২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
বিসিবির সর্বশেষ তিন মেয়াদের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন এক প্রকার পানসে ছিল। ক্যাটাগরি-থ্রি ছাড়া নির্বাচনের উত্তাপ দেখা যায়নি তেমন একটা। ওই তিন মেয়াদের নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আশির্বাদপুষ্ট প্যানেলের অধিকাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবার ক্যাটাগরি-থ্রি-তে শুধু নয়, ক্যাটাগরি-২ এর নির্বাচনের উত্তাপ লেগেছে।
সমঝোতার মাধ্যমে ঢাকার ক্লাব ক্যাটাগরির ১২ পরিচালক পদে নির্বাচন যুদ্ধে অবতীর্ন হতে অলিখিত প্যানেলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদেরকে বিনা বাধায় নির্বাচণের বৈতরনী পার হতে দেয়ার পক্ষে নন একদল তরুণ কাউন্সিলররা। ক্যাটাগরি-২ এ শনিবার ৩২ জন মনোনয়ন ফরম তুলে জমজমাট নির্বাচন যুদ্ধের আভাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
বাদ পড়া ১৫ ক্লাব এবং ৫ জেলা ফিরে পেলো ভোটাধিকার |
![]() |
মনোনয়নপত্র বিক্রির শুরুতে বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক প্রতিনিধি কিনেছেন ক্যাটাগরি-২ থেকে মনোনয়নপত্র। প্রতিনিধি পাঠিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে পোষ্টার বয়খ্যাত ক্রিকেটারর তামিম ইকবাল। রফিকুল ইসলাম বাবু, ফাহিম সিনহা, মনজুর আলম, মাসুদুজ্জামান, ইশতিয়াক সাদেক, সানিয়ান তানিম, মীর্জা ইয়াসির আব্বাস, ইস্রাফিল খসরু, ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান, আমজাদ হোসেন কিনেছেণ মনোনয়নপত্র।
অলিখিত প্যানেলের বাইরে থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠু, সিসিডিএম-এর সদস্য সচিব আদনান রহমান দীপন, গ্র্যাউন্ডস কমিটির সদস্য সৈয়দ বোরহানুল ইসলাম পাপ্পু, সিসিডিএম-এর সাবেক সদস্য সচিব ফৈয়াজুর রহমান মিতু, প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের কো অর্ডিনেটর সাব্বির আহমেদ রুবেল ছাড়াও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মালিক লুৎফর রহমান বাদল, প্রাইম দোলেশ্বরের সত্বাধিকারী আবুল বাশার শিপলু, ইয়ং পেগাসাস-'এ' এর আহসানুর রহমান মল্লিক রনি, গোপীবাগ ফ্রেন্ডসের সাইফুল ইসলাম সপুও কিনেছেন মনোনয়নপত্র। আজ তারা মনোনয়নপত্র জমা দিলে নির্বাচন যুদ্ধ উঠবে জমে।
আরও পড়ুন
১৫ ক্লাবের পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তামিম |
![]() |
১৯২ ভোটারের অংশগ্রহনে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। শনিবার ক্যাটাগরি-১ এ ১০টি পদের বিপরীতে ২৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। ক্যাটাগরি-২ এ ১২টি পরিচালক পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৩২টি। ক্যাটাগরি-৩ তে ৩টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ দলের সাবেক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সাবেক প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটার এবং ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল।
ক্যাটাগরি-১ এ বরিশাল বিভাগের ১টি পরিচালক কোটায় মাত্র ১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার শাখাওয়াত হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। রোববার নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন
নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম অস্বচ্ছ, ফারুক-তামিমকে নিয়ে আপত্তি |
![]() |
এদিকে নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং আকরাম খানের পথ অনুসরন করেছেন নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক রাজ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক পদ থেকে বিসিবি পরিচালক হওয়ার পথে এখন সাবেক বাঁ হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক রাজ। ২০২১০সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে গুডবাই জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকের চাকরি নিয়ে ৫ বছর সুনামের সঙ্গে কাটিয়ে বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচনের ইচ্ছা পোষণ করেছেন রাজ। সে কারণেই নির্বাচকের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সমর্থন নিয়ে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরশিপ পেয়ে এখন বিসিবির ক্যাটাগরি-১ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী তিনি। খুলনা বিভাগীয় কোটায় ২ পরিচালক পদে আবদুর রাজ্জাক রাজসহ ৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন
বিসিবির ভোটার তালিকায় নেই ১৫ ক্লাব, ৬ জেলা |
![]() |
বিসিবির নির্বাচনে রাজ্জাক রাজ অংশ নিচ্ছেন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে। মনোনয়নপত্র কিনে গণমাধ্যমকে তা বলেছেন তিনি-
‘আমি ১৪ বছর জাতীয় দলে খেলেছি। চার বছরেরও বেশি সময় জাতীয় নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি বিশ্বাস করি এখনই নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সময় সরে দাঁড়ানোর সময়। এখন আমার লক্ষ্য দেশের ক্রিকেটে অন্যভাবে অবদান রাখা। আমি চাই যেন জেলা ও বিভাগ থেকে যারা উঠে আসে তারা যেন কিছু শিখে আসে। সেই জায়গায় কাজ করতে চাই।’
এদিকে নির্বাচক প্যানেল থেকে আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগ করে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তার জন্য শুভ কামনা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু-
‘প্যানেলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রাজ্জাক। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তার অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি অবদান রেখেছে। আমরা তার অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতের জন্য তাকে শুভকামনা জানাই। ’
No posts available.
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৩২ পিএম
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৪৫ পিএম
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন দিপু। আর বল হাতে চমক হয়ে হাজির হলেন মোহাম্মদ রুবেল। তাদের নৈপুণ্যে টানা দ্বিতীয় জয় পেল চট্টগ্রাম বিভাগ।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সোমবারের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীকে ৩০ রানে হারায় চট্টগ্রাম। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করে তারা। জবাবে ১২৫ রানে থামে রাজশাহী।
তিন ম্যাচে চট্টগ্রামের এটি দ্বিতীয় জয়, ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে তারা। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট পাওয়া রাজশাহীর অবস্থান ষষ্ঠ।
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ক্রিস ওকস |
![]() |
রাজশাহীকে অল্পে থামিয়ে রাখার মূল কারিগর চট্টগ্রামের অফ স্পিনার মোহাম্মদ রুবেল। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
চট্টগ্রামের আগের ম্যাচ দিয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় রুবেলের। সেদিন ১৬ রানে ১ উইকেট নেন তিনি। এর আগে চট্টগ্রামের রিজিওনাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে আসরের সেরা বোলার ছিলেন তিনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল ও দিপু। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও দুজনের কেউই ফিফটি ছুঁতে পারেননি।
আরও পড়ুন
ভিসা জটিলতায় সৌম্যকে নিয়ে অনিশ্চয়তা |
![]() |
৬ চারে ৩৭ বলে ৪৫ রান করেন মুমিনুল। দিপুর ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৫ রান। আগের ম্যাচে ৩৬ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলের দিপু।
এই দুজনের বিদায়ের পর আর কেউ দায়িত্ব নিতে পারেননি। তাই বেশি বড় হয়নি চট্টগ্রামের ইনিংস।
তবে রুবেলের চমৎকার বোলিংয়ে সেটিই অনেক বড় হয়ে যায় রাজশাহীর জন্য। দলের সর্বোচ্চ ২২ রান করেন প্রিতম কুমার। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান।
ভারতের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে স্লিংয়ে এক হাত ঝুলিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ক্রিস ওকস। সেটাই হয়ে থাকল ইংলিশ অলাউন্ডারের সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ড জাতীয় দল থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন তিনি।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে ওকস লিখেন,
‘মুহূর্তটি এসেছে, এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়।'
