রীতিমতো নেচে গেয়ে এহসিয়া কাপ নিয়ে ঘরে ফিরেছে এশিয়া কাপ জেতা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে খুব বেশি আনন্দের সুযোগ পাচ্ছে না দলটা, ঘোষণা হয়েছে দলটার ক্রিকেটীয় নতুন ব্যস্ততা। মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের চার দলের স্কোয়াড ও সূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
দুবাইয়ে যুব এশিয়া কাপজয়ী অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বির পাশাপাশি বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে আছেন আরও বেশ কয়েকজন এশিয়া কাপজয়ী ক্রিকেটার। তারা হলেন - জিসান আলম, আশিকুর রহমান শিবলী, আরিফুল ইসলাম, ওয়াসি সিদ্দিকী ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৪ ডিসেম্বর শুরু হবে বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণে। লিগ পর্বের তিন ম্যাচের সবগুলো আয়োজিত হবে সেখানে। লিগপর্বের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ ও ২৮ ডিসেম্বর। তবে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মিরপুরে ফাইনাল।
আরও পড়ুনঃ বিসিএলে ৮৯ রানে নাঈম ইসলামের দিন
১১তম বিসিএলের দল
দক্ষিণাঞ্চল
প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, মোহাম্মদ মিথুন, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, মার্শাল আইয়ুব, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, আরিফুর রহমান শিবলী, সোহাগ গাজী, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, হাসান মুরাদ, ওয়াসি সিদ্দিক, মঈন খান, সুমন খান।
মধ্যাঞ্চল
মোহাম্মদ নাঈম, জিশান আলম, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, আরিফুল ইসলাম, শুভাগত হোম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মাহফিজুর রহমান বাব্বি, আবু হায়দার, এনামুল হক, রিপন মণ্ডল, আব্দুল মাজিদ, মেহেদী হাসান রানা, জাহিদুল হক জাহিদ
পশ্চিমাঞ্চল
পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, শাহাদাৎ হোসেন, ইয়াসির আলি, ইরফান শুক্কুর, সৈকত আলি, নাঈম হাসান, নাসুম আহমেদ, ইরফান হোসেন, রেজাউর রহমান রাজা, খালেদ আহমেদ, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান সোহাগ।
উত্তরাঞ্চল
চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রিতম কুমার, সাব্বির রহমান, অমিত হাসান, আকবর আলি, তাইজুল ইসলাম, নাহিদুল ইসলাম, নাহিদ রানা, ইয়াসিন আরাফাত, শাহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, তাইবুর রহমান, হাবিবুর রহমান।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
২০ দিন আগে