সিলেট পর্ব জয় দিয়ে শুরু করা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স শিবিরের শক্তি বাড়ল আরও। দলের সাথে যোগ দিতে সিলেটে পৌঁছেছেন পাকিস্তানি পেসার হুনাইন শাহ।
রবিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নেই কোনো খেলা। বিরতির দিন সকালে সিলেটে পা রেখেছেন হুনাইন।
আরও পড়ুন: ব্যাটারদের ব্যর্থতায় চট্রগ্রামের মামুলি সংগ্রহ
১৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের এবারই বিপিএলে অভিষেক হবে। ডানহাতি পেসার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলেছেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের।
এখন পর্যন্ত ১৪টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৭টি উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার।
চট্রগ্রামের পরবর্তী ম্যাচ আগামী সোমবার, সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে চট্রগ্রাম।
৩০ অক্টোবর ২০২৪, ৮:২৭ পিএম
৩০ অক্টোবর ২০২৪, ৭:০১ পিএম
চলমান দ্বিতীয় টেস্টে আচমকাই লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যাওয়া মাহিদুল ইসলামের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চটা এখনও ঘোর লাগানিয়া। প্রতিটি বলে আবিষ্কার করছেন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য। তবে বেশ আগে অভিষেক হওয়া টপ অর্ডারের কয়েকজন ব্যাটার এখনও পায়ের তলা মাটি খুঁজে পেতে হিমসিম খাচ্ছেন। সাদমান-জয়-জাকিররা ঘরোয়ার পাশাপাশি জাতীয় দলেও ভালোই ম্যাচ খেলেছেন। তবে পারছেন না আস্থার প্রতিদান দিতে। স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ তরুণদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন পাশে। তার দাবি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের হিসেবে এই ক্রিকেটাররা বিচারে এই তিনজন নতুনই এখনও।
সাদমান ইসলাম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ম্যাচ খেলেছেন ৮৬টি, রান ৫ হাজারের বেশি। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় যথাক্রমে খেলেছেন ৩৫ ও ১৪টি করে প্রথম শ্রেণির ও টেস্ট ম্যাচ। এই টেস্টে তিনে নামা জাকির হাসানের অভিজ্ঞতা আরও বেশি ঘরোয়াতে। খেলেছেন ১১৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, আর টেস্ট ১৪টি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষবেলায় তিনজনই আউট হয়েছেন এক ডিজিটে। বেশ সুযোগ পেলেও তারা কেউই থিতু হতে পারছেন না দলে।
আরও পড়ুন
সাকিবকে বিদায়ী টেস্ট খেলাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি বিসিবি, বললেন ফারুক |
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশতাক শুরুতে এই ব্যাটারদের তরুণ বলে সময় দিতে বলেছিলেন। এরপর তাদের অভিজ্ঞতার দিকটি তুলে পাল্টা প্রশ্ন করা হলে সাবেক পাকিস্তান স্পিনার এর ব্যাখ্যা দেন। “আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যাপারে কথা বলেছি, ঘরোয়া ক্রিকেট নয়। আপনি ২০-৩০ বা ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতেই পারেন, তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের টেম্পারমেন্ট একেবারেই ভিন্ন ব্যাপার। এমন অনেক উদাহারণ পাবেন যে খেলোয়াড়রা ঘরোয়া তে অনেক অনেক ম্যাচ খেলে আসলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে এসে সেই টেম্পারমেন্ট দেখাতে পারছে না। আমি এই দলের নতুন, তবে আমি তাদের ওপর বিশ্বাস রাখি। আমাদের আস্থা আছে তাদের ওপর। তারা যদি পথ না হারায় আর প্রক্রিয়া ঠিক রাখে, তাহলে আমি মনে করি বাংলাদেশের সামনে খুব ভালো একটা সময় অপেক্ষা করছে।”
এই তিনজন তো বটেই, ভারত সফর থেকে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কেউই নেই সেভাবে ফর্মে। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ইনিংস আসলেও প্রথম ছয় ব্যাটাররা পারছেন না সেভাবে অবদান রাখতে। উত্তরণের উপায় কী? মুশতাক শোনালেন বিশ্বাস রাখার বাণী। “ক্রিকেট খুব পুরনো এবং মজার একটা খেলা। আপনাকে বেসিকটা ঠিক রাখতেই হবে। টেস্ট হোক বা ওয়ানডে, আপনি যদি বেসিক ঠিক রাখেন আর পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলেন, তাহলে যেমনটা একজন বলেছেন যে বিশ্বাসটা রাখুন। আপনাকে বিশ্বাস ধরে রাখতেই হবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রায় দুই দিন ব্যাটিং করে দাঁড় করিয়েছেন ৬ উইকেটে ৫৭৫ রানের বিশাল স্কোর। অথচ একই উইকেটে মাত্র ৯ উইকেট ব্যাট করেই ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে মাত্র ৩৮ রান। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে খাবি খেয়েছেন ব্যাটাররা। এর মধ্যে বাজে শট খেলেছেন সাদমান।
আরও পড়ুন
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ২ ধাপ উন্নতি মিরাজের |
এর পেছনে কী ক্লান্তি দায়ী? মুশতাক তা মানতে অবশ্য নারাজ। “এটা ক্লান্তিকর, তবে পেশাদার দলগুলো এভাবে ভাবে না। পেশাদার দলকে মাঠে ফিরে আসতে হবে এবং যতোটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারানো খুব বড় সমস্যা নয়। কোচ হিসেবে আমি ওভাবে চিন্তা করি না। পরিস্থিতি যাই হোক, আপনাকে লড়াই করতেই হবে আর বিশ্বাস রাখতে হবে।”
ব্যাটারদের এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ দলের এমন ধারাবাহিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণটাই বা কী? এই প্রশ্নে যেন দার্শনিক হয়ে গেলেন মুশতাক। আপনি কি একদিনে একটি গাছ বড় করে ফেলতে পারবেন? পানি দিতে থাকুন, বাগানের পরিচর্যাকারীর ওপর বিশ্বাস রাখুন। কখনো কখনো কোচ হিসেবে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। আপনি একদিনে গাছ বড় করতে পারবেন না। গাছটি কিছুদিন আগে আপনাকে দেখিয়ে দেবে যে সে ছায়া আর ফল দিতে পারবে। আমি এটা বিশ্বাস করি।”
প্রায় এক মাস ধরেই তুমুল আলোচনার ছিল বিষয়টি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট দিয়ে সাকিব আল হাসান অবসর নিতে চাইলেও সেখানে চলে আসে নান মাঠের বাইরের বাস্তবতা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ছাড়াও সেখানে চলে আসে বর্তমান সরকারের অবস্থানও। শেষ পর্যন্ত শুরুতে স্কোয়াডে থাকলেও বাদ পড়ে আর দেশে আসাই হয়নি সাকিবের। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন সাবেক অধিনায়ককে প্রাপ্য সম্মানটা দিতে।
বাংলাদেশে গত আগস্টে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের একজন এমপি ছিলেন সাকিব। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথেই তার বিরুদ্ধে হয়েছে একটি হত্যা মামলা। ফলে বিদায়ী টেস্ট খেলতে সাকিব শর্ত দিয়েছিলেন তাকে দেশে এসে খেলতে এবং দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তা দিতে। শুরুতে সবুজ সংকেত পেলেও শেষ পর্যন্ত তাকে দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়।
বিসিবির কী এখানে বাড়তি কিছু করা উচিত ছিল? মিরপুরে বুধবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় ফারুক অকপটে বলেছেন, তাদের এখানে কিছুই করার ছিল না। “আপনি যেটা বললেন যে শেষ টেস্ট খেলতে ফিরতে পারেনি… একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান (তাদের ব্যাপার)..। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।”
সাকিবকে মিরপুর টেস্টের দলে রাখার প্রতিবাদে ম্যাচ শুরুর কয়েকদিন আগে থেকে স্টেডিয়ামের বাইরে শুরু হয় পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থকদের নানা পদক্ষেপ। একদল সাকিবকে দেশের মাটিতেই আর দেখতে চান না, আবার আরেকদল দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারকে তার রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে সম্মান দেওয়ার পক্ষে দাবি জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পুরো টেস্ট জুড়েই তৈরি হয় এক যুদ্ধময় পরিস্থিতি। নিরাপত্তার চাদরে ধেকে ফেলা হয় স্টেডিয়ামের চারপাশ।
ফারুক তাই মনে করছেন, তাদের পক্ষে চাইলেও এখানে বাড়তি কিছু করার সুযোগ ছিল না। “সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে, গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।”
সাকিব আলাদা কিছু না বললেও মিরপুর টেস্ট না খেলতে পারায় বলাই যায়, ২০ ওভারের পাশাপাশি টেস্টেও তার ক্যারিয়ারে ইতি ঘটেছে। লম্বা সময় ধরে দেশে ও দেশের বাইরে সাকিব তার নানা অর্জনের মধ্য দিয়ে বয়ে এনেছেন গৌরবময় সব মুহুর্ত। অথচ তিনি ইচ্ছা থাকলেও পারলেন না দেশের মাঠে দর্শকদের সামনে খেলে টেস্টকে বিদায় জানাতে। ওয়ানডেতেও এমন কিছুর আশা করাটা এখন বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিসিবি প্রধান মনে করেন, বাস্তবতা মেনে নেওয়া ছাড়া সবার আর কিছু করার নেই। “আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে, একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে, এজন্য আম মনে করেছি, এটা (দেশ থেকে অবসর) হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে আপনার। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত আছে। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষটা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।”
আগামী মাসে ক্যারিবিয়ান সফরে ওয়ানডেও খেলবে বাংলাদেশ। সেই দলে কী থাকবেন সাকিব? ফারুক রেখে দিলেন ধোঁয়াশা। “সাকিব আল হাসানের ব্যাপারটা… এখনও যেহেতু দল দেয়নি (ঘোষণা হয়নি), আমার মনে হয় অ্যাভেইলঅ্যাবল আছে সে।”
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে