৩ নভেম্বর ২০২৪, ৩:৫২ পিএম
লা লিগায় শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিল দল। তবে হান্সি ফ্লিকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো, যা কিনা আবার ছিল রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে। তবে সেখানে গিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে গুঁড়িয়ে দেয় কাতালান ক্লাবটি। তবে পা মাটিতেই রাখতে চান দলটির কোচ। ফ্লিক মনে করেন, এখনই তাদের লা লিগার ফেভারিট ভাবাটা ঠিক হবে না।
এই মৌসুমেই বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছেন ফ্লিক। এরপর থেকে ভিন্ন স্টাইলের ফুটবলে রাতারাতি বদলে দিয়েছেন দলটিকে। এখন পর্যন্ত লা লিগায় ১১ ম্যাচের ১০টিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে আছে ইয়ামাল-পেদ্রিরা। রিয়ালের বিপক্ষে ক্লাসিকোর জয়টি ধরা দিয়েছিল ৪-০ গোলে। কার্লো আনচেলত্তির দলের চেয়ে লিড এখন ছয় পয়েন্টের। যে ফর্মে আছে ফ্লিকের দল, তাতে এই মুহূর্তে তাদের শিরোপার দাবিদার বলা যেতেই পারে।
রবিবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে কাতালান ডার্বিতে এস্পানিওলের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ফ্লিক বলেন, এখনও অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার বাকি আছে।
“এখানে একটি দীর্ঘ, দীর্ঘ পথ বাকি রয়েছে। অনেক কিছু ঘটতে পারে, যা আমরা চিন্তা করতে পারি না। আমরা ভালো আবহে আছি এবং আমাদের একটি ধারা চলছে। আমাদের এটা চালিয়ে যেতে হবে। এটাই আমাদের পরিকল্পনা। ব্যাপারটা এমন যে আমরা সবসময় অভিনয় করে যাচ্ছি, যাতে আমরা পরের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে পারি।”
ফ্লিক যখন বার্সেলোনার কোচ হন, তখন স্প্যানিশ ফুটবলের সাথে তার অতীত অভিজ্ঞতা না থাকায় সংশয় ছিল অনেকেরই। তবে সব শঙ্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দলটিকে দুর্দান্তভাবে পরিচালনা করছেন সাবেক জার্মানি ও বায়ার্ন মিউনিখ কোচ। অক্টোবর মাসে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখার পর হয়েছেন লা লিগার মাস সেরা কোচও।
তবে ফ্লিক মনে করছেন, দলের বর্তমান ফর্ম বা তার ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে মাতামাতির কিছু নেই এখনই।
“আমরা যখন জিতেছি, তখন সেরা উদযাপন করাও ইতিবাচক ব্যাপার। কিন্তু এরপরই আমাদের পরের ম্যাচে ফোকাস করতে হবে। লিগ শেষ করার জন্য একটা দীর্ঘ, দীর্ঘ পথ পড়ে আছে সামনে।”
বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা সবশেষ ম্যাচে জিতেছিলো ৬-০ গোলে। সেই ম্যাচে একসাথে লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেজ আর হুলিয়ান আলভারেজ শুরু করেছিলেন। মেসি করেছিলেন হ্যাটট্রিক আর লাউতারো ও আলভারেজও পেয়েছিলেন গোল। আর্জেন্টিনার সামনে এবার প্যারাগুয়ে, ফরোয়ার্ড লাইনে এই তিনজনকে একসাথে রেখেই কী শুরুর একাদশ নামাবেন লিওনেল স্ক্যালোনি?
আর্জেন্টিনার কোচ ইঙ্গিত দিয়েছেন তেমনই,
“প্রায় একই দল নিয়েই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবো। এমন এক দলের বিপক্ষে খেলা যারা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে।”
তবে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা দলের কোচের ভাবনাতে আছে আরেক বিকল্প। তিন ফরোয়ার্ড না খেলিয়ে ৪ মিডফিল্ডারকে নিয়েও দল সাজাতে পারেন স্ক্যালোনি। সেক্ষেত্রে লাউতারো মার্তিনেজের জায়গায় একাদশে আসতে পারেন লো সেলসো।
শুরুর একাদশের বাকি ১০ পজিশন নিয়ে তেমন ধোঁয়াশা নেই। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গোলকিপার হিসেবে ফিরছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। লিসান্দ্রো মার্তিনেজের ইনজুরিতে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর সেন্টার ব্যাক সঙ্গী নিকোলাস ওতামেন্দি। ন্যাহুয়েল মলিনার সাথে নিকোলাস ত্যালিয়াফিকো সামলাবেন দুই ফুল ব্যাকের দায়িত্ব। তিন মিডফিল্ডার হিসেবে রদ্রিগো দি পল, এনজো ফার্নান্দেজ আর ম্যাক অ্যালিস্টার থাকছেন। সামনে লিওনেল মেসির সাথে হুলিয়ান আলভারেজ।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
মালদ্বীপের বিপক্ষে আক্রমণের ঝড় তুলেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। দুই উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমণ করেও বল পৌঁছাতে পারেনি রাকিব-ফাহিমরা। স্বভাবতই মন খারাপের একটা রাত পার করতে হয়েছে তাদের! এমন প্রেক্ষাপটে দলকে অনুপ্রাণিত করতে, একটু উদ্বুদ্ধ করতে- সাত সকালে টিম হোটেলে হাজির হন নতুন সভাপতি তাবিথ আওয়াল।
স্বাভাবিক কারণে নতুন সভাপতি তাবিথ আওয়ালেরও মন খারাপ হওয়ার কথা। কারণ তিনি সভাপতি হওয়ার পর এটাই ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ। আর সেখানেই বছরব্যাপী ফিফার নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশ মালদ্বীপকে বাগে পেয়েও হারাতে তো পারেইনি দল, বরং হেরে গেছে।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সবার সঙ্গে নাস্তার টেবিলে বৈঠক করেছেন সাবেক এই ফুটবলার। পরের ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করেছেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। ম্যানেজার আমের খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন 'গত ম্যাচে যা হওয়ার হয়েছে। সামনের ম্যাচে জয়ের জন্য যথাসম্ভব ভুল এড়ানো এবং সেরা খেলা উপহার দেয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সভাপতি'।
শনিবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। তার আগে তাবিথ আওয়ালের এই অনুপ্রেরণা প্রথম ম্যাচের স্মৃতি ভুলতে সহায়তা করবে কাবরেরার দলকে।তাবিথ আউয়াল শুধু বাংলাদেশ দল নয়, সফরকারী মালদ্বীপ দলের সঙ্গেও দেখা করেছেন নাস্তার টেবিলে। এতে খুশি হয়েছে মালদ্বীপ দলের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফ।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজেই জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন ফুটবলারদের সাথে। এসময় তাঁর সাথে বাফুফে’র শীর্ষস্থানীয় কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। আগেরদিন মাঠে বসে দলের খেলা দেখে হতাশ হয়েছেন, পরদিন সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলে ফেডারেশন সভাপতি হিসেবে দলকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে