১৩ মার্চ ২০২৪, ৪:৫০ পিএম
টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা একটা পর্যায়ে ভালোভাবেই ছিল বড় সংগ্রহের পথে। তবে তানজিম হাসান তামিম ও তাসকিন আহমেদের দারুণ স্পেলে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মাঝারি স্কোর তাড়ায় স্বাগতিকদের শুরুটা অবশ্য মোটেও ভালো হলো না। তবে কঠিন সময়ে কান্ডারির ভূমিকায় দাঁড়িয়ে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। যোগ্য সঙ্গ পেলেন মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। এই দুজনের অপরাজিত জুটিতে বাংলাদেশ লিড নিল সিরিজে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে ৬ উইকেটে। শ্রীলঙ্কাকে ২৫৫ রানে অলআউট করার পর অধিনায়ক শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুরের ব্যাটে চড়ে রান তাড়া করেছে ৩২ বল হাতে রেখেই।
শুরুতে ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে সামাল দিয়েছেন প্রথম বিপর্যয়টা। ৬২ বল থেকে তাদের জুটিতে আসে ৬৯ রান।
আরও পড়ুন: শান্ত-মুশফিকুরের রেকর্ড জুটি, ৬ উইকেটের জয় বাংলাদেশ
তবে ৩৭ বলে ৩৭ রান করেই থামতে হয়েছে রিয়াদকে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের বিপদে আবারও চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য তখনও বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হত লম্বা পথ। কঠিন সময়ে দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধেই তুলে নেন শান্ত-মুশফিকুর জুটি।
এই দুজনের ১৬৫ রানের অপরাজিত জুটিতে শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে এটি এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিপক্ষে যেকোনো উইকেটেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি।
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতানোর পথে অধিনায়ক শান্ত করেছে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও বাংলাদেশের মাটিতে তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ১০৮ বলেই পা রাখেন তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগারে। জয়সূচক রানটাও এসেছে তার ব্যাট থেকেই। শেষ পর্যন্ত ১২৯ বল থেকে করেছেন ১২২ রান। ইনিংস সাজিয়েছেন ১৩টি চার ও ২ ছক্কায়। ছয় নম্বরে নামা মুশফিকুর আরও একবার বিপদের সময় নিজের সেরা ক্রিকেটটাই খেললেন। ৮৪ বলে ৮ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ রান।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারকেই ফিরিয়েছিলেন লংকান পেসার দিলশান মাদুশানাকা। আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন বাংলাদেশ শিবিরে। শেষ পর্যন্ত সেটা আর বড় হতে দেননি শান্ত-মুশফিকরা। আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা অবশ্য ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ করেছিল। তাদের দুই ওপেনার মিলেই যোগ করেছিলেন ৭১ রান। ফলে বড় স্কোরের পথেই হাঁটছিল লংকানরা।
তবে সেই পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান পেসার তানজিম হাসান। এই পেসার নিজের টানা তিন ওভারে নেন ৩ উইকেট। সেই থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। শেষ পর্যন্ত ৮.৪ ওভার বল করে ৪৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
লংকানদের পরপর তিন উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও। তিনিও ৬০ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। শ্রীলঙ্কার আরও ৩ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। বাকি ১ টা উইকেট গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের পকেটে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাট হাতে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন কুশল মেন্ডিস। জানিথ লিয়ানাগে করেছেন ৬৭ রান। তবে শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর করতে পারেনি দলটা। অল আউট হয়েছিল মাত্র ২৫৫ রানেই।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে