স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে শাহাদাত হোসেন দীপুর স্ট্রাইক রেট ঠিক ১০০। তাকে মূলত বিবেচনা করা হয় ওয়ানডে বা টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই। সেই দীপুই সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দেখালেন চমক, চাপের মুখে ব্যাট করলেন প্রায় ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে। ম্যাচ শেষে সাফল্যের কারণটা মেলে ধরেছেন চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তরুণ এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: দীপু-নাজিবুল্লাহর কাঁধে চড়ে জয়ে শুরু চট্রগ্রামের
সিলেটের বিপক্ষে ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর দীপু ক্রিজে যান দুই উইকেট পতনের পর। খানিক বাদেই স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৯। সেখান থেক নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে অপরাজিত ১২১ রানের জুটিতে দলকে জেতান দীপু।
৪টি করে চার ও ছক্কায় ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৫৭ রান। ম্যাচ শেষে স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ের পেছনে জানালেন তার মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতার দিকটি। “ছোটবেলা থেকেই যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি, তখন থেকে যেকোনো ফরম্যাটেই যখন খেলি, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে বা টেস্ট, আমি চিন্তা করতাম যে ফরম্যাটেই খেলি সেখানে যেন এডজাস্ট করতে পারি। আর সিচুয়েশন, উইকেট কি ডিমান্ড করে সেটার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি।”
দীপুর ফিফটি ও জাদরানের ৩০ বলে ৬১ রানে ৯ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ম্যাচটি জেতে চট্রগ্রাম।
অভিজ্ঞতার বিচারে দুই দলের ব্যবধান অনেক বেশি। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের মোড়কে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে এই সিরিজে মূলত খেলছেন জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা খেলোয়াড়রাই। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম ম্যাচে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য দেখাল স্বাগতিকরা। বল হাতে জ্বলে উঠলেন খালেদ আহমেদ, তানভীর ইসলামরা। মামুলি টার্গেটে ব্যাটারদের কেউ বড় স্কোর না পেলেও ধরা দিল অনায়াস জয়ই।
সিলেটে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নুরুল হাসান সোহানের দল জিতেছে ৭ উইকেটে। ১৪৮ রান তাড়া করে ফেলেছে মাত্র ২৭.২ ওভারেই।
নিউজিল্যান্ড দল বলা যায় ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় প্রথম দশ ওভারেই। দুই প্রান্ত থেকে শরিফুল ইসলাম ও খালেদের সাড়াশি আক্রমণে দিশেহারা হয়ে যায় দলটি। রান তুলতেই সংগ্রাম করার পাশাপাশি যোগ হয় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো। দলটির প্রথম পাঁচ ব্যাটারের চারজনই আউট হন ‘ডাক’ মেরে।
ওপেনার রিস মারিউই একা যা একটু লড়াই চালান। তবে অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে সেটাও রাখতে পারেনি তেমন অবদান। দলীয় ৫৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন, তখন তার একার রানই ৪২।
মাঝের ওভারগুলতে ইবাদত হোসেন ও তানভীর মিলে আরও চাপে ফেলে দেন দলটিকে। ৬২ রানেই চলে যায় ৮ উইকেট। সেখান থেকে প্রায় দেড়শ ছুঁইছুঁই স্কোর করার পেছনে বড় অবদান আটে নামা ডিন ফক্সকোর্টের।
দশম উইকেটে যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ৬২ রান। ইবাদতের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে খেলেন ৬৪ বলে ৭২ রানের দারুণ এক ইনিংস, যা তিনি সাজান ৬টি চার ও চারটি ছক্কায়।
৭ ওভারে ২ মেডেন সহ ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন খালেদ। বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ১০ ওভারে ২ মেডেন সহ ৪৭ রানে নেন সমান তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট যায় শরিফুল ও ইবাদতের ঝুলিতে।
ছোট রান তাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমন শুরুটা করেন উরন্ত। রান বের করছিলেন কেবল চার মেরেই। ক্রিস্টিয়ান ক্লার্কের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মাত্র ১২ বলে ৬টি বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
আরেক ওপেনার নাঈম শেখ থামেন ১৮ রানে। তিনে নেমে এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে জয়ের পথ সুগম করে দেন এনামুল হক বিজয়। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫৫ রান, যা শেষ হয় বিজয়ের আউটে। তবে তার আগে ৮৪.৫৫ স্ট্রাইক রেটে খেলেন ৫ চারে ৩৮ রানের ইনিংস।
এরপর বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন অঙ্কন ও অধিনায়ক সোহান। দুজন অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে (৬১ বলে ৪২) ও (২৬ বলে ২০) রানে।
লা লিগায় কয়েক রাউন্ড বাকি থাকতেই অনেকেই শিরোপা দেখছেন বার্সেলোনার হাতেই। রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে তাদের চার পয়েন্টে এগিয়ে থাকার সাথে এতে যোগ হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দলের লম্বা চোটের মিছিল। তবে আশা ছাড়ছেন না ইতালিয়ান কোচ। তিনি বরং মনে করেন, মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতেই শিরোরার লড়াইয়ের মীমাংসা হবে।
তবে চলতি মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে অভিজ্ঞতা ভীষণ তেতোই রিয়ালের। লা লিগায় প্রথম সাক্ষাতে হারের পর হান্সি ফ্লিকের দলের কাছে ফাইনালে হারতে হয়েছে স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রের ফাইনালেও। ফলে ১১ মে-তে দুই দলের পরের ম্যাচেও ফেভারিট ধরা হচ্ছে বার্সেলোনাকে। সেল্টা ভিগোকে টেনেটুনে ৩-২ গোলে হারিয়েও তাই লা লিগার শিরোপা ধরে রাখার কাজটা বেশ কঠিনই রিয়ালের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি অবশ্য শেষ চেষ্টাটা চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। “অবশ্যই আমাদের আশা টিক্র আছে। আমি বলব না যে রবিবারের ম্যাচটি (এল ক্লাসিকো) পার্থক্য গড়ে দেবে। তবে সেটা প্রায় সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে... আমরা যদি ম্যাচটা জিততে পারি, তাহলে আমরা বার্সেলোনার চেয়ে একট পয়েন্ট পিছিয়ে থাকব। লিগ এরপরও বার্সেলোনার হাতেই থাকবে, তবে আমাদের সামনেও একটা সুযোগ থাকবে।”
আনচেলত্তি আশাবাদী হলেও তিন এল ক্লাসিকোতে যে পারফরম্যান্স রিয়ালের, তাতে কাজটা বেশ কঠিনই। তিন লড়াইয়ে তার দল হজম করেছে ১২ গোল (৪-০, ৫-২ ও ৩-২)। স্পষ্টতই ম্যাচগুলোতে ভুগেছে রিয়ালের ডিফেন্স। আর নিয়মিত ডিফেন্ডারদের সবাই এই মূহুর্তে চোটে ছিটকে যাওয়ায় রক্ষণভাগ ভীষণ নাজুক হয়ে গেছে আনচেলত্তির দলের। সেল্টার বিপক্ষে তাই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে এক সময়ে জেগেছিল ড্র করার সম্ভাবনা।
এরপরও বার্সেলোনা ম্যাচ নিয়ে ইতিবাচক রিয়াল কোচ।
“আমরা গত সপ্তাহে তাদের বিপক্ষে খেলেছি, আর ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণই ছিল। আমরা জয়ের খুব কাছাকাছিই ছিলাম। আমাদের খুব সিরিয়াস একটা ম্যাচ খেলতে হবে। আমরা নিজেদের ওপর পূর্ণ আস্থা নিয়েই খেলব।”
প্রথমে পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দায়িত্ব। এবার চারদিনের ম্যাচের সিরিজেও নেতৃত্বের ভার পেলেন নুরুল হাসান সোহান। সাথে আরও পেয়েছেন তৃতীয় ওয়ানডেরও অধিনায়কত্বও।
দুই ম্যাচের চারদিনের সিরিজের দলে সোহান দলে পাবেন জাতীয় দলের আরও কয়েকজনকেও। যেখানে উল্লেখযোগ্য নাম সদ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলা ওপেনার এনামুল হক বিজয়, মাহমুদুল হাসান জয়রাও। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে এই দলে উল্লেখযোগ্য নাম অমিতে হাসান, যিনি ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট ও সদ্য শেষ হওয়া ডিপিএলে ছিলেন রানের মধ্যেই।
জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকা সোহানের জন্য দুই ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব পাওয়াটা তার জন্য বড় এক পরীক্ষাই। এই সিরিজে ভালো পারফর্ম করে এই কিপার-ব্যাটারের জন্য জাতীয় দলের দরজাও।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে যথাক্রমে ৫, ৭ ও ১০ মে। সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটে। একই ভেন্যুতে ১৪ থেকে ১৭ মে মাঠে গড়াবে প্রথম চারদিনের ম্যাচ। আগামী ২১ থেকে ২৪ মে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ।
দুই ফরম্যাটের সিরিজের সবগুলো ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের প্রথম ও একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি স্পোর্টস। এছাড়া খেলা দেখা যাবে টি স্পোর্টসের ইউটিউব চ্যানেলেও।
বাংলাদেশ ‘এ’ স্কোয়াড (চার দিনের ম্যাচ) :
নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, সাইফ হাসান, অমিতে হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাসুম আহমেদ, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, হাসান মুরাদ, মোহাম্মদ এনামুল হক।
বাংলাদেশ ‘এ’ স্কোয়াড (তৃতীয় ম্যাচ) :
নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, ইয়াসির আলি চৌধুরী, নাসুম আহমেদ, নাঈম হাসান, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, তানভীর ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা।
একই সময়ে আইপিএল ও পিএসএল হওয়ায় দুই লিগে অংশ নিচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়রা। তবে ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে মিচেল ওয়েনের ক্ষেত্রে। এই মূহুর্তে পিএসএলে ব্যস্ত অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটারকে আইপিএলের শেষের অংশের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছে পাঞ্জাব কিংস।
মিচেল স্থলাভিষিক্ত হলেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। চোটের কারণে এই আসর থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
পাঞ্জাব কিংস (পিবিকেএস) মিচেল ওভেনকে নিয়ে এসেছেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জন্য তাদের চোটের প্রতিস্থাপন হিসাবে, যিনি আঙুল ভাঙার পরে আইপিএল 2025 এর বাইরে ছিলেন।
ওভেন পিএসএল -এর চলমান মৌসুমে আইএনআর 3 কোটি টাকার জন্য পেশোয়ার জালমির সাথে তাঁর পদক্ষেপের শেষে পিবিকেএসে যোগ দেবেন।
ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পিএসএলে পেশোয়ার জালমির অভিযান শেষেই আইপিএল খেলতে ভারতে পাড়ি জমাবেন ওয়েন।
জালমি টুর্নামেন্টে এই পর্যায়ে ছয়টি দলের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আগামী ৯ মে তারা নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচটি খেলবে। দলটি যদি শেষ পর্যন্ত প্লে অফের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, তাহলে ১৮ মে ফাইনাল পর্যন্ত ওয়েনকে থাকতে হতে পারে পিএসএলে। আর পাঞ্জাব তাদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে ১৬ মে।
গত বছরের শেষের দিকে আইপিএলের মেগা নিলামের জন্য নিবন্ধভুক্ত থাকলেও চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েন ওয়েন। এবার প্রথমবারের মত আইপিএলে ডাক পেলেন বদলি হিসেবে।
তাসমানিয়ার ২৩ বছর বয়সী টপ-অর্ডার ব্যাটার ওয়েন বিবিএল-এর সবশেষ আসর দিয়ে নজর কাড়েন। ফাইনালে রেকর্ড ৩৯ বলের সেঞ্চুরিতে হোবার্ট হারিকেন্সকে জেতান শিরোপা। সব মিলিয়ে ১১ ইনিংস থেকে ৪৫২ রান করেন ৪৫.২০ গড় আর অবিশ্বাস্য ২০৩.৬০ স্ট্রাইক রেটে!
পিএসএলেও ওয়েন ডাক পান বদলি হিসেবে। কর্বিন বোশ শেষ সময়ে আইপিএলের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে নাম লেখালে তাকে দলে নেয় জালমি। বল হাতেও অবদান রাখতে পারেন তিনি৷ পার্ট টাইম মিডিয়াম পেস করা ওয়েন টি-টোয়েন্টিতে ১০ ইনিংস নিয়েছেন ২০ উইকেট।
আগেও সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করেছেন, পেয়েছেন দুর্দান্ত সব সাফল্যও। তবে সবই ছিল অস্থায়ীভাবে নেতৃত্ব পেয়ে। লিটন দাস এবার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হলেন স্থায়ীভাবেই। পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আসছে দুই সিরিজের জন্য তার কাঁধেই দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর নেতৃত্ব হারালেও দলে জায়গা ধরে রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে লিটনকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড দিয়েছে বিসিবি। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক থাকবেন লিটন। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মাহেদি হাসানকে।
বাংলাদেশের সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়কত্ব করেন লিটন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানে তিন ম্যাচের সেই সিরিজে জয় পায় সফরকারীরা। চোটের কারণে সেই সফরে দলের বাইরেই ছিলেন শান্ত। এরপর বছরের শুরুতে নিজেই জানান, এই ফরম্যাটে তিনি আর অধিনায়কত্ব করবেন না। ফলে নতুন অধিনায়ক খোঁজার বিকল্প ছিল না বিসিবির সামনে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল থেকে আসেনি খুব বেশি পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। ম্যাচ না খেলেই ছিটকে গেছেন পেসার রিপন মন্ডল। বাদ পড়ার তালিকায় আরও আছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। আর চোটের কারণে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদের।
দলে ফিরেছেন দুই বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা তানভীর ইসলামও আছেন দলে।
শারজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১৭ ও ১৯ মে আরব আমিরাতের সাথে দুই ম্যাচের সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ। আর পাকিস্তানের সাথে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু ২৫ মে থেকে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড : লিটন দাস (অধিনায়ক), শামীম হোসেন, তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শেখ মাহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা, তানভীর ইসলাম।
৪ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে