১২ নভেম্বর ২০২৪, ৫:৪২ পিএম
এই বছরের ব্যালন ডি’অরের লড়াইটা মূলত হয়েছিল তাদের দুজনের মধ্যেই। পুরোটা সময় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ফেভারিট থাকলেও শেষ সময়ে এসে চমক দেখিয়ে এই খেতাব জিতেছেন রদ্রি। প্রতিবাদ জানিয়ে সেই অনুষ্ঠানই বয়কট করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ও তার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। রদ্রি বলেছেন, ভিনিসিয়ুসের অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।
গত ২৮ অক্টোবর ঘোষিত হয় ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম। তার ঘণ্টাখানেক আগে অনুষ্ঠানে যাওয়া বাতিল করে গোটা রিয়াল দল। কারণ, নিশ্চিত জিততে যাওয়া বর্ষসেরার খেতাব থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন ভিনিসিয়ুস। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, মাত্র ৪১ পয়েন্টের ব্যবধানে জিতেছেন রদ্রি। আর ভিনিসিয়ুস হন রানার্সআপ।
আরও পড়ুন
নাটক জমিয়ে রদ্রির হাতেই উঠলো ব্যালন ডি’অর |
গত সোমবার কোপে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান বয়কট প্রসঙ্গে রদ্রি জানান, এটা নিয়ে তার কোনো খারাপ লাগা নেই-
“কেন এটা (ভিনিসিয়ুসের উপস্থিত না হওয়া) আমাকে হতাশ করবে? এটা আমার পরিবারকে নিয়ে উদযাপনের মুহূর্ত ছিল। শেষ কাজটা যা আমি করতে পারতাম তা হল, যেসব লোকেরা এখানে আসেনি বা অংশ নিতে চায়নি তাদের নিয়ে চিন্তা করা।”
গত মৌসুমটা রদ্রি ও ভিনিসিয়ুস দুজনই ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে কাটিয়েছেন দারুণ। একজন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর স্পেনের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হন ইউরো ২০২৪-তে। আর ভিনিসিয়ুস রিয়ালের হয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন। তার দুই ক্লাব সতীর্থ জুড বেলিংহাম ও দানি কারভাহাল ভোটে হন যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস, রদ্রি নাকি বেলিংহাম কার হাতে উঠবে ব্যালন ডি’অর? |
এবারের ব্যালন ডি’অরের ভোট নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে বেশ। তবে বিতর্কের অবকাশ দেখছেন না রদ্রি-
“লোকেরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট দিতে পেরেছে এটা আমার ভালো লেগেছে। এটা অন্যদের মতামতের ব্যাপার। আমি ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ভীষণ সম্মান করি এবং রিয়াল মাদ্রিদকেও। যারা আমাকে চেনে তারা ব্যাপারটা জানে। আমি হয়ত কারভাহাল, ভিনিসিয়ুসকে ভোট দিতাম। হয়ত কারভাহালকে দ্বিতীয় সেরা হিসেবে বেছে নিতাম।”
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৫৮ পিএম
আরেকবার গোল করতে না পারার আক্ষেপ সঙ্গী বাংলাদেশ। আরেকবার ঘরের মাঠে হার বাংলাদেশের। মালদ্বীপের সাথে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বুধবার ০-১ গোলে হেরেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
২০২১ সালের ১৩ নভেম্বরে ১৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে কলম্বোতে মালদ্বীপকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। তবে আরেকবার সেই ১৩ নভেম্বরে মালদ্বীপকে ঘরের মাঠে পেয়ে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
গেলো বছরের অক্টোবরে এই কিংস অ্যারেনায় মালদ্বীপকে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ২-১ গোলে। এবার আর পারেনি স্বাগতিকরা। আক্ষেপ ঐ গোল না পাওয়াই।
আরও পড়ুন
হাফ ডজন অ্যাটাকের বাংলাদেশের হাফ-টাইমে মালদ্বীপের গোল |
প্রথমার্ধের দারুণ ফুটবল খেলেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। উল্টো ১৮ মিনিটে ফাঁকায় হেড গোলে বাংলাদেশ দর্শকদের হৃদয় ভাঙেন এই ফরোয়ার্ড। গোলকিপার মিতুলের তাকিয়ে থাকা ছাড়া যে গোলে করার ছিলনা কিছুই।
এরপরে বার কয়েক চেষ্টা চালিয়ে গোলবারের খোঁজই মেলেনি স্বাগতিকদের।
৬৩ মিনিটে রাকিব বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশকে। অথচ যার গোল করার উচিত ছিল। আলি ফাসিরের গোল না হওয়ার পুরো কৃতিত্ব রাকিবের।
৬৪ মিনিটে হাভিয়ের কাবরের আনেন তিন পরিবর্তন। যদিও তিন পরিবর্তন কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি।
৬৯ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের হেড জাল খুঁজে পায়নি। ৭৮ মিনিটে মোরসালিনও খুঁজলেন জাল তবে গল্পটা ঐ একই।
৮৬ মিনিটে মালদ্বীপ গোলকিপারের দারুণ সেইভে রক্ষা পায় সফরকারীরা। মোরসালিনের গোল না পাওয়ার পুরো কৃতিত্ব মালদ্বীপ গোলকিপার হুসেন শরিফের।
আরও পড়ুন
জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরণে বসুন্ধরায় মেমোরিয়াল কাপ |
৯০ মিনিটে আবারও বাংলাদেশ সামনের বাধার নাম ঐ শরিফ। রাকিবের এগিয়ে যাওয়া বলে মালদ্বীপ গোলকিপার ঠেকালেন দারুণভাবে। যোগ করা সময়েও রাকিবের গোল পাওয়া হয়নি।
পরের ম্যাচটা ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় একই মাঠে নামবে দুদল। যেখানে বাংলাদেশের মেটাতে হবে গোল ক্ষুধা।
ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে আতিথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুন ফুটবল খেললেও কাজের কাজ গোলটা পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে ঠিকই প্রথমার্ধে গোল আদায় করে নেয় সফরকারীরা।
কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আজ প্রথম একাদশে রেখেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মিডফিল্ডার কাজেম শাহ কিরমানিকে। আনিসুর রহমান জিকো থাকলেও কোচের আস্থা মিতুল মারমায়। সাথে একাদশে অভিষিক্ত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাজয়ী শাকিল আহাদ।
আরও পড়ুন
যেভাবে পাবেন বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচের টিকিট |
প্রথম পাঁচ মিনিটে অ্যাটাকিং বাংলাদেশের দেখাই মিলেছে। শেখ মোরসালিনের হেড ততক্ষণে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার দর্শকদের দিচ্ছিল আশার বাতাস। গেলো এক বছরের গোল আক্ষেপের বাংলাদেশ কী তবে এবার পাবে গোল?
১৩ মিনিটে ছোট কর্ণারে এগিয়ে যাওয়ার পথেই ছিল মালদ্বীপ। মিতুলের হাত ফসকে গেলেও গোলটা জালে জড়ায়নি বাংলাদেশ ডিফেন্ডারদের কল্যাণে।
পরের মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে নিজের পঞ্চম গোলটা করা হয়নি রাকিব হোসেনের। হেডে গোল মিসের আক্ষেপের রাকিবকে দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, গোলটা করা উচিত ছিল!
ম্যাচের ডেডলক ভাঙা গোল আলি ফাসিরের। ১৮ মিনিটে ফাঁকায় হেড গোলে বাংলাদেশ দর্শকদের হৃদয় ভাঙেন এই ফরোয়ার্ড। গোলকিপার মিতুলের তাকিয়ে থাকা ছাড়া যে গোলে করার ছিলনা কিছুই।
আরও পড়ুন
জয়ের লক্ষ্য রেখেই মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, বললেন কাবরেরা |
ঠিক পরের মিনিটে গোল শোধের সুযোগ পেলেও কাজের কাজ গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
২৯ মিনিটে ম্যাচে সেরা সুযোগটা পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। হাফভলি বলে ফাহিমের চেষ্টা ছিক দেখার মতো। তবে এমন দারুণ শটেও আক্ষেপ বলের জাল খুঁজে না পাওয়া।
৩৪ মিনিটে আবারও সুযোগ বাংলাদেশের। রাকিবের বল দারুণভাবে ব্লক করেছেন মালদ্বীপ ডিফেন্ডার ইরুফান।
আরও পড়ুন
১ বছর ফুটবলের বাইরে থাকা মালদ্বীপকে আনছে বাংলাদেশ |
প্রথমার্ধের ঠিক আগে সোহেল রানার দারুণ সুযোগ ঠেকিয়ে দেন মালদ্বীপ গোলকিপার। প্রথমার্ধে দারুণ খেলা বাংলাদেশ কী পারবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে?
১৬ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে