১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১:৪৩ এম

আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশ, পুরো পৃথিবী জুড়ে চলছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ততা।
দক্ষিণ আমেরিকা ব্যস্ত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে, ইউরোপে চলছে ইউরো বাছাইপর্ব, আর এশিয়াতে তোড়জোড়
বিশ্বকাপ বাছাই শুরুর আগের প্রস্তুতি নিয়ে। উল্লেখযোগ্য ম্যাচগুলোর রেকর্ডগুলোতেই এক
নজর চোখ বুলিয়ে নেওয়া…
৭৯
বলিভিয়ার বিপক্ষে দুইবার জালে বল জড়ানোর পর নেইমারের আন্তজার্তিক গোল সংখ্যা। কাতার
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সবশেষ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করেছিলেন নেইমার। ওই গোলে
ছুঁয়েছিলেন কিংবদন্তী পেলেকে। ডিসেম্বরে পেলেকে হারিয়ছে পৃথিবী, এরও সাত মাস পর নেইমার
ছাড়িয়ে গেলেন ফুটবলের রাজাকে। ৯১ ম্যাচে পেলের
গোল ছিল ৭৭, আর নেইমার ৭৯ গোল করলেন ব্রাজিলের হয়ে নিজের ১২৫ তম ম্যাচে।
আরও পড়ুন: জিদানের কাছে মেসি মানে 'ম্যাজিক'
২৯
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন
লিওনেল মেসি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজের ৬১ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, করেছেন গোলও। সবার ওপরে এতোদিন একাই রাজ করছিলেন উরুগুয়ের লুইস
সুয়ারেজ। ৫৮ ম্যাচে সুয়ারেজের গোলও ২৯।
৬৫
মেসির ফ্রি কিক গোল সংখ্যা। ফ্রি কিক থেকে সবচেয়ে বেশি গোল করাদের তালিকায় ডেভিড বেকহ্যামকে
ছুঁয়েছেন মেসি। আর গোল করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন ওপরে থাকা রোনালদিনিয়োকে।
১৬
১৬ বছর ৫৭ দিন বয়সে স্পেনের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন লামিন ইয়ামাল।
বনে গেছেন স্পেনের ইতিহাসের সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার। ম্যাচটা আরও বেশি রাঙিয়েছেন গোল করে।
৭৪ মিনিটে জর্জিয়ার বিপক্ষে ইয়ামালের গোল তাকে বানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জতিক ফুটবলের তৃতীয়
কনিষ্ঠ গোলস্কোরার। তার সামনে আছেন কেবল নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের স্যাম জনস্টোন (১৫
বছর ১৬০ দিন) ও হাঙ্গেরির জোসেফ হোভার্থ (১৬ বছর ১২দিন)। যদিও ওই দুইটি রেকর্ডের সময়কাল
বহু আগের। স্যাম জনস্টোন গোল করেছিলেন ১৮৮২ সালে আর হোভার্থ ১৯০৬ সালে।
৩
নিজের ৬৫ তম ম্যাচে এসে আন্তর্জাতিক ফুটবলে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়ছেন আলভারো মোরাতা।
জর্জিয়ার বিপক্ষে ২২, ৪০ ও ৬০ মিনিটে করেছেন গোল।
১৩
১৩ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকার দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছেন মার্সেলো বিয়েলসা।
উরুগুয়ের ডাগআউটে বিয়েলসার শুরুটা হয়েছে চিলিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে। মজার বাপার, সবশেষ
দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশের বিপক্ষে তার জয় ছিল ২০১০ সালে, তখন প্রতিপক্ষ ছিল উরুগুয়ে
আর তিনি ছিলেন চিলির কোচ। অবশ্য ২০১১- এর পর
থেকেই আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে ছিলেন তিনি।
৪
উরুগুয়ের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৪ গোল করেছেন ফেদেরিকো ভালভার্দে, সবগুলোই বক্সের
বাইরে থেকে করা শটে। চিলির বিপক্ষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে করেছেন সাম্প্রতিক গোলটি।
১
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের প্রথম গোল পেয়েছেন ফ্রান্সের মার্কাস থুরাম। ২৬ বছর বয়সী
ফরোয়ার্ড ফ্রান্সের হয়ে ৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তী লিলিয়ান থুরামের ছেলে। জাতীয় দলে
১৪২ ম্যাচ খেলে ডিফেন্ডার থুরাম গোল করেছিলেন ২টি। দুই গোলই ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। বাবা-ছেলের জাতীয় দলের হয়ে গোল করার কীর্তি ফ্রান্সে এছাড়া আছে
আর একটি- জা জোরকায়েফ ও ইউরি জোরকায়েফের।
৮
টানা ৮ আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করেছেন লিওনেল মেসি। সবশেষ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের
ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোল পাননি তিনি।
৪
৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের শেখ মোরসালিন সম্মিলিত গোল ও অ্যাসিস্ট সংখ্যা।
১৭ বছর বয়সী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার স্টার্টিং ইলাভেনে ছিলেন ৫ ম্যাচে। গোল ৩, অ্যাসিস্ট
১। মালদ্বীপ, ভূটান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে গোল করেছেন মোরসালিন।
No posts available.
৫ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৫৩ পিএম
৫ নভেম্বর ২০২৫, ৪:১৮ পিএম

আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভার প্লেটের হয়ে শুরু। এরপর ফ্রি ট্রান্সফারে যোগ দেন স্পেনের ক্লাব দেপোর্তিভো আলাভেসে। সেখান থেকে লোনে ক্লাব মিরান্দেসে। লোন শেষে ফেরেই স্ট্রাসবুর্গে পাড়ি জমান আর্জেন্টিনার ২৩ বছর বয়সি জোআকুইন পানিচেলি।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং ক্লাব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিজেকে আরও বেশি পরিণত করেছেন পানিচেলি। স্ট্রাসবুর্গের নতুন মৌসুমে প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল উপহার দিচ্ছেন, তৈরি করছেন সুযোগ। এখন পর্যন্ত লিগ ওয়ানে ১১ ম্যাচে মাঠে নেমে ৯ গোল করেছেন পানিচেলি। মোট ৮৬৮ মিনিট খেলেছেন। ১০ ম্যাচে ছিলেন শুরুর একাদশে।
২০২৪-২৫ মৌসুমে দেপোর্তিভো মিরান্দেসে থাকাকালীনও পানিচেলির পারফরম্যান্স ছিল বেশ উজ্জ্বল। ৪৪ ম্যাচে ২১ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। অ্যাসিস্ট ছিল ৮টি। রেটিং ধরে রেখেছেন ৭.৩।
অথচ ২০২২-২৩ সালে গোল খরায় ছিলেন পানিচেলি। ছিলেন অবহেলিত। তবে স্ট্রাসবুর্গে লিয়াম রৌশনির ছায়ায় এসে বদলে যান। ফ্রান্সের ক্লাবের হয়ে মোট ৩১টি অন-টার্গেট শট ছিল পানিচেলির। যেখান থেকে লক্ষ্যভেদ করতে পারেন ৯টি।
শুধু গোল করেই স্ট্রাসবুর্গ কিংবা কোচ রৌশনি-কে সন্তুষ্ট করেননি তিনি। অ্যাকুরেট পাস, চান্স ক্রিয়েট করা, শট অ্যাটাম্পটস কিংবা এরিয়াল ডুয়েলে তার আধিক্যও চোখে পড়ার মতো। এসময় প্রায় ৯৫ শতাংশ এরিয়াল ডুয়েল জিতেছেন পানিচেলি। বল টাচেস ছিল ৭০ শতাংশ। চান্স ক্রিয়েট করেছেন ৬৯ শতাংশ। শট অ্যাটাম্পটস ৭৬ শতাংশ।
পানিচেলির আরও একটি বড় গুণ—এগ্রেসিভনেস। ২০২৫-২৬ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৮টি ফাউল করেছেন তিনি। তাকে রুখা কতটা কষ্টসাধ্য, সেটা এই সংখ্যা প্রমাণ করে। অথচ এই ফাউলগুলোর জন্য মাত্র একবার হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনি।
গত ১৮ অক্টোবর প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের বিপক্ষে ম্যাচে আরও বেশি আলোচনায় আসেন পানিচেলি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সে ৩-৩ গোলের ড্রয়ের দিনে দুটি গোল আসে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের পা থেকে। ফুটবলে তার রেটিং ছিল ৯.২। ম্যাচসেরাও ছিলেন তিনি।
পানিচেলির এমন উত্থান ও পারফরম্যান্সে যারপরনাই আনন্দিত কোচ রৌশনি। সে ম্যাচে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের হেডের দক্ষতা নিয়ে তিনি বলেছিলেন,
“আমার জীবদ্দশায় তার এই ম্যাচের হেডটি ছিল সবচেয়ে সেরা। শুধু তাই নয়, সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড হিসেবে তার পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।”
মাঠের পারফরম্যান্সই নয়, রৌশনি মুগ্ধ পানিচেলির ব্যক্তিত্ব নিয়েও, “সে অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। তার জন্য আমার গর্ব হয়।”
এমন পারফরম্যান্সের কারণে নিশ্চয়ই শিগগিরই নতুন কোনো বড় ক্লাবের দরজা খুলে যাবে পানিচেলির। গুঞ্জন উঠেছে, লা লিগার ক্লাব বার্সেলোনা নজরে রেখেছে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে। রবার্ট লেভানডফস্কির বিদায়ে তাঁকে ভিড়াতে পারেন হ্যান্সি ফ্লিক। যদিও এক্ষেত্রে হুলিয়ান আলভারেজ ও ইংলিশ তারকা হ্যারি কেইন এগিয়ে।
ইতালির সিরি আ-তে সুযোগ মিলতে পারে পানিচেলির। বিশেষ করে এসি মিলানকে বারবারই হতাশ করছেন সান্তিয়াগো গিমেনেজ। সেখানেও ডাক পড়তে পারে তাঁর। দেখার বিষয়, পানিচেলির নতুন ক্লাব কোনটি। আপাতত অপেক্ষা করা যাক।

সবশেষ মৌসুমের তুলনায় খুব একটা ভালো সময় কাটছে না বার্সেলোনার। ২০২৪-২৫ মৌসুমের সেই ক্ষুরধার বার্সাকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। এছাড়া কাতালান ক্লাবটির ফুটবলারদের একের পর এক চোট তো আছেই। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নাকি ক্লাবের দায়িত্ব ছাড়ার কথা ভাবছেন কোচ হান্সি ফ্লিক।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম
‘এবিসি ফুটবলের’ খবর, বার্সা ছাড়তে চান ফ্লিক। আর এই সিদ্ধান্তের পেছনে নাকি তরুণ তারকা উইঙ্গার লামিন ইয়ামালের ‘ডিসিপ্লিনের ঘাটতি’
প্রভাব রেখেছে। স্প্যানিশ গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকেই ফ্লিক তাঁর সহকারীদের জানাচ্ছেন যে তিনি ক্লাব ছেড়ে যেতে চান। যদিও এখন পর্যন্ত ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক ডেকো কিংবা সভাপতি জোয়ান লাপার্তার সঙ্গে সরাসরি কিছু বলেননি এই জার্মান কোচ। নিজের কোচিং টিমের সঙ্গে তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
‘ডিসিপ্লনে’ যে ফ্লিক একবিন্দু ছাড়ও দিতে রাজি নন সেটা সবারই জানা। জার্মার কোচের হতাশার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ইয়ামালের আচরণ। ক্লাবের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী তারকা উঙ্গারের আচারণ নাকি কোচের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এল ক্লাসিকোতে হারের পর পুরো দল যখন ক্যাম্পে ফেরার কথা, তখন ইয়ামাল নাকি একাই মিলানে চলে যান।
এছাড়াও প্রায়ই ক্লাবের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থাকা গলফ-কার্ট বা ‘বাগি’ চালান ইয়ামাল, খেলোয়াড়দের জন্য যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বাগি শুধুমাত্র ক্লাবের স্টাফদের কাজের প্রয়োজনে ব্যবহারের কথা, কিন্তু ইয়ামাল যখন খুশি চালাতেন, এমনকি কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে এক কর্মীকে তাঁকে অনুসরণ করতেও হতো।
এইসব আচরণে শুধু কোচই নয়, বার্সেলোনার সিনিয়র খেলোয়াড়রাও নাকি ক্ষুব্ধ। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের কয়েক দিন আগে ইয়ামালের কিংস লিগে উপস্থিত হওয়াও তাদের ভালো লাগেনি। এরমধ্যে চোটের কারণে খেলায়ও ঠিকঠাক মনোযোগ দিতে পারছেন না ইয়ামাল। মাঠে তাঁর নিবেদনেও ঘাটতি স্পষ্ট।
এ বছরের মে’তে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বার্সার সঙ্গে নতুন করেন ফ্লিক। তবে কিছু খেলোয়াড়দের পেশাদারিত্ব ও ঐক্যের ঘাটতি দেখে জার্মান কোচ ক্রমেই বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। ফ্লিকের হতাশা শুধু মাঠের ফলাফল নিয়ে নয়, দলীয় সংস্কৃতি নিয়েও। তিনি মনে করছেন, বার্সার ড্রেসিং রুম এখন খ্যাতি, সামাজিক মাধ্যম এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছে—যেখানে দলীয় লক্ষ্যগুলো গৌণ হয়ে পড়ছে। গত কয়েক মাস ধরে তিনি এই বিষয়গুলো নিয়ে নিজের সহকারী ও বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি নাকি মনে করছেন দলের এই মানসিকতা ভেতর থেকে পরিবর্তন করা তাঁর পক্ষে হয়তো আর সম্ভব নয়।
২০২৪ সালে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে ক্লাবটিকে ঘরোয়া ‘ট্রেবল’ এনে দেন ফ্লিক। তাঁর কোচিংয়ে সবশেষ মৌসুমে দুর্দান্ত এক দলে পরিণত হয় স্প্যানিশ ক্লাবটি। চলতি মৌসুমে লা লিগায় দুইয়ে আছে বার্সা। লিগে ১১ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৫ পয়েন্ট, শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে পাঁচ পয়েন্ট কম বার্সার। আজ রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজের মুখোমুখি হবে তারা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে ভারত। তবে তালিকায় নেই কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রীর নাম। কোচ খালিদ জামিলের ২৩ সদস্যের দলে ছেত্রীকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার নিশ্চিত করেছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)।
আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে বাংলাদেশ-ভারতের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। ম্যাচটিকে ঘিরে দুটি দেশেই সমর্থকদের মধ্যে রোমাঞ্চ তৈরি হয়েছে। তবে উত্তাপ থাকলেও ভারতের জন্য এটি কেবল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। এরই মধ্যে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বের যাওয়ার আশা শেষ তাদের। বাংলাদেশের অবস্থাও নিভু নিভু করছে।
ভারত গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরের কাছে ১–২ গোলে হেরে, ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে নেমে গেছে। চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট অর্জন তাদের। বাংলাদেশও ২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে। গ্রুপের শীর্ষে হংকং ও সিঙ্গাপুর, যারা আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে মূল পর্বের দৌড়ে দারুণভাবে টিকে আছে।
২৩ সদস্যের সম্ভাব্য ভারতীয় দল আগামীকাল থেকে বেঙ্গালুরুতে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করবে। তারপর ১৫ নভেম্বর তারা ঢাকায় পা রাখবে।
৪১ বছর বয়সী সুনীল ছেত্রী মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষেই আন্তর্জাতিক অবসর ভেঙে মাঠে ফিরেছিলেন। সেই ম্যাচটি শিলংয়ে গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়। তবে নতুন কোচ খালিদ জামিল দায়িত্ব নেওয়ার পর ছেত্রীকে সিএএফএ নেশনস কাপে রাখেননি, এবারও রাখেননি দলে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন- ধারণা করা হচ্ছে, এবারই হয়তো ছেত্রীর আন্তর্জাতিক ফুটবলে শেষ অধ্যায়। ভবিষ্যতে বিশেষ পরিস্থিতিতে আবার তাঁকে হয়তো ডাকাও হতে পারে। নতুনদের ওপর আস্থা রাখছেন জামিল। অনূর্ধ্ব–২৩ দলে ডাক পাওয়া মোহাম্মদ সানানও জায়গা পেয়েছেন এই সম্ভাব্য তালিকায়।
ভারতের দল-
গোলকিপার: গুরপ্রীত সিং সান্ধু, ঋত্বিক তিওয়ারি, সাহিল।
ডিফেন্ডার: আকাশ মিশ্র, অনোয়ার আলি, বিকাশ ইউমনাম, হমিংথানমাওইয়া রালতে, মুহাম্মদ উভাইস, প্রমবীর, রাহুল ভেকে, সন্দেশ ঝিঙ্গান।
মিডফিল্ডার: আশিক কুরুনিয়ান, ব্রিসন ফার্নান্দেজ, লালরেমত্লুয়াংগা ফানাই, ম্যাকার্টন লুইস নিকসন, মহেশ সিং নাওরেম, নিখিল প্রভু, সুরেশ সিং ওয়াংজাম।
ফরোয়ার্ড: ইরফান যাদওয়াদ, লালিয়ানজুয়ালা চ্যাংতে, মোহাম্মদ সানান, রহিম আলি, বিক্রম প্রতাপ সিং।

লিভারপুল ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিয়মিত চোটের সঙ্গে লড়াই চলছে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের। ২০২৫-২৬ মৌসুমে এ নিয়ে চারবার চোটে পড়েছেন ইংলিশ ডিফেন্ডার। সবশেষ হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে ৩১ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন। ফলে রিয়ালের হয়ে অনিয়মিতভাবেই মাঠে নামছেন ২৭ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে সাবেক ক্লাব লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামেন আর্নল্ড। মাত্র ১৪ মিনিট (ইনজুরি টাইমসহ) খেলেছেন তিনি। এ সময়ে গোল, অ্যাসিস্ট কিংবা ডুয়েল জিততে না পারলেও সবার মন জয় করে নেন আর্নল্ড। ম্যাচ শেষে তাকে বুকে টেনে নেন আর্নে স্লট।
ম্যাচ শেষে সাবেক শিষ্যকে নিয়ে কথা বলেছেন স্লট। ৪৭ বছর বয়সি এই ডাচ কোচ বলেন,
“সে (আলেকজান্ডার-আর্নল্ড) হেরেছে, যা সত্যিই কঠিন। বুকে জড়িয়ে ‘চালিয়ে যাও’—এই ধরনের কিছু একটা বলেছিলাম তাকে। সত্যি বলতে, ঠিক কী বলেছি, তা এই মুহূর্তে মনে নেই। সে এই ক্লাবের জন্য বিশেষ একজন, আমার জন্যও বিশেষ। তাছাড়া, আর্নল্ড একজন অসাধারণ মানুষ। তাকে আলিঙ্গন করা—এটা আমি প্রতিবারই করব, যখনই তার সঙ্গে দেখা হবে।”
এ সময় রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে দেওয়ার গোপন তথ্যও ফাঁস করেন আর্নে স্লট। তিনি বলেন,
“রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগায় ২৬টি গোল করেছে, যার ২৪টির অবদান কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। আমি ছেলেদের বলেছিলাম, যদি জয় চাও তবে এই দুজনকে আটকাও। ছেলেরা তাই করেছে। বিশেষ করে কনর ব্র্যাডলি দারুণভাবে কাজটি করেছে।”

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে চমক জাগিয়ে শুরু করেছে আফগানিস্তানের জাতীয় ফুটসাল দল। সৌদি আরবের রিয়াদে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে তারা তাজিকিস্তানকে ৯–৫ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অভিযান শুরু করেছে। টানটান উত্তেজনা, দ্রুতগতির আক্রমণ–প্রতি–আক্রমণ আর একের পর এক গোল—সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই দলই।
খেলার শুরু থেকেই আফগানিস্তান আক্রমণাত্মক কৌশলে এগিয়ে যায়। দ্রুত পাস আদান–প্রদান আর দারুণ সমন্বয়ে তারা তাজিকিস্তানের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করে। ফলও পেতে দেরি হয়নি। প্রথমার্ধেই আফগানিস্তান বেশ কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরামদায়ক লিড নেয়।
বিরতির পর তাজিকিস্তান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন গোলও তোলে তারা। কিন্তু আফগানদের সংগঠিত রক্ষণ আর ধারালো আক্রমণ থামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ৯–৫ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আফগানিস্তান।
টুর্নামেন্টে এটি আফগানিস্তানের প্রথম জয়। একই সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে জানিয়ে রাখলো তারা এসেছে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই। ম্যাচ শেষে আফগানিস্তানের কোচিং স্টাফ খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসান। দলটির উন্নত ফিটনেস, কৌশলগত পরিপক্বতা ও ফিনিশিং দক্ষতাকে তুলে ধরেন তারা। পরের ম্যাচেও জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মুখিয়ে আছেন খেলোয়াড়রা।
ইসলামিক সলিডারিটি গেমস মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর অংশগ্রহণে আয়োজিত একটি বহু ইভেন্টের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। একে অপরের মধ্যে ঐক্য ও ক্রীড়া–সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এর অন্যতম জনপ্রিয় ইভেন্ট ফুটসাল।