১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ৫:৩৮ পিএম
অষ্টম ওভারে তিন উইকেট হারানোর পর ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিল চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে চাপের মুখে শাহাদাৎ হোসেন দীপু উপহার দিলেন ঝকঝকে ফিফটি। খুনে ইনিংসে নাজিবুল্লাহ জাদরান শেষ করে দিলেন ম্যাচের সব রোমাঞ্চ। তাতে গত আসরের রানার্সআপ সিলেট সিক্সার্সকে উড়িয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবারের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্রগ্রামের জয় ৭ উইকেটের।
আরও পড়ুন: দীপুর শতকের আগে রানার প্রথম পাঁচ উইকেট
আগে ব্যাটিং করে ২ উইকেটে ১৭৭ রান তুলেছিল সিলেট। রান তাড়ায় জাকির ও নাজিবুল্লাহর অপরাজিত ফিফটিতে ৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় শুভাগত হোমের দল।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শক্ত ভিত পায় সিলেট। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন দুজনই ব্যাট করেছেন সাবলীলভাবে। পাওয়ার প্লেতেই ফিফট ছাড়িয়ে যায় দলীয় স্কোর।
দ্রুত রান তোলার তাড়ায় নিহাদুজ্জামানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন শান্ত। আগের বলে বাউন্ডারি মারলেই দ্বিতীয়বার একই শট খেলতে গিয়ে ধড়া পড়েন লং-অনে। ৩০ বলে করেন ৩৬ রান।
মিঠুনের সম্ভাবনাময় ইনিংসের ইতি টেনে দেন কার্টিস ক্যাম্পার। বড় শট খেলার প্রচেষ্টায় শেষ হয় অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ২টি করে চার ও ছক্কা দিয়ে সাজানো ৪০ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন: দীপুর ৪, মিরাজের ৩ রানে 'নয়-ছয়' বাংলাদেশের
সিলেটের ইনিংসের বাকিটা শুধুমাত্র ‘জাকিরময়'। দুর্দান্ত সব শটের পসরা মেলে ধরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩১ বলে ফিফটি করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। ৪৩ বলের ইনিংসে চার মারেন ৭টি, আর ছক্কা ১টি।
হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে জাকিরের জুটিতে রান আসে ৮২। ২০ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন টেক্টর।
জবাবে শুরুতেই তানজিদ হাসানকে হারায় চট্রগ্রাম। আরেক ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দো ছিলেন ছন্দে। তবে ২৩ বলে ৩৯ রান করার পর তাকে বোল্ড করেন নাজমুল হাসান।
চট্রগ্রামের চাপ বাড়িয়ে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ইমরানউজ্জামানকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। স্বীকৃত ক্রিকেটে এটি ছিল সিলেট অধিনায়কের ২৫০ দিন পর প্রথম ম্যাচ। আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাশরাফী রান দেন মোটে ৯।
আরও পড়ুন: দীপুর অভিষেক, এক পেসার নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ
এরপর পাল্ট আক্রমণে সিলেটকেই চাপে ফেলে দেন দীপু ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৩৫ বলে অর্ধশত রানের দেখা পান দীপু। নাজিবুল্লাহ ছিলেন আরও মারমুখী। স্রেফ ২৮ বলেই করে ফেলেন ফিফটি।
মাশরাফীর করা ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ম্যাচ শেষ করেন এই আফগান ব্যাটার। ৩০ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে নাজিবুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৬১ রানে। আর দীপু করেন ৩৯ বলে ৫৭।
চতুর্থ উইকেটে এই দুজন যোগ করেন ১২১ রান। ১৭ রানে ১ উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা বোলার রিচার্ড নাগারভা।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
২০ দিন আগে