১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দল নিয়ে সবার মূল আগ্রহ ছিল একটি বিষয় নিয়েই, তা হল কে হবেন ডেভিড ওয়ার্নারের উত্তরসূরি। উত্তরটা মিলল অবশেষে। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ওপেন করবেন স্টিভ স্মিথই। এই পজিশনের জন্য অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে বেছে নিয়েছে অজিরা।
আগামী ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এজন্য বুধবার ১৩ সদস্যের দল দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। দলে ফেরানো হয়েছে ওপেনার ম্যাথু রেনশোকে, স্কোয়াডে আছেন অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিনও।
আরও পড়ুন: অজিদের হয়ে ওপেন করতে আগ্রহী স্মিথ
পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার শেষ টেস্ট সিরিজ দিয়ে লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অভিজ্ঞ ওপেনার ওয়ার্নার। এরপর থেকেই আলোচনায় ওপেনিংয়ে উসমান খাজার সঙ্গী কে হবেন, সেই বিষয়টি। নিয়মিত ওপেনাররা তো আছেনই, মাঝে যোগ হন স্মিথও। সরাসরি জানিয়ে দেন, ওপেন করতে চান তিনি।
যদিও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সেটা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি নিশ্চিত করে দিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থেকেই ওপেনার হিসেবেই স্মিথকে খেলানোর সিদ্ধান্ত তাদের। ৩৪ বছর বয়সে যা খুলে দিল স্মিথের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। ১০৫ টেস্টে ৫৮.০১ গড়ে ৩২ সেঞ্চুরি ও ৫০ ফিফটিতে ৯,৫১৪ রান করা এই ব্যাটার নতুন ভূমিকায় কেমন করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ব্যাটিং অলরাউন্ডার গ্রিন মূল একাদশেও থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বেইলি। মিচেল মার্শের জায়গা দলে নিশ্চিত হওয়ায় গ্রিনের ব্যাটিং পজিশন মিডল অর্ডারে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর সেটা হলে গ্রিনের জন্যও দরজা খুলে যাবে নিজের প্রিয় চার নম্বরে ব্যাট করার। মার্শ শেফিল্ড শিল্ডে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৪ ইনিংসে চারে নম্বর পজিশনে ২৪ বছর বয়সী গ্রিনের ব্যাটিং গড় ৬৫.১।
আরও পড়ুন: অজিদের নতুন টেস্ট ওপেনার স্মিথ, দলে ফিরলেন রেনশো
শেফিল্ড শিল্ডে শেষ মৌসুমে ৩১.৬ গড়ে ৩৪৮ রান করেছেন রেনশো। তার দলে আসার পেছনে ভূমিকা রয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ১৩৬ রানের ইনিংসটিরও। এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্ট খেলে ২৯.৩১ গড়ে তার রান ৬৪৫। শেষ টেস্টটি খেলেছেন গত বছরের ফেরুয়ারিতে, ভারতের বিপক্ষে।
এছাড়া দলে আর খুব বেশি পরিবর্তন নেই। দলে ফিরেছেন ডানহাতি গতিময় পেসার স্কট বোল্যান্ড। এই ফরম্যাটে ১০ ম্যাচে তার শিকার ৩৫ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়া টেস্ট স্কোয়াড:
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্টিভ স্মিথ, ক্যামেরন গ্রিন, ট্র্যাভিস হেড, ম্যাথিউ রেনশো, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, অ্যালেক্স কেরি, নাথান লায়ন, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, স্কট বোল্যান্ড।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:০৪ পিএম
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৪৭ পিএম
চা বিরতির ঠিক আগে আক্রমণে ফিরলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই আউট হলেন পেসার হাসান মাহমুদ, আর তখনই চা বিরতি দিয়ে দিলেন আম্পায়াররা। আর সেটা বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছে আরও বিপদের মুখে। একে একে যে এই সেশনেই সাজঘরে ফিরেছেন পাঁচ ব্যাটার। তাতে এখন উঁকি দিচ্ছে ফলো-অনের শঙ্কা।
দিনের শুরুতে ভারতকে দ্রুতই ৩৭৬ রানে অলআউট করে ভালো কিছু আশা জাগাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ে নামতেই উবে যায় সব। ভারতের পেসারদের সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। তাতে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
যেখানে শেষ, সেখান থেকেই যেন শুরু দ্বিতীয় সেশনের। বুমরাহকে এক ওভারে দুটি চার মেরে অবশ্য ইতিবাচক ক্রিকেটের আভাস ছিল মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে। তবে তাদের লড়াই বেশিদূর যেতে পারেনি। ৩ চারে ২০ রান করে মোমাম্মদ সিরাজের শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পরের ওভারে মুশফিকুরকেও ফিরিয়ে মাত্র ৩৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। দাঁতে দাঁত চেপে এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
এই দুজনের ৫২ রানের জুটি ভাঙে রবীন্দ্র জাদেজার বলে লিটন দাস সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউটে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে জাদেজাকেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও। তার আগে খেলেন ৩২ রানের ইনিংস।
এরপর হাসানের ওই উইকেট। আর তাতে ৩৬.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে ১১২। পিছিয়ে এখনও ২৬৪ রানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্টের দুর্দান্ত ফর্ম নিয়েই নেমেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। আর সেই উপলক্ষ্যটা কী দারুণভাবেই না রাঙিয়েছেন হাসান মাহদুদ। চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পূর্ণ করেছেন পাঁচ উইকেট। ফলে টানা দুই ইনিংসে ফাইফার নেওয়ার অসাধারণ কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশ পেসার। তাতে রেকর্ডের পাতায়ও এনেছেন কিছু পরিবর্তন।
এই টেস্টের প্রথম ইনিংস হাসান শেষ করেছেন ৮৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের পেসারদের এটিই এখন সেরা বোলিং ফিগার। আগেরটি ছিল আবু জায়েদ রাহির (৪/১০৮)।
চার ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দুইবার ইনিংসে পাঁচ শিকার করেছেন হাসান। আর এটা তাকে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় তুলে এনেছে যৌথভাবে রবিউল ইসলামের (৯ ম্যাচ) পাশে। চারবার ফাইফার নিয়ে শীর্ষে আছে শাহাদাস হোসেন (৩৮ ম্যাচ)।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন হাসান। অন্য চারজন হলেন নাঈমুল রহমান দুর্জয়, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও শাহাদাত হোসেন।
বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টানা দুই ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন হাসান। এর আগে এই রবিউল এই কীর্তি গড়েন ২০১৩ সালে হারারেতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
হাসান মাহমুদ প্রথম বাংলাদেশি বোলার যিনি ভারতে টেস্ট ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন। এরআগের সফরগুলোতে সাকিব-তাইজুল-মিরাজদের মত কোন স্পিনারও এই সাফল্য দেখাতে পারেননি। একজন পেসার হিসেবে চেন্নাইয়ের উইকেটে হাসানের সাফল্যে ভারতকে ৩৭৬ রানে অলআউট করে টাইগাররা।
২০১৯ সালে ইন্দোর টেস্টে পেসার আবু জাহেদ রাহি ১০৮ রানে চার উইকেট নিয়েছিলেন- এটাই ছিল বাংলাদেশি কোন বোলারের সেরা সাফল্য। এবার হাসান মাহমুদ ৮৩ রান খরচায় নিলেন পাঁচ উইকেট। জাসপ্রীত বুমরাহকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে পাঁচ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেন হাসান। বুমরাহ ছাড়া তার বাকি চার শিকারের সবাই প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা ব্যাটসম্যান। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, ভিরাট কোহলি ও রিশাভ পান্ত- প্রত্যেকেই টেস্টের প্রথমদিন তাঁর দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ের শিকার হন। এরমধ্যে প্রথম তিন জন আউট হন সিঙ্গেল ফিগারে, একমাত্র পান্ত খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস।
রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের শেষ ইনিংসে ৪৩ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান, যেটি ঐ টেস্ট জিততে সহায়তা করেছিল টাইগারদের। অর্থাৎ টানা দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন হাসান। মাত্র চতুর্থ টেস্ট খেলছেন তিনি, সবমিলে ১৯ উইকেট তাঁর ঝুলিতে ২২.৭৮ গড়ে। তাঁর এই দুর্দান্ত শুরু নতুন দিনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকে। এখনও ২৫ বছর না ছোঁয়া হাসান টানা দুই ইনিংসে ফাইফার পেয়ে ধারাবাহিকতার নজিরও রাখলেন।
লক্ষীপুরের লক্ষ্মী ছেলে হাসান এখন পর্যন্ত ২০টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন, কিন্তু পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন কেবল ঐ টেস্ট ম্যাচে। দু’বারই ঘটনা ঘটেছে বিদেশের মাটিতে।
এরআগে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে ইনিংসে সর্বাধিক চারবার পাঁচ উইকেট নেন শাহাদাত হোসেন। দু’বার করে নেন রবিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। এছাড়া একবার করে নিয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। সবমিলে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের ক্লাবে আছে ৭ বাংলাদেশি পেসারের নাম।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে