এখনও আছেন ফর্মের তুঙ্গে। চলতি মৌসুমে টনি ক্রুস যেভাবে খেলছেন, তাতে অনায়াসেই শীর্ষ পর্যায়ে আরও দুই-তিন বছর খেলা সম্ভব তার পক্ষে। সেটা না করে তিনি সম্প্রতি দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা, যা নিয়ে হতাশ তার রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ থেকে শুরু করে সমর্থক সবাই। তবে জার্মান মিডফিল্ডার অবসরের ভালো একটা দিক খুঁজে পেয়েছেন। সেটা কী? তা হল সাবেক ফ্রান্স ও রিয়াল মিডফিল্ডার জিনেদিন জিদানের সাথে খেলার সুযোগ!
প্রতি বছরই ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে লিজেন্ড ম্যাচের আয়োজন করে রিয়াল। যেখানে অংশ নেন ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড়রা। নিয়মিত মুখ হিসেবে দেখা যায় জিদান, সাবেক স্পেন ফরোয়ার্ড রাউল গনসালেস, সাবেক ব্রাজিল ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোসদের। একেক বছর প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকে ভিন্ন ভিন্ন একেকটি দল। এই ম্যাচে অংশ নেওয়ার একটাই শর্ত, পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরপ্রাপ্ত হতে হবে। আসছে ইউরো ২০২৪ খেলে অবসর নেওয়ায় এখন থেকে এই ম্যাচে খেলতে পারবেন ৩৪ বছর বয়সী ক্রুসও।
আরও পড়ুন: ‘আইডল’ ক্রুসের অবসরের ঘোষণায় ভালভের্দের হাহাকার
শনিবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজের শেষ ম্যাচ খেলবেন ক্রুস। রিয়াল বেতিস ম্যাচের আগে অবসর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার টেনে আনেন তার জিদান, রাউলদের সাথে খেলার সুযোগের বিষয়টি। “গতকাল (শুক্রবার) অনুশীলনের পর রাউলের সাথে দেখা হয়, সে বাইরেই ছিল। প্রথমে সে আমাকে বলেছিল যে, আমার সিদ্ধান্ত তার ভালো লাগেনি। কিন্তু সে এটাও বলেছিল যে, এর কিছু ইতিবাচক দিকও আছে, কারণ এখন আমি তার সাথে লিজেন্ড ম্যাচে খেলতে পারব। তিনি বলেন, আমি ও জিজু (জিনেদিন জিদান) তার পিছনে খেলব। ডানদিকে থাকবে ফিগো, আর পিছনে রবার্তো কার্লোস। এটা মজার ব্যাপার হতে পারে, কিন্তু দেখা যাক আমি প্রথমে আমন্ত্রণ পাই কিনা।”
গত মৌসুমেও অবসরের আভাস দিয়ে শেষ পর্যন্ত রিয়ালে চুক্তি বাড়ান ক্রুস। এই মৌসুমে যেভাবে খেলছেন, সাথে যোগ হয়েছিল আন্তর্জাতিক অবসর ভেঙে জার্মানি দলে ফেরার ব্যাপারটিও। তাতে ধারণা করা হচ্ছিল, কমপক্ষে আরও একটা মৌসুম তো খেলবেনই ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। “(অবসরের সিদ্ধান্ত) আমি প্রথমে কার্লোকে (আনচেলত্তি) বলেছিলাম। তারপর ক্লাব, লুকা (মদ্রিচ), ফেদে (ভালভের্দে), লুকাস (ভাসকেস)... অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনই ১০০ শতাংশ ছিল না। অনুভূতিগুলি অন্য দিকে চলে যায়। এটি সম্ভবত ৮০-২০ বা ৭০-৩০ ছিল। সেই ৩০ শতাংশই আপনাকে কিছু ভাবায়।”
২০১৪ সালে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে রিয়ালে যোগ দেন ক্রুস। এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলেছেন ৪৬৩টি ম্যাচ। জিতেছেন ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপাই, যার মধ্যে রয়েছে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কীর্তিও।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৩০ পিএম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:২৭ পিএম
আন্তর্জাতিক বিরতিতে ভুটানের সাথে চলতি মাসেই দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। উদ্দেশ্য ছিল ভুটানকে দুই ম্যাচে হারিয়ে নিজেদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করা। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা। ভুটানের সাথে প্রথম ম্যাচ জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচ হার দেখেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এতে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে প্রভাব। দুই ধাপ পিছিয়ে ফিফার সেপ্টেম্বর মাসের র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৪ থেকে ১৮৬ তে নেমে গেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এমন উল্টোপথে যাত্রা হলেও খুব একটা নড়াচড়া নেই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে। যথারীতি সবার ওপরের এক নম্বর জায়গাটা পাকাপোক্ত রেখেছে আর্জেন্টিনা। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার সাথে ম্যাচ হেরে যাওয়ার খেসারত আলবিসেলেস্তেদের দিতে হয়েছে পয়েন্ট হারিয়ে । ১৯০১ থেকে ১৮৮৯ তে নেমে এসেছে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট।
দুই নম্বর অবস্থান ফ্রান্সের, তিন ও চার নম্বরে আছে যথাক্রমে স্পেন ও ইংল্যান্ড। আর পাঁচ নম্বরে অবস্থান ব্রাজিলের। প্যারাগুয়ের সাথে হারায় র্যাঙ্কিংয়ে পেছনে না গেলেও ব্রাজিলকেও হারাতে হয়েছে পয়েন্ট। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল আছে ৮ নম্বরে।
সেপ্টেম্বর মাসের হালনাগাদে সবচেয়ে বড় লাফটা দিয়েছে ব্রুনেই। ১০ ধাপ এগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বর্তমান অবস্থান ১৮৩ তে। আর সবচেয়ে বেশি পিছিয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার। ১০ ধাপ পিছিয়ে কাতারের অবস্থান ৪৪ নম্বরে।
এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে জাপান। দুই ধাপ এগিয়ে তাদের অবস্থান ১৬-তে।
ম্যাচ শুরুর আগে একটা পরিসংখ্যান বেশ নজর কেড়েছিল বিশ্লেষকদের মাঝে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জিরোনার সব ফুটবলার মিলিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে ৬৫ ম্যাচ, যেই অভিজ্ঞতা কিনা আছে পিএসজির মার্কো অ্যাসেনসিওর একারই। এর কারণ অবশ্য জিরোনা প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসাটা। তাদের ফুবলারদের এই ৬৫ ম্যাচের অভিজ্ঞতাও হয়েছে ভিন্ন ক্লাবের হয়ে। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পিএসজির কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে তারা। শেষ মূহর্তে ম্যাচ হারলেও জিরোনা জিতে নিয়েছে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের মন।
ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও তারা জিরোনার রক্ষণ টলাতে পারেনি। ম্যাচের একেবারে শেষ মূহর্তে জিরোনা গোলকিপার পাওলো গাযানিগার ভুলে গোল হজম করেছে তারা। তাতে পুরো ম্যাচের কঠিন পরিশ্রমটাই যেন বৃথা গেল দলটার।
অবশ্য পয়েন্ট না পেলেও জিরোনা ঠিকই প্রশংসা কুড়িয়েছেন পিএসজি কোচ এনরিকের। স্প্যানিশ ক্লাবটার বিপক্ষে খেলা কতটা কঠিন সেটাই ম্যাচ শেষে শুনিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। “আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে ছিলাম, তবে রক্ষণে তারা আমাদের আটকে দিয়েছিল বারবারই। খুবই কঠিন ছিল তাদের বিপক্ষে খেলা। সম্মান রেখেই ম্যাচে শেষে ওদের কোচকে বলেছি তাদের বিপক্ষে খেলা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার চেয়েও কষ্টকর।”
সব মিলিয়ে এদিন ৬৪ ভাগ বলের দখল আর ২৬ শট নিয়েও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পিএসজিকে শেষ মূহর্ত পর্যন্ত। অবশ্য এর মধ্যে তারা অন টার্গেটে শট রাখতে পেরেছে মোটে পাঁচটা। যার বড় কৃতিত্বই জিরোনার। দলের এমন পারফরম্যান্সে গর্বিত জিরোনা কোচ মিচেল।
ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের ভাসিয়েছেন প্রশংসায়, “ড্রেসিংরুমে ফুটবলাররা এখন কিছুটা হতাশ। তবে আমি ওদের বলেছি যেই পারফরম্যান্স দেখিয়েছি আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করা উচিত। পিএসজি আমাদের চাপে রেখেছিল, গাযানিগা বেশ কিছু ভালো সেইভ দিয়েছিল। যার মধ্যে দুই তিনটা গোলও হতে পারতো। জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল, তবে আমরা যেই পরিশ্রম করেছি তা নিয়ে নিজেদের গর্ব করা উচিত।”
বুধবার রাতে জয় পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, সেল্টিক এবং স্পার্তা প্রাগও। সর্বশেষ আসরের ফাইনাল খেলা ডর্টমুন্ড ৩-০ গোলে হারিয়েছে ক্লাব ব্রাগাকে। সেল্টিক নিজেদের মাঠে স্লভোন ব্রাতিসলাভাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-১ গোলে। সালজবুর্গের বিপক্ষে স্পার্তার জয় ৩-০ ব্যবধানে। আর বোলোনিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে শাখতারের সাথে।
ইতিহাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুটা এবার ঠিকঠাক হলো না ম্যানচেস্টার সিটির। অবশ্য এর পুরো কৃতিত্বই দিতে হবে ইন্তার মিলানকে। সিমনে ইনজাগির দল ম্যাচজুড়েই রক্ষণে ছিল বেশ সাবলীল। অনেকটা গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দেখানো পথেই হেঁটেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। তাতে তারা বেশ সফলও। উড়ন্ত সিটিকে তাদের ঘরের মাঠেই আটকে দিয়েছে গোল শূন্য ড্র-তে।
দুই দলের শেষবার দেখা হয়েছে ইস্তানবুলে ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। ৪৬৬ দিন পর ইউরোপিয়ান দুই সেরা দল আর সেরা কোচের লড়াই ছিল কিছুটা ধীরগতিরই। যার কারণ ইন্তারের রক্ষণাত্মক মনোভাব। সিটি বলের দখল কিংবা আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি। ৪ ম্যাচে ৯ গোল করা হলান্ড এদিন আটকে গেছেন আকেরবি-বাস্তোনিদের রক্ষণের সামনে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পেপ গার্দিওলার অধীনে সিটি ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো গোল করতে পারেনি। তাই ম্যাচ শেষে টিনএনটি স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে ইন্তারকে গার্দিওলা দিয়েছেন পুরো কৃতিত্বই, “আমরা খুবই ভালো খেলেছি, এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ফাইনাল থেকেও। আমার দলের ওপর ভরসা আছে, খুবই দারুণ একটা দল। ইন্তার রক্ষণে ছিল দুর্দান্ত। ডিফেন্সে আর ট্রাঞ্জিশনে তারা সেরা ছিল।”
অন্যদিকে ইন্তার কোচ ইনজাগিও সন্তুষ্ট ইতিহাদ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারায়, “দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে ছেলেরা। ওদের বলেছি তোমারা ভালো করেছো। যেমনটা বলেছি তারা তেমনটাই খেলছে। সবাই জানি সিটি কতটা শক্তিশালী, তাদের আটকাতে আমাদের সেরা একটা ম্যাচ খেলতে হতো। যেটা আমরা করেছি। আমরা কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছি আবার একসাথে তাদের রুখতে ডিফেন্সও করেছি।”
এদিন সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ৬০ ভাগ বলই রেখেছিল তাদের কাছে। অন টার্গেট শটেও এগিয়ে ছিল গার্দিওলার দল। সব মিলিয়ে ৫টি অন টার্গেট শট নিয়েছিল তারা। অন্যদিকে ইন্তারও কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল। তারা সব মিলিয়ে সিটির গোলপোস্টে শট রাখতে পেরেছিল ৪টি।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে