সান্তোসে ফিরে ধীরে ধীরে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন নেইমার। তার মাঝেই আবার হানা দিয়েছে চোট। তাতে মিস করেছেন করিন্থিয়ান্সের সঙ্গে ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তার সেমিফাইনাল। বেঞ্চে বসেই দেখছেন দলের হার। এতে ব্রাজিল সমর্থকদের মনে আরও একবার শঙ্কা জেগেছে প্রিয় তারকাকে হলুদ জার্সিতে দেখতে পারবে কিনা তা নিয়ে।
সপ্তাহ খানেক পরেই ব্রাজিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মাঠে নামবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। প্রায় দেড় বছর পর ৩৩ বছর বয়সী তারকা ফিরেছেন ব্রাজিল দলে। তারমধ্যে চোটের হানা তৈরি করেছে নতুন শঙ্কা। চোট খুব একটা গুরুত্বর না হলেও নেইমার ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন উরুর চোটে অস্বস্তিতে ভোগায় তিনি মাঠে নামতে পারেননি।
আরও পড়ুন
গোল পেলেন এমবাপে-ভিনিসিয়ুস, বার্সাকে স্পর্শ করল রিয়াল |
![]() |
“আমি চেষ্টা করেছিলাম মাঠে থাকতে, আমার সতীর্থদের সাহায্য করতে। তবে গত বৃহস্পতিবার অস্বস্তি বোধ করছিলাম, তাই আজকে আর মাঠে নামা হয়নি। একটা টেস্ট এরই মধ্যে করেছি, তবে সেটা কাটেনি। দুর্ভাগ্য হলেও এটা ফুটবলের একটা অংশ। আজকে আমরা জিততে পারিনি, তবে চেষ্টা করবো আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরার, নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করার।”
যদিও দ্বিতীয়ার্ধে নেইমার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাঠে নামার। তবে সাইডলাইনে অনুশীলন করতে গিয়েও উরুতে কিছুটা টান লাগায় আবারও বেঞ্চে বসে পড়েন। পরবর্তীতে সান্তোস কোচ অবশ্য কোনো ঝুঁকি না নিয়ে নেইমারকে আর মাঠে নামাননি।
তাতে ব্রাজিলের জার্সিতে মাঠে নামার আগে আর ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না নেইমার। ২১ মার্চ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সেলেসাওদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। আর ২৬ মার্চ দরিভাল জুনিয়রের দল সুপার ক্লাসিকোতে লড়বে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
১৩ মার্চ ২০২৫, ৭:৪৮ পিএম
ম্যাচ শেষে দাঁড়িয়ে আছি স্টেডিয়ামের বাইরে। স্পেন কিছুক্ষণ আগে ৭ গোল দিয়েছে কোস্টারিকার জালে। কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় জয়, ইতিহাসেরও অন্যতম। সব সেট করে দাঁড়িয়ে আছি প্রোডিউসারের কলের অপেক্ষায়। খানিকটা দূর থেকে খুব সাধারণ প্রশ্ন এলো প্রায় নিত্য দিনকার মতোই,- “টি স্পোর্টস? ফ্রম হোয়ের?”
জবাব দিলাম, বাংলাদেশ। আমার এক কানে হেড ফোন, তাতে টি স্পোর্টসের লাইভ কাভারেজ শুনছি। মনোযোগও সেদিকেই। কিন্তু এর মাঝেও স্পষ্টই শুনতে পেলাম- প্রশ্নকর্তা একটা রিমার্ক রেখে গেলেন। চিৎকার করে একটা কথাই বললেন, সাকিব আল হাসান।
হাত নাড়িয়ে সম্ভাষণ জানালাম, ক্লান্তিও উবে গেল নিমিষেই। কিন্তু কার উদ্দেশ্যে হাত নাড়লাম তাও জানিনা।
সহজেই বুঝতে পারলাম, বাংলাদেশ নামের প্রতিশব্দ তাঁর কাছে ক্রিকেটার সাকিব। হয়ত তাঁর মতো আরও কোটি-কোটি মানুষের কাছেও তাই।
আলোর ঝলকানিতে ভদ্রলোকের চেহারা মনে নাই। সাকিবের নামের শব্দচয়ন ভঙ্গি শুনে যতটুকু ধারণা করতে পারি তিনি হয়ত উপমহাদেশের কেউ হবেন। হয়ত উপমহাদেশ ছাড়িয়ে অন্য কোথাকার। তবে সহসা যেটা অনুমান করে নেওয়া যায় ; তিনি হয়ত স্পেনের কেউ হবেন না, কোস্টারিকার কেউ হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অনুমানের ব্যপ্তি খাটো করলে বুঝতে পারি নিশ্চয়ই ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের কেউই হবেন। এখন ক্রিকেট তো নেদারল্যান্ডসও খেলে। সেখানকার কোনো একজন তো হতে পারেন? তবে যে দেশে ক্রিকেটের পেশাদার কাঠামো অনুপস্থিত সেখানকার কেউ জিওগ্রাফির সঙ্গে একজন ক্রিকেটারকে পরিচায়ক হিসেবে মেনে নেবেন- সেই সুযোগ বেশ কম!
সাকিব বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন, ঠিক ততোটুকুর ভেতরই যতটুকুর গন্ডি ক্রিকেটের আছে। এর বাইরে যাওয়ার সাধ্য যেখানে ক্রিকেটেরই হয় না, সেখানে একজন ক্রিকেটারের হবে কী করে?
সন্দেহাতীত ভাবে সাকিব আল হাসানই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। কারণ এখানে ক্রিকেটটা বড়। কারণ, সাকিব এই আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছেন, এই কাদায় হেটেছেন, এই ধুলো মাড়িয়েছেন, নিজেদের মেধা দিয়ে এই দেশের এক্সিসটিং ‘বিশ্ব থেকে যোজন পিছিয়ে থাক প্রায় অকেজো একটা সিস্টেমের’ ভেতর দিয়েও তিনি ক্রিকেটে নিজেকে বিশ্বের সেরায় পরিণত করতে পেরেছিলেন।
ব্যস এইটুকুই যথেষ্ট। ঠিক এই জায়গাতেই হামজা চৌধুরীর চেয়ে এ দেশের লোকেদের কাছে এগিয়ে থাকবেন সাকিব। আর হামজা বেড়ে উঠেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে নামকরা ফুটবল ইন্সিটিটিশনগুলোর একটা থেকে। ক্রিকেটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই বলইলেই চলে, তবে এটুকু বুঝি বাংলাদেশ থেকে সাকিবের সাকিব হওয়ার ১% এর বেশি সম্ভাবনা সম্ভবত ছিল না। বাকি ৯৯ শতাংশ নিজ গুণে পেরেছেন বলেই তিনি সাকিব হয়েছেন।
তবে কোনো কিছুই স্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। ছোটবেলায় হামজাও ছুটিতে দেশে এসেছেন, বিয়ানিবাজারের মাঠে তার বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বলে লাথিটা মেরেছিলেন বলেই র্যা ঙ্কিং-এর ১৮৫ তম দেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টেলিভিশনে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটটাও দেখেছেন, সাকিবকে ১৯ বিশ্বকাপে অতিমানব হতে দেখে নিশ্চয়ই ভেবেছেন, দেশটায় আর যাই হোক খেলার আবেগের অভাব নাই।
*
লিওনেল মেসির কৈশোরটাই কেটেছে আর্জেন্টিনার বাইরে। একটা সময় নিজ দেশের লোকেরাই তাকে আপন করতে পারেননি। অপরিসীম ভালোবাসার সঙ্গে মেসি গাল মন্দও শুনেছেন,। দিয়েগো মারাদোনা বহু অকাজ-কুকাজ করেও মারাদোনাই রয়ে গেছেন। মেসি তাঁর সমান হবেন না কোনোদিন। তাতে মেসির হাত কই? বার্সেলোনা ত্রাতা না হলে এই মেসি কি আর মেসি হন? মারাদোনা বহু আগেই ওখানে ইশ্বর হয়ে গেছেন, সবার গল্প এক ছাঁচে পড়ে না। তবে সবাই এক ছাদের নিচের থাকতে পারেন।
ডুয়েট ইয়র্ক, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ফুটবলার। ব্রায়ান লারা, একই দেশের ক্রিকেটার। একজন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চ্যাম্পিয়নস লিগ উইনার, আরেকজন- লারা তো লারা। এদের ভেতর কে বেশি জনপ্রিয়? এই নিয়ে ত্রিনিদাদে আলোচনা হয়। হামজা না সাকিব- কার তারকাখ্যাতি কতো বেশি এই নিয়ে দর্শক- সমর্থকদের আলোচনার আগ্রহ না থাকাটাই বরং অস্বাভাবিক। এই আলোচনা থাকবে, এবং এই আলোচনায় বাইনারি এবং নন-বাইনারি দুই মতই থাকতে পারে। দুই পক্ষেই থাকতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে কেন থাকতে পারে? জবাবটাও সহজ, ফুটবলের ব্যপ্তির কারণে।
জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে ধারাবাহিক জনপ্রিয় স্পোর্টিং ইভেন্ট। গেল কয়েক দশক ধরেই পৃথিবীর ট্রেন্ডটা এমন। টাকাই সব, টাকার অঙ্কে এই লিগের ধারে কাছেও আসে না কিছু। জার্মানি-ইতালির টপ ফুটবলার, কোচরা প্রিমিয়ার লিগের মিড টেবিল টিমে নাম লিখিয়ে ফেলেন অনায়াসেই। বেতনের সঙ্গে, ব্র্যান্ড ভ্যালুটাও ভালো। গোটা এশিয়া থেকে কয়জনের সুযোগ হয় সেই লিগে? এশিয়ার ম্যাপটায় চোখ বুলিয়ে ফেলতে পারেন, উপমহাদেশটাইকেই ছোট মনে হচ্ছে না? এতো বড় এশিয়া থেক এতোদিন মোটে ৫টা মহা সৌভাগ্যবান দেশের সুযোগ হয়েছে বিশ্বকাপ খেলার। সামনে সংখ্যাটা বাড়ছে আরও। এরা সবাই ফুটবল খেলে, দু একটা দেশ বাদ দিলে সবাই পেশাদার ফুটবল খেলে। এই প্রতিযোগিতার মাপকাঠি অন্য কিছুর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার উপায় থাকে?
প্রায় শূন্য টাকা খরচা করে একজন এফএ কাপ উইনারের স্বেচ্ছায় বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপানোর গভীরতা বুঝতে পারা কি এতোই কঠিন? চিন্তা-ভাবনার সীমানা প্রাচীর বেঁধে দিলে অবশ্য সবই কঠিন।
প্রিমিয়ার লিগের একটা ফুটবল ম্যাচে ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, অ্যারাবিক, বাংলা- সহ আরও কত ভাষায় সপ্তাহান্তে ধারাবাহিকিভাবে ধারাভাষ্য হয়। এই তো মাস দুই আগের ঘটনা- লেস্টার সিটির ম্যাচে বিইন স্পোর্টসের অ্যারাবিক কমেন্টেটর হামজার পায়ে যতবার বল যাচ্ছে ঠিক ততোবারই ‘ইয়া বাঙালি, ইয়া বাঙালি’ বলে গলা ফাটালেন; এর গভীরতা বোঝা খুব কঠিন?
মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় লোকেরা ক্রিকেটটা চেনেন না। বাংলাদেশ শব্দটা শুনলে তাদের মাথায় চট করে কী খেলে যাওয়া উচিত? কোনো ক্রিকেটারের নাম কি? নিশ্চয়ই নয়? হয়ত আপনার আমার মতো তামাটে বা কালচে রঙের খেটে খাওয়া কারও ছবিই তাঁদের চোখে ভাসে। এক হামজা যে কেবল বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েই ‘কামলা’ থেকে আপনার আমার ইমেইজ ‘আপগ্রেড’ করে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিলেন, তা বুঝতে মেধা খরচ করতে হয়?
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর ফিফার এক রিপোর্টার বাংলাদেশের এক সুপারস্টারের ইন্টারভিউ করতে চেয়েছিলেন। তাকে সাকিব আল হাসানের সন্ধানই দিয়েছিলাম। সাকিব নিজেও রাজি হয়েছিলেন, এরপর যে কোনো কারণেই হোক সাকিবের সেই কাজটা আর আগায়নি। ফিফা হামজার ইন্টারভিউও করবে, আজ হোক কাল হোক করবে, সে জন্য আমার কাছে আসতে হবে না, বরং আমারই ধর্ন্যা দেওয়া লাগবে ফিফার কাছে।
সুপারস্টার বলতে আপনি কী বোঝেন? আপনি যা বোঝেন আমিও তাই বুঝি। তবে সেই সংজ্ঞা ক্ষেত্র বিশেষে পালটে যেতেই পারে। বৈশ্বিক সুপারস্টার এই দুইজনের সম্ভবত কেউ নন। একজন থাকলে সেটা সম্ভবত বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান। যিনি এক ফোনকলে মেসিকে খুঁজতে পারেন, রোনালদোকেও চাইতে পারেন। বাকি দুইজনের পক্ষে সে প্রায় অসম্ভব।
সুপারস্টার আপাত দৃষ্টিতে খুব সহজ শব্দ মনে হয়। কিন্তু এর ভেতর ভাগ আছে অনেক। এরকম একটা জিনিস নিয়ে তর্ক হবে না? না হওয়াটাই তো অস্বাভাবিক!
দল ছিল জয়ের পথেই, তবে সবার আগ্রহ ছিল তার মাঠের দিকেই। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের শেষ ষোলোয় ক্যাভেলিয়া এফসির বিপক্ষে ম্যাচে ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক নামেন বিরতির পর। আর নেমেই পান গোলের দেখা, যার তার দলের জয়কে করেছে আরও মহিমান্বিত।
শুক্রবার সকালের ম্যাচে মায়ামি জিতেছে ২-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে জিতে শেষ আটে পা রেখেছে মেসির দল।
দ্বিতীয়ার্ধে বেঞ্চ থেকে নামার সময় মেসি মিয়ামির আক্রমণকে শক্তিশালী করেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি স্পোর্টিং কানসাস সিটির মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো পিচে ফিরে এসে রাউন্ড-অফ-১ 16-এর টাইতে দলকে ৪-০ ব্যবধানে জয়ের পক্ষে সহায়তা করতে সহায়তা করেছিলেন।
আরও পড়ুন
দিল্লির অধিনায়কত্ব পেলেন আকসার |
![]() |
চোটের কারণে এর আগে মায়ামির টানা তিনটি ম্যাচ মিস করেছিলেন মেসি। ক্যাভেলিয়া ম্যাচের আগে তাই কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো জানান, ভবিষ্যতের আঘাত এড়াতে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ডকে বিশ্রাম নেওয়া দরকার।
রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসি এই ম্যাচে নামেন ৫৩তম মিনিটে, লুইজ সুয়ারেজের বদলি হিসেবে। পুরো স্টেডিয়ামে তখন উচ্চারিত হয় মেসির নাম।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে সান্টিয়াগো মোরালেসের পাস থেকে বল পেয়ে সেটা রকেট গতিতে পাঠান জালে।
মায়ামি এখন চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এলএএফসির মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নেবে, যারা শেষ ষোলোতে হারিয়েছে কলম্বাস ক্রুকে।
শেষ দুই আন্তর্জাতিক বিরতিতে ফ্রান্স দলে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপে। প্রায় মাস ছয়েক পর আবারও ফরাসি অধিনায়ক ফিরেছেন স্কোয়াডে। এমবাপে ছাড়াও চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন তার ক্লাব সতীর্থ আরেলিয়েঁ চুয়ামেনি। নতুন মুখ পিএসজি স্ট্রাইকার দিজিরে দুয়ে।
এমবাপের ফ্রান্স দলে ফেরা নিয়ে ছিল নানা গুঞ্জন। ক্লাবের জার্সিতে নিয়মিত খেলে গেলেও শেষ দুই আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছিলেন না ফ্রান্স দলে। গুঞ্জন উঠেছিল ক্লাবের জার্সিতে সাফল্য পেতে জাতীয় দলের জার্সিতে কেবল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোই খেলতে চান তিনি। তবে দিন কয়েক আগেই ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশঁ জানিয়েছিলেন তেমন কিছুই না, চলতি আন্তর্জাতিক বিরতিতেই ফ্রান্স দলে ফিরবেন এমবাপে।
আরও পড়ুন
শেষ আটে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল, বার্সেলোনা খেলবে কার বিপক্ষে? |
![]() |
যেই কথা সেই কাজ। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগের জন্যই এমবাপেকে রাখা হয়েছে স্কোয়াডে।
এমবাপে ছাড়া রিয়াল থেকে ডাক পড়েছে দুই মিডফিল্ডার চুয়ামেনি ও কামাভিঙ্গার। এছাড়া পিএসজিতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওসমান দেম্বেলেকেও দেখা যাবে আক্রমণভাগে এমবাপের সঙ্গে জুটি বাঁধতে। দারুণ ছন্দে থাকার পুরস্কার হিসেবে প্রথমবারের মতো স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তরুণ স্ট্রাইকার দিজিরে দুয়ে।
২১ মার্চ নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ গড়াবে ক্রোয়াশিয়ার মাঠে। ২৪ তারিখ দ্বিতীয় লিগ ফ্রান্স খেলবে নিজেদের ঘরের মাঠে।
বেনফিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে দশ জনের দল নিয়েও জয় পেয়েছিল হান্সি ফ্লিকের বার্সা। কঠিন কাজটা মাঠে করে দেখানোর পুরস্কারও অবশ্য পেয়েছিল তারা। প্রথম লেগ শেষ হওয়ার বেশ লম্বা সময় পরই কাতালান রেডিও জানিয়েছে সে ম্যাচ শেষে দল থেকে মিলেছিল যা খুশি তা খাবার সুযোগ। যেখানে ফুটবলাররা বেছে নিয়েছে বার্গারকে। যার দাম আবার চোখ কপালে তোলার মতই।
সাধারণত ম্যাচ ডে-তে ফুটবলারদের থাকে আলাদা রুটিন। তবে বেনফিকাকে দশ জনের দল নিয়ে হারিয়ে সেই রুটিন ভাঙার সুযোগ দেন বার্সা নিউট্রেশনিস্ট। কাতালুনিয়ান রেডিওর তথ্য মতে, ‘সেদিন বার্সা পুষ্টিবিদ ফুটবলারদের যা খুশি তা খাওয়ার সুযোগ দেন।”
আরও পড়ুন
আলভারেজের ‘ডাবল টাচ’ রেফারির নজরে এনেছেন কোর্তোয়া |
![]() |
আর ফুটবলারদের সেখানে নাকি প্রথম পছন্দ ছিল বার্গার। রাফিনিয়া-ইয়ামালরা নাকি লিসবনের বিখ্যাত হ্যামবার্গার অর্ডার করেছিলেন। যার দামই ৭০০ ইউরো। বাংলা টাকায় ৯২ হাজার টাকারও বেশি।
প্রথম লেগের পর দ্বিতীয় লেগেও জয় পেয়েছে বার্সা। ব্যবধানটা ৩-১। জোড়া গোল করেছিলেন রাফিনিয়া আর একটা গোল করেছেন লামিন ইয়ামাল। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে কাতালান ক্লাবটা নিশ্চিত করে শেষ আট।
দ্বিতীয় লেগ শেষে বার্সা পাচ্ছে পাঁচ দিনের বিশ্রামও। দলের নজর কাড়া পারফরম্যান্সে কোচ হান্সি ফ্লিক ফুটবলারদের সেই সুযোগটাও করে দিয়েছেন।
“কেউ কিছু দেখেছেন? হাত তুলুন যদি আপনি আলভারেজকে দুই বার বলে পা ছোঁয়াতে দেখে থাকেন।” ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের ঠিক এইভাবেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনে। সাংবাদিকরা অবশ্য তার উত্তরটা না দিতে পারলেও রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া দিয়েছেন ঠিকই। জানিয়েছেন তিনি প্রথম দেখেছেন আলভারেজকে ‘ডাবল টাচ’ নিতে।
আলভারেজ শট নিতে গিয়ে কিছুটা পা পিছলে গিয়েছিলেন। যা রেফারির নজরে খুব একটা আসেনি। তবে গোলপোস্টে থাকা কোর্তোয়ার চোখ এড়ায়নি। আলভারেজ দুইবার বলে পা লাগিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত না হলেও খটকা জাগে কোর্তোয়ার মনে। যা তিনি দেরি না করেই জানান রেফারিকে। এরপর ভিএআর তো কোর্তোয়ার খটকা দূর করে রায় দিয়েছে তার পক্ষেই।
আরও পড়ুন
শেষ আটে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল, বার্সেলোনা খেলবে কার বিপক্ষে? |
![]() |
ম্যাচ শেষে এই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আচমকা ভিএআরের এমন পেনাল্টি চেকের শুরুটা কীভাবে তা নিয়েও উঠেছে কথা। যার জবাব দিয়েছেন রিয়াল গোলকিপার। জানিয়েছেন তিনি মূলত এই ব্যাপারে জানিয়েছেন রেফারিকে,
“আমার মনে হয়েছে সে দুইবার বলে পা ছুঁইয়েছে। তাই আমি গিয়ে রেফারিকে জানাই। যদিও দূর থেকে এমন দেখাটা মোটেও সহজ কাজ না। সত্যি বলতে তাদের কপালটা খারাপ।”
এই পেনাল্টিই মূলত গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। যদিও লুকাস ভাসকেজ মিস করে সুযোগটা এনে দিয়েছিল তাদের সামনে। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা মার্কোস ইউরেন্তের মিসে। তাতে আরও একবার রিয়ালের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগে হৃদয় ভাঙলো আতলেতিকোর।
৫ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে