আগের দিনের মত আরও একবার প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের পরীক্ষা নিলেন পাকিস্তান বোলাররা। ভালোভাবেই সেটা উতরে যাওয়ার পর দিনের বাকিটা যথারীতি রাজত্ব করলেন ব্যাটাররাই। অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করলেও তাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেলন মুশফিকুর রহিম। সাথে মেহেদি হাসান মিরাজের লড়াকু ব্যাটিংয়ে শেষ দিনের খেলার আগে শক্ত অবস্থানে এখন সফরকারিরাই।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের স্কোর ১০ ওভারে ১ উইকেটে ২৩। পিছিয়ে আছে ৯৪ রানে। এর আগে পাকিস্তানের ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ৫৬৫ রান।
তৃতীয় দিনের শেষ ঘণ্টায় আগ্রাসী ব্যাটিং পসরা সাজিয়ে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন লিটন দাস। তবে আজকের দিনের সকালের প্রথম ঘণ্টায় তিনি বা মুশফিকুর কেউই তা করতে পারেননি। উল্টো শুরু থেকেই ভীষণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তোলাটাই কঠিন করে তোলেন স্বাগতিক পেসাররা।
সেই চাপের সময়ই মোহাম্মদ আলির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন মুশফিকুর। আম্পায়ার আউট দিলেই রিভিউ নিয়ে সেযাত্রায় বেঁচে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে লিটনের ভাগ্য সহায় হয়নি আর। আগের দিনের ৫২ রানের সাথে মাত্র চার রান যোগ করার পর নাসিম শাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ইনিংস।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরিতে তামিমকে পেছনে ফেললেন মুশফিক
লিটনের বিদায়ে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়াটা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে যায়। তবে আটে নামলেও মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাটার হিসেবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি নির্ভরতার প্রতীক। আর সেই কারণেই তাকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ার কাজটা ভালোভাবেই এগিয়ে নেন মুশফিকুর।
প্রথম ১৯ বলে ২ রান করার পর কয়েকটি চার মেরে খোলস ছেড়ে বের হন মিরাজ। অন্যপ্রান্তে মুশফিকুর ছিলেন যথারীতি আস্থার প্রতীক হয়ে। রান করছিলেন, তবে ভীষণ সাবধানী ব্যাটিংয়ে। খুররাম শাহজাদের এক ওভারে এরপর হাঁকান দুই বাউন্ডারি।
নব্বইয়ের ঘরের যেতে যেতে হাত খুলে মারতে শুরু করেন মুশফিকুর। পার্টটাইম লেগ স্পিনার সাইম আইয়ুবের এক ওভারে মারেন টানা দুই বাউন্ডারি। দ্রুতই সেঞ্চুরিতে পা রেখে একটা রেকর্ডও নিজের করে নেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। দেশের বাইরে টেস্টে তার সেঞ্চুরি এখন পাঁচটি, যা বাংলাদেশীদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারটি রয়েছে অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের।
৬ উইকেটে ৩৮৯ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশের ইনিংসকে এরপর ভালোভাবেই পথে রাখে এই জুটি। এরই মাঝে শাহিন শাহ আফ্রিদি পান মাঠের বাইরে থেকে দারুণ এক খবর। পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন পাকিস্তান পেসার। তবে মাঠের ক্রিকেটে তার ও তার দলের হাসি উবে যাওয়ার উপক্রম হয় মুশফিকুর ও মিরাজের ব্যাটে। ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি পার করে ফেলে একশ রান।
ব্যক্তিগত ১৫০ রান করার পর জীবন পান মুশফিকুর। আঘার নিরীহ অফ ব্রেকে লেগ গ্ল্যান্স করতে চেয়েছিলেন, টাইমিং হয়নি। তবে লেগ স্লিপে থাকা বাবর আজম সহজ ক্যাচ জমাতে ব্যর্থ হন। তার পার্টনার মিরাজ দেখেশুনে ব্যাটিং করেই ফিফটি করে ফেলেন। এরপরই এই দুজন গড়েন বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
চা বিরতির আগে আঘার করা শেষ ওভারটিতে মারমুখী হন মুশফিকুর। এক চার ও এক ছক্কায় যোগ করেন ১২ রান। এরপর মাঠে ফিরে দুজনের লক্ষ্য ছিল ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শের পাশাপাশি দলীয় সংগ্রহকে যতোটা সম্ভব বড় করা। তবে হৃদয়ভঙ্গ হয় মুশফিকুরের।
১৯১ রানে গিয়ে থামে তার ম্যারাথন ইনিংসের। পুরো ইনিংস জুড়ে দারুণ সব শট খেলার পর ক্ষনিকের ভুলে মিস হয় ডাবল সেঞ্চুরি। হয়ত ক্লান্তি ধরে গিয়েছিল কিছুটা। নাহলে আলির যে ডেলিভারি তার ব্যাটের কানায় লেগে রিজওয়ানের ক্যাচ হল, তা এই ইনিংসে মুশফিকুরের সাথে যে বড্ড বেমানান। তবে আউট হওয়ার আগে দলকে শক্ত অবস্থানে রেখে মিরাজের সাথে গড়েন ১৯৬ রানের জুটি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড টেস্টের মাঝে ১ দিনের বিরতি
এরপর হাসান মাহমুদকে ফিরিয়ে দেন শাহিন। উইকেটটি উৎসর্গ করেন সদ্যোজাত সন্তানকে, যা ফুটে ওঠে তার উদযাপনেও। এরপর দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় তার শিকার হন মিরাজও। তবে তার আগে এই স্পিন অলরাউন্ডার খেলেন ৭৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। ১৪ বলে ২২ করা শরিফুলের ক্যামিও দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
৯৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার নাসিম শাহ।
১১৭ রানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান শুরুতেই খায় ধাক্কা। শরিফুল ইসলামের করা অফস্ট্যাম্পের বাইরের লেন্থ ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা সাইম।
এরপর দিনের বাকি সময়ে পাকিস্তানের ব্যাটারদের বেশ চাপেই রাখেন বাংলাদেশ বোলাররা। ভাগ্যের সহায়তা পেলে মিলতে পারত এক-দুটি উইকেটও। সেই তোপ সামলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন আবদুল্লাহ শফিক (১২*) ও শান মাসুদ (৯*)।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪:৫৪ এম
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪:০০ এম
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩:০৭ এম
প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ভারতকে চাপে রেখে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতেই রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার অনবদ্য এক জুটিতে দিন শেষে স্বাগতিকরাই আছে শীর্ষে। এরই মধ্যে বোর্ডে জমা হয়েছে শক্তিশালী স্কোর। এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচে ফেরার জন্য প্রথম দিনের ‘হিরো’ হাসান মাহমুদ মনে করেন, প্রতিপক্ষকে যেভাবেই হোক চারশ'র আগেই আটকাতে হবে তাদের।
প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারানো ভারত দ্বিতীয় সেশনেও তিন উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে চাপের মুখে ছিল ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে। তবে আটে নামা অশ্বিনের সেঞ্চুরি ও জাদেজার ফিফটিতে ভারত দিন শেষ করেছে ৩৩৯ রানে, উইকেট সেই ছয়টিই। দুজনই যেভাবে সেট হয়েছেন আর রান করছেন আগ্রাসী মেজাজে, তাতে কাল সকালে তাদের দ্রুত ফেরানোর কোনো বিকল্প নেই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
সংবাদ সম্মেলনে হাসান জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে যত কমে সম্ভব গুটিয়ে দেওয়াই এখন তাদের লক্ষ্য। “কালকে আমরা যদি চেষ্টা করি, যদি আর্লি উইকেট নিতে পারি তাহলে ম্যাচে ফিরে আসব। আমার মনে হয়, চারশর আগে অলআউট করতে পারলে খুব ভালো হবে আমাদের জন্য। তবে এখন উইকেট খুবই সহজ হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে চাপ তৈরি করা যায়। কালকে ইনশাআল্লাহ্ এটাই করব।”
টেস্ট ক্রিকেটে মোমেন্টাম খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। একটি ছোট ইনিংস, একটি স্পেল, এমনকি একটি রান-আউটেও ঘুরে যায় ম্যাচের চিত্র। আর সেই কারনেই এক সময় প্রবল চাপের মুখে থাকা ভারত এখন চলে গেছে ‘ড্রাইভিং সিটে’। এর পেছনে শেষ সেশনে বোলারদের বেশি বেশি লুজ ডেলিভারি দেওয়া রেখেছে একটা বড় অবদান। বিশেষ করে শেষ দশ ওভারে অশ্বিন-জাদেজা তো রান করেছেন ওয়ানডে মেজাজে।
প্রথম দিনে চার উইকেট হাসান অবশ্য আশাবাদী, ম্যাচে ফেরার ভালো সুযোগ এখনও আছে তাদের সামনে। “আমার মনে হয়, বোলিংটা একটু ইকোনমিক্যাল হতে পারত, গুছানো হতে পারত। চেষ্টা করছি, সবাই মিলে একটু ভালো জায়গায় বল করে ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে। এখন মোমেন্টাম ওদের দিকে আছে। কালকে দ্রুত অলআউট করতে পারলে মোমেন্টাম আমাদের দিকে আসবে। চারশর আগে অলআউট করতে পারলে ভালো হবে।”
ভারতের মাটিতে সফরকারী দলের জন্য অধিকাংশ পেসারদের জন্য অপেক্ষা করে কঠিন পরীক্ষা। তবে চলমান চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনে হাসান মাহমুদ দেখিয়েছেন, এখানেও বল হাতে ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ জানানোর স্কিল তার আছে। প্রথম সেশনে দুই দিকে সুইং করিয়ে খাবি খাইয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মত ব্যাটারদেরও। তরুণ এই পেসার মনে করেন, নিজের শক্তির জায়গা কাজে লাগিয়েই সফলতা পেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের পথে দ্বিতীয় টেস্টর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন হাসান। সেই ফর্ম ধরে রেখে এই টেস্টের প্রথম স্পেলে ব্যাটারদের কাঁপন ধরিয়ে দেন এই ডানহাতি পেসার। একে একে ফেরান রোহিত, শুবমান গিল ও কোহলিকে। ফিরতি স্পেলে এসে পরে শিকার বানান রিশাভ পান্তকেও। প্রথম দিনে চার উইকেট নিয়ে হাসানই বাংলাদেশের সেরা বোলার।
দিনের খেলে শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাসান বলেছেন, স্রেফ পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করেছেন তিনি। “আমার প্ল্যান খুব সিম্পল ছিল। নতুন বলে আমি নিজের শক্তি অনুযায়ী বোলিংয়ের চেষ্টা করেছি। যেটা আমি ভালো পারি, সেটাই পুরো সময় করতে চেয়েছি। এরই ফল পেয়েছি। সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। আমি নিজের জোনে ছিলাম। যেকোনো ব্যাটসম্যানের উইকেট নেওয়া আনন্দের বিষয়। তো খুব ভালো লাগছে। যেটা বললাম, আমার প্ল্যান খুব সিম্পল ছিল। শেপ ঠিক রেখে সিম আপ করার চেষ্টা করেছি, শেপ এওয়ে করার চেষ্টা করেছি।”
ভারতের মাটিতে ২০০০ সালের পর সফরকারী একটি দলের মাত্র দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টেস্টের প্রথম দিনে চার বা বেশি উইকেট নিয়েছেন হাসান। এর আগে এই কীর্তি ছিল কেবল সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ডেল স্টেইনের। তিনি নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। কাল পাঁচ উইকেট শিকারের সম্ভাবনা থাকবে হাসানের সামনেও।
টানা দুই টেস্টে পাকিস্তানের পর ভারতের মাটিতেও পাঁচ উইকেট নিতে পারলে সেটা হাসানের জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে বরাবরই নিরাবেগ এই উদীয়মান পেসার এই ক্ষেত্রেও দেখালেন না বাড়তি আবেগ। “টেস্ট ম্যাচে উইকেট পাওয়াই আনন্দদায়ক আমার কাছে। পাকিস্তানে ৫ উইকেট পেয়েছি, ওটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চেষ্টা করছি, যতটুকু দলের জন্য করতে পারি নিজের সেরাটা দিয়ে।”
লাল মাটির উইকেটের পাশাপাশি দুই দলের স্কোয়াডে স্পিনারদের আধিক্যের কারণে মনে হচ্ছিল, চেন্নাই টেস্টে হয়ত স্পিনাররা ভালো করবেন। তবে প্রথম দিনে সেটা আর হয়নি। দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। তবে সেটা সামলে দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ভারতকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ঘরের মাঠ বলেই এখানকার উইকেটের আচরণ তার খুব চেনা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ভারত স্পিনার জানিয়েছেন, সময় যত গড়াবে স্পিনাররা ততই সফলতা পাবেন।
এই টেস্টে দুই দলই নেমেছে একাদশে তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে। টসে জিতে আগে বোলিং নেওয়া বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন হাসান মাহমুদ। তিনি সহ অন্য দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ গতি, সুইং, মুভমেন্ট দিয়ে ভালোই ভুগিয়েছেন ব্যাটারদের। তাতে এক পর্যায়ে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়েছিল ভারত। সেখান থেকে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভারতের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন অশ্বিন।
দিনের খেলা শেষে চেন্নাইয়ের ঘরের ছেলে অশ্বিন বলেছেন, দ্বিতীয় দিনেও পেসাররা উইকেট বেশ কিছুটা সাহায্য পাবেন। “এটা একটা সাধারণ, চিরচেনা চেন্নাই উইকেট, যেখানে ওভারস্পিন করলে কিছুটা বাউন্স থাকবে। ম্যাচের অনেক পরের দিকে উইকেট তার খেলা দেখাতে শুরু করবে। স্পিনাররা পরের দিকে সুবিধা পাবে। আমরা যদি সিম সুন্দর রাখতে পারি, তাহলে গতিময়, ভালো ক্যারি, ভালো বাউন্সের জন্য যথেষ্ট উপাদান থাকবে। নতুন বল কিছুটা কাজ করে দেবে, বোলারদের জন্যও কিছু সাহায্য থাকবে। আগামীকাল আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে।”
অশ্বিন যখন নেমেছিলেন, ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত রীতিমত কাঁপছিল। স্পেশালিষ্ট স্পিনার হিসেবে খেললেও অশ্বিন ব্যাটার হিসেবে অনেকবার দেখিয়েছেন তার উইলোর জাদু। আর সেটাই আরও একবার হাজির হয় প্রচণ্ড চাপের মুখেই। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে গড়েন দুর্দান্ত ১৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, যা ভারতকে দিন শেষে এনে দিয়েছে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানের স্কোর।
এই পথচলায় অশ্বিন তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক। ৫০০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে সেঞ্চুরি করার দিক থেকে কেউ নেই তার ধারেকাছেও। এমন ব্যাটিংয়ের রহস্য কী? অশ্বিন শোনালেন নিজেকে শাণিত করার গল্প। “অবশ্যই, আমি সবসময় আমার ব্যাট অফ স্টাম্পের বাইরে চালিয়ে এসেছি। মাত্রই একটা টুর্নামেন্ট খেলে এসেছি যা আমাকে সাহায্য করেছে। কিছু জিনিস নিয়ে কাজ করেছি। এই ধরণের উইকেটে যেখানে একটু স্পাইস আছে, সেখানে আপনি যদি শট খেলতে চান, তাহলে রিশাভের (পান্তের) মতই খেলতে হবে।”
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে