১২ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৫৮ পিএম
ক্লাব ফুটবলের আপাতত বিরতি, কিন্তু বিরতি নেই ফুটবলারদের। ক্লাবের জার্সি ছেড়ে জাতীয় দলের জার্সি স্যুটকেসে ভরে যে যার মতো যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলগুলোর ক্যাম্পে। আর আন্তর্জাতিক বিরতি মানেই ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ম্যাচ, এবং সে ম্যাচগুলো ঘিরে বিশেষ উদ্দীপনা বাংলাদেশে। নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এবারও দুটি করে ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার প্রস্তুতি
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বাছাই পর্বের ম্যাচকে কেন্দ্র করে আগেই জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন লিওনেল স্কালোনির অধীনে ডাক পাওয়া ফুটবলাররা। প্রাথমিক অনুশীলন সেশনে প্রস্তুতিতে অংশ নিয়েছেন ২০ জন ফুটবলার। লাউতারো মার্তিনেজ, আলেহান্দ্রো গারনাচোরা, নিকোলাস তালিয়াফিকো ও তাতি কাস্তেয়ানোসরা দলের সঙ্গে যোগ দিবেন মঙ্গলবার থেকে।
আরও পড়ুন
কেমন হলো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াড? |
কারা আছেন এবারের আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে?
ছয় দিন আগে আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা করলেও চোটেরর কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার হেরমান পেৎ্সেল্লা। এছাড়া চোটের কারণে দল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নিকো গনজালেসও।
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়াল্টার বেনিতেজ (পিএসভি), হেরোনিমো রুই (অলিম্পিক মার্সেই)
ডিফেন্ডার: নাহুয়েল মলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), গনজালো মনতিয়েল (সেভিয়া), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহাম), লিওনার্দো বালেরদি (অলিম্পিক মার্সেই), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো মার্তিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিঁও)
মিডফিল্ডার: এনজো ফেরনান্দেজ (চেলসি), লিয়ান্দ্রো পারেদেস (এএস রোমা), ইজিকিয়েল পালাসিওস (বায়ার লেভারকুসেন), রদ্রিগো দি পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ), আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালাস্টার (লিভারপুল), গিওভান্নি লো সেলসো (রিয়াল বেতিস), এনজো বারেনেচেয়া (ভালেন্সিয়া), থিয়াগো আলমাদা (বোতাফোগো), ফাকুন্দো বুয়োনানতে (লেস্টার সিটি), নিকোলাস পাজ (কোমো ১৯০৭)
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি), আলেহান্দ্রো গারনাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস গঞ্জালেস (ইয়্যুভেন্তস), হুলিয়ান আলভারেজ (আতলেতিকো মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেজ (ইন্তারনাৎ্সিওনাল), ভালেন্তিন কাসতেয়ানোস (লাৎ্সিও)
আরও পড়ুন
যে কারণে নেইমারকে ব্রাজিল দলে রাখেননি দরিভাল |
আর্জেন্টিনার ম্যাচ সূচি
লাতিন অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সময় আগামী শুক্রবার, ভোর ৫:৩০ এ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নামবে লিওনেল মেসির দল। প্যারাগুয়ের আসুনসিওনের উয়েনো দেফেনসোরেস দেল চাকো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।
এরপর আগামী ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় আর্জেন্টিনার ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা আর্জেন্টিনা খেলবে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের বিখ্যাত লা বম্বোনেরা স্টেডিয়ামে।
ব্রাজিলের প্রস্তুতি
অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের জাতীয় দলকে ঘিরে বয়ে গেছে অস্বস্তির বাতাস। দরিভাল জুনিয়র দলের রেকর্ড তখন বলছে, আটটা বাছাই পর্বের ম্যাচের মধ্যে চারটাতেই হার, একটা ড্র আর তিনটা জয়। তবে চিলি আর পেরুর সঙ্গে দুটো জয়ে দরিভাল জুনিয়র এবং ব্রাজিল দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব পার হতে না পারার শঙ্কা অনেকটাই দূর হয়েছে। ব্রাজিলের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ফুটবলাররা, আর্জেন্টিনার চাইতে অবশ্য ব্রাজিলের জন্য এবারের বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো তুলনামূলক কঠিনই বটে।
কারা আছেন এবারের ব্রাজিলের স্কোয়াডে?
স্কোয়াড ঘোষণার পর ব্রাজিল দলের জন্য দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে দুই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা এদের মিলিতাওর এসিএল এবং রদ্রিগোর পেশির ইনজুরি। এই দুজনের বদলি ফুটবলার অবশ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আগে থেকে ইনজুরির কারণে নেই আলিসন।
গোলরক্ষক: বেন্তো (আল নাসর), এদেরসন ম্যানচেস্টার সিটি), ওয়েভেরতন (পালমেইরাস)
ডিফেন্ডার: দানিলো (ইয়্যুভেন্তস), ভান্দেরসন (এএস মোনাকো), আবনের (লিঁও), গিলের্মে আরানা (আতলেতিকো মিনেইরো), লিও অরতিজ (ফ্লামেঙ্গো), গাব্রিয়েল মাঘালেস (আর্সেনাল), মার্কিনিয়োস (পিএসজি), মুরিলো (নটিংহাম ফরেস্ট)
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে (উলভস), ব্রুনো গিমারেস (নিউক্যাসল), গারসন (ফ্লামেঙ্গো), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হাম), আন্দ্রেস পেরেইরা (ফুলহাম)
ফরোয়ার্ড: এস্তেভাও (পালমেইরাস), গাব্রিয়েল মার্তিনেলি (আর্সেনাল), লুইজ এনরিক (বোতাফোগো), সাভিনিও (ম্যানচেস্টার সিটি), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), ইগর হেসুস (বোতাফোগো), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা)
আরও পড়ুন
২৮ সদস্যের আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা, মেসি থাকলেও নেই বড় এক নাম |
ব্রাজিলের সূচি
নভেম্বর মাসের প্রথম বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে ব্রাজিলকে যেতে হবে ভেনেজুয়েলার মাঠে। শুক্রবার ১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় রাত ৩ টায় দরিভাল জুনিয়রের দল মুখোমুখি হবে ফেরনান্দো বাতিস্তার ভেনেজুয়েলা দলের। আর পাঁচদিন পর ব্রাজিলের সালভাদোরে খেলতে আসবে মার্সেলো বিয়েলসার উরুগুয়ে, যারা কোপা আমেরিকার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। ২০ নভেম্বর বুধবার, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬:৪৫ এ শুরু হবে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি।
লাতিন অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিল :
দল | ম্যাচ | পয়েন্ট |
১. আর্জেন্টিনা | ১০ | ২২ |
২. কলম্বিয়া | ১০ | ১৯ |
৩. উরুগুয়ে | ১০ | ১৬ |
৪. ব্রাজিল | ১০ | ১৬ |
৫. ইকুয়েডর | ১০ | ১৩ |
৬. প্যারাগুয়ে | ১০ | ১৩ |
৭. বলিভিয়া | ১০ | ১২ |
৮. ভেনেজুয়েলা | ১০ | ১১ |
৯. পেরু | ১০ | ৬ |
১০. চিলি | ১০ | ৫ |
২০ নভেম্বর ২০২৪, ২:২৮ পিএম
এক যুগেরও বেশি সময় আগে এসেছিলেন ভারতে। সেবার লিওনেল মেসি খেলেছিলেন কোলকাতায়। তবে এবার বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে ভারতে আনতে যাচ্ছে কেরালা। দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যে কেরালার ক্রীড়া মন্ত্রী পের ভি আবদুরহিমা নিশ্চিত করেছেন, আগামী বছর মেসি ও আর্জেন্টিনা দল ভারত সফর করবে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য।
এটি হবে মেসির ভারতে দ্বিতীয় সফর। আর দুটিই জাতীয় দলের হয়ে। এর আগে ২০১১ সালে কোলকাতার বিখ্যাত সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলেন ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার কেরালার ক্রীড়া মন্ত্রী ভি আবদুরহিমান এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন মেসিদের কেরালায় খেলার বিষয়টি। “বিশ্বের এক নম্বর ফুটবল দল, লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা আগামী বছর কেরালায় আসছে।”
আবদুরহিমান আরও যোগ করেছেন যে, রাজ্যের ব্যবসায়ীরা মেসি এবং আর্জেন্টিনার ফুটবল দলকে কেরালায় আনার খরচ বহন করবেন, যা সব মিলিয়ে দাঁড়াতে পারে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ কোটি রুপি। “এই হাই-প্রোফাইল ফুটবল ইভেন্টটি আয়োজনের জন্য সব আর্থিক সহায়তা রাজ্যের মার্চেন্টদের মাধ্যমে আসবে।”
ম্যাচটি কেরালা রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচটি কবে হবে বা কোন স্টেডিয়ামে হবে, সেটা উল্লেখ করেননি আবদুরহিমান। ঠিক হয়নি প্রতিপক্ষ দলও।
তবে আবদুরহিমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের আয়োজন নিয়ে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনার সাথে আলোচনার পর বিস্তারিতভাবে শীঘ্রই সব তথ্য ঘোষণা করা হবে। “আমরা আর্জেন্টিনা জাতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে এই বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আবদুরহিমান আভাস দিয়েছেন, কোচি, যা ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) দলের কেরালা ব্লাস্টার্সের হোম ভেন্যু, সেটাই আর্জেন্টিনার ম্যাচের সম্ভাব্য ভেন্যু হতে পারে। কারণ, মেসিদের ম্যাচটিতে প্রচুর দর্শক উপস্থিত হবে বলে আশা করছেন তারা।
এর আগে পেপ গার্দিওলা দুইবার ম্যানচেস্টার সিটির সাথে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন নভেম্বর মাসে। চলতি মাসে তাই ইংলিশ ক্লাবটিকে তার থাকা বা না থাকা নিয়ে বাতাসে ভাসছিল নানা গুঞ্জন। তবে ইএসপিএনের দাবি, আরও একবার নভেম্বর মাসে সিটির সাথে চুক্তি নবায়নে সম্মতি জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
পেপ গার্দিওলা ম্যানচেস্টার সিটিতে তার থাকার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য একটি নতুন এক বছরের চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন, একটি সূত্র ইএসপিএন-এর মোয়েসেস লরেন্সকে নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন
পারলো না আর্সেনাল, চারে চার ম্যানচেস্টার সিটির |
সিটিতে গার্দিওলার বর্তমান চুক্তি মৌসুমের পর শেষ হবে। ৫৩ বছর বয়সী এই কোচ তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি। উল্টো এমনও আভাস ছিল, আগামী বছরই হয়ত ছাড়তে পারেন ক্লাবটির ডাগআউট।
তবে ইএসপিএন তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গার্দিওলা ও সিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দফা ইতিবাচক আলোচনার পর এক বছরের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা কোচ।
আরও পড়ুন
প্রিমিয়ার লিগে এবার অন্য দলের সুযোগ দেখছেন গার্দিওলা |
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ২০১৮ ও ২০২২ সালেও নভেম্বর আসে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন গার্দিওলা, যাতে মৌসুমের পরের ভাগে এসব বিষয় নিয়ে দলের মাঝে প্রভাব না পড়ে। এবারই সেই পথে হাঁটতে চলেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই কোচ।
এর ফলে আপাতত ইতি ঘটতে যাচ্ছে গার্দিওলার ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার। গুঞ্জন ছিল, ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে বা পরে সেলেসাওদের দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি।
২০১৬ সালে সিটির দায়িত্ব নেওয়া গার্দিওলা এরই মধ্যে হয়ে গেছেন সিটির ইতিহাসের সবচেয়ে সফল কোচ। তার হাত ধরে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা সহ মোট ১৫টি শিরোপা জিতেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৩ সালের ট্রেবল জয়, যার মধ্যে ছিল সিটির ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
আরও পড়ুন
‘একজন মানুষের পক্ষে এমন কিছু করা অসম্ভব’, হলান্ডকে নিয়ে বললেন গার্দিওলা |
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত কিছুটা ছন্দহীন রয়েছে সিটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে হেরেছে চারটি ম্যাচে। এরপরও প্রিমিয়ার লিগে আছে দুই নম্বর স্থানে, শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সাথে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা পিছিয়ে পাঁচ পয়েন্টে।
টানা দ্বিতীয়বারের মত সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পরই বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বুধবার অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে ২০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে বিসিবি।
সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছ থেকে পুরস্কারর বুঝে নেন সাবিনা। চেক হস্তান্তরের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ফাহিম সিনহা এবং জাতীয় নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার।
গত মাসে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে টানা দ্বিতীয়বার সাফের শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। এরপরই ফারুক আহমেদ দেন পুরস্কারের ঘোষণা। গতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও বিসিবি মেয়েদের সম্মানিত করেছিল। সেবার অর্থ পুরস্কার ছিল ৫০ লাখ টাকার।
বিসিবি আগে নারী দলের কাছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাদের ঘোষিত ১ কোটি টাকা পুরস্কারের অর্থ হস্তাস্তর করেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ঘোষণা দিয়েছে দেড় কোটি দেওয়ার। আর ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
আর ভিন্ন ভাবে মেয়েদের সম্মানিত করেছে দেশের অন্যতম খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন। চলতি সপ্তাহে নারী দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা মিলিয়ে মোট ৩২ সদস্যকে ফ্রিজ উপহার দেয় ওয়ালটন।
এক ম্যাচ আগেই প্যারাগুয়ের কাছে স্বাদ পেতে হয়েছিল হারের, যা আর্জেন্টিনার এই দলের জন্য খুব চেনা অভিজ্ঞতা নয়। বিশেষ করে গত বিশ্বকাপজয়ী অভিযানের পর থেকে। চলতি বছরের শেষটা জয় দিয়ে রাঙিয়ে তারকা স্ট্রাইকার লাউতারো মার্তিনেজের মনে হচ্ছে, প্রতিটি দলের লক্ষ্যই থাকে তাদের হারানোর।
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারের পর অপরাজিত থেকে শিরোপা জেতা আর্জেন্টিনা এরপর লম্বা সময় ধরে রেখেছিল অপরাজের যাত্রা। বিশ্বকাপ বাছাই শুরুর পর ছেদ পড়ে সেই ধারায়। তিন পরাজয়ের শেষটি এসেছিল গত সপ্তাহে প্যারাগুয়ের কাছে। পেরুর বিপক্ষে বুধবার সকালের ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জিতে জয়ে ফিরেছে লিওনেল স্কালোনির দল।
ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করা লাউতারো ম্যাচের পর বলেছেন, প্রতিটি ম্যাচেই তাদের সামর্থ্যের সেরাটা ঢেলে দিতে হয়।
“সবাই আমাদের হারাতে চায়। আর্জেন্টনা জাতীয় দল সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। আমাদের তাই প্রতিদিনই উন্নতি চালিয়ে যেতে হবে।”
বিরতির পর লিওনেল মেসির ক্রস থেকে বল পেয়ে দারুণ এক হাফ-ভলিতে জালের দেখা পান লাউতারো। এটি জাতীয় দলের হয়ে তার ৩২তম গোল। চলতি বছর আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ের পথে ইন্তার মিলান তারকার ছিল বড় অবদান।
বছরটা যেভাবে কেটেছে, তাতে বেশ সন্তুষ্ট লাউতারো।
“আমি খুশি, কারণ আমার পুরো পরিবার ম্যাচটা দেখতে এসেছিল এবং আমি সবসময় আমার সেরাটাই দিতে চাই। আমার জন্য এই বছরটা খুবই ইতিবাচক ছিল এবং সৌভাগ্যবশত আমরা একটি জয়ের সাথে এটা শেষ করতে পেরেছি। পারফরম্যান্স, গোল বা খেলার দিক থেকে এটা আমদের জন্য একটা দর্শনীয় বছর ছিল।”
১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে আছে আর্জেন্টিনা।
এই উরুগুয়ের কাছেই এক বছর এক মাস আগে ২-০ গোলে হেরে গিয়েছিল ব্রাজিল। ব্যর্থতার বৃত্তটা আরো বড় হয়েছিল কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে। বিয়েলসার উরুগুয়ের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে কাটা পড়ে বিদায় নিতে হয়েছিল দরিভালের ব্রাজিলকে। আবারও সামনে উরুগুয়ে বাধা, কিন্তু এবারও উরুগুয়ে গেঁরোটা খুলল না। দ্বিতীয়ার্ধের নাটকীয় দশ মিনিটের সিকুয়েন্সে দুই দলের একটি করে গোল, বাকি সময় সুযোগ পেয়েও নষ্ট করার হতাশায় বছরের শেষ ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ব্রাজিলকে।
প্রথমার্ধে মাঝমাঠেই ঘুরপাক খেতে থাকা দুই দলের মধ্যে ৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। নাম্বার টেন রোলে খেলা রাফিনিয়া উরুগুয়ে ডিফেন্স লাইনের ফাঁকায় বল দিয়েছিলেন ভেতরে ঢুকে পড়া আবনেরকে। উরুগুয়ের গোলকিপার রশে সেটা ঝাঁপ দিয়ে বাঁচিয়েছেন, ব্যথাও পেয়েছেন বুটের খোঁচায়। বিয়েলসার হাই-প্রেসিং উরুগুয়ে আজ বরং কিছুটা ধীরে সুস্থে ব্রাজিলের জন্য অপেক্ষা করেছে, আর ব্রাজিল বারবার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে উরুগুয়ের ম্যান মার্কিং ভেঙে বক্সে স্পেস বের করে সুযোগ তৈরি করার।
তবে বাহিয়ার আরেনা ফন্তে নোভা স্টেডিয়ামের সব নাটকীয়তা জমা ছিল দ্বিতীয়ার্ধের জন্য। অথচ এবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ব্রাজিলের সামনে। রাফিনিয়ার বিটউইন দ্য লাইনে বাড়ানো বলটা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র জায়গামত পেয়ে মেরেছিলেন বটে, কিন্তু সেটাও চলে যায় ফার পোস্টের বাইরে। তবে দুই মিনিট পরই অন্য পাশে আরাউহোর স্কয়ার করা বলে ভালভেরদের বাঁকানো এক শটের গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে।
ম্যাচে ফিরতে অবশ্য সাত মিনিটের বেশি সময় নেয়নি ব্রাজিল। ৬১ মিনিটে রাফিনিয়ার বক্স উরুগুয়ের বক্সে ডিফ্লেক্টেড হয়ে আসে বক্সের বাইরে থাকা গারসনের পায়ে। বাঁ পায়ের বাকানো এক ভলিতে দুরহ এক কোণ থেকে বল ঢুকে যায় জালে। এই গোলের মিনিটখানেক পরই বদলি নামা মার্তিনেল্লির এক ভলি বাঁচিয়ে দেন রশে। ৭৮ মিনিটে ভিনিসিয়ুস আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন, কাজে লাগাতে পারেননি। বাকি সময়ে কোনোদিকে আর বিপদ না হওয়ায় ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।
কোপা আমেরিকার ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ছয় ম্যাচে দরিভালের অর্জন তিন জয় আর দুই ড্র। হার শুধু প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে তাই বছরটা শেষ করতে হচ্ছে সেলেসাওদের।
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৩ দিন আগে
২৫ দিন আগে