আরও পড়ুন
ভিসা জটিলতায় সৌম্যকে নিয়ে অনিশ্চয়তা |
![]() |
ক’দিন আগেই ইংল্যান্ডের ছেলেদের দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কি পরিষ্কার করেই জানিয়ে দেন, তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় একদমই নেই ওকস। কাঁধের চোটের কারণে আসন্ন অ্যাশেজ থেকেও ছিটকে যান ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। এবার জাতীয় দলের অধ্যায়ই শেষ হলো তাঁর।
ইংল্যান্ডের জার্সিতে ৬২ টেস্টে ৯৯ ইনিংসে ১৯২ উইকেট নিয়েছেন ওকস। পাঁচবার নিয়েছেন ৫ উইকেট , একবার ১০ উইকেট। ব্যাট হাতে এক সেঞ্চুরি ও সাত ফিফটিতে করেছেন ২০৩৪ রান।
ওয়ানডেতে ১২২ ম্যাচে ১৭৩ উইকেটের সঙ্গে কেরেছেন ১৫২৪ রান। আর ৩৩ টি-টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেট ৩১, রান ১৪৭।
আরও পড়ুন
বিসিবি নির্বাচনে টিকল ৪৮ মনোনয়ন, সুখবর বুলবুল-ফাহিমের |
![]() |
ক্যারিয়ার নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ওকস বলেন,
‘ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা সেই স্বপ্ন ছিল যা আমি ছোটবেলা থেকে আমার পেছনের বাগানে দেখতাম। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে সেই স্বপ্নগুলো আমি জীবনে বাস্তবায়ন রূপ দিতে পেরেছি। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা, থ্রি লায়ন্স জার্সি পরা এবং গত ১৫ বছরে সেই সতীর্থদের সঙ্গে মাঠ ভাগাভাগি করা—যাদের অনেকেই আজ আমার জীবনের বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছে—এসব আমি সবচেয়ে বেশি গর্বের সঙ্গে স্মরণ করব।'
প্রিয়জনদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান ওকস ,
‘আমার মা-বাবা, স্ত্রী অ্যামি এবং আমাদের কন্যা লেইলা ও এভিকে, আপনাদের অবিচল ভালোবাসা, সমর্থন ও ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ। তোমাদের ছাড়া এ সব কিছু সম্ভব হতো না।’
আরও পড়ুন
বিনা ভোটে পরিচালক হওয়ার পথে বুলবুল-ফাহিম |
![]() |
আর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ইংলিশ অলরাউন্ডার বলেন,
‘ভক্তদের, বিশেষ করে বার্মি আর্মিকে ধন্যবাদ, যাদের উৎসাহ, চিৎকার এবং বিশ্বাস সবসময় আমার সাথে ছিল। আমার কোচ, সতীর্থ এবং ইংল্যান্ড ও ওয়ারউইকশায়ারের সবাইকে ধন্যবাদ, যারা আমাকে দেশের হয়ে খেলতে সাহায্য করেছেন—আপনাদের দিকনির্দেশনা ও বন্ধুত্ব আমার জন্য অনেক মূল্যবান।'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন ওকস,
‘আমি আশা করি কাউন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাব এবং শীঘ্রই আরও ফ্র্যাঞ্চাইজি সুযোগ অন্বেষণ করব।’
প্রায় ছয় মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেও এখন নতুন অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছেন সৌম্য সরকার। এখনও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পাননি বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটার। যে কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার পর এখনও আমিরাতে আছে বাংলাদেশ দল। নতুন মাসের শুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তারা। এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
আরও পড়ুন
বিসিবি নির্বাচনে টিকল ৪৮ মনোনয়ন, সুখবর বুলবুল-ফাহিমের |
![]() |
চোটের কারণে এশিয়া কাপের শেষ দুই ম্যাচ খেলতে না পারা লিটন কুমার দাস ছিটকে গেছেন সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও। তার জায়গায়ই দলে ফিরেছেন সৌম্য। কিন্তু কবে নাগাদ দলে যোগ দিতে পারবেন তিনি, তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
আগামী ২ অক্টোবর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মাঝে আছে আর ৩ দিন। বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সৌম্যর ভিসা পেতে ৩ দিনই লেগে যেতে পারে।
"সৌম্য এখনও আরব আমিরাতের ভিসা পায়নি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখা যাক, আমরা সময়ের মধ্যে করতে পারি কিনা।"
আরও পড়ুন
বিনা ভোটে পরিচালক হওয়ার পথে বুলবুল-ফাহিম |
![]() |
এছাড়া আগামী ১ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে লিটনের। কিন্তু সৌম্য সময়মতো দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন কিনা, সেটিই মূল প্রশ্ন।
জাতীয় দলে ফেরার আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলা দুই ম্যাচেই রানের দেখা পেয়েছেন সৌম্য। খুলনা বিভাগের হয়ে প্রথম ম্যাচে মাত্র ৩৪ বলে করেন ৬৩ রান। আর পরেরটিতে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৪৫ রান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ থেকে ঢাকা বিভাগীয় কোটায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল আবেদিন ফাহিমের নির্বাচিত হয়ে আসার পথে বাধা সৃষ্টি করেছিলেন বিসিবির সাবেক পরিচালক আবদুল্লাহ আল ফূয়াদ রেদোয়ান। বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা বিভাগীয় কোটায় সরকার সমর্থিত ২ প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন তিনি।
জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এই কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র তুলে তাতে প্রস্তাবকও সমর্থকের স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা বিভাগীয় কোটার ২ পরিচালক পদের নির্বাচন জমিয়ে তোলার আভাস দিয়েছিলেন রেদোয়ান। দুইটি পরিচালক পদের বিপরীতে ১৮ ভোটারের সমর্থন নিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিলেন বিএনপি ঘরানার ক্রীড়া সংগঠক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান।
আরও পড়ুন
রাজ্জাকসহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৪ প্রার্থী |
![]() |
তবে তিন প্রার্থীর ভোটযুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আবদল্লাহ আল ফূয়াদ রেদোয়ানের প্রার্থীতার পক্ষে সমর্থক মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর মাসুদের কাউন্সিলর ফরমের স্বাক্ষরের সঙ্গে মনোনয়ন পত্রের স্বাক্ষরের মিল খুঁজে পায়নি নির্বাচন কমিশন। সে কারণেই আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানের মনোনয়পত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হওয়ায় এখন এই দুইজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মঙ্গলবার আপত্তি শুনানিতে রেদোয়ানের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হলে ঢাকা বিভাগীয় কোটা থেকে আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং নাজমুল আবেদিন ফাহিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হবেন।
আরও পড়ুন
৬০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি, নির্বাচকের চাকরি ছেড়ে নির্বাচন যুদ্ধে রাজ |
![]() |
মনোনয়নপত্রে সমর্থকের স্বাক্ষরের মিল দেখতে না পেয়ে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীতা বাতিল করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আবদুল্লাহ আল ফূয়াদ রেদোয়ান,
‘মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক এবং সমর্থকের ঘরে যে দুইজনের স্বাক্ষর নিয়েছি, তা জেনুইন। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে আমার মনোনয়নপত্রে সমর্থকের স্বাক্ষরের মিল আছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলেছে, আমার সমর্থকের কাউন্সিলর ফরমের স্বাক্ষরের সঙ্গে মনোনয়নপত্রের স্বাক্ষরের মিল নেই। আগামীকাল (মঙ্গলবার) শুনানিতে যদি আমার সমর্থক বলেন, এটা তার স্বাক্ষর তাহলে কি আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন? আমি নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, আপিলে শুনানির আগে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল বলতে পারেন না আপনারা। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এটা করা হয়েছে। বিসিবির নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে আমাকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তা না হলে এই নির্বাচন কমিশন সবার সামনে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন হিসেবে চিহ্নিত হবে।’
আরও পড়ুন
বাদ পড়া ১৫ ক্লাব এবং ৫ জেলা ফিরে পেলো ভোটাধিকার |
![]() |
আবদুল্লাহ আল ফূয়াদ রেদোয়ান ছাড়াও আরো ২টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার শওকত হোসেন এবং রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার হাসিবুল আলমের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারীর স্বাক্ষরের মিল খুঁজে না পাওয়ায়। চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় চট্টগ্রাম বিভাগে ২টি পরিচালক কোটার নির্বাচনে এখন প্রার্থীর সংখ্যা ৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহসান ইকবাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন এবং খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আসিফ আকবর করবেন নির্বাচন।
রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার হাসিবুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় রাজশাহী বিভাগের ১ পরিচালক কোটায় এখন বৈধ প্রার্থীর তালিকা এখন ৩-এ নেমে এসেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুখলেসুর রহমান, জয়পুরহাটের এস এম শামস মতিন এবং পাবনার তওহীদ তারিক খান করবেন নির্বাচন।
আরও পড়ুন
১৫ ক্লাবের পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তামিম |
![]() |
বরিশাল বিভাগে ১টি পরিচালক কোটায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে যাচাই বাছাই শেষে শাখাওয়াত হোসেন, সিলেট বিভাগে ১ পরিচালক কোটায় রাহাত সামস এবং খুলনা বিভাগে ২ পরিচালক কোটায় আবদুর রাজ্জাকও জুলফিকার আলী খান বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বিবেচিত হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
জমাকৃত ৫১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৪৮টি বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। ক্যাটাগরি-২ তে জমাকৃত ৩০টি এবং ক্যাটাগরি-৩ তে ৩টি মনোনয়নপত্রের সব ক'টি বৈধ বলে গণ্য করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার প্রার্থীদের উপর আপত্তি গ্রহণ এবং শুনানি হওয়ার কথা। বুধবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন। সেই দিনই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বিসিবি গঠিত নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পরিষদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। কারণ ঢাকা বিভাগ থেকে বাতিল করা হয়েছে এসএম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানের মনোনয়ন।
বিসিবি নির্বাচনে সোমবার ছিল মনোনয়ন বাছাই ও তালিকা প্রকাশের দিন। রিটার্নিং অফিসার ড. শেখ জুবায়েদ হাসান জানিয়েছেন, রোববার জমা হওয়া ৫১টি মনোনয়নের মধ্যে ৪৮টি চূড়ান্ত তালিকায় টিকেছে আর বাতিল হয়েছে বাকি ৩টি।
আরও পড়ুন
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন গিল-অভিষেক |
![]() |
বাতিল হওয়া মনোনয়ন ৩টি হলো- জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুয়াদ, চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার শওকত হাসান ও রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার হাসিবুল আলম।
ঢাকা বিভাগের অধীনে মনোনয়ন তুলেছিলেন বুলবুল, ফাহিম ও ফুয়াদ। এখান থেকে বিসিবি পরিচালক হবেন ২ জন। এখন ফুয়াদের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে বোর্ড সভাপতি বুলবুল ও সহ-সভাপতি ফাহিম।
ফুয়াদের মনোনয়ন বাতিল করার পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সমর্থনকারীর কাউন্সিলর ফর্মে প্রদত্ত সাক্ষরের সঙ্গে মনোনয়ন ফরমে প্রদত্ত সাক্ষরের মিল পাওয়া যায়নি। তবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফুয়াদ।
আরও পড়ুন
‘সীমান্তে হেরেছ, এবার মাঠেও হারলে’ |
![]() |
সোমবার দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই সমর্থনকারীকে ফোন করে সাক্ষরের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নেন। সেই নিশ্চয়তা পাওয়ার পর জানান, মঙ্গলবার মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
সেদিনই আপিল ও শুনানির পর বুধবার মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। আপিলে ফুয়াদ উৎরে গেলে তিনজনকে নিয়ে ভোট হবে ৬ অক্টোবর।
আর মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে, বিনা ভোটেই জিতবেন ফাহিম ও বুলবুল।
এরই মধ্যে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে আব্দুর রাজ্জাক, খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার জুলফিকার আলি খান, সিলেট বিভাগ থেকে রাহাত শামস ও বরিশাল থেকে শাখাওয়াত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হয়ে গেছেন।