৩ জুন ২০২৪, ৫:৫১ এম
ম্যাচ শেষ হতেই মাথায় হাত দিয়ে ফেলেছিলেন জুড বেলিংহাম। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে যোগ দিয়েই যে তিনটি শিরোপার স্বাদ পেয়ে গেছেন এই ইংলিশ, যেখানে সবশেষ যুক্ত হয়েছে ক্যারিয়ারের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে বেলিংহামের মনে। বলেই ফেললেন, ফাইনাল জয়ই নাকি তার ক্যারিয়ারের সেরা রাত।
রিয়ালে যোগ দিয়ে মৌসুম জুড়ে দুর্দান্ত খেলেছেন সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান মিডফিল্ডার বেলিংহাম। শনিবার রাতের ফাইনালে রিয়ালের ২-০ গোলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে দ্বিতীয় গোলটি করান তিনি। লা লিগার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের জন্য রিয়ালে প্রথম মৌসুমটা তাতে কাটল স্বপ্নের মতই।
ফাইনালের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আনন্দের রেণু ছড়িয়ে পড়ে বেলিংহামের চোখেমুখে। “আমি সবসময় এই ম্যাচগুলোতেই খেলার স্বপ্ন দেখেছি। আমাদের জীবনে এমন অনেক লোকই আছে যারা বলে যে, আপনি এটা করতে পারবেন না। আর আজকের মতো দিনগুলো আপনাকে মনে করিয়ে দেয় যে তারা কেন সেটা বলে। আমি আসলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, এটা আমার জীবনের সেরা রাত।”
আরও পড়ুন: পারলো না ডর্টমুন্ড, রেকর্ড ১৫তম শিরোপা রিয়ালের
রিয়ালের মত একটি ক্লাবে খেলা একজন ফুটবলারের জন্য যেমন অসাধারণ কিছু, তেমনই এই ক্লাবে খেলার যে চাপ, সেটা অনেক সময়ই খেলোয়াড়রা নিতে পারেন। প্রতি ম্যাচেই জিততে হবে, ভুল করলেই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা - এই বিষয়গুলোর সাথে মানিয়ে নেওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়।
বেলিংহাম মনে করেন, এই চাপটা জয় করার মাঝেই আসল চ্যালেঞ্জ লুকিয়ে থাকে। “এখানে অনেক চাপ, ক্লাবে খেলোয়াড় এবং কর্মীদের একটা বাবল আছে। কিন্তু বাইরে থেকে মনে হবে যে আপনি সবার ওপরে আছেন। অনুশীলনে কিছু হয় এবং পাঁচ মিনিট পরেই তা মিডিয়ায় চলে আসে। তবে এরকম রাতের জন্যই আপনি এই ক্লাবের হয়ে খেলতে চান। চাপ তৈরি হয় এবং হতেই থাকে, কিন্তু তারপর আপনি জিতবেন এবং এটা একটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি।”
রিয়ালে প্রথম মৌসুমে তিন শিরোপা জেতার পর খুব কম ফুটবলারই আক্ষেপ করতে পারেন কিছু নিয়ে। বেলিংহামও তার ব্যতিক্রম নন। “আমরা কোপা দেল রে জিততে পারিনি, আমি মনে করি এটাই একমাত্র হতাশাজনক ব্যাপার। তবে আমি এর চেয়ে ভালো কিছু স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।”
মিডফিল্ডার হলেও পুরো মৌসুমে গোলের সামনে ভীষণ কার্যকর ছিলেন বেলিংহাম। অধিকাংশ ম্যাচেই কোচ কার্লো আনচেলত্তি তাকে খেলিয়েছেন ওপরের দিকে বা ‘ফলস নাইন’ হিসেবে। মাঝমাঠ সামলানোর পাশাপাশি এই কাজেও ভীষণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
এর পেছনে সব কৃতিত্ব আনচেলত্তিকেই দিয়েছেন বেলিংহাম। “তিনি আমার খেলার এমন একটি দিক বের করে এনেছেন, যা আমিই জানতাম না যে আমার মধ্যে ছিল। এটাই বিশ্বমানের কোচদের ব্যাপার, তারা আপনাকে মনে করিয়ে দেয় যে, আপনি কতটা ভালো হতে পারেন। এটা অনেকটা আবার স্কুলে যাওয়ার মতো। আপনি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখেন এবং আরও ভালো হবেন৷”
১৫ ঘণ্টা আগে
১৮ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে