ব্যাপকতা বা ম্যাচ সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আয়োজন হিসেবে খ্যাত প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট ২০২৪-২৫ মাঠে গড়াল সোমবার থেকে। দশম আসরে জেলা পর্যায়ে পুরো বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে ৩৫১টি দল।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে হয় প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট ২০২৪-২৫ এর সংবাদ সম্মেলন। সেখানে টুর্নামেন্টের নানা বিষয়ে কথা বলেন বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও প্রাইম ব্যাংকের পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব কনজিউমার ব্যাংকিং, জনাব নাজিব আহমেদ চৌধুরি।
জেলা পর্যায়ের হবে মোট ৫৮৫টি ম্যাচ, যা চলবে আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ৬৪ জেলার চ্যাম্পিয়ন নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের রাউন্ড চলবে আগামী ২০ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিতে। এই পর্বে ম্যাচ হবে ৫৭টি। এরপর জাতীয় পর্ব শুরু আগামী ১০ এপ্রিল, যা চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ম্যাচ থাকবে ১৫টি।
ঢাকা বিভাগের ম্যাচগুলো হবে ১৭টি ভেন্যুতে। চট্টগ্রাম বিভাগে ভেন্যু সংখ্যা ১১। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ম্যাচ হবে ৮টি করে ভেন্যুতে। খুলনা বিভাগে রয়েছে ১০টি ভেন্যু। এছাড়া বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ম্যাচ রাখা হয়েছে যথাক্রমে ৬টি ও ৪টি করে।
এবারের আসর নিয়ে বিসিবি পরিচালক ফাহিম সিনহা জানান তাদের নতুন পরিকল্পনার কথা। “এবার আমরা ট্যালেন্ট স্কাউটিং বাড়াবো। জেলা কোচ বা তাদের প্রতিনিধিরা যেন অংশ নেয় স্কাউটিংয়ের জন্য। স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ যেন আমরা বাড়াতে পারি, সেজন্য আমরা আয়োজন রাখছি এবার৷ যাতে সবার অংশগ্রহণটা আমরা বাড়াতে পারি এবার খেলা চলাকালীন সময়ে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে ঘরোয়া, জাতীয় দল বা সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যেন তাদের ফ্রি সময়ে তাদের সাথে টিপস দেওয়া, এই ধরনের কাজে আমরা তাদের যুক্ত করার চেষ্টা করব।”
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কড়াকড়ির ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরছেন ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। দীর্ঘ এক যুগ পর সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিরাট কোহলির নাম। আসন্ন রঞ্জি ট্রফির শেষ রাউন্ডের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দিল্লির হয়ে মাঠে নামার কথা ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে,আগামী ৩০ জানুয়ারি রেলওয়ের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে কোহলিকে দেখা যাবে। অবশ্য শুধু কোহলিই নন এর আগে ২৩ জানুয়ারি দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রঞ্জিতে ফিরবেন রিশাভ পান্ত রবীন্দ্র জাদেজারাও। তবে ঘাড়ের ব্যথার কারণে কোহলি এই ম্যাচে টা খেলতে পারবেন না।
বিসিসিআইয়ের সাম্প্রতিক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারির ম্যাচে মাঠে নামবেন ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
রঞ্জি খেলার ব্যাপারে কোহলি ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে রেলওয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এই ম্যাচে খেললে কোহলি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে সময় পাবেন মাত্র ৩ দিন। ৬ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামবে ভারত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ঘোষিত দলটিই খেলবে এই সিরিজে, যেখানে রয়েছেন কোহলিও।
আগের ম্যাচে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অল্পের জন্য জেতাতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। চিটাগং কিংস ম্যাচের আগে নাটকীয়ভাবে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়কত্ব পান তাসকিন আহমেদ। তবে তিনিও পারলেন না ভাগ্যের বদল করতে। উল্টো ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিশাল ব্যবধানে হেরে প্লে-অফের সমীকরণ কঠিন করে ফেলল রাজশাহী। আর বোলাররা স্বাগতিক চিটাগংকে এনে দিল গুরুত্বপূর্ণ এক জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সোমবারের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং জিতেছে ১১১ রানে। কুড়ি ওভারে দলটি দাঁড় করিয়েছিল ৮ উইকেটে ১৯১ রানের স্কোর। লড়াই জমাতে ব্যর্থ রাজশাহী গুটিয়ে গেছে মাত্র ৮০ রানেই।
চলতি বিপিএলে নানা কারণে আলোচিত রাজশাহী এই ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে জানায়, বিজয়কে সরিয়ে তার অধিনায়ক করেছে তাসকিনকে। তবে প্রথম ম্যাচে দলকে উজ্জীবিত করতে পারেননি তিনি। বলা যায়, চিটাগংয়ের বিশাল স্কোরের সামনে শুরু থেকেই দাঁড়াতে পারেননি তার।
আরও পড়ুন
রংপুর রাইডার্স ঘুরে এসেছে নিজেদের রংপুর |
শুরুটা হয় ১৩ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে। আগের ম্যাচে মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করে বিজয় চেষ্টা করেন হাল ধরার। তবে পারেননি দ্রুত রান তুলতে। প্রথম ১৩ বলে করতে পারেন মাত্র ১০ রান। ইয়াসির আলিও এক ডিজিটে আউট হলে চাপ বেড়ে যায় রাজশাহীর।
আকবর আলিও পারেননি বিপদে দলের ত্রাতা হতে। কয়েকটি চার মেরে বিজয় আউট হতেই নিশ্চিত হয়ে যায় চিটাগংয়ের জয়। ১৬ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে নেট রান রেটের বড় ক্ষতি করে হার বরণ করে রাজশাহী। দলটির মাত্র দুই ব্যাটার যেতে পারেন দুই অঙ্কের ঘরে। শরিফুল ইসলাম ও নাইম ইসলাম পান দুটি করে উইকেট। অন্য বোলাররাও প্রত্যেকে শিকার করেন একটি করে উইকেট।
বোলারদের আগে অবশ্য ব্যাট হাতেই চিটাগংয়ের জয়ের পথ সুগম করে দিয়েছিলেন ব্যাটাররাই। শুরুতেই উসমান খানকে হারালেও বড় সংগ্রহের ভিত রচনা হয় নাইম ও গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাটে। ৮৪ রানের দারুনে এক জুটি গড়েন দুজন, যার শেষটা হয় ক্লার্কের ৪৫ রানে আউটে। তিনি না পারলেও ফিফটি করতে ভুল হয়নি নাইমের।
আরও পড়ুন
রংপুর রাইডার্সের ট্রফি ট্যুর, রংপুরে বইছে ঈদের আনন্দ |
অভিজ্ঞ এই ব্যাটার খেলেন ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ বলে ৫৬ রানের কার্যকরী ইনিংস। সাথে শেষের দিকে মোহাম্মদ মিঠুন (২০ বলে ৩২), হায়দার আলি (১৪ বলে ২১) ও রাহাতুল ফেরদৌসের (৮ বলে ১৬) তিন ক্যামিওতে ১৯০ পার করে ফেলে চিটাগং, যা দলটিকে শেষ পর্যন্ত এনে দেয় দুর্দান্ত এক জয়।
সকাল থেকেই রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে মানুষের অপেক্ষা। সময়ের সঙ্গে দুপুর গড়াতে সেই অপেক্ষা রীতিমতো জনসমুদ্রের রূপ নেয়। হাজার হাজার রংপুরবাসী বরণ করে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স দলকে।
দুপুর হেলিকপ্টারে রংপুরে নামে রাইডাররা। শুরুতে তারা জার্সি দেয় ভক্তদের। হাজারখানেক জার্সি তারা উপহার দেয় মাঠে সাথে মানুষদের। রংপুরবাসীও সাদরে গ্রহণ করে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটারদের।
মাঠে প্রবেশের পর মঞ্চে আসে রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটাররা। মঞ্চে এসে মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ সব ক্রিকেটার। একে একে দর্শকদের ধন্যবাদ দেন সব ক্রিকেটার ও কোচরা।
আরও পড়ুন
রংপুর রাইডার্সের ট্রফি ট্যুর, রংপুরে বইছে ঈদের আনন্দ |
রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, 'আপনাদের ভালোবাসার আপনার মুগ্ধ। দোয়া করবেন যেনো বিপিএল ট্রফিটা নিয়ে আসতে পারি। বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ।'
দলটার টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম জানান, 'বসুন্ধরা গ্রুপ এদেশের ক্রিকেট বদলে দিচ্ছে। রংপুর রাইডার্স এই মাঠে এসে বিপিএলের অনুশীলন করবে, ম্যাচ খেলবে সুযোগ থাকলে। আমরা ট্রফি নিয়ে আবার রংপুরে আসব।'
হেড কোচ মিকি আর্থার জানান, 'আসসালামু আলাইকুম। যদিও আমি অনেকবেশি বাংলা জানি না। তবে আপনাদের ভালোবাসায় আমি অবাক।'
এছাড়া দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিপিএল ট্রফিও। মাঠে ছিল বিপিএল ২০২৫ এর মাসকটা 'ডানা ৩৬'ও। রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য রাখা হয় বিশেষ কনসার্টও।
আরও পড়ুন
শুরু হল প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেট ২০২৪-২৫ |
এই বিপিএলে শুরুর আট ম্যাচের সবকটায় জিতে পয়েন্ট টেবিলের এক নাম্বারে রয়েছে এই রংপুর রাইডার্সই।
বিপিএলে এর আগেও শুরুতে না পেলেও টুর্নামেন্ট চলাকালীন অধিনায়কত্ব পাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাসকিন আহমেদের। সেই ধারায় আরও একবার আসরের মাঝপথে নেতৃত্ব পেলেন অভিজ্ঞ এই পেসার। দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তাসকিন।
সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানায় রাজশাহী। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাটিংয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য বিজয়ের কাঁধ থেকে অধিনায়কত্বের ভার সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
দল হিসেবের রাজশাহী খুব একটা ভালো ছন্দে না থাকলেও এই বিপিএলে বিজয় আছেন দারুণ ফর্মে। ৮ ম্যাচে ৩২৪ রান করে তিনি এখন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সবশেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাট থেকে। তবে মাত্র ৫৭ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন
রংপুর রাইডার্সের ট্রফি ট্যুর, রংপুরে বইছে ঈদের আনন্দ |
ওই ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দলকে জেতাতে না পারায় আবেগে ভেঙে পড়তে দেখা যায় বিজয়কে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি রাজশাহী বলেছে, সেই কারণেই দুর্বার রাজশাহী ম্যানেজম্যান্ট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে বিজয় অধিনায়কের ভার থেকে মুক্ত হয়ে স্রেফ ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে পারেন।
রাজশাহীর নতুন অধিনায়ক তাসকিনও আছেন ফর্মে। ৮ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই পেসার।
৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে পঞ্চম স্থানে থাকা রাজশাহীর অধিনায়ক হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় অভিষেক হচ্ছে তাসকিনের, প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস।
শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ল ২৬ রান। বোলার মুস্তাফিজুর রহমান হওয়ায় কাজটা কঠিনই ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য। তবে প্রথম বলেই ছক্কা মেরে আশা জাগালেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। তবে জোড়া উইকেট নেওয়া ওভারে নার্ভ ধরে রেখে দলকে জেতালেন অভিজ্ঞ এই পেসার। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালস পেল আসরে তাদের দ্বিতীয় জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৭তম ম্যাচে ঢাকা জিতেছে ৬ রানে। ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করা দলটি সিলেটকে আটকাতে সমর্থ হয় ৭ উইকেটে ১৯০ রানে।
এই বিপিএলে ঢাকার অন্যতম সেরা ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম আরও একবার জ্বলে ওঠার আভাস দিয়েছিলেন। সেটা পুরোপুরি না করতে পারলেও শুরুটা এনে দেন ভালো। দলীয় ২৮ রানে যখন আউট হন, তখন তার নামের পাশে রানই ২২।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়া জুটিতে সবাইকে পেছনে ফেললেন লিটন-তানজিদ |
আরেক ওপেনার লিটন দাস টিকে গেলেও পারছিলেন না ছন্দময় ব্যাটিং করতে। অন্যপ্রান্তে জেপি কোটজি ও মোসাদ্দেক হোসেন পারেননি ভালো করতে। ফলে বাড়তি দায়িত্ব বর্তায় লিটনের ওপর, যিনি প্রথম ২৫ বলে করেন মাত্র ২৬ রান।
মাঝে কয়েকটি বড় শটে দর্শকদের উল্লাসে মাতিয়ে সাব্বির রহমান করেন ২১ বলে ২৪। তবে বড় স্কোর গড়তে ঢাকার দরকার ছিল শেষের ঝড় তোলার। ৩৮ বলে ফিফটি করা লিটন সেই কাজটা এগিয়ে নেন বেশ। আর তাকে যোগ্য সমর্থন দিয়ে ক্যাপ্টেন্স নক উপহার দেন থিসারা পেরেরা।
লিটনের ৭০ রানে (৪৮ বল) বিদায়ের পরই আউট হন ঢাকা অধিনায়কও। তবে তার আগে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়া এক ক্যামিও খেলেন থিসারা। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার ৩ ছক্কা ও ৩ চারে মাত্র ১৭ বলে করেন ৩৭ রান।
রান তাড়ায় সিলেটের শুরুটা হয় দ্বিতীয় ওভারে জর্জ মুন্সিকে হারিয়ে। তবে পঞ্চম ওভারে দলটিকে বড় ধাক্কাটা দেন মুস্তাফিজুর। দারুণ ছন্দে থাকা জাকির হাসানকে ক্যাচ বানান মাত্র ৭ রানে।
তবে সিলেটকে রান তাড়ায় ধরে রাখেন রনি তালুকদার। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়ান ফারমানউল্লাহ শাফির এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারি মেরে। অ্যারন জোন্সের সাথে তার ৭০ রানের জুটি যখন সিলেট শিবিরে বাড়াচ্ছিল জয়ের আশা, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটারকে আউট করে ম্যাচে প্রাণ ফেরান থিসারা।
আরও পড়ুন
টুর্নামেন্টের মাঝপথে নেতৃত্ব পেলেন তাসকিন |
মাত্র ১৩ বলে ৫ ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিওয়ে ফের সিলেটকে কিছুটা এগিয়ে দেন জাকের আলি অনিক। তবে শেষ ওভারের কঠিন সমীকরণ আর মেলাতে পারেননি আরিফুল হক (১৩ বলে ২৯)।
দারুণ ইনিংসের পর বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন থিসারাই।
৪ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে