বাংলাদেশ এইচপিকে ওপেনাররা এনে দিলেন দারুণ একটা শুরু। সেই ভিত কাজে লাগিয়ে অন্য ব্যাটারর দলকে এনে দিলেন লড়াকু স্কোর। বোলারাও প্রথম দশ ওভারে তাসনামিয়া টাইগার্সকে চাপেই রাখলেন। তবে জ্যাকব ডরানের বিস্ফোরক ফিফটিতে আসরের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো এইচপিকে।
ডারউইনে টপ এন্ড সিরিজের সোমবারের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে এইচপি ৫ উইকেটে ১৬৬ রান। ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে সেই রান তাড়া করে তাসমানিয়া।
মেলবোর্ন রেনেগেটসের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও এইচপি দল পাওয়ার প্লেতে আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিল। তবে কয়েকটি কিছু উইকেটও হারাতে হয়েছিল। এই ম্যাচে অবশ্য তার পুনরাবৃত্তি হয়নি। দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জিশান আলম ও তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের মধ্যে তুলনামূলক দ্রুত রান করেন তরুণ জিশান।
আরও পড়ুন: বিগ ব্যাশের দলকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে বড় স্বপ্ন দেখছেন ইমন-রাকিবুল
শেষ পর্যন্ত তানজিদের রান-আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে ইতি ঘটে এই জুটির। জাতীয় দলের ওপেনার চারটি চারে করেন ২৮ রান। বল অবশ্য খেলে ফেলেন ২৯টি। জুটিতে আসে ৭৩ রান। নবম ওভারের পরের বলে সাজঘরের পথ ধরেন জিশানও। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। ৩টি ছক্কার পাশাপাশি মারেন দুটি চার।
আফিফ হোসেন আউট হন ১০ রান করে। তবে আগের ম্যাচে ফিফটি করা পারভেজ হোসেন ইমন আরও একবার ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত থেকে যান অপরাজিত। ২৯ বলে করেন ৩৯ রান। অন্য ব্যাটাররাও যথাসাধ্য অবদান রাখেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অধিনায়ক আকবর আলির ২০ রানের ক্যামিও। ২৫ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেন তাসনামিয়ার পেসার গ্যাবে বেল।
বল হাতে এইচপিকে দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য এনে দেন শেখ পারভেজ জীবন। বোল্ড করেন টিম ওয়ার্ডকে। ৮ ওভারের মধ্যে আরও দুটি উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন বোলাররা। তাসমানিয়ার বোর্ড়ে রান তখন মাত্র ৫১।
তবে চতুর্থ উইকেটে চার্লি ওয়াকিমকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটিতে জয়ের আশা ধরে রাখেন পাঁচে নামা ডরান। দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরার আশা জাগিয়েছিল এইচপি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে তাসমানিয়াকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ডরান৷
মাত্র ৩৭ বলে ৪টি চার ও তিন ছক্কায় খেলেন ৭১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ২৫ রানে দুই উইকেট নিয়ে এইচপির সেরা বোলার স্পিনার রাকিবুল হাসান।
একটি করে উইকেট নেন জীবন, আবু হায়দার রনি ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে