পরপর দুটি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া জার্মানি শেষ ইউরোতেও বিদায় নেয় আগেভাগেই। তবে এবার স্বাগতিক হওয়ার সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে সবার আশাটা একটু বেশিই। চতুর্থ ইউরো জয়ের লক্ষ্যে এবার মাঠে নামবে দলটি। গত বছর জুলিয়ান নাগেলসমানের হ্যান্সি ফ্লিকের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর জার্মানি শুরুতে সেরা ছন্দে ছিল না। তবে মার্চে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় ৩৬ বছর বয়সী কোচকে নিশ্চিতভাবেই ইউরোয় ভালো করার আশা যোগাবে।
আরও পড়ুন: ইউরো ২০২৪ : দল বিশ্লেষণ (গ্রুপ ‘এফ’)
তিনবারের ইউরো জয়ী স্পেন, নরওয়ে ও জর্জিয়ার বিপক্ষে জয়ে দারুণ বাছাইপর্ব কাটিয়েই মূল পর্বে এসেছে স্কটল্যান্ড। ফলে স্কটিশ শিবিরে এবার আশা অবশ্যই বেশি। প্রথম কোচ হিসেবে স্টিভ ক্লার্ক স্কটল্যান্ডকে নিয়ে এসেছেন টানা দুটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে।
অভিজ্ঞ এই কোচ একটা ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড তৈরি করেছেন এবং এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেছেন যা অ্যাস্টন ভিলার অধিনায়ক জন ম্যাকগিন এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটোমিনের মতো শীর্ষ মানের খেলোয়াড়দের নিয়ে সাজানো। জায়ান্ট ও স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে ক্লার্কের দল কি আরেকটি অঘটনা ঘটাতে পারবে?
সম্ভাব্য লাইন আপ:
জার্মানি : নয়ার, কিমিখ, রুডিগার, তাহ, মিটেলস্ট্যাড্ট; আন্দ্রিচ, ক্রুস; মুসিয়ালা, গুন্দোয়ান, উইর্টজ, কাই হাভার্টজ
স্কটল্যান্ড: গুন, রালসটন, পোর্টিয়াস, হেন্ড্রি, টিয়ের্নি, রবার্টসন; ম্যাকটোমিনে, গিলমোর, ম্যাকগ্রেগর, ম্যাকগিন; অ্যাডামস।
সব প্রতিযোগিতায় শেষ ৬ ম্যাচের ফলাফল :
জার্মানি : জয়, ড্র, জয়, জয়, পরাজয়, পরাজয়
স্কটল্যান্ড : ড্র, জয়, পরাজয়, পরাজয়, জয়, জয়
এই ম্যাচ সহ পুরো ইউরো ২০২৪ সরাসরি দেখতে চোখ রাখুন টি-স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।
১০ নভেম্বর ২০২৪, ৮:২১ পিএম
১০ নভেম্বর ২০২৪, ৫:৩৩ পিএম
মিডফিল্ডার হলেও ক্লাব ও জাতীয় দলে জুড বেলিংহাম গোলের সামনে ভীষণ কার্যকর একজন খেলোয়াড়। তবে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে গত মৌসুমে গোলের পর গোল করে চমক দেখিয়েছেলন ইংলিশ তারকা। প্রত্যাশা তাই এবার বেশিই তাকে ঘিরে। তবে এই মৌসুমে প্রথম গোলের দেখা পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এই সপ্তাহ পর্যন্ত। এমন ছন্দপতনের কারণ খুঁজে বের করেছেন বেলিংহাম। তার মতে, মাঠে একটু বেশি ভালো থাকার কারণে জালের দেখা পেয়ে বেগ পেতে হচ্ছে তাকে।
ওসাসুনার বিপক্ষে গত শনিবারের ম্যাচের ৪২তম মিনিটে গোল করেন বেলিংহাম। এরপর তার, দলের ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মত। মৌসুমে প্রথম গোল বলে কথা। অথচ গত মৌসুমে শুধুমাত্র লা লিগাতেই ১৯টি গোল ছিল তার নামের পাশে। গতকালের ম্যাচের আগে শেষবার রিয়ালের জার্সিতে গোল করেছিলেন সেই গত মে মাসে।
রিয়াল মাদ্রিদ টিভির সাথে এক আলাপচারিতায় এই গোলখরা সম্পর্কে অবশ্য বিশেষ চিন্তার কিছু না দেখার কথাই জানালেন বেলিংহাম। “আমি মাঠের বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করছি। এটা সেই কাজগুলোর মধ্যে একটা, আমি দলের জন্য যে কোনো কিছুই করব। হয়ত আমি একটু বেশি চেষ্টা করেছি এবং (গোলের সামনে) একটু বেশিই ভালো ছিলাম। এখন থেকে আমি এটা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। যদি সেটা নাও হয়, তাহলে আমি যেকোনো উপায়ে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
এই মৌসুমে বেলিংহামের গোল না পাওয়ার পেছনে তার ফিনিশিং দক্ষতার চেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফরমেশন ও তার পজিশনও। গত মৌসুমে ওপরের দিকে উঠে খেললেও এবার কিলিয়াব এমবাপের আগমন, টনি ক্রুসের অবসর ও দলে চোটের ছোবলে অনেকটাই ভিন্ন ভূমিকায় খেলতে হচ্ছে বেলিংহামকে। নিচে নেমে খেলার কারণে পাচ্ছেন না সেভাবে গোলের সুযোগও।
দলের জন্য নিবেদিত বেলিংহাম তাই গোল কম করা নিয়ে বাড়তি আক্ষেপ করছেন না। “আমার মনে হয় আমি সাধারণত যা করি, তাই করছি। কিন্তু আজকে একমাত্র পার্থক্য হল আমি একটি গোল করতে পেরেছি। অনেক লোক এটা নিয়ে কথা বলছিল, কারণ গত বছর আমি প্রচুর গোল করেছিলাম। তবে আমি মনে করি, এই বছর আমি একটি ভিন্ন ভূমিকা পালন করছি।”
এই মৌসুমে সেভাবে গোল না পেলেও সমর্থকদের ভালোবাসায় কমতি হয়নি বেলিংহামের জন্য। ওসাসুনা ম্যাচে মাঠ ছাড়ার তাকে সম্মান জানানো হয়েছে দাঁড়িয়ে। এতে আপ্লুত তরুণ এই ফুটবলার। “আমি এখনও এই ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তি বলে মনে করি। এমনকি খারাপ সময়েও আমি এখনও এখানে থাকতে পেরে কৃতজ্ঞ। (সমর্থকদের) ভালোবাসা পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত বোধ করছি। তাদের জন্যই তো আপনি খেলেন। আপনি চাইবেন লোকেরা যাতে খুশি মনে ঘরে ফিরে যায়। এটি আসলেই একটা ভাল অনুভূতি।”
মাঠে যাচ্ছে সুসময়, তাতে আর্থিক দৈন্যতা কিছুটা ঢাকা পড়েছে বটে। তবে সে দৈন্যতাও বোধহয় কাটিয়ে ওঠার রাস্তা পেয়ে গেছে বার্সেলোনা, নতুন অর্থ প্রাপ্তি নিয়ে ক্লাবটি পেয়েছে সুখবর। অ্যাপারেল ও ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড নাইকির সঙ্গে কয়েক বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সাক্ষর করেছে কাতালান ক্লাবটি, যারা ১৯৯৮ সাল থেকে বার্সেলোনার জার্সি প্রস্তুত করে আসছে।
সম্প্রতি বার্সেলোনার সঙ্গে নাইকির এই চুক্তি নবায়নকে ক্লাব প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা আখ্যা দিয়েছেন ‘ফুটবল জগতে সবচেয়ে বড় চুক্তি’ হিসেবে। তবে চুক্তির মেয়াদ এবং বার্সেলোনার বার্ষিক আয় সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি বার্সেলোনার অফিশিয়াল ক্লাব ওয়েবসাইট।
বার্সেলোনার ঘণিষ্ঠ কিছু সূত্র ইএসপিএন ডটকমকে জানিয়েছে, এই চুক্তি থেকে বার্ষিক ১০ কোটি ইউরো আয়ের আশা করছে। অবশ্য প্রতি বছরই বিভিন্ন শর্ত পূরণ মোতাবেক এই চুক্তি থেকে চক্রবৃদ্ধি হারে অর্থ পাবে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।
১৯৯৮ সাল থেকে বার্সেলোনার জার্সি প্রস্তুত করে আসছে নাইকি। এ দফায় নবায়ন হলেও চলতি বছরের মার্চ মাসে অবশ্য বার্সেলোনার সঙ্গে নাইকির চুক্তি নবায়ন না হওয়ার পথেই এগোচ্ছিল। নাইকির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের প্রক্রিয়াটি ‘জটিল’ আখ্যা দিয়ে লাপোর্তা জানিয়েছিলেন, তারা নাইকির বিকল্প পথে হাঁটতেও প্রস্তুত। তবে শেষ পর্যন্ত নাইকির সঙ্গে থেকে যাচ্ছে বার্সেলোনা।
নাইকির সঙ্গে বার্সেলোনার এই চুক্তি তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, বার্সেলোনার অস্তিত্বও এরকম বড় চুক্তিগুলোর উপর নির্ভর করছে। এর আগে বার্সেলোনা তাদের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ আয়ের লভ্যাংশের বড় একটি অংশ ‘বন্ধক’ রেখে দলে খেলোয়াড় সাইন করানো থেকে শুরু করে বেতনাদি পরিশোধ করার কাজ করেছে।
বর্তমান বার্সেলোনা বোর্ডের দেনার পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন ইউরো। লা লিগার আয়ের সমান ব্যয় নীতিমালায় ফেরত যাওয়ার জন্য বার্সেলোনা বদ্ধপরিকর, সে ক্ষেত্রে নাইকির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন বার্সাকে এ নীতিমালায় ফিরতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে