১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬:৪৪ পিএম
খেলোয়াড়ী জীবনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননা প্রাপ্তির রেকর্ড রয়েছে জাতীয় দলের এক সময়ের নাম্বার ওয়ান তারকা শাটলার এনায়েত উল্লাহ খানের। বাংলাদেশ জাতীয় দল কিংবা পুলিশ টিমের কোচ হিসেবেও দারুণ সফল নারায়ণগঞ্জের এ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। সাফল্যের সেই ধারাকে এবার আরো এক ধাপ ওপরে নিয়ে গেলেন। এনায়েত উল্লাহ খানের হাত ধরে বাংলাদেশ প্যারা ব্যাডমিন্টনে ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ইন্দোনেশিয়ার সোলোতে চলছে ফক্সেস ইন্দোনেশিয়া প্যারা ব্যাডমিন্টন ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্ট। আজ ১০ সেপ্টেম্বর পর্দা নামবে আসরের। তবে তার আগেই গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্ট থেকে একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেয় বাংলাদেশ। ডাবলসে কুয়েতের শাটলার আব্দুল্লাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদেশকে এই পদক এনে দেন এনায়েত উল্লাহর শিষ্য মো. ইয়ামিন। এসএইচ-৬ ক্যাটাগরির প্যারা শাটলার ইয়ামিন টুর্নামেন্টের এককেও অংশ নিয়েছিলেন। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যান তিনি।
ইন্দোনেশিয়াতে প্যারা শাটলার শিষ্য ইয়ামিনের সাফল্যের পেছনে রহস্যের কথা জানিয়ে এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ইয়ামিন অনেক পরিশ্রমী একজন শাটলার। চায়ের দোকানে কাজ করার পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে সে। জাতীয় টুর্নামেন্টগুলোতে দারুণ করছে। ইন্দোনেশিয়াতে আসর আগে ইয়ামিন ২০২২ সালে দু’বার বাহরাইনে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এবং একবার জাপানে ওয়ার্ল্ড প্যারা চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ইয়ামিন যেহেতু পূর্ব থেকেই বড় বড় দেশের শাটলারদের সঙ্গে খেলছে; সেহেতু আমার বিশ্বাস ছিল ইন্দোনেশিয়াতে সে ভালো কিছুই করবে। তবে এতটা ভালো করবে আশা ছিল না। কারণ ডাবলসে ইন্দোনেশিয়ার মতো শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল। এছাড়া পেরু, মালয়েশিয়া, কুয়েতের মতো দেশের শাটলাররাও এতে অংশ নিয়েছেন। ইয়ামিনের এমন সাফল্য শুধু আমি কেন পুরো বাংলাদেশ গর্বিত।’
আরও পড়ুন: অলিম্পিকে যুক্ত হচ্ছে ক্রিকেট
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে মোট ৬ ক্যাটাগরিতে মোট ১২০ জন প্যারা খেলোয়াড় রয়েছেন। তাদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক বাংলাদেশ (এনপিসি)। এই এনপিসির একজন সদস্য এনায়েত উল্লাহ খান। প্যারা ব্যাডমিন্টন কিংবা অন্য প্যারা ইভেন্টে বাংলাদেশ যে ভালো করছে তার সমস্ত কৃতিত্ব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং এনপিসির সদস্যদের বলে মন্তব্য এনায়েতের। এ ব্যাপারে এনায়েত বলেন, ‘আমরা একজন সুদক্ষ, যোগ্য, ক্রীড়ানুরাগী ক্রীড়ামন্ত্রী পেয়েছি। জাহিদ আহসান রাসেল মহোদয় পাশে আছেন বলেই আমরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরে থেকেও সাফল্য বয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছি। আজকে ইয়ামিনের যে সাফল্য তাতে ক্রীড়ামন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতা না থাকলে সম্ভব হতো না। এর বাইরে আমাদের এনপিসির সম্মানিত মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুর রহমান স্যার, সালাম স্যার, আমিনুল স্যার, বিগ্রে. ফকরুদ্দিন হায়দার, ভ্যালরিসহ সকল সদস্যের ঐকান্তিক চেষ্টা এবং পরিশ্রমে এগিয়ে চলছে দেশের প্যারা অলিম্পিক কার্যক্রম। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’
পদক জয়ে দারুণ খুশি শাটলার ইয়ামিন। তিনি জানান, ‘এনায়েত স্যার না থাকলে আজ আমি এতদূর আসতে পারতাম না। স্যার নিজের পকেটের টাকা খরচ করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। এর আগেও আমি স্যারের সঙ্গে জাপানে বিশ্ব প্যারা চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বাহরাইনে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছি। তবে এবার ইন্দোনেশিয়াতে আসার আগে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। ১৪টি দেশ এবারের আসরে অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে আমি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। কুয়েতের পার্টনার আব্দুল্লাহকে নিয়ে। এনায়েত স্যারের হাত ধরে সামনে আমি প্যারা অলিম্পিকে নাম লেখাতে চাই। তার জন্য যত কষ্ট করতে হয় আমি সেই কষ্ট করার জন্য প্রস্তুত আছি। ২০২৪ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব প্যারা অলিম্পিক। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট গুলোতে ভালো খেলে আমি অলিম্পিকে সরাসরি অংশ নিতে চাই। আমার লক্ষ্য এখন সেটাই।’
যে কোনো ক্রীড়া এবং ক্রীড়াবিদের এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে স্পন্সরের ভূমিকা অপরিসীম। প্যারা ব্যাডমিন্টনও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এখানে স্পন্সররা এগিয়ে আসছেন না। এতে কিছুটা হলেও হতাশ এনায়েত উল্লাহ। জানান, ‘আমরা এক সময় শাটলার ছিলাম। স্পন্সরের সহযোগিতায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে খেলার সুযোগ পেয়েছি। দেশের জন্য সাফল্য বয়ে এনেছি। প্যারা ব্যাডমিন্টনও দারুণ একটা সম্ভাবনাময় ইভেন্ট। এখানে স্পন্সররা এগিয়ে আসলে খেলাটি আরো প্রসারিত হবে; অনেক প্যারা শাটলারের স্বপ্ন পূরণ হবে। তাদেরকে অন্যের দ্বারস্ত হয়ে জীবন কাটাতে হবে না। আমি স্পন্সরদের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি এই খেলাটিকে এগিয়ে নিতে আপনার সহযোগিতার হাত বাড়ান।’ উল্লেখ্য যে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে ইন্দোনেশিয়ার এই আসরে ইয়ামিনকে নিয়ে এবার অংশ নিয়েছেন এনায়েত।
বাংলাদেশ প্যারা ব্যাডমিন্টন দল নিয়ে অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন এনায়েত উল্লাহ খান। সেই ২০১৮ সাল থেকে। শুরুতে এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এনায়েত এখন প্যারা ব্যাডমিন্টনের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত। জাতীয় পর্যায়ে তো কাজ করছেনই নিয়মিত;অংশ নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক আসরেও। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্যারা ব্যাডমিন্টনে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে আলোচনার ঝড় তোলেন এনায়েত। এরপর করোনা পরবর্তী সময়ে খেলোয়াড় এবং কোচেস কোর্স আয়োজন করেন। ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় প্যারা ব্যাডমিন্টন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। চলতি বছরের নভেম্বরে তৃতীয় আসর আয়োজনের ইচ্ছার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কোচ-শাটলার এনায়েত উল্লাহ খান।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:১৩ পিএম
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
ম্যাচ শেষে নিজের দিকে তাক করা ক্যামেরা দেখে মেজাজই হারালেন এমি মার্তিনেজ। হতাশ হতেই পারেন, কিন্তু কলম্বিয়ার কাছে হারে আর্জেন্টিনার মেজাজ হারানোর আসলেই কী কারণ আছে? ম্যাচ স্ট্যাট বলছে কলম্বিয়া জিতেছে যোগ্য দল হিসেবেই। এক্সপেক্টেড গোল রেশিওতে যেখানে কলম্বিয়া ২.৯৯ আর আর্জেন্টিনা ০.৯। সবমিলে ১৩ শটের একটি আর্জেন্টিনা রাখতে পেরেছে অন টার্গেট, সেখান থেকেই গোলও আদায় করেছিল। কিন্তু হামেস রদ্রিগেজের ম্যাচে আর শেষ পর্যন্ত কলম্বিয়ার সঙ্গে পেরে ওঠেনি আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে বছরের প্রথম হার দেখেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
মাস দেড়েক আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালেই দুই দলের দেখা হয়েছিল। সেই ম্যাচের রেশ ছিল এবারও। ঘরের মাঠ, সঙ্গে হারের তাজা স্মৃতি- সবমিলে কলম্বিয়ারই তেঁতে থাকার কথা ছিল। তবে বারাঙ্কিলার ভ্যাপসা গরমের কলম্বিয়ার দাপট দেখার আগে উলিয়ান আলভারেজ এগিয়ে দিতে পারতেন দলকে। প্রেস করে কলম্বিয়া গোলকিপার ভার্গাসকে বিপদে ফেলেও কঠিন অ্যাঙ্গেলে থেকে ফাঁকা জাল তাক করা হয়নি তখন আলভারেজের।
এরপর ২৫ মিনিটে একটা কর্নার থেকেই আর্জেন্টিনার কপাল পোড়ায় কলম্বিয়া। শর্ট কর্নার থেকে আর্জেন্টিনার সেটপিস ডিফেন্ডিং কৌশল ভেস্তে দিয়ে, হামেস রদ্রিগেজ ফিরতি বলে মাপা ক্রসে পাঠান বক্সের ভেতর। শূন্যে লাফিয়ে ইয়েরসন মসকুয়েরা করে দারুণ হেডে। সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সেই বল পৌঁছায় মার্তিনেজের জালে আর উল্লাসে মাতে কলম্বিয়া।
আরও পড়ুন: কলম্বিয়ার বিপক্ষে কেমন হবে আর্জেন্টিনার একাদশ?
আর্জেন্টিনা পুরো ম্যাচে নিজেদের ছন্দ আর খুঁজে পায়নি। প্রথমার্ধের শেষদিকে একটা কর্নার থেকে লিসান্দ্রো মার্তিনেজের চেষ্টাও ব্লক করে কলম্বিয়া। এছাড়া বলার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা। উলটো হামেস রদ্রিগেজের থ্রু পাস আর ডেভিড লুইজের বেশ কয়েকবার চোখ রাঙিয়ে গেছে আর্জেন্টিনার ডিফেন্সে।
চিলির সঙ্গে নামানো একাদশ থেকে দুই পরিবর্তন করেছিলেন লিওনেল স্কালোনি। লিয়ান্দ্রো পারেদেস আর গঞ্জালো মন্তিয়েল শুরু করেছিলেন কলম্বিয়ার বিপক্ষে। তবে বিরতির পরই মন্তিয়েলকে তুলে নাহুয়েল মলিনাকে নামিয়ে দেন আর্জেন্টিনা কোচ। যদিও ৪৮ মিনিটে আর্জেন্টিনা সমতায় ফিরেছিল হামেস রদ্রিগেজেরই দেওয়া এক উপহারে।
মিডফিল্ডে এক বিপদজনক ব্যাকপাসে রদ্রিগেজ বল উপহার দিয়ে দেন নিকোলাস গঞ্জালেসকে। এক ঝটকায় ডিফেন্ডারকে টপকে বক্সের ভেতর ঢুকে গোলকিপারের বাধা এড়িয়ে বাকি কাজটাও সেরে ফেলেন তিনি। ডাগআউটে লিওনেল স্কালোনির বিরল বুনো উল্লাসও তখন বলে দিচ্ছিল বুক থেকে পাথর নেমে গেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে কার্লোস বিলার্দো আর সিজার লুইস মেনোত্তির সমান ৭৯ তম ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ানোর স্মৃতিটা শেষ পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে থাকেনি স্কালোনির জন্য।
সমতায় ফেরার মিনিট দশেক না যেতেই বক্সের ভেতর দানিয়েল মুনোজকে ফাউল করে বসেন নিকোলাস ওতামেন্দি। রেফারির চোখ এড়িয়ে গেলেও পরে ভিএআরে চেকে রেফারি সিদ্ধান্ত পাল্টান। পেনাল্টি থেকে মার্তিনেজকে উলটো পথে পাঠিয়ে হামেস রদ্রিগেজ আবার জাগিয়ে তোলেন কলম্বিয়াকে।
ম্যাচে ফিরতে ৬৪ মিনিটে একই সঙ্গে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আর মার্কোস আকুনিয়াকেও নামিয়েছিলেন স্কালোনি। আরও পরে মাঠে নেমেছেন জিওভানি লো সেলসো। আর ৫ মিনিট বাকি থাকতে নামেন পাউলো দিবালা। কিন্তু সব শক্তি দিয়েও এরপর আর কলম্বিয়ার সঙ্গে সমতায় ফিরতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বলার মতো আক্রমণও এসেছে হাতে গোণাই। শেষদিকে লাউতারো মার্তিনেজ গোটা দুই হাফ চান্স পেয়েছিলেন। কলম্বিয়াও মরিয়া আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পালটা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানোর উপক্রম তৈরি করেছিল। কিন্তু ম্যাচে গোল হয়নি আর।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে বল মাঠেই গড়িয়েছে কম সময়। সবমিলে ১৯ মিনিট মতো মাঠে বল রোল করেছে। একবার এগিয়ে যাওয়ার পর কলম্বিয়া তাই সবশক্তি দিয়ে সফলভাবেই আর্জেন্টিনাকে টপকে গেছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এর আগে ব্রাজিলকেও হারিয়েছিল নেস্তোর লরেঞ্জোর দল। এবার স্মরণীয় এক জয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। তাতে কলম্বিয়া এখন দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থাকা আর্জেন্টিনার চেয়ে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে। ৮ রাউন্ড শেষে দলটি এখনও অপরাজিত।
জয়ের মঞ্চটা আগের দিন শেষ বিকেলেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ দিন শ্রীলঙ্কার জন্য ছিল আনুষ্ঠানিকতা সারার। আর ইংল্যান্ডের জন্য নাটকীয় কিছুর আশা। তবে পথুম নিশাঙ্কার অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা। তাতে প্রতিপক্ষের মাটিতে দীর্ঘ দশ বছর পর মিলেছে টেস্ট ক্রিকেটে জয়।
কেনিংটন ওভালে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জয় তুলে নিয়েছে ৮ উইকেটের। সিরিজে ইংল্যান্ড জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের মাটিতে দলটির বিপক্ষে এটি শ্রীলঙ্কার চতুর্থ জয়। প্রথমটি ধরা দিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। দ্বিতীয়টি ২০০৬ সালে এবং তৃতীয় জয়টি এসেছিল ২০১৪ সালে। সেবার দুই ম্যাচের সিরিজ লঙ্কানরা জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে, যা ইংলিশদের মাটিতে শ্রীলঙ্কার একমাত্র সিরিজ জয়।
আরও পড়ুন: ৪ স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত দল ঘোষণা
আগের দিন শেষ বেলায় রান তাড়ায় নেমে ইংল্যান্ড বোলারদের প্রবল চাপে ফেলে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে কুসাল মেন্ডিস ও নিশাঙ্কা যেভাবে রান তুলছিলেন, মনে হচ্ছিল তৃতীয় দিনেই ম্যাচ শেষ করতে হবে তাদের। ওভারপ্রতি প্রায় ৭ রান করে তুলে ফেলে তারা। তবে চতুর্থ দিন শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের বোলাররা। দুই প্রান্ত থেকে গাস আটকিনসন ও ক্রিস ওকস।
এই দুজনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তৈরি হয়েছিল কিছু ‘হাফ চান্স’। রানে গতিও কমে যায় বেশ। শেষ পর্যন্ত কুসালকে ফাঁদে ফেলেন আটকিনসন। ডানহাতি এই পেসারের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে লং-লেগে ক্যাচ তুলে দেন শোয়েব বশিরের হাতে।
এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে নিয়ে যান কুসাল। ইনিংসের শুরু থেকে স্বাচ্ছ্যন্দ্যে না থাকা অলরাউন্ডার ম্যাথিউস রান-আউট হতে পারতেন ৯ রানে থাকতে, তবে সরাসরি থ্রোয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ফিল্ডার।
আগেরদিনের মত আগ্রাসী সব শটের পসরা না সাজালেও প্রায় একশ স্ট্রাইক রেটেই নিশাঙ্কা তুলে নেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ম্যাথিউসের সাথে তার জুটিতেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ সম্ভাবনাও।
এই দুজনই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন ম্যাচ জিতিয়ে, অবিচ্ছিন্ন থাকেন ১১১ রানের জুটিতে। ১২৪ বলে ১২৭ রান করেন নিশাঙ্কা। ইনিংস সাজান ১৩টি চার ও ২ ছক্কায়। ম্যাথিউসের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
প্রথম ইনিংসে ৩২৫ করা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৬ রানে। আর শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৬৩ রান।
আগের ম্যাচে ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন শুরুর একাদশে থেকে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ছিলেন বেঞ্চে। তবে বদলি নেমে কাজের কাজটা আরও একবার করেছেন তিনি। গোল করে সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়নদের জয়ের নায়ক হয়েছেন সেই রোনালদোই। দলনায়কের এই ভূমিকায় অবশ্য অবাক নন সতীর্থ ব্রুনো ফের্নান্দেস। তিনি মনে করেন, রোনালদো মাঠে থাকলেই পার্থক্য গড়ে দেবেন, শুরুর একাদশ বা বেঞ্চে থাকাটা এখানে মুখ্য নয়।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনায় মেসির রেকর্ড ভাঙলেন ‘দুই কাজিন’
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ইউয়েফা নেশন্স লিগের আগের ম্যাচে গোল করে রোনালদো ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে স্পর্শ করেন ঐতিহাসিক ৯০০ গোলের মাইলফলক। স্কটিশদের বিপক্ষে ম্যাচে হয়ত খানিকটা সতেজ রাখতেই শুরুর একাদশে জায়গা দেননি রবের্তো মার্তিনেস। বিরতির পর যখন পর্তুগাল অধিনায়ক মাঠে নামেন, দল তখন ১-০ গোলে পিছিয়ে। এরপর ব্রুনো সমতা টানার পর ৮৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-১ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো।
ম্যাচের পর আল নাসর তারকাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ব্রুনো। “শুরুর একাদশে থাকুক বা বেঞ্চে, তার (রোনালদোর) প্রভাব সবসময় একই থাকে। বদলি হিসেবে যারাই নেমেছে, ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। রোনালদো একটা গোল করেছে, তার গোলসংখ্যা ৯০১ হয়েছে আর এখন সে এক হাজার গোলের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। এটাই সে চায়।”
ক্যারিয়ারে অজস্র দলের বিপক্ষে গোল করা রোনালদোর এটি ছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সব মিলিয়ে ৪৯তম দলের বিপক্ষে জালের দেখা পেলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে দুই ম্যাচে জয় পেয়ে নিজেদের গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে এখন পর্তুগাল। দিনের অন্য ম্যাচে লুকা মদ্রিচের একমাত্র গোলে পোল্যান্ডকে হারিয়ে দুই নম্বরে স্থানে এখন ক্রোয়েশিয়া।
বার্সেলোনার সিনিয়র দলে এই মুহূর্তে আলো ছড়াচ্ছেন লা মাসিয়া বা বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসা তরুণরা। পরের প্রজন্মের যারা আছেন, তারাও যে কম যান না তার প্রমাণ মিলছে স্প্যানিশ তৃতীয় ডিভিশনে। এক ম্যাচে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের ইতিহাসের দুই সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হয়েছেন দুই চাচাতো ভাই টনি ও গুইল ফার্নান্দেস। তাতে তারা এই তালিকায় পেছনে ফেলেছেন বার্সেলোনার কিংবদন্তি লিওনলে মেসিকে।
গত শনিবার ওরেন্সের বিপক্ষে ম্যাচে দুজন করেন চার মিনিটের ব্যবধানে গোল করেন তারা দুজন। প্রথমে ১৬ বছর ১ মাস ২৩ দিন বয়সে গোল করে বার্সেলোনা রিজার্ভ দলের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোলস্কোরার হয়ে যান টনি। এরপর ১৬ বছর ২ মাস ২১ দিন বয়সে গোল করে এই দলের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলস্কোরার হন গুইল।
বার্সেলোনা ‘বি’ দলের শীর্ষ পাঁচ সর্বকনিষ্ঠ গোলস্কোরারের তালিকায় এই দুই ভাই ছাড়া বাকি তিনজন হলেন যথাক্রমে বোজান, মার্ক বার্নাল এবং ক্লাব কিংবদন্তি মেসি।
২০০৮ সালে জন্ম নেওয়া দুই ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান মাত্র এক মাসের। দুজই বার্সেলোনার বর্তমান কোচ হান্সি ফ্লিকের নজরে এসেছেন প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি সফরে।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার গিলে এই গ্রীষ্মে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেছেন। তার ভাই টনি অবশ্য সুযোগ পেয়েছেন একটিতে খেলার। তবে দুজনেই পেয়েছেন ফ্লিকের প্রশংসা।
নারী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে চলমান শ্রীলঙ্কা সফরের শুরুটা হতাশা দিয়েই শুরু হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে খেলতে আসা এই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ভেসে গেছে বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার প্রভাবে। বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল ও শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের প্রথম ওয়ানডে পরিত্যাক্ত হয়েছে একটি বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই।
পানাগোডার আর্মি গ্রাউন্ডে ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। সেটা আর না হওয়ায় এখন অপেক্ষা সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডের, যা মাঠে গড়াবে আগামী মঙ্গলবার, কলম্বোর থুরস্তানে। এরপর দুই দল অংশ নেবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের, যা শুরু হবে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে।
‘এ’ দল নাম হলেও বাংলাদেশের এই দলটি গড়া হয়েছে মূলত জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়েই। এক-দুইজন বাদে সিনিয়র দলে প্রায় সবাই আছেন এই স্কোয়াডে। এর মূল কারণ আসছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি, যা শুরু হবে আগামী ৩ অক্টোবর থেকে।
বাংলাদেশের মেয়েদের এই বিশ্বকাপটি খেলার প্রস্তুতি থাকলেও গত সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে আইসিসি বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়ায় এখন তাদের নিতে হচ্ছে বাড়তি প্রস্তুতি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতেই তাই শ্রীলঙ্কা সফরে রাখা হয়েছে জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি থেকে শুরু করে জাহানার আলমরা।
তবে অধিনায়কের দায়িত্বে রাখা হয়নি সিনিয়র খেলোয়াড়ের কাউকে। এই সফরে ‘এ’ দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে ১৯ বছর বয়সী রাবেয়াকে।
১৪ ঘণ্টা আগে
১৫ ঘণ্টা আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে