জাতীয় দলের মত চলতি মাসে ব্যস্ত সময় আসছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলেরও। তাদের বিপক্ষে দুই ফরম্যাটের সিরিজ খেলার জন্য এই সপ্তাহেই বাংলাদেশে পা রাখছে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল, নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন আকবর আলি।
শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, সফরে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে প্রোটিয়া যুবারা।
আগামী রোববার ঢাকায় পা রেখে একইদিনে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবে সফরকারীরা। এরপর দুই দিন বিশ্রামের পর চলবে দুই দিনের অনুশীলন।
আরও পড়ুন
শান্তদের ব্যস্ত সূচিতে যোগ হল আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ |
![]() |
ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে দুই দলের লড়াই, যার প্রথম ম্যাচ আগামী ১২ মে। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ১৪ ও ১৬ মে। সবগুলো ম্যাচই হবে রাজশাহীত শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে।
প্রথম চারদিনের ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে, আগামী ২০ থেকে ২৩ মে। আর শেষ ম্যাচটি হবে মিরপুরে, যা চলবে ২৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ইমার্জিং স্কোয়াড :
আকবর আলি (অধিনায়ক), জিসান আলম, রায়হান রাফসান রহমান, মাহফিজুল ইসলাম, প্রিতম কুমার, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, শেখ পারভেজ জীবন, মারুফ মৃধা, রিপন মন্ডল, আসাদুজ্জামান, আহরার আমিন, তোফায়েল আহমেদ রায়হান, ওয়াসি সিদ্দিকী।
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সাথে ক্রিকেটের কোনো যোগাযোগ না থাকলেও ক্রমেই উপমহাদেশের ক্রিকেটকে প্রভাবিত করছে বিষয়টি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান বৈরিতার সাথে সীমান্তে অস্থিরতার কারণে এতে চলে আসছে বাংলাদেশের নামও। ফলে আচমকাই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ভারতের বাংলাদেশ সফর এবং চলতি বছরের এশিয়া কাপও।
চলতি মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান চলে গেছে মুখোমুখি অবস্থানে। এই ঘটনার জেরে দুই দেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত হয়েছে। আর রয়েছে সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়া, ভিসা বাতিল সহ নানা পদক্ষেপ তৈরি করেছে এক যুদ্ধময় আবহের।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইমার্জিং দলের নেতৃত্বে আকবর |
![]() |
এর প্রভাব পড়ছে ক্রিকেটেও। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানের সাথে কোনো ম্যাচই আপাতত খেলার পক্ষে নয় দেশটির সরকার। ফলে অনিশ্চয়তা জেগেছে এই বছর হতে যাওয়া এশিয়া কাপ নিয়ে, যেখানে গ্রুপ পর্বেই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ভারত ও পাকিস্তানের। অন্যদিকে বাংলাদেশের সাথে আপাতত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সরাসরি কোনো সমস্যা না থাকায় আগস্টে ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কিছুদিন আগেও ছিল না তেমন অনিশ্চয়তা।
তবে বিপত্তি বেঁধেছে ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী জাতীয় কমিশনের প্রধান এএলএম ফজলুর রহমানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টকে কেন্দ্র করে। যেখানে তিনি লিখেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স) দখল করা।
সরকারের সাথে সরাসরি যুক্ত ফজলুর রহমানের এমন স্পর্শকাতর মন্তব্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ফলাও করে প্রচার করে ভারতের শীর্ষ সব সংবাদমাধ্যম। টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এও জানায়, ভারতের বাংলাদেশে সাদা বলের সফর বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আর রাজনৈতিক কারণে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ বাতিলের ঝুঁকি নিয়ে চিন্তা না করার কথাই জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ডেইলি সানের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে এখনও ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান এবং ভারত বাংলাদেশ সফরে আসবে নির্দিষ্ট সময়েই।
আরও পড়ুন
শান্তদের ব্যস্ত সূচিতে যোগ হল আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ |
![]() |
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের সরকার বা বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই সফর নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যাবেই। ভারতের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নতি না হলে নিশ্চিতভাবেই সেটা উপমহাদেশের রাজনীতিতে তৈরি করবে জটিল আবহ, যা প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশ ও ভারতের আসছে দুই ফরম্যাটের সিরিজেও।
সামনের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যস্ততা আরও বেড়ে গেল। চলতি মাসেই পাকিস্তান সফরের আগেই নাজমুল হোসেন শান্তর দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
শুক্রবার এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই সফরে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
উভয় ম্যাচই হবে বিখ্যাত শারজা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যথাক্রমে আগামী ১৭ ও ১৯ মে।
আরও পড়ুন
ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠলেন মিরাজ, বড় জয়ে সিরিজ ড্র বাংলাদেশের |
![]() |
ম্যাচ দুটিই হবে ডে-নাইট, যা শুরু হবে স্থানীয় সময় রাত ৭টায়, যা বাংলাদেশ সময়ে হবে রাত ৯টায়।
এর আগেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে দুবাইয়ে হওয়া সেই সিরিজেও ম্যাচ ছিল দুটি, যেখানে বাংলাদেশ জেতে ২-০ ব্যবধানে।
সেবারের মত এবারের সিরিজেরও মূল লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেই কারণে এরই মধ্যে এই মাসের পাকিস্তান সফর থেকে বাদ দিয়েছে ওয়ানডে। এর পরিবর্তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান খেলবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যা শুরু হবে আগামী ২৫ মে থেকে।
দলে মূল ভূমিকা স্পিনিং অলরাউন্ডারের। তবে বেশ কিছুটা সময় ধরেই টেস্টে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারে অন্যতম ভরসার নাম মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটিং টেকনিকের কারণে প্রায়ই দাবি ওঠে তাকে সাতে বা ওপরের দিকে খেলানোর। এসবের মাঝে অবশ্য আড়াল হয় না তার বোলিংটাও। দুই ভূমিকাতেই উজ্জ্বল মিরাজ নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করলেন ব্যাটে-বলে, আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হলেন সিরিজ সেরা। তাতে আরও পোক্ত হয়েছে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে তার অবস্থান।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাটিং ও বোলিং দুই জায়গাতেই দলের সেরা পারফর্মার ছিলেন মিরাজ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দলকে উদ্ধার করে শতক করে এনে দিয়েছেন বিশাল লিড, এরপর ফাইফারে আবার তিন দিনেই অবদান রেখেছেন ইনিংস ব্যবধানে জয়ে।
একটু দেখা যাক, এই টেস্টটিতে ব্যক্তিগত কী কী কীর্তি-গাথা হল মিরাজের:
• এটি ছিল মিরাজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
• লাল বলের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১৩তম বার ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
• বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি ৫ উইকেট শিকার করেছেন মিরাজ।
• বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের 'ডাবল' স্পর্শ করেছেন মিরাজ।
• টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে একটি টেস্ট সিরিজের এক ম্যাচে ১০ উইকেট শিকারের পাশাপাশি এক ইনিংসে শতকের রেকর্ড গড়েছেন।
• টেস্টে এই নিয়ে তৃতীয়বার ম্যাচ সেরার খেতাব জিতেছেন মিরাজ, যা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
• লাল বলের ক্রিকেটে তৃতীয়বার সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মিরাজ, যা বাংলাদেশীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন
ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠলেন মিরাজ, বড় জয়ে সিরিজ ড্র বাংলাদেশের |
![]() |
রেকর্ডময় এই ম্যাচ ও সিরিজে বাংলাদেশ দল আশানুরূপ ক্রিকেট খেলতে পারেনি, ফলে সিরিজ ড্র হয়েছে ১-১ ব্যবধানে। তবে ৩ উইকেটে হেরে যাওয়া প্রথম টেস্টে মিরাজ প্রাণপণে চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশকে জেতানোর। দুই ইনিংস মিলে তার ১০ উইকেটই স্বাগতিকদের নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের খুব কাছে।
আর দ্বিতীয় টেস্টে তিনশরা আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে দল যখন ম্যাচের লাগাম হারানোর পথে, তখন লেজের ব্যাটারদের নিয়ে খেললেন ১০৪ রানের ইনিংস। পুরো ইনিংস জুড়েই ছিল নিজের সামর্থ্যের ওপর অগাধ আস্থা। আর এটাই মিরাজকে ব্যাটার হিসেবে প্রতিনিয়ত নিয়ে যাচ্ছে নতুন উচ্চতায়, বোলার হিসেবে যেখানে তিনি আগে থেকেই আছেন দারুণ ছন্দে।
গেল বছর টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মিরাজ ব্যাট হাতেও স্পেশালিষ্টদের পেছনে ফেলে হন সর্বোচ্চ রানস্কোরার। সেটাও অধিকাংশ সময়েই চাপের মুখে ব্যাট করে। এই কারনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজে তার ভালো করা একটা ধারাবাহিকতার বহিঃপ্রকাশ, যা বাংলাদেশের জন্য বড় এক স্বস্তির জায়গা।
সাবেক বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের টেস্ট ক্যারিয়ার কার্যত শেষই। ফলে তার বিশাল সেই শূন্যতা পূরণে বাংলাদেশের দরকার মিরাজের এভাবেই অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার। তিনি নিজে কোনো তুলনায় না যেতে চাইলেও তুলনাটা চলেই আসে। তবে নানা কারণেই সাকিবের সাথে কারও তুলনা করাটা হয়ত ঠিক হয় না।
আরও পড়ুন
নতুন মৌসুমের আগে এসএলসি থেকে বাদ ২ ফ্র্যাঞ্চাইজি |
![]() |
তবে মিরাজ যদি মিরাজই হতে চান, নিজের নামটাকে সাকিবের মতোই আলাদা ক্যাটাগরিতে নিয়ে যেতে চান, তাহলে তাকে সামনে আগামী সিরিজগুলোতেও এভাবেই সব্যসাচী হতে হবে। মিরাজ যে তা করার সামর্থ্য রাখেন, তা এখন প্রমাণিত। তার এখন প্রয়োজন কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়ার, যার ভিত হতে পারে এই সিরিজটিই।
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ৬:১১ পিএম
দিনের শুরুতেই ম্যাচের লাগাম স্পষ্টভাবে ছিল না কোনো দলের হাতে। তবে অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে লড়িয়ে এক ইনিংসে ক্রমেই বাংলাদেশকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেলেন মিরাজ, করলেন দারুণ এক শতক। তাতে বড় একটা লিড পেয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আর দাঁড়ানোর সুযোগ দিল না জিম্বাবুয়েকে। ব্যাটের পর বল হাতেও বাজিমাত করা মিরাজ পেলেন ফাইফারের দেখা, যা স্বাগতিকদের সাত ম্যাচ পর এনে দিল টেস্ট জয়।
চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছে ইনিংস ও ১০৬ রানে। সিরিজ ড্র হয়েছে ১-১ স্কোরলাইনে।
দ্বিতীয় দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম মিলে সকালের প্রথম ঘণ্টা কাটিয়ে দেন নির্বিঘ্নেই। তুলনামূলক ইতিবাচক ব্যাটিং করা মিরাজ শুরু থেকেই মন দেন দ্রুত রান তোলায়। প্রায় প্রতি ওভারেই হাঁকান বাউন্ডারি। সময়ের সাথে তাইজুলও কিছু রান বের করছিলেন। তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বেশি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে বাতিল ওয়ানডে সিরিজ |
![]() |
পুরো ম্যাচে দারুণ বল করা ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে স্টাম্পড হওয়ার আগে তাইজুলের ব্যাট থেকে আসে ৩ চারে ২০ রান। এরপরই শুরু হয় মিরাজ ও তানজিমের সেই প্রতিরোধ। অন্য প্রান্তে সঙ্গীর ব্যাটে আস্থা রেখে ফিফটি পেরিয়ে যাওয়ার পরও মিরাজ হাঁটেননি আগ্রাসনের দিকে। বরং দুজনেই মন দেন দেখেশুনে খেলে রান বের করার।
তাতে ধীরে ধীরে বড় হয় জুটি, বাড়তে থাকে বাংলাদেশের লিড আর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচে ফেরার আশায় থাকা জিম্বাবুয়েকে ভাসায় হতাশায়। প্রথম ১৯ বলে ২ রান করা তানজিম মাসেকেসাকে ছক্কা মেরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আভাস দেন। সেট হয়ে এরপর ভালোভাবেই মিরাজকে সঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস বড় করার কাজটা সহজ করেন এই ম্যাচ দিয়ে টেস্টে অভিষিক্ত তানজিম।
আশির ঘরে মাসেকেসার এক ওভারে দুইবার অল্পের জন্য আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান মিরাজ। একবার হতে পারতেন ক্যাচ আউট, আরেকবার রিভিউ নিয়ে সফল হন এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্তে। এরপর স্বাচ্ছন্দ্যেই পা রাখেন নব্বইয়ের ঘরে। আরেক প্রান্তে তানজিমও ছিলেন ফিফটির পথে। তবে ৯ রানের জন্য হতাশ হতে হয় তাকে।
তবে তার আগে উপহার দেন নবম উইকেটে ৯৬ রানের জুটি। এরপর দেখার বিষয় ছিল মিরাজ কতোটা টেনে নিতে পারেন নিজের ও দলের ইনিংস। তানজিম ফিফটি মিস করলেও মিরাজ আর সেই ভুল করেননি। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ ব্যাটার হিসেবে মাসেকেসার বলে স্টাম্পড হন, তার আগে নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১০৪ রান, যা তিনি সাজান ১১ চার ও এক ছক্কায়। ১১৫ রানে ৫ উইকেট নেন লেগ স্পিনার মাসেকেসা। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৪৪৪ রানে।
২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা জিম্বাবুয়ে টার্নিং উইকেটে খাবি খায় শুরু থেকেই। দুই প্রান্ত থেকে মিরাজ ও তাইজুলকে আক্রমণে এনে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার মঞ্চ সাজান শান্ত, যা দুজন মিলে সামাল দেন দৃঢ়তার সাথে।
আরও পড়ুন
১৪ বছরেই বিশ্ব জয়ের গান, 'বেবি বস' সুরিয়াভানসির সাহসী লড়াই |
![]() |
তাইজুল একপ্রান্তে নিজের কাজটা করে যান নিয়ম মেনেই। তবে এই ইনিংসে তাকে পার্শ্বচরিত্র বানিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান মিরাজই। অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে নীরব প্রতিরোধ জানিয়ে একাই শেষ পর্যন্ত লড়ে যান বেন কারান। অভিজ্ঞ এই ওপেনারের কারণেই মূলত ম্যাচ গড়ায় দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত।
নবম ব্যাটার হিসেবে তার আউটের আগ পর্যন্ত ফলাফল ছাপিয়ে মূল বিষয় ছিল ম্যাচ চতুর্থ দিনে গড়ায় কিনা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। তাতে ১১১ রানেই প্যাকড হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
মাত্র ৩২ রানে পাঁচ উইকেট নেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়া তাইজুল শিকার করেন তিন উইকেট। আর আরেক স্পিনার নাঈম হাসান পান একটি উইকেট। অন্যটি হয় রান আউট।
মালিকানা নিয়ে জটিলতায় লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ছিটকে যাওয়ার ধারা এবারও অব্যাহত রয়েছে। ফলে নতুন আসরে অংশ নেওয়া হচ্ছে না দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি জাফনা কিংস এবং কলম্বো স্ট্রাইকার্সের। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।
এলপিএলের পঞ্চম বছরে এসে এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে নিয়ে একটা কাঠামোতে আসতে পারেনি এসএলসি। প্রথম আসরে অংশ নেওয়া মূল পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের মধ্যে একটিও এখন এই টুর্নামেন্টের অংশ নয়। এক মালিকানায় থাকা জাফনা কিংসই ছিল সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে টিকে থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি, যারা দ্বিতীয় মৌসুম থেকেই এলপিএলের অংশ ছিল।
জাফনা ফ্র্যাঞ্চাইজির বাদ পড়ার অর্থ হল, চারটি টুর্নামেন্টে তিনটিতে জেতা দলটি এখন খেলবে তৃতীয় মালিকানার অধীনে। আর কলম্বো ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবে চতুর্থ মালিকানায়। এর আগে ছিল কলম্বো কিংস এবং কলম্বো স্টার্স নামে।
এই দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বাদ পড়ায় এলপিএলে এখন প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকই নতুন। অন্য তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি গল মার্ভেলস, ড্যাম্বুল্লা সিক্সার্স এবং ক্যান্ডি ফ্যালকনস-এর মালিকরা গত বছর নিজ নিজ দলের সাথে যুক্ত হন।
ফ্র্যাঞ্চাইজি দুটিকে বাদ দেওয়ার কারন হিসেবে এসএলসি জানিয়ছে, তারা চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করতে পারেনি। যদিও বোর্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ব্যর্থতা কী, তা নিয়ে বিশদভাবে বর্ণনা করেনি।