ফিট ছিলেন, স্কোয়াডেও ছিলেন। তবে রহস্যজনকভাবে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে রদ্রিগোকে মাঠেই নামাননি কার্লো আনচেলত্তি। শুরুর একাদশে অনিয়মিত হলেও বদলি হিসেবে তার না খেলাটা জন্ম দেয় প্রশ্নের। এর কারণ হিসেবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো দিচ্ছে অবাক করার মত খবরই। তাদের দাবি, মিডিয়ায় কিলিয়ান এমবাপে ও জুড বেলিংহামকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতিতে বিরক্ত রদ্রিগো। তার জেরেই নাকি বার্সেলোনার সাথে খেলতে জানান অসম্মতি, ছাড়তে চান ক্লাবও। তবে আপাতত সেসব উড়িয়েই দিয়েছেন ব্রাজিল উইঙ্গার।
প্রথম খবরটি সত্যি হলে তা চমক জাগানোর মতোই হবে। কারণ। ২০২৩ সালে বেলিংহাম আসার পর খুব অল্প সময়েই তার সাথে দারুণ সম্পর্ক হয়ে যায় রদ্রিগোর। আক্রমণে তাদের রসায়নও দুর্দান্ত। তখন একাদশেও ছিলেন নিয়মিত। তবে ২০২৪ সালে এমবাপের আগমনের পর থেকে ক্রমেই একাদশের বাইরে ছিটকে গেছেন এই ফরোয়ার্ড। এই মৌসুমে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাকে নামানো হয়েছে বদলি হিসেবে বা তুলে নেওয়া হয়েছে এমবাপে, বেলিংহামদের মাঠে রেখে।
আরও পড়ুন
পর্তুগাল দলে অভিষেক রোনালদোর ছেলের |
![]() |
ফরাসি তারকা এমবাপে এই মৌসুমে রিয়ালে যোগ দিয়েই বনে গেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল তারই। সাথে রয়েছে দুটি এল ক্লাসিকোর হ্যাটট্রিক। অন্যদিকে মিডফিল্ডার বেলিংহাম ফিট থাকলে নিয়মিতই খেলছেন একাদশে থেকে। এমনকি চোট নিয়েও খেলে গেছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। অন্যদিকে ফিট থেকেও রদ্রিগো হয়েছেন ব্রাত্য।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিডিয়ায় এমবাপে ও বেলিংহামের যে প্রশংসা করা হয়, তাতে নাকি নাখোশ রদ্রিগো। সাথে রয়েছে একাদশে নিয়মিত না হওয়া। ফলে চিন্তা করছেন এই গ্রীষ্মেই ক্লাব ছাড়ার।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, রদ্রিগো দলের কারও সাথেই কথা বলছেন না এল ক্লাসিকোর পর থেকেই। কারণ, তার আশা ছিল এই মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণ হবে তাকে, এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরে। সেটা না হওয়ায় জানাচ্ছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। সতীর্থরাও নাকি তার এমন আচরণে খুশি নন।
এই মৌসুমে রদ্রিগো লা লিগায় ৩০টি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। বেশিরভাগ সময়ই তাকে রাইট উইংয়ে খেলানো হয়েছে, যেখানে তাকে জায়গার জন্য লড়তে হচ্ছে ব্রাহিম দিয়াজ, আর্দা গুলের, এন্দ্রিক বা ক্ষেত্রেবিশেষে ফেদেরিকো ভালভের্দের সাথে।
সব মিলিয়ে তাই ভালো জোর পাচ্ছে রদ্রিগোর রিয়াল ছাড়ার খবর। তবে ইএসপিএন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রদ্রিগোর প্রতিনিধিরা ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে দলে তার অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন
রিয়ালকে আজীবন হৃদয়ে ধারণ করবেন আনচেলত্তি |
![]() |
সেই আলোচনায় নাকি এটাও উঠে এসেছে যে, ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ রদ্রিগো নিজে এবং পেরেজও নাকি তাকে রিয়ালের জার্সিতেই দেখতে চান।
ইএসপিএন আরও জানিয়েছে, রদ্রিগোর প্রতিনিধিরা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর আগ্রহের খবর বাতাসে ভাসলেও তারা বরং অপেক্ষায় আছেন রিয়ালের নতুন কোচ জাবি আলোনসোর পরিকল্পনা জানার। সেটার ওপর ভিত্তি করেই ক্লাবে থাকা বা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তরুণ এই উইঙ্গার।
গেল মৌসুমটা কেটেছে শিরোপাহীন। সেই খরা কাটাতে বার্সেলোনার নিয়োগ দিয়েছিল হান্সি ফ্লিককে, যিনি এই মৌসুমে করেছেন বাজিমাত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে না পারলেও লা লিগা জয়ের মধ্য দিয়ে ঘরোয়া ট্রেবল জিতেছে ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা। কয়েকজন খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্ম দেখালেও দুর্দান্ত এই সাফল্যের পেছনে দলগত অবদানকেই বড় করে দেখছেন ফ্লিক।
বৃহস্পতিবার রাতে এস্পানিয়লকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতেই রেখেই লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে বার্সেলোনা। স্পেনের শীর্ষ লিগে এটি তাদের ২৮তম শিরোপা। লিগ সহ ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে অপরাজিত থাকা ফ্লিকের দল এর আগে দুই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে জিতেছে স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রে। এই পথচলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়া, মিডফিল্ডার পেদ্রি এবং অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদভস্কিরা।
লিগ জেতার পর অবশ্য পুরো দলকেই কৃতিত্ব ভাগাভাগি করে দিলেন ফ্লিক।
“আমি মনে করি বিশেষ করে মৌসুমের দ্বিতীয় অংশে আমরা সবাইকে অবাক করে দিয়েছি। আমরা একটা ম্যাচেও হারিনি, যা স্রেফ দুর্দান্ত। এজন্য দলের সবাই, ক্লাব আর ভক্তদে অভিনন্দন জানাই আমি। আমরা যা অর্জন করেছি, তা নিয়ে আমরা খুব খুশি। আমার মনে হয় না কিছু বিষয় বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমি যথেষ্ট সময় পেয়েছি। তবে আমরা একটা সংস্কৃতি তৈরি করার চেষ্টা করেছি, যেখানে একটা পারিবারিক আবহ থাকবে। আমাদের তৈরি করা এই পরিবারটিকে দেখে আমার সত্যিই খুব ভাল লাগছ। এটা অনন্য, আমি খুব খুশি।”
ফ্লিক যতই দলের কথা বলুন না কেন, এই মৌসুমে বিশ্ব ফুটবলে বিশেষ প্রভাব ফেলেছেন ইয়ামাল। স্পেনের তরুণ এই প্রতিভা মাত্র ১৭ বছর বয়সেই হয়ে গেছেন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। যেভাবে মাঠে দাপিয়ে বেড়ান, তাতে প্রায়ই তাকে থামাতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। এস্পানিওলের বিপক্ষেও একটি অসাধারণ গোল করেছেন কঠিন এঙ্গেল থেকে।
কোচের বাড়তি প্রশংসা তা পেয়েছেন ইয়ামাল।
“এটা বার্সেলোনার লা লিগা জয়ের ব্যাপার। এটা একজন খেলোয়াড়ের ব্যাপার না, অবশ্যই লামিন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে আমরা একটি দল, আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে হ্যাঁ, লামিন এরই মধ্যে অনেক গোল করেছে। সে প্রতিদিনই উন্নতি করে। তবে এই ম্যাচে সে একটা নিখুঁত গোল করেছে।”
এর আগেও হুট করেই চাকরি হারাতে হয়েছিল বলে সাম্প্রতিক সময়ে গুঞ্জন জোড়াল হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েসকে সভাপতির পদ থেকে সরানোর জন্য ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) আদেশ দিয়েছে রিও ডি জেনিরো একটি আদালত। নাটকীয়ভাবে একই সপ্তাহে কার্লো আনচেলত্তিকে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ নিয়োগের পর সভাপতির পদ হারালেন এডনাল্ডো।
গত বৃহস্পতিবার এই রায় দেওয়া হয়। এডনাল্ডোকে অপসারণের জন্য আবেদন করেছিলেন সিবিএফের অন্যতম সহ-সভাপতি ফার্নান্দো সার্নি। আদালত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিএফ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি তাকে বলা হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সভাপতি নির্বাচন আয়োজন করার জন্য।
আদালতের মামলায় এই বছরের শুরুর দিকে এডনাল্ডোর সাথে সিবিএফের সভাপতি আন্তোনিও কার্লোস নুনস ডি লিমার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরের ব্যাপারে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। উল্লেখিত সেই চুক্তিটির মাধ্যমে কার্যকরভাবে এডনাল্ডোকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সিবিএফের প্রধান হিসেবে আবার নির্বাচিত হওয়া অনুমতি প্রদান করা হয়।
রায়ে রিও ডি জেনিরো কোর্টের বিচারক গ্যাব্রিয়েল ডি অলিভিরা জিফিরো বলেছেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সাবেক সভাপতি নুনস শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি এবং ২০১৮ সালে মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার মানসিক ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে।
এর আগে ২০২৩ সালে সিবিএফের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধের জেরে রিও ডি জেনিরো কোর্ট অফ জাস্টিসে রায় দেওয়া হয়েছিল এডনাল্ডোকে সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করার জন্য৷ তবে এক মাস পর ফিফা থেকে সিবিএফের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এই ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ব্রাজিলের বিচারমন্ত্রী গিলমার মেন্দেস এডনাল্ডোকে পুনরায় নিয়োগের আদেশ দেন।
জালিয়াতির অভিযোগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফের তার চাকরি হারানোর খবর বাতাসে ভাসছিল। এর মাঝেই চলতি সপ্তাহের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তিকে নেইমারদের কোচ হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দেন এডনাল্ডো।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর খবর, এডনাল্ডোর সম্ভাব্য অপসারণের ব্যাপারে নাকি আগে থেকেই অবগত ছিলেন আনচেলত্তি। পূরো সিবিএফের অন্যদের তার ওপর আস্থা ছিল বলেই তিনি ব্রাজিলের সাথে চুক্তি এগিয়ে নিতে সম্মত হন।
শেষ মুহূর্তের গোলে ইয়াকাবো রামান তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। তাতে বার্সেলোনার অপেক্ষা বেড়েছে লা লিগার শিরোপাটা ঘরে তোলার। অবশ্য রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি এখনো হাল ছাড়ছেন না। ফুটবলে যে কোনো কিছু হতে পারে সেই বিশ্বাসটাই রাখতে চান তিনি।
ঘরের মাঠে মাত্র ১১ মিনিটে মায়োর্কা ডিফেন্ডার মার্তিন ভালিয়েন্তের গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপের গোলে সমতায় ফেরে লসব্লাঙ্কোসরা। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে রিয়ালকে জয় উপহার দেন দলটির একাডেমি ফুটবলার ইয়াকাবো রামান।
আরও পড়ুন
ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন, রিয়ালে থাকবেন রদ্রিগো? |
![]() |
জয়সূচক গোলটা করতে পেরে দারুণ খুশি রামান। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি,
“অনুভূতি ব্যখ্যা করা সম্ভব না। সবসময়ই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখতাম আমি। এই জার্সিটা গায়ে জড়ালে আপনাকে সর্বোচ্চ উজাড় করে দিতে হবে। প্রথম গোল এমন একটা পরিস্থিতি থেকে আসলো এর চেয়ে বেশি আমি চাইতে পারতাম না।”
রিয়াল ম্যাচটা জিতলেও আজ রাতে এস্পানিওলকে হারাতে পারলেই লা লিগার শিরোপা উঠবে বার্সার হাতে। হাল না ছেড়ে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি তাকিয়ে আছেন নিয়তির দিকে,
“আমরা নিজেদের কাজটা করে যেতে চাই, বাকিটা দেখা যাবে। তাদেরকে হারতে হবে, ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আমার মনে হয় আমরা এখনো লা লিগার লড়াইয়ে আছি।”
বাবার পথ অনুসরণ করে ফুটবলে নাম লিখিয়েছেন আগেই। ক্লাব ফুটবলে বাবা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো দল আল নাসরের বয়সভিত্তিক দলের নিয়মিত সদস্য ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়রের এবার হয়ে গেল পর্তুগাল দলে অভিষেক। মঙ্গলবার প্রথমবারের মত খেলেছেন দেশটির অ-১৫ দলের জার্সিতে।
ক্রোয়েশিয়ায় ভ্লাতকো মার্কোভিচ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাপানের বিপক্ষে ম্যাচে পর্তুগাল জয় পায় ৪-১ গোলে। শুরুত একাদশে জায়গা হয়নি রোনালদোর ছেলের।
৫৪তম মিনিটে বদলি হিসেবে যখন নামেন ১৪ বছর বয়সী ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়র, তখন তার দল রাফায়েল ক্যাব্রালের হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে এগিয়ে।
সৌদি ক্লাব আল নাসরের একাডেমিতে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা ক্রিস্তিয়ানো এই ম্যাচেও খেলেন একই পজিশনে। তবে অভিষেকে পাননি গোলের দেখা।
সেটা না হলেও বাবা রোনালদো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ছেলের নতুন অধ্যায় শুরুর দিনে। “তোমার পর্তুগাল দলে অভিষেকের জন্য অভিনন্দন।”
আগামী শুক্রবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে বুধবার ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়ররা গ্রিসের সাথে খেলবে। রোববার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রায় তিন যুগের এক কোচিং ক্যারিয়ারে দায়িত্ব পালন করেছেন ইউরোপের সফল ও বিখ্যাত সব ক্লাবে। তবে কার্লো আনচেলত্তি বিভিন্ন সময়েই বলেছেন, রিয়াল মাদ্রিদ তার কাছে আবেগের এক নাম। এই মৌসুম শেষে বিদায় নিশ্চিত হওয়ার ক্ষণে আরও একবার সেটাই জানালেন ইতালিয়ান এই কোচ। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে আজীবন হৃদয়ে লালন করবেন, বলেছেন আনচেলত্তি।
অবশ্য রিয়ালের সাথে তার সম্পর্কটা সেই ২০১৩ সাল থেকেই অবশ্য দুর্দান্ত। এবারের মত সেবারও শিরোপাহীন মৌসুমের পর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছিল তাকে। তবে আজ অবধি রিয়ালকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক কথা বলেননি তিনি। সবসময়ই ক্লাবকে আগলে রেখেছেন সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে। এসি মিলান, চেলসির, পিএসজির সাবেক এই কোচ এই মৌসুম শেষে রিয়ালের চাকরি ছেড়ে যোগ দেবেন ব্রাজিল জাতীয় দলে।
আরও পড়ুন
আনচেলত্তিই ‘হচ্ছেন’ ব্রাজিলের নতুন কোচ |
![]() |
মঙ্গলবার আনচেলত্তির সংবাদ সম্মেলনে তাই প্রায় পুরোটা জুড়েই থাকলে এই আলোচনাই। সেখানেই ৬৪ বছর বয়সী এই কোচ জানান রিয়ালের প্রতি তার বিশেষ ভালোবাসার কথা।
“আমি রিয়াল মাদ্রিদকে ভালোবেসে যাবো এবং তারাও আমাকে ভালবাসবে। ক্লাবের কোচ পরিবর্তন করার দরকার হয়, এটাই জীবন। আমি খুব খুশি। রিয়াল মাদ্রিদের সাথে আমার কখনই কোনো সমস্যা হবে না। আমার কোনো আফসোস নেই। আমি এখানে আমার সময়টা উপভোগ করেছি। ভক্তদের সাথে আমার সম্পর্কটা দারুণ ছিল। আমাদের অবিস্মরণীয় কিছু কামব্যাকের সময় তারা শক্তি যুগিয়েছে এবং আমি নিশ্চিত যে ভক্তরা এগুলো ভুলে যাবে না।”
প্রথম দফায় রিয়ালের হয়ে একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা আনচেলত্তি রিয়ালে ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরেন। এই দফায় তার হাত ধরে ক্লাবটি দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পাশাপাশি জেতে দুটি লা লিগার শিরোপাও। অর্জনের দিক থেকে রিয়ালের ইতিহাসের অন্যতম সফল কোচ তিনিই।
আরও পড়ুন
আবেগে ভেসে, চোখের জলে বায়ার্নকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তি মুলার |
![]() |
বিদায় বেলায় আনচেলত্তির কাছে রিয়ালের স্থান অনেক ওপরেই।
“কেউ যদি আমাকে বলত যে আমি এবার চার ববছরের মধ্যে ১১টি শিরোপা জিতব, তাহলে আমি বলতাম যে এটা অসম্ভব। আমি কেন চলে যাচ্ছি, সেটা অনেকটাই আমাদের জীবনের প্রতিটি বিষয়ের মতোই সরল। সবকিছুরই একটা শেষ থাকে। আমি এখানে আমার সময় উপভোগ করেছি।”
এই মৌসুমে রিয়ালের শেষ ম্যাচ আগামী ২৫ মে। আর তার পরদিন থেকেই ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন আনচেলত্তি, একদিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়ে দিয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।
১৫ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে