মঞ্চটা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। লুইস সুয়ারেজ যে দিন তিনেক আগেই জানিয়েছিলেন প্যারাগুয়ের সাথে উরুগুয়ের জার্সিতে খেলবেন নিজের শেষ ম্যাচ। দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কিংবদন্তি ফুটবলারকে বিদায় জানাতে করেছে বড়সড় আয়োজনই। আর সেই আয়োজনের বিশালতা বাড়িয়েছে সুয়ারেজের প্রতি মেসির আবেগঘন বার্তা।
কিংবদন্তি এই ফুটবলারের বিদায়ী ম্যাচে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ৪৮ হাজার দর্শক। বড় বড় ব্যানার ও তিফোতে লেখা ছিল তার নাম। পুরো সময়জুড়ে স্লোগানে স্লোগানে গোটা গ্যালারি মাতিয়ে রাখেন সমর্থকরা। এদিন সুয়ারেজের সঙ্গে মাঠে উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরাও। এসেছিলেন উরুগুয়ের কিংবদন্তি কোচ অস্কার তাবারেজ। যার অধীনে লম্বা সময় খেলেছেন সুয়ারেজ। ২০১১ সালে তার অধীনেই কোপা আমেরিকা জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন সুয়ারেজ।
আরও পড়ুন: কান্নাভেজা চোখে বিদায় দিয়েও ‘থাকছেন’ দি মারিয়া
তবে বিদায়বেলায় সবচেয়ে বড় চমকটা সুয়ারেজকে দিয়েছেন বন্ধু লিওনেল মেসি। তার ইন্টার মায়ামি ও বার্সেলোনা সতীর্থ তার এ বিদায়ে বার্তা দিতে গিয়ে খানিকটা আবেগপ্রবণই হয়ে পড়েন। সেই বার্তার আবেগটা ছুঁয়ে গেছে সুয়ারেজকেও। “বিশেষ এই দিনে আমি তোমার জন্য এই ভিডিওটা রেকর্ড করেছি। এটা তোমার, তোমার পরিবারের, উরুগুয়ের এবং সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের জন্য উল্লেখযোগ্য এবং বিশেষ একটি দিন। তুমি জাতীয় দলকে এবং দেশকে যা দিয়েছ, সে জন্যও এটি উল্লেখযোগ্য।”
শেষবেলায় সুয়ারেজও মাইক হাতে নিজের বিদায়ী বার্তা দিয়েছেন সমর্থকদের। যেখানে নিজের আবেগটা ধরে রাখতে পারেননি সাবেক বার্সেলোনা স্ট্রাইকার। “উরুগুয়ে যেকোনো খেলোয়াড়, কোচ, পরিচালক কিংবা যে কারও চেয়ে বড়। আগামীকাল থেকে আমি শুধুই আরেকজন ভক্ত। যারা এরপর খেলতে আসবে, সবার জন্য শুভকামনা থাকবে। নিশ্চিতভাবে তারাও আমাদের মতো দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। উরুগুয়ে দীর্ঘজীবী হোক এবং আমি সব সময় উরুগুয়ের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।”
শেষ ম্যাচটা অবশ্য রাঙাতে পারেননি সুয়ারেজ। শুরু থেকে মাঠে থাকলেও গোলের দেখা পাননি। তার দলও ম্যাচ শেষ করে ১-১ গোলের ড্র-তে।
১৭ বছরের ক্যারিয়ারে উরুগুয়ের হয়ে মোট ১৪৩টি ম্যাচ খেলেছেন লুইস সুয়ারেজ। এর মধ্যে গোল করেছেন তিনি ৬৯টি। উরুগুয়ের ইতিহাসে তিনিই সর্বোচ্চ গোলের অধিকারী। সে সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচও খেলেছেন তিনি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৩৪ পিএম
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:১৮ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর রিয়াল মাদ্রিদের সম্পর্কটা বেশ মধুর। ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় তাদের শিরোপার সংখ্যাও সেটারই প্রমাণ দেয়। এখন পর্যন্ত ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা গেছে রিয়ালের ঘরে। শিরোপাটিকে একরকম নিজেদের সম্পত্তিই বানিয়ে ফেলেছে তারা। তাতে নতুন মৌসুম শুরুর আগে সবার চোখ স্প্যানিশ ক্লাবটির দিকে। রিয়াল কোচ এই টুর্নামেন্টকে ‘স্পেশাল টুর্নামেন্ট’ হিসেবেই নাম দিয়েছেন। আর এই কারণেই তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন আসর শুরুর।
মঙ্গবার রাতে স্টুর্টগার্ডের সাথে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের নতুন মৌসুমের যাত্রা। প্রথম ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন আনচেলত্তি। যেখানে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে আলাদা অনুভূতির কথাই তুলে ধরেছেন। “আমরা সবসময়ই এই প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকি, যেখানে এই ক্লাবটি দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের আধিপত্য দেখিয়ে আসছে। এটি একটি বিশেষ প্রতিযোগিতা এবং আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে চেষ্টা করবো।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই আসর হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে। বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা। কমছে ফুটবলারদের বিশ্রামও। যা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রিয়াল কোচ। “সূচিটা অনেক জটিল। এটা নতুন আঙ্গিকে হচ্ছে। গত বারের তুলনায় এবার আরও বেশি উপভোগ্য হতে পারে। তবে নতুন করে আরও দুটি ম্যাচ বাড়ছে। আয়োজকরা যদি এখনো এটা নিয়ে চিন্তা না করে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার কারণে খেলোয়াড়ররা চোটে বেশি পড়ছে তাহলে বিশাল সমস্যা। টুর্নামেন্ট জমিয়ে তুলতে হলে ম্যাচের সংখ্যা কমাতে হিবে।”
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু-তে ম্যাচ দিয়েই এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করবে স্পেন ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। তবে এই ম্যাচের আগে দলটির জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা চোট। হাফ ডজনের বেশি খেলোয়াড় আছেন মাঠের বাইরে। এরপরও ইতিবাচকই আছেন আনচেলত্তি। “বেলিংহাম ঠিক আছে, মিলিতাও, চুয়ামেনির মতো সে অনুশীলন করেনি। সেরে উঠতে বাড়তি একটা দিন দরকার ছিল তার। দূর্ভাগ্যবশত আমরা কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হারিয়েছি, কিন্তু জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে দল প্রস্তুত আছে।”
মাঠের ফুটবলে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র তার সমালোচকদের সেভাবে সুযোগ দেন না। তবে তার গোল উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদেরই সাবেক ফুটবলার পেদ্রাক মিয়াতোবিচ। তিনিও আপত্তি তুলেছেন ভিনিসিয়ুসের উদযাপন নিয়েই। মাত্রাতিরিক্ত উদযাপন করে ভিনিসিয়ুস নিজের ক্ষতি করছেন বলেই মন্তব্য করেছেন ইউগোস্লোভিয়ার সাবেক এই ফরোয়ার্ড।
রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও গোলের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিয়ুস। পেনাল্টি থেকে গোল করে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের ইঙ্গিত করে উদযাপন করেন ব্রাজিল তারকা। যা সমর্থকদের ক্ষেপিয়ে তুলে বেশ। যদিও এই চিত্র ভিনিসিয়ুসের জন্য নতুন না। মাঠে নিয়মিতই এমন উদযাপন করে থাকেন তিনি। যার ফলে সমর্থকদের রোষানলেও পড়তে হয় তাকে। অনেকে তো এটাও মনে করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান বর্ণবাদী আচরণের পেছনে এই উদযাপনই দায়ী।
তবে মাঠের উদযাপন রিয়াল সমর্থকদের বিব্রত করছে বলেই মানছেন মিয়াতোবিচ। “আমরা তার গোল নিয়ে খুশি, এরপর আমরা উদযাপন নিয়ে হতাশ হয়েছি। তার এটা করার কী দরকার? সে নিজের অনেক ক্ষতি করছে এতে। আমি অনেক রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের সাথেই কথা বলেছি, তারা ওকে ভালোবাসে কিন্তু এমন উদযাপনে আমরা সবাই বিব্রত।”
লি লিগার অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে হরহামেশাই ভিনিসিয়ুস বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন। যা নিয়ে লা লিগা কিংবা তার ক্লাব রিয়াল সবসময়ই পাশে দাঁড়িয়েছে। রিয়াল সমর্থকরাও প্রিয় ফুটবলারকে এমন আচরণ থেকে রক্ষা করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছিলেন সরব।
মাঠে সমর্থকদের চাপ সামলাতে এমন উদযাপন করলেও এতে বিপরীত ঘটনা ঘটছে বলেই মানছেন মিয়াতোবিচ। তার দাবি এতে নিজের ওপর উল্টো চাপ তৈরি করছেন ভিনিসিয়ুস। “সে নিজের দিকে নিজেই ঢিল ছুড়ছে। তার আশেপাশে কি হচ্ছে তা জেনেও সে নিজের ওপর চাপ তৈরি করছে। তার উচিত আরও শান্ত থাকা।”
মাঠের ফুটবলে দুর্দান্ত খেলা বার্সেলোনা শিবিরে বড় একটা ধাক্কাই এসেছে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন দানি ওলমো, নিশ্চিত করেছে কাতালান ক্লাবটি।
গ্রীষ্মের দলবদলে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা কাটিয়ে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের পর থেকে দারুণ ছন্দেই ছিলেন ওলমো। আগের দুই ম্যাচে দুই গোলের পর গত রবিবার জিরোনার বিপক্ষেও একবার জালের দেখা পান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। এর মধ্য দিয়ে ২০১১ সালের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বার্সেলোনায় অভিষেকের পর প্রথম তিন ম্যাচে গোলের কীর্তি গড়েছেন।
তবে ৪৭তম মিনিটে গোলের ১৪ মিনিট পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। বার্সেলোনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডান হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
ফর্মে থাকা ওলমোর চোট চিন্তায় ফেলতে পারে হান্সি ফ্লিককে। কারণ, কমপক্ষে ছয়টি ম্যাচে তাকে পাবে না বার্সেলোনা, যার মধ্যে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তিনটি ম্যাচও। এমনকি আগামী ২৭ অক্টোবরের এল ক্লাসিকোতেও খেলা এখন পড়ে গেছে অনিশ্চয়তায়।
ওলমো ছাড়াও এই মুহূর্তে ভিন্ন ভিন্ন চোটে বার্সেলোনার আরও কয়েকজন খেলোয়াড়। তারা হলেন ফ্রেঙ্কি ডি জং, রোনাল্ড আরাউহো, আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন, ফার্মিন লোপেজ ও আনসু ফাতি। আর মিডফিল্ডার গাভি ১০ মাস পর এসিএল চোট কাটিয়ে অপেক্ষায় আছেন মাঠে ফেরার।
চোট সমস্যার মাঝেও অবশ্য দুরন্ত ফুটবল খেলে যাচ্ছে ফ্লিকের দল। লা লিগায় পাঁচ ম্যাচের সবগুলতে জিতে আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
৬ ঘণ্টা আগে
৭ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ ঘণ্টা আগে
৭ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ ঘণ্টা আগে
৭ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ ঘণ্টা আগে
৭ ঘণ্টা আগে
৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে