়ানোর সুযোগ রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন
নেইমারের চুক্তি নবায়নের ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ সান্তোস |
![]() |
চুক্তি নবায়ন করে নেইমার এক আবেগময় বিবৃতিতে জানান তার প্রতিক্রিয়া।
“এখানেই আমি সত্যিকারের আনন্দ খুঁজে পাই। আমি আমার হৃদয়ের কথা শুনেছি। আমার কাছে সান্তোস কেবল একটি ক্লাবই নয়, এটাই আমার ঘর, আমার শেকড়, আমার ইতিহাস, আমার জীবন। আমি তো এখানেই বড় হয়েছি, ব্যক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছি। আমি সবসময় সত্যিকারের ভালোবাসা পাই।“
চোট জর্জর এক ক্যারিয়ারে নেইমার কঠিন সময় পার করেন তার এর আগের ক্লাব আল হিলালে। দেড় মৌসুমের অধ্যায়ে সৌদি ক্লাবটিতে খেলতে পারেননি দশটি ম্যাচও। এরপর গত জানুয়ারিতে সান্তোসে প্রত্যাবর্তন হয় তার। কিছু ঝলক দেখালেও এখানেও চোট তার পিছু ছাড়েনি।
সান্তোসে যোগ দেওয়ার পর থেকে নেইমার এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। পায়ের চোটে তাকে এক মাসেরও বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। এছাড়াও চলতি মাসের শুরুতে কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় আরও কিছু ম্যাচ মিস করেন তিনি। আর ক্লাব বিশ্বকাপের বিরতির আগে লাল কার্ড দেখে পান নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন
শুভ জন্মদিন জাদুকর, লোকে যাকে ‘মেসি’ নামে চেনে |
![]() |
নেইমারকে ধরে রাখা সান্তোসের জন্য সবদিক থেকেই বড় অর্জন। সময়ের সেরাদের একজন না হলেও সাবেক বার্সেলোনা তারকার ব্র্যান্ড ভ্যালু এখনও অনেক বেশি। সান্তোসের হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে খেলেই নেইমার বিশ্ব দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর বার্সেলোনা, পিএসজি,আল হিলাল হয়ে ফেরেন চেনা আঙিনায়।
উল্লেখ্য, সান্তোস এই মুহূর্তে ব্রাজিলিয়ান সেরি আ লিগের ১৫তম স্থানে রয়েছে। নেইমারের চুক্তি নবায়ন দলটির পারফরম্যান্স উন্নত করার জন্য হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে পেনাল্টি মিসের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পেনের অধিনায়ক আলভারো মোরাতাকে পড়তে হয়েছিল তীব্র রোষানলের মুখে। এবার তাকে তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ১৯ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে স্পেনের পুলিশ।
চলতি মাসের শুরুতে ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হেরে যায় স্পেন। ওই ম্যাচে মোরাতার নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন পর্তুগাল গোলরক্ষক, যা নিশ্চিত করে স্প্যানিশদের হার। এরপর থেকেই মোরাতা ও তার স্ত্রী অ্যালিস ক্যাম্পেলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের ঘৃণামূলক বার্তা ও হত্যার হুমকি পান।
আরও পড়ুন
রুডিগারকে বর্ণবাদ : পাচুকার কাবরালের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক তদন্ত শুরু |
![]() |
সেই অভিযোগের সূত্র ধরে তদন্তের মধ্যে গত মঙ্গলবার স্প্যানিশ পুলিশ জানায়, মালাগা শহর থেকে তারা এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছেন, যিনি মোরাতা ও তার পরিবারককে সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণামূলক বার্তা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
প্রথমে অবশ্য অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানান, তার অনলাইন অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছিল। তাই তিনি এসব পোস্টের জন্য দায়ী নয়। তবে তদন্তে তার অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য ও সাইবার গোয়েন্দ সংস্থার যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়ে যায় যে, তিনি সেই বার্তাগুলোর মূল হোতা।
মোরাতা বর্তমানে এসি মিলান থেকে ধারে খেলছেন তুর্কি ক্লাব গালাতাসারায়ের হয়ে। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৮৬ ম্যাচে ৩৭টি গোল করেছেন। স্পেনের ২০২৩ সালের নেশনস লিগ ও ইউরো ২০২৪ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার। সবশেষ নেশনস লিগের ফাইনালের পর নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে আছেন বলে আভাস দেন মোরাতা।
চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে আন্টোনিও রুডিগারকে ঘিরে হওয়া বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ফিফা। রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারের আনা অভিযোগকে কেন্দ্র করে পাচুকার গুস্তাভো কাবরালের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক তদন্ত শুরু করেছে ফিফা। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত রোববার রিয়াল ও পাচুকার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে ফিফা এক বিবৃতিতে জানায়,
“ম্যাচ রিপোর্ট মূল্যায়নের পর, ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়াল মাদ্রিদের আন্টোনিও রুডিগারের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পাচুকার গুস্তাভো কাবরালের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।”
ফিফা আরও জানিয়েছে, তদন্ত শেষে দোষী সাব্যস্ত হলে কাবরালের বিরুদ্ধে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন
‘হৃদয়ের ডাক শুনেছি’, সান্তোসে চুক্তি নবায়ন করে উচ্ছ্বসিত নেইমার |
![]() |
রিয়ালের ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচের ম্যাচের ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে রুডিগার একটি ফাউলের শিকার হওয়ার পরে ছোটখাটো ধাক্কাধাক্কি হয় কাবরালের সাথে। ওই সময় এক পর্যায়ে রেফারি রামন আবাত্তি তার দুই হাত বুকের সামনে ক্রস করে তুলে ধরেন, যা ফিফার ‘অ্যান্টি-রেসিজম প্রটোকল’-এর প্রতিবাদের একটি স্বীকৃত চিহ্ন।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ফুটবল বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে এখনও পাচুকা আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ম্যাচের পর পাচুকার ডিফেন্ডার কাবরাল অভিযোগটি অস্বীকার করেন।
“আমি তাকে শুধু ‘চিকেন শিট’ বলেছি, যেটা আর্জেন্টিনায় খুব সাধারণ একটা গালি। এখানে কোনো রকমের বর্ণবাদই ছিল না।”
আর এই ঘটনা নিয়ে ম্যাচের পর রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আলোনসো বলেছেন, রুডিগারের সঠিক অভিযোগই করেছেন।
“রুডিগার বলেছে যে সে বর্ণবাদের শিকার হয়েছে, আর আমি তাকে বিশ্বাস করি। এই ধরনের ঘটনায় আমাদের জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকা উচিত। এখন ফিফা বিষয়টি তদন্ত করছে। দেখা যাক কী হয়।”
রুডিগারের জন্য এটাই বর্ণবাদী আক্রমণের প্রথম অভিজ্ঞতা নয়। চেলসি, রোমা ও রিয়ালের হয়ে খেলার সময় মাঠে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তিনি।
আগের চুক্তির মেয়াদের আর বেশি বাকি না থাকায় ক্রমেই জোড়াল হচ্ছিল নেইমারের ভবিষ্যৎ ঠিকানা নিয়ে নানা গুঞ্জন। তবে শুরু থেকেই ব্রাজিল তারকাকে ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছিল সান্তোস। দেশটির সংবাদমাধ্যমের দাবি, নেইমারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ক্লাবটি। সব শর্ত মেনেই সান্তোস তাকে ক্লাবে রাখতে চায় তারা, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে দ্রুতই।
গত সোমবার ব্রাজিলের দুই সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েলা ব্রিনো এবং লুকাস মুসেত্তির প্রতিবেদনের আসে নেইমারের সান্তোসেই থাকার খবর। আর এই বিষয়টি পরে নিশ্চিত করেছে ইএসপিএন ব্রাজিল।
সান্তোসের সভাপতি মার্সেলো তেইশেইরা সম্প্রতি নেইমারের বাবা এবং এজেন্ট নেইমার সিনিয়রের সাথে দেখা করেছেন। সেখানেই উভয় পক্ষ একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছেন। আর এই চুক্তিতে ক্লাবের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব নিয়েও নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ।
আরও পড়ুন
‘বল লাফায় খরগোশের মত, ক্লাব বিশ্বকাপের মাঠ নিয়ে বিরক্ত এনরিকে |
![]() |
ইএসপিএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেইমারের চুক্তি নবায়ন নিয়ে সান্তোস এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, তাদের মার্কেটিং বিভাগ ইতোমধ্যেই সাবেক বার্সেলোনার তারকার সান্তোসে থেকে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তেইশেইরা ও নেইমার সিনিয়রের মধ্যে হওয়া চুক্তির খসড়া এখন সান্তোসের আইন বিভাগের কাছে রয়েছে, যেখানে চুক্তির সব শর্তের চূড়ান্ত আইনি দিকগুলো দেখা হচ্ছে।
সান্তোসের আশা, সব প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নেইমারের চুক্তি নবায়নের ঘোষণা আসবে আগামী শুক্রবার (২৭ জুন)। উল্লেখ্য, চলমান ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের বিরতির পর সেদিনই ক্লাবটি তাদের অনুশীলন পুনরায় শুরু হবে।
নেইমারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। বছরের শুরুতে ক্লাবটিতে যোগ দিয়ে চলতি মৌসুমে তিনি এখন পর্যন্ত ১২টি ম্যাচে খেলেছেন ১২টি ম্যাচ। নামের পাশে আছে ৩টি গোল ও ৩টি অ্যাসিস্ট। গত ১ জুন বোতাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচে হাতে দিয়ে গোল করার চেষ্টায় তিনি লাল কার্ড দেখেন, এরপর থাকেন নিষেধাজ্ঞায়।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে