১০ জানুয়ারি ২০২৪, ৫:১৪ পিএম
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দল নিয়ে সবার মূল আগ্রহ ছিল একটি বিষয় নিয়েই, তা হল কে হবেন ডেভিড ওয়ার্নারের উত্তরসূরি। উত্তরটা মিলল অবশেষে। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ওপেন করবেন স্টিভ স্মিথই। এই পজিশনের জন্য অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে বেছে নিয়েছে অজিরা।
আগামী ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এজন্য বুধবার ১৩ সদস্যের দল দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। দলে ফেরানো হয়েছে ওপেনার ম্যাথু রেনশোকে, স্কোয়াডে আছেন অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিনও।
আরও পড়ুন: অজিদের হয়ে ওপেন করতে আগ্রহী স্মিথ
পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার শেষ টেস্ট সিরিজ দিয়ে লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অভিজ্ঞ ওপেনার ওয়ার্নার। এরপর থেকেই আলোচনায় ওপেনিংয়ে উসমান খাজার সঙ্গী কে হবেন, সেই বিষয়টি। নিয়মিত ওপেনাররা তো আছেনই, মাঝে যোগ হন স্মিথও। সরাসরি জানিয়ে দেন, ওপেন করতে চান তিনি।
যদিও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সেটা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি নিশ্চিত করে দিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থেকেই ওপেনার হিসেবেই স্মিথকে খেলানোর সিদ্ধান্ত তাদের। ৩৪ বছর বয়সে যা খুলে দিল স্মিথের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। ১০৫ টেস্টে ৫৮.০১ গড়ে ৩২ সেঞ্চুরি ও ৫০ ফিফটিতে ৯,৫১৪ রান করা এই ব্যাটার নতুন ভূমিকায় কেমন করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ব্যাটিং অলরাউন্ডার গ্রিন মূল একাদশেও থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বেইলি। মিচেল মার্শের জায়গা দলে নিশ্চিত হওয়ায় গ্রিনের ব্যাটিং পজিশন মিডল অর্ডারে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর সেটা হলে গ্রিনের জন্যও দরজা খুলে যাবে নিজের প্রিয় চার নম্বরে ব্যাট করার। মার্শ শেফিল্ড শিল্ডে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৪ ইনিংসে চারে নম্বর পজিশনে ২৪ বছর বয়সী গ্রিনের ব্যাটিং গড় ৬৫.১।
আরও পড়ুন: অজিদের নতুন টেস্ট ওপেনার স্মিথ, দলে ফিরলেন রেনশো
শেফিল্ড শিল্ডে শেষ মৌসুমে ৩১.৬ গড়ে ৩৪৮ রান করেছেন রেনশো। তার দলে আসার পেছনে ভূমিকা রয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ১৩৬ রানের ইনিংসটিরও। এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্ট খেলে ২৯.৩১ গড়ে তার রান ৬৪৫। শেষ টেস্টটি খেলেছেন গত বছরের ফেরুয়ারিতে, ভারতের বিপক্ষে।
এছাড়া দলে আর খুব বেশি পরিবর্তন নেই। দলে ফিরেছেন ডানহাতি গতিময় পেসার স্কট বোল্যান্ড। এই ফরম্যাটে ১০ ম্যাচে তার শিকার ৩৫ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়া টেস্ট স্কোয়াড:
প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্টিভ স্মিথ, ক্যামেরন গ্রিন, ট্র্যাভিস হেড, ম্যাথিউ রেনশো, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, অ্যালেক্স কেরি, নাথান লায়ন, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, স্কট বোল্যান্ড।
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৫:৩৮ পিএম
দেশের ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির ঝড় তুলতে আসছে আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক এনসিএল টি-টোয়েন্টি পাওয়ার্ড বাই ওয়ালটন। সিলভার স্পন্সর হিসেবে থাকছে লিলি ময়েশ্চারাইজ লোশন। শনিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক ফাহিম সিনহা। স্পন্সরদের পক্ষ থেকে ছিলেন আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ফরমান আর. চৌধুরী, ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিনুল ইসলাম খান ও রিমার্ক-হারল্যান গ্রুপের ব্র্যান্ড এম্বোসেডর, চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ।
বিসিবি সভাপতি ফারুক মনে করেন, এই টুর্নামেন্টে দেশীয় ক্রিকেটারদের প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে।
“বিপিএলের আগে এই টুর্নামেন্ট দেশী ক্রিকেটারদের প্রমাণের মঞ্চ। আমি আশা করি ক্রিকেটাররা সে সুযোগ নেবে এবং নিজেদের মেলে ধরবে, যা কিনা দেশের ক্রিকেটকে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। এছাড়া আমি টুর্নামেন্টের ব্রডকাস্টার টি স্পোর্টসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে।”
শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। আগামী ১১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। অংশ নেবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের সাত দল ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, সিলেট বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। আট দলের লিগ পর্বের ম্যাচগুলো হবে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম আউটার মাঠে। প্লে-অফের চারটি ম্যাচ হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
সবগুলো ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের প্রথম ও একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। এছাড়া ভারতে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ফ্যানকোড ও বিশ্বের বাকি অংশে ম্যাচগুলো দেখা যাবে টি স্পোর্টস ইউটিউব চ্যানেলে।
প্রথম ইনিংসে ৮ বলে শূন্য রান করা ইশাসভি জয়সওয়াল ২য় ইনিংসেই গড়লেন রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে এক পঞ্জিকাবর্ষে এখন সর্বোচ্চ ছক্কা মারা ব্যাটার ভারতের এই ওপেনার। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ৫ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে এই রেকর্ড গড়লেন ইয়াশাসভি।
পার্থ টেস্টের শুরুটা ভালো না হলেও ২য় ইনিংসে তা পুষিয়ে দিয়েছেন জয়সওয়াল। ১৫০ রানে সবকটা উইকেট হারানো ভারত ২য় দিন শেষে ২য় ইনিংসে তুলেছে বিনা উইকেটে ১৭২ রান। ১৯৩ বলে ৯০ রান করেছেন ইয়াশাসভি। অন্য ওপেনার কে এল রাহুল দাঁড়িয়ে ১৫৩ বলে অপরাজিত ৬২ রানে।
জয়সওয়ালের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা রয়েছে। ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে প্রথম ছক্কাটি মেরে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের বর্তমান কোচ ম্যাককালাম ২০১৪ সালে ৩৩টি ছক্কা মেরে গড়েছিলেন রেকর্ড।
রেকর্ড ভাঙতে খুব বেশি অপেক্ষা করেননি জয়সওয়াল। ৫২তম ওভারের চতুর্থ বলে অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনার নাথান লায়নকে ১০০ মিটার দূরত্ব পার করা এক ছক্কায় ছাড়িয়ে যান ম্যাককালামকে।
আগের রেকর্ডধারী ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৩৩টি ছক্কা মেরেছিলেন মাত্র ৯ টেস্ট খেলে। জয়সোয়াল ৩৪ টি ছক্কায় সে রেকপর্ড ভাঙলেন ১২ টেস্টে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এক পঞ্জিকাবর্ষে সবোঁচ্চ ছক্কার তালিকার সেরা ৫ জনকে।
খেলোয়াড় | ছক্কা |
ইয়াশাসভি জয়সওয়াল | ৩৪ (২০২৪) |
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম | ৩৩ (২০১৪) |
বেন স্টোকস | ২৬ (২০২২) |
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট | ২২ (২০০৫) |
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ | ২১ (২০০৪) |
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে এসে পৌছেছে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। সাদা বলের ক্রিকেটের এই চ্যালেঞ্জের আগে নিজেদের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে দুই দলের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন।
সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। মূলত নিজেদের ফিটনেস নিয়েই এদিন বেশি মনোযোগ দিয়েছে নিগার সুলতান জ্যোতিরা। জিমে ট্রেনিং সেশন করে, নেটে করেছে ব্যাট-বলের অনুশীলন।
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের অনুশীলন করার কথা ছিল দুপুরে। বাংলাদেশের মাটিতে ৩ টি ওয়ানডে ও ৩ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে আইরিশরা। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে হোম অব ক্রিকেটে। ২৭ নভেম্বর মাঠে গড়াবে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। সিরিজের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে সিরিজ শেষ করেই তাই সিলেটে চলে যাবে দুই দল। সেখানেই খেলবে ৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ৫ ডিসেম্বর হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দ্যেশ্য রওনা দেবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়েছে যুবাদের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। উৎসাহ দিতে ক্রিকেটার-কোচদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও।
ফটোসেশনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ নাভিদ নাওয়াজ ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। এ সময় তামিম জানান তাদের পরিকল্পনার কথা।
‘আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আমাদের এই দলে আগের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া পাঁচজন ক্রিকেটার আছেন। আমরা দারুণ আশাবাদী এবারও শিরোপা জিততে পারব।‘
গেলবার বাংলাদেশ যুবাদের কোচ ছিলেন স্টুয়ার্ট ল। এবার যুব বিশ্বকাপ জেতানো কোচ নাভিদ নাওয়াজকে পাওয়া দলের জন্য বাড়তি প্রেরণা বলেই মনে করেন এই অধিনায়ক।
‘বিশ্বকাপজয়ী কোচ আছেন আমাদের সঙ্গে। এটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমরা চাই এশিয়া কাপের পাশাপাশি যেন বিশ্বকাপও জিততে পারি। গত তিন-চার মাস ধরে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ঘরের মাঠে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দাপুটে সিরিজ জয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমাদের দলের বন্ধন অসাধারণ।’
অধিনায়কের মত কোচের কন্ঠেও ঝড়ে আত্মবিশ্বাসের বাণী।
‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সিলেট ও রাজশাহীতে ক্যাম্প করেছি। দলের জন্য একটি নির্দিষ্ট কৌশল তৈরির চেষ্টা করেছি। ভালো পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে বিশ্ব ক্রিকেটে ফলাফল আসবেই। তবে দলটি এখনো নতুন। এশিয়া কাপের পর আরও কিছু সিরিজে আমরা নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের পূর্ণ প্রতিচ্ছবি দেখতে পাব। বিশ্বকাপ জেতার ভাবনা এখন মাথায় নেই, বরং আমি দলের ভিত শক্ত করতেই বেশি মনোযোগী। সেখান থেকেই ক্রিকেটাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো করবে।’
আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এগারোতম আসর। আরব আমিরাতের আয়োজনে এই আসর শেষ হবে ৮ ডিসেম্বর। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে এবারের আসরে খেলবে মোট ৮ দল। গ্রপ পর্বে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রত্যেক দল প্রত্যেকের বিপক্ষে খেলবে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল যাবে সেমিফাইনালে। প্রথম সেমি হবে দুবাইয়ে। দ্বিতীয় সেমি শারজায়।
টুর্নামেন্টে বি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। মূল পর্বের খেলা শুরুর আগে ভারতের বিপক্ষে একটি গা গরমের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৬ নভেম্বর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের জন্য ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৪ জনের সঙ্গে এবারের সফরে বাংলাদেশ দলের স্ট্যান্ডবাই হিসেবে যাবেন ৪ জন। ২০২৩ সালে আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের একমাত্র শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বাসির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান, সাদ ইসলাম রাজিন।
তিলক ভার্মা, ভারতের নতুন এই ক্রিকেট সেনসেশন একের পর এক চমক দিয়েই চলেছেন। এবার গড়লেন নতুন বিশ্ব-রেকর্ড, প্রতিযোগিতামূলক আসরে টানা তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করলেন নাম্বুরি ঠাকুর তিলক ভার্মা। নামের মতই চওড়া তাঁর ব্যাট, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির পর এবার সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে পেলেন তিন অংকের দেখা!
সেঞ্চুরিয়নে খেলেছিলেন ৫১ বল, জোহানেসবার্গে ৪১, আর এবার রাজকোটে খেললেন ৫১ বল। টানা তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিন অংক স্পর্শ করতে এই হচ্ছে তাঁর খেলা বলের সংখ্যা। তবে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐ দুই ইনিংস ছিল অপরাজিত ১০৭ ও অপরাজিত ১২০। এবার সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে খেলেছেন ৬৬ বলে ১৫১ রানের ইনিংস। এখন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা ৩ ম্যাচে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ভারতের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সর্বশেষ ৩ ম্যাচে শুধু ছক্কাই মেরেছেন ২৭টি। রাজকোটে হায়দরাবাদের হয়ে মেঘালয়ের বিপক্ষে তিলক ছক্কা মেরেছেন ১০টি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও মেরেছেন ১০টি ছক্কা, আগের ম্যাচে ৭টি। এই ৩ ম্যাচে ১৬৯ বলে করেছেন ৩৭৮ রান, স্ট্রাইকরেট ২২৩!
দেশের হয়ে ২০ টি-টোয়েন্টি খেলেই এখন দুই সেঞ্চুরির মালিক তিলক, অথচ আইপিএলে তিলকের পরিচয় খুব বড় কিছু না! ৩৮ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৪! যদিও ১৪৬ স্ট্রাইক রেট, আর ৪০ গড় বলে দেয় তাঁর সক্ষমতার কথা। ২০২৩ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও তিলক প্রথম এক বছর দলে থিতুই হতে পারেননি। অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে শিবম দুবের জায়গায় সুযোগ পেলেও একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। এমন পরিস্থিতে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তিনে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন।
তবে একদিক দিয়ে দুর্ভাগা তিলক ভার্মা। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আইপিএলে তিলককে ৮ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছে। তা না হলে আসন্ন আইপিএল নিলামে দামটা আরও বাড়িয়েই নিতে পারতেন!
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে