বয়সভিত্তিক দলের সিড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে জায়গা করে নিয়েছেন সিনিয়র দলে। পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড খেলেছেন কেবল লিভারপুলেই। বেড়ে ওঠার ক্লাবকে এই মৌসুমের পরই বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। তার আগে অ্যানফিল্ডে বিদায়ী সংবর্ধনা পেয়ে আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি ইংলিশ রাইট-ব্যাক। বললেন, ২০ বছরে এত ভালোবাসা কোনোদিন অনুভব হয়নি তার।
লিভারপুলের একডেমি থেকে উঠে আসা আলেকজান্ডার-আর্নল্ড চলতি মাসের শুরুর দিকে জানান লিভারপুল ছাড়ার খবর। ঘরের ছেলের ঠিকানা বদলের বিষয়টি ভালোভাবে না নেওয়া ক্লাবটির সমর্থকরা এরপর তাকে দুয়ো দেন ঘরের মাঠে। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে ম্যাচের পর প্রাপ্য ভালোবাসাটা তারা তাকে বুঝিয়ে দেন নানা আয়োজনে। দেওয়া হয় উষ্ণ অভ্যর্থনা।
আরও পড়ুন
আলোনসো অধ্যায় শেষে লেভারকুসেনের দায়িত্বে টেন হাগ |
![]() |
ভক্তদের এই সমর্থন ম্যাচের পর আবেগী করে তোলে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে।
“আসলে আজকে আমি ভক্তদের কাছ থেকে কী যে আশা করব, তা জানতাম না। বিশেষ করে কয়েক সপ্তাহ আগে যা ঘটেছিল, সেটার পর। তবে আজ অ্যানফিল্ডে পা রেখে, তবে আমি আরও একবার ক্লাবের হয়ে খেলতে চেয়েছিলাম। আমি কোচকে বলেছিলাম বিরতিতে আমাকে নামাতে। এরপর আমি যে সংবর্ধনা পেয়েছি, এরচেয়ে বেশি কিছু আর চাওয়ার ছিল না আমার।”
লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর আর্সেনালের সাথে লিভারপুলের ২-২ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে মাঠে নেমে সমর্থকদের দুয়োর শিকার হন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। তবে ক্লাবের হয়ে শেষ ম্যাচে সবার ভালোবাসায় এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ২৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জনই সিটির শিরোপা : গার্দিওলা |
![]() |
কারণটাও স্পষ্ট তার কথায়।
“আমি ক্লাবের হয়ে কয়েকশ ম্যাচ খেলেছি, তবে আমি আজকের চেয়ে এতটা ভালোবাসা আর পাইনি। ক্লাবের জন্য আমি যে কঠোর পরিশ্রম করে যা যা কিছু অর্জন করেছি, আশা করি একদিন এই ক্লাবের ভক্তরা সেটার স্বীকৃতি দিতে সক্ষম হবেন।”
সংবাদমাধ্যমের জোর গুঞ্জন, লিভারপুল পাট চুকিয়ে আলেকজান্ডার-আর্নল্ড এই সপ্তাহেই যোগ দিতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদে, আর অংশ হবে দলটর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ স্কোয়াডের।
৪ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ জুন ২০২৫, ১:১৬ পিএম
ক্লাব-পরিচালনা ও ফুটবল মডেল বিবেচনায় দুই ক্লাবের মধ্যে রয়েছে বিশাল তফাৎ। সাম্প্রতিক বছরগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায়, বার্সেলোনাকে যখন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, সেই একই সময়ে রিয়াল মাদ্রিদ পার করছে সমস্যাহীন সময়। এছাড়াও খেলোয়াড় দলে টানা থেকে আরও নানা বিষয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর রয়েছে অনেক পার্থক্য। এই কারণেই দুই ক্লাবের তুলনায় গিয়ে বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বলেছেন, তারা রিয়ালের মত ক্ষমতার পেছনে ছুটেন না।
স্পেন ও ইউরোপের সফলতম ক্লাব রিয়াল ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা দল। অন্যদিকে অর্জনের দিক থেকে বার্সেলোনাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে দুই ক্লাবের মাঝে থাকে না খুব বড় একটা ব্যবধান। তবে ক্লাবের দর্শনের দিক থেকে রয়েছে বিশাল ভিন্নতা। রিয়াল যেমন তাদের স্কোয়াডে বরাবরই প্রাধান্য দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক তারকাদের ওপর, অন্যদিকে বার্সেলোনা নির্ভর করে আসছে একাডেমির খেলোয়াড়দের ওপর, যেখান থেকে উঠে এসেছেন মেসি-ইয়ামালের মত প্রতিভারা।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে দুই ক্লাবের পার্থক্য প্রসঙ্গে লাপোর্তা একটা খোঁচাই দিয়েছেন রিয়ালকে।
“আমরা সবদিক থেকেই ভিন্ন দুটি ক্লাব। রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে একটা ক্ষমতা পাওয়ার অভিপ্রায় আছে, যা আমাদের নেই। আমরা সবকিছু দেখি স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে। এখানে সবাই নিজ নিজ স্বার্থ দেখে। তারা তাদের পথ চলে, আর আমরা আমাদের।”
ক্লাব হিসেবে একটা লম্বা সময় ধরেই রিয়াল জনপ্রিয়তা পেয়েছে সময়ের সেরা খেলোয়াড়দের দলের টানার কারণে। আর এটা করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার ট্রান্সফার ফি-এর রেকর্ড ভেঙেছে তারা। জিনেদিন জিদান, লুইস ফিগো, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেল থেকে শুরু করে হালের কিলিয়ান এমবাপেদের এভাবেই দলে নিয়েছে রিয়াল। অন্যদিকে বার্সেলোনা এখনও দলের শক্তি বাড়াতে নজর দিচ্ছে তাদের বিখ্যাত ‘লা মাসিয়া’ একাডেমীর দিকেই।
যদিও গত গত এক দশকে বার্সেলোনা ফিলিপে কুতিনিয়ো, উসমান দেম্বেলে, আঁতোয়ান গ্রিজমান, নেইমার, লুইস সুয়ারেজসহ আরও কিছু খেলোয়াড়কে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে দলে এনেছে। কিছু খেলোয়াড়ের ফি-তো ছাড়িয়ে গেছে ১০০ মিলিয়ন ইউরোর গণ্ডিও।
লাপোর্তা অবশ্য বিষয়টি এড়িয়েই যেতে চাইলেন।
“এটা কিন্তু ভালো একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যা দুই দলই উপভোগ করে। আর এটাই একে অপরকে আরও ভালো করতে উজ্জীবিত করে। তবে আমাদের মডেলগুলো কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। লা মাসিয়ার মতো একাডেমি থেকে প্রতিভা তুলে আনা ও তাদের তৈরি করার মধ্য দিয়ে আমাদের ভিত্তি তৈরি হয়। আর রিয়াল মাদ্রিদ তুলনামূলকভাবে বেশি নির্ভর করে দামী দামী খেলোয়াড় কেনার ওপর। আপনারা দেখবেন, তাদের দলে একাডেমি থেকে উঠে আসা খেলোয়াড় খুব কমই থাকে।”
২৭ জুন ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
অঘটন, রোমাঞ্চ, আর নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের লড়াই। ৩২ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ১৬টি দল। আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে শেষ ষোলোর লড়াই, যেখানে দেখা মিলবে বেশ কিছু হাইভোল্টেজ ম্যাচের।
রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে সেরি আ জায়ান্ট য়্যুভেন্তুসকে। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি লড়বে পিএসজির বিপক্ষে। নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে মেসির মাঠে নামা নিয়ে আছে সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে বাড়তি রোমাঞ্চ।
এছাড়া দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি লড়বে সৌদি প্রো লিগ চ্যাম্পিয়ন আল হিলালের সঙ্গে। চমক দেখানো ফ্লামেঙ্গো লড়বে বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। আর দুই ইউরোপিয়ান ক্লাব চেলসি বেনফিকা ম্যাচের দিকেও নজর থাকবে সমর্থকদের।
শেষ ষোলোতে কার প্রতিপক্ষ কে?
য়্যুভেন্তুস-রিয়াল মাদ্রিদ
চেলসি-বেনফিকা
পিএসজি-ইন্টার মায়ামি
বোতাফোগো-পালমেইরাস
ফ্লামেঙ্গো-বায়ার্ন মিউনিখ
ফ্লুমিনেন্স-ইন্টার মিলান
ম্যানচেস্টার সিটি-আল হিলাল
মন্তেরে-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড
ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রিয়ালের সামনে সম্ভাবনা আর শঙ্কা দুই দুয়ারই খোলা ছিল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারত, এমনকি প্রথম রাউন্ড থেকে বাদও পড়তে পারত। তবে রিয়াল প্রথম দুয়ারেই পা রাখল শেষমেশ। রেডবুল সালজবুর্গকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দলটা চলে গেছে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয়।
প্রথম হাফে দুই গোলের পর দ্বিতীয় হাফে একটি গোল করে জাবি আলোনসোর দল। মাদ্রিদের হয়ে গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ফেদেরিকো ভালভার্দে এবং গঞ্জালো গার্সিয়া।
প্রথমার্ধে বেশ কিছু সহজ সুযোগ মিস করলেও ম্যাচের ৪০তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়ুস। জুড বেলিংহামের দারুণ এক পাস থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভিনিসিয়ুসের আ্যসিস্ট থেকে গোল করেন ফেদে ভালভার্দে। দারুণ এক ব্যাকহিল পাসে ভালভার্দের সামনে সুযোগ তৈরি করেন ভিনিসিয়ুস, আর উরুগুয়ান মিডফিল্ডার জোরালো শটে গোল করতে ভুল করেননি।
শেষ মুহূর্তে তরুণ স্ট্রাইকার গনজালো গার্সিয়া গোলের খাতায় নাম লেখান। তাতে ৩-০ ব্যবধানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
গ্রুপ ‘এইচে’ দিনের অন্য ম্যাচে পাচুয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে আল হিলাল। শেষ ষোলোতে রিয়াল প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে য়্যুভেন্তুসকে।
স্টেডিয়ামের চলমান সংস্কার কাজের মধ্যেই নিজেদের চেনা আঙিনা ক্যাম্প নিউয়ে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে বার্সেলোনা। আগামী ১০ আগস্ট বার্ষিক প্রাক-মৌসুমের ম্যাচ জোয়ান গাম্পার ট্রফির ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর এই ভেন্যুতে ফিরবে কাতালান ক্লাবটি।
ক্যাম্প নিউয়ের সংস্কার কাজ চলার কারণে গত দুই মৌসুম ধরে লুইস কোম্পানিস অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বার্সেলোনা। ক্যাম্প নিউয়ে তাদের শেষ ম্যাচ ছিল ২০২৩ সালের মে মাসে। আর তাই নিজেদের মূল হোম ভেন্যুতে এই প্রত্যাবর্তন সমর্থকদের জন্য এক আবেগঘন উপলক্ষ্য হতে যাচ্ছে।
বার্সেলোনার তাদের ঘরের মাঠে ফিরলেও আপাতত দর্শকরা সেখানে যোগ দিতে পারবেন না পূর্ণ মাত্রায়। সংস্কার কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় শুরুতে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজারের মধ্যে সীমিত থাকবে। আর যাতে নির্মাণকাজ যাতে আরও কিছুটা এগিয়ে নেওয়া যায়, সেজন্য আগামী মৌসুমে লা লিগা শুরুতে তিনটি ম্যাচ ক্যাম্প নিউয়ের বাইরে খেলতে পারেন ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা।
আরও পড়ুন
‘হৃদয়ের ডাক শুনেছি’, সান্তোসে চুক্তি নবায়ন করে উচ্ছ্বসিত নেইমার |
![]() |
গত মঙ্গলবার বার্সেলোনা এক বিবৃতিতে বলেছে,
“এই প্রত্যাবর্তন ক্লাব এবং আমাদের সমর্থকদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার চলার পর আমাদের প্রিয় স্টেডিয়ামে আবার ফুটবলের উন্মাদনা ফিরতে যাচ্ছে। এটা একটা নতুন যুগের সূচনা ঘটাবে।”
‘স্পটিফাই’ ক্যাম্প নিউ স্টেডিয়ামের পুরো সংস্কার কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো চলমান রয়েছে নতুন তৃতীয় ধাপের গ্যালারির কাজ, ডুয়াল ভিআইপি রিং এর নির্মাণ, ছাদ বসানো, স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন কাজ এবং স্টেডিয়ামের আশেপাশের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও। এসব প্রকল্প ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বার্সেলোনার।
২৫ জুন ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
গত কয়েকদিন যেভাবে খবর আসছিল,তাতে এই সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার ছিল জোর সম্ভাবনা। সেই ধারায় গত মঙ্গলবার রাতে নেইমার জুনিয়র শৈশবের ক্লাব সান্তোসের সাথে চুক্তি নবায়ন করেছেন। ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার নেইমার এরপর জানিয়েছেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া।
এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির সান্তোস জানায়, নেইমার ছয় মাসের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছেন। এই নতুন চুক্তির ফলে ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা ফরোয়ার্ড চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবেন ক্লাবটিতে। তবে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা আরও বাড়ানোর সুযোগ রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন
নেইমারের চুক্তি নবায়নের ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ সান্তোস |
![]() |
চুক্তি নবায়ন করে নেইমার এক আবেগময় বিবৃতিতে জানান তার প্রতিক্রিয়া।
“এখানেই আমি সত্যিকারের আনন্দ খুঁজে পাই। আমি আমার হৃদয়ের কথা শুনেছি। আমার কাছে সান্তোস কেবল একটি ক্লাবই নয়, এটাই আমার ঘর, আমার শেকড়, আমার ইতিহাস, আমার জীবন। আমি তো এখানেই বড় হয়েছি, ব্যক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছি। আমি সবসময় সত্যিকারের ভালোবাসা পাই।“
চোট জর্জর এক ক্যারিয়ারে নেইমার কঠিন সময় পার করেন তার এর আগের ক্লাব আল হিলালে। দেড় মৌসুমের অধ্যায়ে সৌদি ক্লাবটিতে খেলতে পারেননি দশটি ম্যাচও। এরপর গত জানুয়ারিতে সান্তোসে প্রত্যাবর্তন হয় তার। কিছু ঝলক দেখালেও এখানেও চোট তার পিছু ছাড়েনি।
সান্তোসে যোগ দেওয়ার পর থেকে নেইমার এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। পায়ের চোটে তাকে এক মাসেরও বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। এছাড়াও চলতি মাসের শুরুতে কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় আরও কিছু ম্যাচ মিস করেন তিনি। আর ক্লাব বিশ্বকাপের বিরতির আগে লাল কার্ড দেখে পান নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন
শুভ জন্মদিন জাদুকর, লোকে যাকে ‘মেসি’ নামে চেনে |
![]() |
নেইমারকে ধরে রাখা সান্তোসের জন্য সবদিক থেকেই বড় অর্জন। সময়ের সেরাদের একজন না হলেও সাবেক বার্সেলোনা তারকার ব্র্যান্ড ভ্যালু এখনও অনেক বেশি। সান্তোসের হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে খেলেই নেইমার বিশ্ব দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর বার্সেলোনা, পিএসজি,আল হিলাল হয়ে ফেরেন চেনা আঙিনায়।
উল্লেখ্য, সান্তোস এই মুহূর্তে ব্রাজিলিয়ান সেরি আ লিগের ১৫তম স্থানে রয়েছে। নেইমারের চুক্তি নবায়ন দলটির পারফরম্যান্স উন্নত করার জন্য হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।