৮ জানুয়ারি ২০২৪, ৩:২১ পিএম
‘আমাদের গেছে যে দিন একেবারেই কি গেছে? কিছুই কি নেই বাকি?’ ব্রাজিল আর ব্রাজিল ভক্তরা ডুকরে ডুকরে নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথের এই বুলিই আওড়াচ্ছে। আর তাদের এই ‘বাকির’ খোঁজ দিতে মঞ্চে আসছে, দরিভাল জুনিয়র।
প্রায় ১৩ মাস অস্থায়ী কোচের অধীনে চলা দলটার কোচের দায়িত্বে আসছেন দরিভাল। অফিশিয়াল ঘোষণা না আসলেও ব্রাজিলের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমসহ নানা প্রান্ত থেকেই নিশ্চিত এ খবর। দরিভালের সদ্য সাবেক হওয়া ক্লাব সাও পাওলোও নিশ্চিত করেছে বিষয়টি।
আরও পড়ুন: আনচেলত্তিকে না পেয়ে দরিভালের কাঁধেই ব্রাজিলের দায়িত্ব
দরিভালের আসার খবরে চাউর হয়েছে এবার একটা প্রশ্ন। নেইমারকে কি সামলানো যাবে? কেননা ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন নেইমারের সঙ্গে একটা পুরোনো দেওয়া-নেওয়া যে আছে দরিভালের। সালটা ২০১০, ১৮ বছরের নেইমার তখন ‘ওয়ান্ডার কিড’। সান্তোসে দরিভালের অধীনেই পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন নেইমার।
সান্তোস আর আতলেতিকো গয়ানিয়ানসের এক ম্যাচে পেনাল্টি নিতে চান নেইমার। তবে কোচ দরিভাল পেনাল্টি নিতে বলেন দলটির নিয়মিত পেনাল্টি শুটার মার্সেলোকে। এতে রেগে গিয়ে কোচ আর সতীর্থদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন নেইমার।
নেইমারের ওই দুর্ব্যবহারের জন্য দরিভাল তাকে ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু নেইমার তখন ইয়াং সেনসেশন, সান্তোসের ট্রাম্পকার্ড। তাই সান্তোস কর্তৃপক্ষ নেইমারের পক্ষ নিয়ে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করে দেয় দরিভালকেই। অবশ্য পরবর্তীতে সেজন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন নেইমার। সেই ঘটনাকে মনে করে এখন অনেকেই উন্মুখ দরিভাল আর নেইমারের টক-ঝাল পুর্নমিলন দেখতে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে বড় দুংসংবাদ পেলো ব্রাজিল
নেইমারের কি হবে তা তো দেখাই যাবে তবে আসল কথা ব্রাজিলের কি হবে? বিশ্বকাপে হট ফেভারিট থাকা দলটার বিদায় ঘন্টা বেজে যায় কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে। এরপর তিতের পদত্যাগ, দিনিসের অস্থায়ী কোচ হওয়া। ডাগআউটে চেহারা বদলানোর সাথে সাথে ব্রাজিলেরও রুপ বদলায়; তবে তা ভয়ংকর খারাপ ভাবে।
বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্রাজিল ম্যাচ খেলেছে মোট ৯টা। যেখানে মরক্কো, গিনি আর সেনেগালের সঙ্গে তিনটা প্রীতি ম্যাচের দুইটাতেই হার। এরপর ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে উরুগুয়ে, কলম্বিয়া আর আর্জেন্টিনার কাছে টানা তিন ম্যাচ হেরে ১০ দলের টেবিলের মাত্র ৭ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এমন পরিস্থিতিতে কোচের জায়গায় রদবদল তো আনতেই হতো। তবে ব্রাজিলের ভাষ্য মতে খারাপ পারফরমেন্সের চাপে না মূলত স্থায়ী কোচ নেওয়ার তাগিদেই এ উদ্যোগ। দায়িত্ব পেয়ে দরিভাল বলেছিলেন তার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তবে ব্রাজিলের কি হলো?
আরও পড়ুন: হেরে গিয়েও ব্রাজিলের পারফরম্যান্সকে সেরা বলছেন দিনিজ
ব্রাজিলের মন তো পড়ে ছিল কার্লো আনচেলত্তির দিকেই। সিবিএফ তো একরকম নিশ্চিতই ছিল, এ বছরের মাঝামাঝিতে ব্রাজিলের কোচ হবেন কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু ইতালিয়ান এই কোচ রিয়াল মাদ্রিদে ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করায় বাধ্য হয়েই দরিভালেই নজর দিতে হয়েছে ব্রাজিলকে।
অবশ্য তার ওপর চোখ ছিল আগে থেকেই। তিতে চলে যাওয়ার পর তখনও নাম উঠেছিল এই অভিজ্ঞ কোচের। তবে এবার আর গুঞ্জনে না, জায়গা মিলছে ডাগআউটেই। প্রশ্ন হলো, ডাগআউটে এসে কাজের কাজ ঠিকঠাক কতটা হবে? ব্রাজিলের বর্তমান নড়বড়ে অবস্থায় যে দরকার একটা শক্তপোক্ত হাত।
আরও পড়ুন: ফিফা র্যাংকিংয়ে পয়েন্ট বাড়ল বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার কমল ব্রাজিলের
ফুটবল পরিবার থেকেই উঠে আসা দরিভালের। তাঁর চাচা দুদু ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ব্রাজিল জাতীয় দলে। তাছাড়া অভিজ্ঞতায় টইটম্বুর দরিভালের কোচিং ক্যারিয়ারও। ২২ বছরে ডাগআউটে দাঁড়ানো হয়েছে সাও পাওলো, সান্তোস, ফ্লুমিনেন্স, ফ্ল্যামেঙ্গো, পালমেইরাসসহ ব্রাজিলের প্রায় সব শীর্ষ ক্লাবের। এবার পালা দেশের হয়ে ভাল কিছু করে দেখানোর।
ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচগুলো হবে আগামী মার্চে। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও স্পেন। দরিভালের চ্যালেঞ্জ শুরু তবে সেখান থেকেই।
১৩ আগস্ট ২০২৫, ২:০৬ এম
১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:১০ পিএম
প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই। শুরুতেই গোলের দেখা পেলেন এমানুয়েল সানডে। এরপর প্রতিপক্ষের সামনে রক্ষণের দেয়াল; আর পোস্টে মেহেদি হাসান শ্রাবনের বীরত্ব। তাতে দুর্দান্ত জয় পেল বসুন্ধরা কিংস। দারুণ এই জয়ে ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূলপর্বে এখন কিংস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের একমাত্র ক্লাব হিসেবে এএফসিতে প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল ফুটবল) টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার রাতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে (প্রিমিলিনারি রাউন্ড) সিরিয়ান ক্লাব আল কারামাহকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। জয়সূচক গোলটি আসে এ মৌসুমেই মোহামেডান থেকে কিংসে নিয়ে আসা সানডের পা থেকে। চ্যালেঞ্জ লিগে এ নিয়ে ১৮ ম্যাচ খেলে ৮ জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস।
কাতারের দোহায় সুহেইম বিন হামাদ স্টেডিয়ামটিকে বলা হয় সিরিয়ান ক্লাবটির দ্বিতীয় হোম ভেন্যু। তবে এদিন মাঠে বেশ কিছু দর্শক এসেছিলেন; যার মধ্যে বেশিরভাগেই ছিলেন কিংস সমর্থক। ম্যাচের শুরু থেকেই তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল সান্ডারল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা কিউবা মিচেলে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেও যার অভিষেক নিয়ে আছে আলোচনা। শেষ পর্যন্ত কিংসের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে কিউবার। তবে জয়সূচক গোল করে সব আলোই কেড়ে নিয়েছেন সানডে।
খেলার তৃতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ আসে বুসন্ধরা কিংসের সামনে। তাজের পা থেকে রাইট উইংয়ে বল পান রাকিব হোসেন। এই উইঙ্গারের ক্রসে পোস্টের সামনে বাইসাইকেল কিকে ব্যর্থ হন ডরিয়েলটন।
ষষ্ঠ মিনিটে আর কোনো ভুল করেনি বসুন্ধরা কিংস। কর্নার থেকে এমানুয়েল সানডের গোলে লিড নেয় ঢাকার জায়ান্টরা। জটলার মধ্য থেকে বা পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন তপু, নিচু হয়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সহজেই জালে বল ঠেলে দেন সানডে।
১৭ মিনিটে আল কামারাহর আবদুল রহমান আলারজাহকে কাটিয়ে সরাসরি শট নেন পোস্টে, তবে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন। পরের মিনিটে তাজের ব্লকে বিপদ ঘটেনি কিংস শিবিরে। ২১ মিনিটে আলাজানের দূরপাল্লার শট ফিস্ট করে ক্লিয়ার করেন কিংসের গোলরক্ষক শ্রাবন। দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষের বারুদে শট আটকে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
৩৫ মিনিটে রাকিবের দারুণ ক্রস ছুটে এসে ক্লিয়ার করেন খালিদ আল হাজ্জা। ৪২ মিনিটে আবদুল্লাহ জাকরিতের শট বেড়িয়ে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। পরের মিনিটে রাফায়েলের বা পায়ের শট ঝাপিয়ে আটকে দেন আল কারামাহর গোলরক্ষক আবদুল লতিফ নাসান। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।
বিরতির পর ৫২ মিনিটে কিংসের লিড দ্বিগুণের সুযোগ হাতছাড়া হয় সানডের শট অন টার্গেটে রাখতে না পারায়।
৫৯ মিনিটে সোহেল রানাকে তুলে নেন কোচ মাহবুব। তার বদলি হিসেবে নেমে কিংসের জার্সিতে অভিষেক হয় মোহাম্মদ হৃদয়ের। এই মৌসুমেই ঢাকা আবাহনী থেকে কিংস শিবিরে নাম লেখান এই মিডফিল্ডার।
৬১ মিনিটে গোলমুখের সামনে পেপে লিয়ে বলে মাথা ছোয়াতে পারলে গোল পেতে পারত আল কারামাহ। দুই মিনিট পর শ্রাবনের বীরত্বে বেচে যায় কিংস। তবে গোলমুখের সামনে থাকা বলে ফিরতি শটে পেপেকে বাধা দেন ডিফেন্ডার তাজ।
৬৫ মিনিটে বাংলাদেশের ক্লাবের জার্সিতে অভিষেক হয় কিউবা মিচেলের। রাফায়ালকে তুলে সান্ডারল্যান্ডের সাবেক এই ফুটবলারকে মাঠে নামান কিংস কোচ।
৮০ মিনিটে আল কারামাহর বদলি খেলোয়াড় জাকারিয়ার হেড খুজে নিচ্ছিল জাল, শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে দেন শ্রাবন। বক্সে এদিন দারুণ ছিলেন কিংসের এই গোলরক্ষক।
৮৫ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে রাকিবের সেই দৌড়। শেষ পর্যন্ত কর্নারের কাছ থেকে ক্রস দেন, তবে ডরিয়েলটন শট নেওয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। এরপর কিউবার নেওয়া কর্নার থেকে রাকিবকে গোলবঞ্চিত করে আল কারামাহর গোলরক্ষক। তবে গোল না পেলেও আফসোস থাকার কথা নয় বসুন্ধরা কিংসের। কেননা শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের লিড ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে এক মৌসুম আগে ঘরোয়া ট্রেবলজয়ীরা।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে (প্রিমিলিনারি রাউন্ড) সিরিয়ান ক্লাব আল কারামাহর বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশের জায়ান্ট ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্ধের খেলা শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে মোহাম্মদ মাহবুবের দল। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে কিংসের হয়ে লিড নেওয়া গোলটি করেন এমানুয়েল সানডে। কাতারের দোহায় সুহেইম বিন হামাদ স্টেডিয়াম থেকে খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে টি-স্পোর্টস।
তৃতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ আসে বুসন্ধরা কিংসের সামনে। তাজের পা থেকে রাইট উইংয়ে বল পান রাকিব হোসেন। এই উইঙ্গারের ক্রসে পোস্টের সামনে বাইসাইকেল কিকে ব্যর্থ হন ডরিয়েলটন।
তবে ষষ্ঠ মিনিটে আর কোনো ভুল করেনি কিংস। কর্নার থেকে এমানুয়েল সানডের গোলে লিড নেয় ঢাকার জায়ান্টরা। জটলার মধ্য থেকে বা পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন তপু, নিচু হয়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সহজেই জালে বল ঠেলে দেন মোহামেডান থেকে এই মৌসুমে কিংসে নাম খেলানো সানডে।
১৭ মিনিটে আল কামারাহর আবদুল রহমান আলারজাহকে কাটিয়ে সরাসরি শট নেন পোস্টে, তবে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন।
১৮ মিনিটে তাজের ব্লকে বিপদ ঘটেনি কিংস শিবিরে। ২১ মিনিটে আলাজানের দূরপাল্লার শট ফিস্ট করে ক্লিয়ার করেন কিংসের গোলরক্ষক শ্রাবন। দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষের বারুদে শট আটকে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
৩৫ মিনিটে রাকিবের দারুণ ক্রস ছুটে এসে ক্লিয়ার করেন খালিদ আল হাজ্জা। ৪২ মিনিটে আবদুল্লাহ জাকরিতের শট বেড়িয়ে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। পরের মিনিটে রাফায়েলের বা পায়ের শট ঝাপিয়ে আটকে দেন আল কারামাহর গোলরক্ষক আবদুল লতিফ নাসান। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।
ডারউইনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল সফরকারীরা। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের সেঞ্চুরির পর কোরবিন বোশ-কাগিসো রাবাদাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় পেতে বেশ সহজই হয়েছে প্রোটিয়াদের।
নিজেদের মাঠে অজিরা দেখল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের হার। ২০২২ সালে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে সর্বোচ্চ ৮২ রানে হেরেছে তারা।
মারারা স্টেডিয়ামে বাঁচানোর ম্যাচে ব্রেভিসের সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২১৮ রান তোলে সফরকারীরা। ২১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৭.৪ ওভারে ১৬৫ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
আরও পড়ুন
ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড |
![]() |
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ৫০ রান করেন টিম ডেভিড। অ্যালেক্স কেরি ২৬ ও মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। বড় লক্ষ্য তাড়ার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে বোশ ও কেউনা মাফাকা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প উপায় ছিল না তাদের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেটে ৫০ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৭ রানে হারায় তারা তৃতীয় উইকেট। চার নম্বরে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ব্রেভিস। চতুর্থ উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে ৫৭ বলে ১২৬ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়েন তিনি।
২২ বলে ৩১ রানে ফেরেন স্টাবস। তবে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৪২ বলে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রেভিস। তাঁর চেয়ে কম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ডেভিড মিলারের নামের পাশে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ব্রেভিসই।
আরও পড়ুন
প্রথমবার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাদারল্যান্ড |
![]() |
৫৬ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রেভিস। ইনংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ১২টি চার। কুড়ি ওভারের সংস্করণে প্রোটিয়াদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও এটি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাফ ডু প্লেসিস করেছিলেন ১১৯ রান। যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ২১৮ রান স্কোরে জমা করে প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জোহানেসবার্গে করেছিল ২০৪ রান। এবার সেটি ছাড়য়ে গেল তারা। ২টি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও বেন ডারশুইস।
লম্বা বিরতির পর আবারও ব্যস্ততা শুরু হচ্ছে জাতীয় ফুটবল দলের। সবশেষ গত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। সেই ম্যাচের পর প্রায় দুই মাস ছিল না কোনো ম্যাচ কিংবা ক্যাম্প।
অবশেষে আগামীকাল থেকে আবার শুরু হবে জামালদের ব্যস্ততা। সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু করতে যাচ্ছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে মাঠের অনুশীলন শুরু হবে আগামী পরশু থেকে।
নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচ দুটি মাঠে গড়াবে আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর। বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নেপাল আছে ১৭৬ নম্বরে, বাংলাদেশ আছে ১৮৪ নম্বরে। র্যাঙ্কিংয়ে ৮ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে এই দুটি ম্যাচ খেলবে মূলত এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে।
আরও পড়ুন
চ্যালেঞ্জ লিগের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না আবাহনী, হেরে বিদায় |
![]() |
বসুন্ধরা কিংসের জাতীয় দলের ফুটবলাররা এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে দোহায় আছেন। সেখান থেকে ফিরে ১৫ আগস্ট ক্যাম্পে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
৩৬ দিন ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার ঢাকায় এসেছেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। খেলোয়াড়দের আগেই টিম হোটেলে উঠেছেন তিনি।
নিজ নিজ ক্লাবের ব্যস্ততার কারণে হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমকে নেপালের বিপক্ষে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ। যদিও জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন, দুজনকে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন কোচ কাবরেরা।
আরও পড়ুন
‘দুর্ঘটনার রাজা’ গোল করেছেন ১৩টি, নিজের জালে ১০টি |
![]() |
আগামী অক্টোবরে হোম ও অ্যাওয়ের ভিত্তিতে হংকংয়ের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৯ অক্টোবর জাতীয় স্টেডিয়ামে আর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ।
বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে এক পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তিনে। হংকং দুই ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট অর্জন করে দুইয়ে আছে।
ঘরের মাঠে খেলা। হারলে বিদায়, জিতলে গ্রুপ পর্বে ওঠার সুযোগ। নিজেদের সমর্থকদের সামনে চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছিল ঢাকা আবাহনী। কিন্তু কিরগিস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের সঙ্গে পেরে উঠল না আকাশি-নীলরা। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ স্টেজ থেকেই হেরে বিদায় নিল মারুফুল হকের দল।
আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে মুরাস ইউনাইটেডকে আতিথেয়তা দেয় আবাহনী। যেখানে অতিথিদের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে আবাহনী। গোলশূন্য প্রথামার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে হয় দুটি গোল। দুই গোলই আসে মুরাসের মিডফিল্ডার আতায় ঝুমাশেভের থেকে।
ষষ্ঠ মিনিটে মুরাসের গোল মিস। পোস্টের সামনে থেকে নেওয়া ওলে মারচুকের বা পায়ের নিচু শট বেড়িয়ে যায় বক্সের ডান পাশ ঘেষে। অথচ শট গোলে রাখতে পারলে নিশ্চিত গোল পেতে পারতেন এই ফরোয়ার্ড, আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা তখন অনেকটাই বাম দিকে ছিলেন।
আরও পড়ুন
মুরাসকে ‘মেন্টালি’ ধংস করবে আবাহনী |
![]() |
এই সময় একের পর এক আক্রমণের পর গোল ১০ম মিনিটে গোল পেতে পারত মুরাস; এ যাত্রায় আবাহনীকে বাঁচিয়ে দেন মিতুল। পোস্টে চাভেল গোমেসের গতিময় সোজা শট ফিস্ট করে বের করে দেন তিনি। দুই মিনিট পর পোস্টের সামনে থেকে আলিগুলভ মাকসাতের শট কর্নারের বিনিময়ে আরেকবার ঠেকিয়ে দেন মিতুল।
অতিথিদের তীব্র আক্রমণের সামলে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় আবাহনী। ১৩ মিনিটে শাকিল হোসেনের গতিময় শট ঠেকিয়ে দেন মুরাসের গোলরক্ষক ওরেস কোস্তিক। মোরছালিনের ফিরতি শট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বেরিয়ে যায়। কর্নার পায় আবাহনী। ৫ মিনিট পর বামপ্রান্ত দিয়ে দুজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ওঠেন সুলেমান দিয়াবাতে। বক্সে এক ডিফেন্ডারের বাধার সম্মুখীন হন, উঠে নিজেকে সামলে শট নিলে বল যায় বক্সের সামান্য ওপরে দিয়ে।
২১ মিনিটে আরেকবার গোল সেভ করেন মিতুল। পরের মিনিটে বল নিয়ে একাই উপরে উঠছিলেন আল আমিন। তবে তাঁর পেছনে ছিলেন অ্যান্দ্রি বাতসুলা। সামনে গোলরক্ষক একা, তবে পোস্টে শট নেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে কর্নারের বিনিময়ে পেছন থেকে বল ক্লিয়ার করেন মুরাসের ওই ইউক্রেনীয় ডিফেন্ডার। দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয় আবাহনীর।
৩০ মিনিটে মুরাসের ডিফেন্ডারদের ভালোই পরীক্ষা নেয় আবাহনী। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে মুরাসের কয়েকজনকে কাটান দিয়াবাতে। বাধার সামনে এক দফায় মাটিতে পরেও যান, তবে উঠে দাড়িয়ে বাম দিকে ক্রস দেন ইব্রাহীমকে দেখে। পোস্টের একদম কাছ থেকেই এই ফরোয়ার্ডের শট ছিল না লক্ষ্যে। বল কাপায় বক্সের পেছনের জাল। ওই সময় পর্যন্ত ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগটা হাতছাড়া করে আবাহনী। গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
আরও পড়ুন
দোহায় ‘অতিরিক্ত’ গরম, তবু সেরাটা দিতে প্রস্তুত তপু বাহিনী |
![]() |
প্রথমার্ধে আটকে রাখা মুরাসের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে বসে আবাহনী। ৪৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে খানিকটা জায়গা করেই লম্বা ক্রস দেন মুরাসের ইউক্রেনিয়ান ডিফেন্ডার বাতসুলা। আবাহনীর গোলমুখ অনেকটা আনমার্কিংয়ে থাকা আতায় ঝুমাশেভ সেই ক্রস থেকে হেডে আবাহনীর জাল কাঁপান। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় অতিথিরা।
গোল হজমের পর মুরাসের রক্ষণে চাপ বাড়ায় আবাহনী। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখাই মেলেনি। ম্যাচে সমতায় ফেরার আশায় থাকা আবাহনীকে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে চূড়ান্ত হতাশয়া ডুবিয়ে দেয় মুরাস। ৯০ মিনিটে দলটির হয়ে ব্যবধান দিগুণ করেন আতায় ঝুমাশেভ। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ডান পায়ে জোরাল শটে মিতুলকে পরাস্ত করেন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচে দুটি গোলই করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হেরে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেরার স্মৃতি সুখকর রাখতে পারল না আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে