৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭:১১ এম
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছে বাংলাদেশ, সেটা নাটকীয় বললেও কমই বলা হবে। প্রথম ইনিংসে এক পর্যায়ে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে উঁকি দিচ্ছি ইনিংস ব্যবধানে হারের সম্ভাবনা। তবে লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের হাত ধরে লড়াই করা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছে বিজয়ীর বেশেই। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, ব্যাটিং ধসের ওই সময়েও তারা আস্থা হারাননি।
পাকিস্তানের ২৭৪ রানের জবাবে তৃতীয় দিন সকালে যে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় বাংলাদেশ, তাতে ১০০ রান করাটাও মনে হচ্ছিল বিশাল কোনো অর্জন৷ তবে লিটনের ১৩৮ ও মিরাজের ৭৭ রানে ভর করে ২৬২ করে সফরকারীরা। তাদের এই ব্যাটিং দৃড়তা বাংলাদেশের ৬ উইকেটের জয় ও ২-০ তে সিরিজ জয়ে রেখেছে মূখ্য অবদান।
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই বাংলাদেশের
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানালেন, খেলোয়াড়দের সামর্থ্যে তাদের পূর্ণ বিশ্বাস ছিল। “আমি মনে করি, বিশ্বাসটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সব ক্রিকেটারই বিশ্বাস করে যে, আমরা যেকোনো সময়ই ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আপনারা জানেন, মিরাজ আট নম্বরে ব্যাটিং করে। আমাদের যে ব্যাটিং গভীরতা আছে, তাতে আমরা বিশ্বাস করি যে, কেউ একজন যদি থিতু হতে পারে, বড় স্কোর করবেই। তো সবার মধ্যেই যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়ানোর এই বিশ্বাস থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
লিটন ও মিরাজ যখন ওই পরিস্থিতিতে ব্যাট করছিলেন, তখন ৬ উইকেট নেওয়া খুররাম শাহজাদ ও মীর হামজা দুর্দান্ত বোলিং করছিলেন। প্রতিটি রানের জন্য লড়াই করে কঠিন সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাই এই দুজনকে দাঁতে দাঁত চেপে ইনিংস গড়তে হয়েছে। গড়েন ৩০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর ইতিহাসের সর্বোচ্চ জুটি।
শান্ত এখানেও টেনে আনলেন তার ও দলের সবার নিজেদের অগাধ বিশ্বাসের কথা। “মিথ্যা বলব না, ওই সময় আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম এবং কিছু নার্ভাসও ছিলাম। তবে মিরাজ ও লিটন যেভাবে ব্যাটিং করেছে, ১০-১৫ ওভার পর আমরা ভালো অবস্থানে চলে যাই এবং বিশ্বাস করতে শুরু করি যে, তারা আমাদের ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে। তবে আগেও যেটা বললাম, ২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ার পরও আমরা বিশ্বাসটা রেখেছিলাম। ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে সে (মিরাজ) একটা কথা বলেছিল যে, আমি আর লিটন দলের জন্য কাজটা করে ফেলব। আর তারা সেটা আগেও করেছে। তবে এটি খুবই প্রশংসনীয়। তাদের যে বিশ্বাস ছিল এবং ড্রেসিং রুমেও। খুব খুব ভিন্ন ব্যাপার ছিল।”
চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ জিতেছে ১৮৫ রান তাড়া করে। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের মূহুর্তটি এসেছে ক্রিজে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান থাকা অবস্থায়। বাংলাদেশের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই দুজন এই সিরিজ জয়েও অবদান রেখেছেন যথাসাধ্য।
আরও পড়ুন: পুরো দলের অবদানেই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়, বললেন লিটন-হাসান
মুশফিকুর ও সাকিব ম্যাচটা শেষ করে আসায় শান্তও একটু বেশিই খুশি। “আর সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই যখন ব্যাটিং করছিলেন, ড্রেসিং রুম থেকে আমরা সবাই চাচ্ছিলাম যেন, উনারা দুজনই ম্যাচটা শেষ করেন। এত বছর ধরে উনারা বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন। কত ম্যাচ জিতিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচ জেতা অনেক স্পেশাল। আমরা সবাই তাই চাচ্ছিলাম। আমরা সবাই অনেক খুশি।”
অধিনায়ক হিসেবে শুরুর দিনে থাকা শান্তর জন্য এই সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয়বার বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় যে এসেছে তার অধিনায়কত্বে। অনুভূতিটা তাই বাংলাদেশ কাপ্তানের কাছে অন্যরকমই।
“আবেগটা আসলে মুখে বলা কঠিন হবে। কারণ এই ধরনের অর্জন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা মুহুর্তগুলোর একটি।”
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৪৫ পিএম
স্কোয়াডে চারজন স্পিনার থাকলেও ভারতের মাটিতে চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ দল খেলছে তিন পেসার নিয়ে - বছর কয়েক আগেও এই দৃশ্য অকল্পনীয় বলেই ভাবা হত। তবে বর্তমান বাংলাদেশ যে ভিন্ন ধাতুতে গড়া। সব কন্ডিশনের জন্যই বাংলাদেশে এখন রয়েছে ভীষণ কার্যকর একটি ‘পেস ব্যাটারি’। চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে প্রতিপক্ষ শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। নাহিদ রানাও কম যাননি। ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পেসারদের এই দারুণ পারফরম্যান্সের পেছনে বড় অবদান রেখেছেন মুমিনুল হক।
খুব বেশি সময় আগের কথা নয়, যখন দেশের মাটিতে বাংলাদেশ টেস্ট খেলত একাদশে মাত্র এক পেসার নিয়ে। তাতে ঘরের মাঠে স্পিন উইকেট বানিয়ে সাফল্য মিললেও বিদেশের মাটিতে গিয়ে খাবি খেতে হত। কারণ, সেখানে পেসাররাই মূলত ব্যবধান গড়ে দেন। ২০১৯ সালে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়ে এই চিত্রে পরিবর্তন আনার পদক্ষেপ নেন মুমিনুল। তার সময়েই একাদশে পেসাররা শুধু বেশি বেশি জায়গায় পাওয়াই নয়, সুযোগ পান দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার। বাঁহাতি এই ব্যাটার এখন আর অধিনায়ক না থাকলেও সেই ধারা এখনও চলছে, যার সুফল পাচ্ছে দল।
প্রথম দিনের খেলা চলাকালীন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তামিম তুলে ধরেন বাংলাদেশের পেস বিপ্লবে অধিনায়ক মুমিনুলের ভূমিকা। “আমি একবার প্রথম শ্রেণির একটি ম্যাচে মুমিনুলকে আক্রমণে স্পিনার আনার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু মুমিনুল স্পষ্ট বলে দেন, “ওরা (পেসার) যদি এখন বোলিং না করে, তাহলে ওরা কখনই শিখতে পারবে না। তাদের শিখতে দিন।”
তামিম যা বলেছেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে একসময় সেই ঘটনা অহরহই ঘটত। পেসারদের দলগুলো ব্যবহার করত শুরুর দিকে কয়েকটি ওভার করানো এবং বল পুরনো করার কাজে। ফলে, এমনও ম্যাচ গেছে যেখানে দুজন পেসার মিলে ২০ ওভারও বল করতে পারেননি। ক্ষেত্রবিশেষে গোটা একটি ইনিংসেই দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনারদের বোলিং করার ঘটনাও ছিল।
ধারাভাষ্যে সেটাই তুলে ধরে তামিম বলেছেন, একটা সময় বাংলাদেশের পেসারা ঘরোয়া ক্রিকেটেও সারা দিনে পাঁচ ওভারের মত বল করার সুযোগ পেতেন। মুমিনুল অধিনায়ক হয়েই পেসারদের দিনে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ ওভার বোলিং করাতে বাধ্য করেন। আর এই কাজটি তিনি করেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচ ও অধিনায়কদের সাথে পরামর্শ করে।
চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনে এখন পর্যন্ত ৫৩ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসের ভারতের স্কোর ৬ উইকেটে ২০৮। চার উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, একটি নিয়েছেন আরেক তরুণ পেসার নাহিদ রানা। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
পাকিস্তানে ইতিহাস গড়ার পর বাংলাদেশের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। টেস্ট ক্রিকেটে এবার নাজমুল হোসেন শান্তদের প্রতিপক্ষ এই ফরম্যাটের সবচেয়ে ধারাবাহিক দলগুলোর একটি ভারত। তাদেরই ঘরের মাঠে কঠিনতম ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যে লড়াইয়ে ভাগ্যটা অবশ্য শুরুতেই পাশে পেল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত।
মূলত উইকেটের ময়েশ্চার ব্যবহার করতেই এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের। চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের আকাশে এই মুহূর্তে খানিকটা মেঘও আছে। ফলে সকাল বেলা ভারতের পেস আক্রমণের সামনে পড়তে চায়নি বাংলাদেশ। বরং বাংলাদেশের তরুণ পেসাররাই চ্যালেঞ্জ জানাতে চায় ভারতের ব্যাটারদের।
আগেই অবশ্য জানা গিয়ে ছিল এই টেস্টটা হবে লাল মাটির উইকেটে। যেখানে স্পিনারদের থেকে পেসাররাই বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। দুই দলের একাদশেও সেই বার্তাই স্পষ্ট। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেই আছেন তিন জন করে স্পিনার।
বাংলাদেশ মাঠে নামছে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচের একাদশ নিয়ে। পেস আক্রমণে আছেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। আর স্পিন সামলাবেন দুই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে ওপেন করার জন্য এই ম্যাচেও ভরসা করা হচ্ছে সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান জুটির ওপরেই।
ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় দুই বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলেন ঋষাভ পান্ত। ভারতের একাদশে পেসার হিসেবে আছেন আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ। ব্যাট হাতে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে ওপেন করছেন যশস্বী জয়সোয়াল।
বাংলাদেশের একাদশঃ নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
ভারতের একাদশঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সোয়াল, শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋষভ পান্ত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ।
খেলাটা যেখানেই হোক, সেটা ঢাকা, চেন্নাই, দুবাই, মেলবোর্ন - বিরাট কোহলি সবসময় সবজায়গায় থাকেন একই। নিজের নামের মতো। নামটা 'কিং কোহলি...' আমি বলছি না। বিশ্ব ক্রিকেটের সব অনুরাগীরাই তাকে এই নামেই চেনেন, ডাকেন। দিল্লির ‘চিকু’ যেনো পুরো ভারতীয় ক্রিকেটের অথবা তারচেয়েও বড় কিছু।
এই বছরই কোহলি ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে। এখন বাড়তি নজর তাই টেস্ট ক্রিকেটে। অবশ্য সেটা সবসময় ছিল তার। এই ফরম্যাটকেই মেনেছেন, বলেছেন সেরা বলে। চেন্নাই টেস্টের আগেও কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাবনার কারণ এক কোহলি।
তবে বাংলাদেশের বোলাররা কোহলিকে থামাতে পারেন। সাত বাংলাদেশি বোলার কোহলিকে আউট করেছেন। এরমধ্যে তাইজুল ইসলাম সর্বোচ্চ দুবার। চিপকে কী খেলা হবে এই স্পিনারের, তার জন্যও করতে হচ্ছে অপেক্ষা। তাইজুল ছাড়াও মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, তাসকিন আহমেদ, জুবায়ের লিখনরাও আছেন সেই তালিকায়। চিপকে অবশ্য জোড়া ইনিংস পাচ্ছে, সুযোগ থাকবে কানপুরেও।
এরই মধ্যে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে কোহলিকে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ বার আউট করেছেন সাকিব। একবার বোল্ডের সাথে এক স্টাম্পিং, ফিল্ডাররা সাহায্য করেছে চারবার। টেস্টে একবার হলেও ওয়ানডে পাঁচ আর বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে আরেকবার।
এমনিতে কোহলি মানেই যেকোনো মানদণ্ডে ৫০ এর বেশি গড়। বাংলাদেশের সাথেও তাই। ৯ ইনিংসের কোহলি রান করেছেন ৪৩৭। গড় ৫৪ এর বেশি। দুই সেঞ্চুরির কোহলির ব্যাটে রয়েছে ডাবল সেঞ্চুরিও।
চেন্নাইয়ে বুধবারে সাকিব ব্যাট হাতেই ব্যস্ত ছিলেন, বল হাতে না। কাউন্টিতে সারের হয়ে ম্যাচে ৯ উইকেট তোলা সাকিব অবশ্য বল হাতেও ফিরতে চাইবেন, ফেরাতে চাইবেন কোহলিকে।
একটা তথ্য বলে রাখা ভালো, এশিয়ান স্পিনারদের মধ্যে তিন ফরম্যাটে সাকিবকে বেশিবার আউট করা বোলার সাকিব। সাকিবরা ব্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকলেও কোহলির জন্য বুধবারের চিপক ব্যস্ত থাকেনি। ৪৪ টেস্ট গড়ের চিপকে যা ম্যাচে না থাকলেও হলো, বাংলাদেশিরা তো তাই চাইবে! আর চাইবে সাকিব বা অন্য যেকেউ ফেরাক কোহলিকে।
২১ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২১ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২১ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২১ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে