১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২:১৭ পিএম
বয়সের বাধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্রায় চল্লিশ বছর বয়সে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে যা যা করে চলেছেন, সেটা স্রেফ অবিশ্বাস্য বললে কমই বলা হবে। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো যেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে আরও বেশি নিজেকে প্রমাণের তাগিদ অনুভব করছেন। ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলে অধিনায়কত্ব করার পাশাপাশি দলের সবচেয়ে বড় তারকাও তিনি। আপাতত তাই অবসর নিয়ে চিন্তা করতে চান না ছেলেদের ফুটবলে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। রোনালদো বরং যতদিন সম্ভব খেলা চালিয়ে যেতে চান মনে আনন্দ নিয়ে।
২০২২ বিশ্বকাপ ও ইউরো ২০২৪ খারাপ যাওয়ায় অনেকেই পর্তুগাল দলে রোনালদোর শেষের শুরু দেখতে পাচ্ছিলেন। তবে হার না মানা সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড জাতীয় দলের জার্সিতে সাম্প্রতিক সময়ে আছেন দারুণ ছন্দে। গত সেপ্টেম্বর থেকে ইউয়েফা নেশন্স লিগে পাঁচ ম্যাচে করেছেন পাঁচ গোল। যার মধ্যে দুটি এসেছে শুক্রবার রাতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচে রোনালদো দ্বিতীয় গোলটি করেছেন দারুণ এক বাইসাইকেল কিক থেকে, যা বলে দেয়, এই বয়সেও তিনি কতোটা ফিট আছেন।
আরও পড়ুন
আরো অনেক গোল করতে চান ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো |
ওই গোলের পর পিঠে হাত দিয়ে বুড়ো মানুষদের মত হাঁটার ভঙ্গি করে মজাও করেছেন রোনালদো। আর ম্যাচে শেষে অবসর প্রশ্নে দিয়েছেন সোজাসাপ্টা উত্তর।
“আমি শুধু খেলাটা উপভোগ করে যেতে চাই। অবসর নিয়ে চিন্তা… এটা হবে এক বা দুই বছর পর। আমি জানি না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি উজ্জীবিত থাকি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আসলেই উপযোগ করতে চাই নিজের খেলাটা। যেদিন আমি এটা অনুভব করব না, সেদিনই বিদায় বলে দেব।”
৩৯ বছর বয়সী রোনালদো পোল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম গোলটি করেন ‘পানেনকা’ পেনাল্টি থেকে। দ্বিতীয় গোলটি ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৩৫ গোল। জাতীয় দলের হয়ে এক ম্যাচে জোড়া গোল করার হিসেবে রোনালদো এখন সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার। এই ম্যাচে নেতোকে দিয়ে একটি গোলও করান তিনি, যেখানে তার দল জেতে ৫-১ গোলে।
পেশাদার ফুটবলে রোনালদোর ক্যারিয়ার গোল এখন ৯১০। ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের সামনে এখন ১ হাজার গোল করার হাতছানি। যেভাবে ছুটছেন, তাতে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেলে এই লক্ষ্য অর্জন একেবারে অসম্ভব হবে না তার জন্য।
তবে রোনালদো এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তার করার পক্ষে নন।
“সত্যি বলতে আমি ১ হাজার ক্যারিয়ার গোলের রেকর্ড নিয়ে একেবারেই চিন্তা করি না। অবশ্যই আপনি ইতিহাস গড়তে চাইবেন, তবে এই মুহূর্তে আমি রেকর্ড গড়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি না।”
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৮:২৬ পিএম
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৬:২৩ পিএম
ফ্রান্স ও ইসরায়েল ম্যাচে যে গ্যালারিতে বিপজ্জনক হতে পারে, তার আভাস ছিল আগেই। সেটা রুখে দিতে তাই স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। তবে ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসনের কারণে ইসরায়েলের প্রতি ক্ষুব্ধ ফরাসি সমর্থকরা প্রতিপক্ষকে ছাড় দেননি মোটেই। দেশটির জাতীয় সঙ্গীতে দুয়ো দেওয়াতেই থেমে না থেকে তারা হাতাহাতি-মারামারিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন ইসরায়েলের সমর্থকদের সাথে।
আমস্টারডামে গত সপ্তাহে ম্যাকাবি তেল আবিবের সাথে ডাচ সমর্থকদের তীব্র হাতাহাতি হয়েছিল। তেমন কিছু যাতে না হয়, সেজন্য গত বৃহস্পতিবার স্টাড ডি ফ্রান্সে ইউয়েফা নেশন্স লিগের ফ্রান্স ও ইসরায়েলের ম্যাচে ৪ হাজার ফরাসি নিরাপত্তা কর্মী স্টেডিয়াম, এর আশেপাশে এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মোতায়েন করা হয়েছিল।
নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৬ হাজার ৬১১ জন। ১৯৯৮ সালের পর এই স্টেডিয়ামে যা সর্বনিম্ন উপস্থিতির রেকর্ড।
ম্যাচ শুরুর আগে ইসরায়েলি জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় কিছু দুয়ো শোনা যায়, যা তখন লাউড স্পীকারে চালু ছিল। এর প্রতিবাদে ইসরায়েলি ভক্তরা হলুদ বেলুন নাড়তে শুরু করে এবং হামাসের হাতে তাদের দেশের বন্দীদের মুক্তি চেয়ে ‘জিম্মিদের মুক্ত করুন’ স্লোগান দেওয়া শুরু করে।
আর ম্যাচ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইসরায়েলের সমর্থকদের গ্যালারিতে কয়েক মিনিট ধরে হাতাহাতি হয়েছিল। সেই সময়ে দুই দলের সমর্থকদের দৌড়াতে ও একে অন্যকে ঘুষি মারতে দেখা যায়। পুলিশ গিয়ে তা থামায়।
ম্যাচ শুরুর আগেও চিত্রটা ভিন্ন ছিল না। প্যারিসের সেন্ট-ডেনিস জেলার একটি স্কোয়ারে কয়েকশ ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভকারী জড়ো হন। সেই সময়ে তারা ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়েছিলেন। তাদের সাথে লেবানিজ এবং আলজেরিয়ান সমর্থকরাও এই ম্যাচের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকেন। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্তে দুটি বড় ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করা হয়।
এই ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে কিছু ইসরায়েল ভক্ত ইসরায়েলি এবং ফরাসি উভয় রঙ মিশ্রিত পোশাক পরেছিলেন। দুজনের পরনে ছিল ইসরায়েলি ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিবের লোগো সম্বলিত একটি টি-শার্ট। পিছনে লিখা ছিল ‘নি ওবলি নি সরি’ (কখনও ক্ষমা করবেন না)। আর একজন প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন, যেখানে লিখা ছিল ‘জাহান্নামে যাও হামাস।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় যুদ্ধের কারণে ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং অসহিষ্ণুতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
পেশাদার ফুটবলে পা রাখার পর থেকে নিজেকে কেবলই নিয়ে গেছেন নতুন নতুন উচ্চতায়। কিলিয়ান এমবাপের জন্য তাই ক্যারিয়ারের এই সময়টা ভীষণ কঠিন। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে সময়টা খুব ভালো কাটছে না। ফিট থেকেও টানা দুই দফায় আছেন জাতীয় দলের বাইরে। ফরাসি তারকার বিষয়টি কিছুটা হলেও ধরতে পারছেন দিদিয়ে দেশম। ফ্রান্স কোচের মতে, শারীরিক ও মানসিক দুই সমস্যাতেই ভুগছেন রিয়াল তারকা।
গত মাসে চোটে থাকা অবস্থায় ফ্রান্সের ম্যাচের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন এমবাপে। এরপর সুস্থ হয়ে খেলেন রিয়ালের দুটি ম্যাচ। তাতে দেশের মাটিতে পড়েন তীব্র সমালোচনার মুখে। আর এবারের আন্তর্জাতিক বিরতিতে তিনি খেলতে চাইলেও দেশম রাখেননি স্কোয়াডে। এই ঘটনা এমন এক সময়ে, যেখানে এল ক্লাসিকোতে বাজে পারফরম্যান্স সহ গোলখরা নিয়ে ভীষণ চাপের মুখেই আছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
আরও একবার ফ্রান্স দলের বাইরে এমবাপে, কোচের সাথে দ্বন্দের আভাস? |
ইসরায়েলের সাথে ইউয়েফা নেশন্স লিগের গোলশূন্য ড্রয়ের পর এমবাপের থাকা প্রসঙ্গে দেশম বলেন, সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার। “তিনি এখানে থাকতে চেয়েছিলেন। আমি মনে করি এই মুহুর্তে তার জন্য (ফ্রান্স দলে) না থাকাটাই শ্রেয়। সবাইকেই একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখানে শারীরিক ও মানদিক দুটি দিকই আছে।”
চলতি মৌসুমে রিয়ালের হয়ে সেভাবে আলো ছড়াতে পারছেন না এমবাপে। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে নিজের সবশেষ সাত ম্যাচে মাত্র একটি গোল করেছেন সাবেক পিএসজি তারকা। আর জাতীয় দলের হয়ে গত জুন মাসের পর পাননি জালের দেখা।
আরও পড়ুন
নৈশক্লাবে এমবাপে কী করছেন, তা নিয়ে চিন্তা নেই ফ্রান্স কোচের |
দেশম আশাবাদী, শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন এমবাপে।
“এটা সত্যি যে সে এখন একটা কঠিন পরিস্থিতিতে আছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, তিনি এমন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময় নয়।”
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
২০ দিন আগে