ফাইনালের আগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ এদিন টের্জিক বলেছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদের এবার ফাইনালে হারার সময় হয়েছে। সেটা ধরে রেখে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলকে ফাইনালে ভালোই চেপে ধরেছিল জার্মান ক্লাবটি। তবে দ্বিতীয় সেরা থেকেও জেতাকে অভ্যাসে পরিণত করা রিয়াল নিজেদের ফিরে পেল সঠিক সময়ে সঠিক মুহূর্তে। প্রতিপক্ষকে স্তব্ধ করে দিয়ে এমন সময়ে দলটি জালের দেখা পেল পরপর দুই বার, এরপর আর ডর্টমুন্ডের আর ফিরে আসারই সুযোগ রইলো না। রিয়ালের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলা টনি ক্রুসকে তার সতীর্থরা উপহার দিলেন দারুণ বিদায়ী উপহার। তাতে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতল রিয়ালই, যা সব মিলিয়ে তাদের রেকর্ড ১৫তম শিরোপা।
শনিবার রাতে ওয়েম্বলির ফাইনালে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। এই প্রতিযোগিতায় এটি তাদের টানা ৯ ফাইনালের ৯টিতেই জয়। আর শেষ ১০ বছরে ছয় নম্বর। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমে জালের দেখা পান ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল। খানিকে বাদে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ইতিহাসের মাত্র অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে দুটি ভিন্ন ভিন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এর আগে ২০২২ সালেও গোলের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচে রিয়ালের একাদশে ক্রুস, আছেন কোর্তোয়াও
গ্রুপ অব ডেথ থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়া ডর্টমুন্ড ফাইনালে আসার পথে সবাইকে চমকে দিয়ে একে একে বিদায় করে দেয় আতলেতিকো মাদ্রিদ ও পিএসজিকে। রিয়ালও ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল সেরা ফুটবল খেলেই। তবে শিরোপার লড়াইয়ে অভিজ্ঞতা ও শক্তির বিবেচনায় পিছিয়ে থেকেই নেমেছিল তারা। ম্যাচে কিন্তু সেটার প্রভাব দেখা যায়নি শুরু থেকেই। উল্টো প্রথমার্ধে স্কোরলাইন কীভাবে সমতায় শেষ হয়েছিল, সেটা নিয়েই জাগতে পারে প্রশ্ন।
ঢিমেতালে শুরু হওয়া এই ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেমন লড়াইয়ে যেমন আমেজ দেখা যায়, সেটার দেখা মেলেনি। রিয়ালের আক্রমণভাগকে ভালোভাবেই সামলে রেখে দারুণ কিছু আক্রমণ শানায় ডর্টমুন্ড। বিরতির আগে যেভাবে খেলা হচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল একই দলই বুঝি খেলছে। নিজেদের ছায়া হয়ে থাকা রিয়াল ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় গোল হজম থেকে।
প্রথম কুড়ি মিনিটে কোনো দলই বলার মত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ২১তম মিনিটে কারভাহালের ভুলে এবারের আসরে প্রথম ম্যাচ খেলা থিবো কোর্তোয়াকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন কারিম আদেইমি। তবে ফিনিশিংটা মোটেও ভালো হয়নি তার। মিনিট দুয়েক বাদে রিয়ালের রক্ষণের আরও একটি পরীক্ষা নিয়ে নিকলাস ফুলক্রুগের নেওয়া শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
৩৫তম মিনিটে গ্রেজার কোবেলকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ভিনিসিয়ুস। ডর্টমুন্ড গোলরক্ষককে চ্যালেঙ্ক করে বল কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন তিনি, তবে সেটা না হয়ে উল্টো ফাউল করে বসেন তিনি। বুন্দেসলিগার ক্লাবটির জোর আবেদন ছিল লাল কার্ডের, তবে রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি।
একের পর এক আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত রিয়ালকে ৪১তম মিনিটে প্রায় চমকেই দিচ্ছিলেন মার্সেল সাবিৎজার। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া তার দূরপাল্লার শট লক্ষ্যেই ছিল, তবে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে তা ফেরান কোর্তোয়া। আন্দ্রি লুনিন অসুস্থ না হলে হয়ত ফাইনালে খেলা হতো না এই বেলজিয়ানের। তবে পুরো ম্যাচে রিয়ালের আস্থার প্রতীক হয়েই ছিলেন তিনি।
প্রথমার্ধে ৩৬ শতাংশ বল দখলে রাখা ডর্টমুন্ড অন্য প্রায় সব পরিসংখ্যানেই রিয়ালকে পেছনে রেখেছিল। তবে ফুলক্রুগের সেই মিস যে তাদের পরে আফসোসের কারণ হতে পারে, সেটা তখনই ধারণা করা যাচ্ছিল কিছুটা। কারণ, খাঁদের কিনারা থেকে বারবার ফিরে আসা রিয়ালের বিপক্ষে যে এগিয়ে থেকেও জেতাটা কঠিন। সেখানে অমন সুবর্ণ সুযোগ নষ্টের মাশুল তো গুনতেই হবে।
রিয়াল বিরতির আগে কতোটা মলিন ছিল, সেটা বোঝা যায় গোলের জন্য তাদের মাত্র দুটি শটেই। লক্ষ্যে রাখতে পারেনি একটি শটও। শেষবার ফাইনালে এমনটা দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করে রিয়াল। ৪৯তম মিনিটে বিদায়ী ম্যাচে প্রায় গোলের দেখা পেয়েই যাচ্ছলেন ক্রুস। তবে কঠিন এক এঙ্গেল থেকে নেওয়া তার শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। কারভাহালের হেড এরপর চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে।
৬৩তম মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ শানায় ডর্টমুন্ড। এযাত্রায় আবারও ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন কোর্তোয়া। আদেইমির পাস থেকে ফুল্ক্রুগের জোরাল হেড লক্ষ্যেই ছিল। তবে পাঞ্চ করে আরও একবার ম্যাচে সমতা ধরে রাখেন অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক।
আরও পড়ুন: রিয়ালের সামনে পাত্তাই পাবে না ডর্টমুন্ড, মনে করছেন স্নেইডার
৭৪তম মিনিটে ম্যাচের ধারার বিপরীতে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কারভাহাল। এর আগেও কর্নার থেকে তার একটি হেড ঠিকানা খুঁজে না পেলেও এবার আর ভুল হয়নি তার। পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের দেখা পান এই স্প্যানিশ, আর সেটার দেখা মিলল কিনা সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তে।
এরপরই চেনা রুপে ফেরা রিয়াল প্রাধান্য বিস্তার করতে শুরু করে। মিনিট তিনেক বাদে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার কাটব্যাক থেকে বক্সের ভেতর ভালো পজিশনে বল পেয়েছিলেন জুড বেলিংহান। তবে ইংলিশ মিডফিল্ডার পারেননি লক্ষ্যে শট নিতে, তার আগেই প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার তাকে বাঁধা দেন। ৮২তম মিনিটে জোড়া সেভ করেন কোবেল। প্রথমে কামাভিঙ্গার শট ফিরিয়ে দেন দারুণ ক্ষিপ্রতায়, এরপর নাচো ফার্নান্দেসে হেডও আটকান ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক। পরের মিনিটে আর পারেননি অবশ্য তিনি।
ইয়ান মাতসেনের ভুলে প্রতিপক্ষের সীমানায় বল পেয়ে যান বেলিংহাম। বক্সের ভেতর বাঁদিকে বল বাড়ান ভিনিসিয়ুসকে। বাকিটা সারতে আর ভুল হয়নি তার। এর খানিক বাদে রিয়ালের জালেও বল পাঠিয়েছিলেন ফুলক্রুগ, তবে অফসাইডে কারণে আর গোল মেলেনি তার। হতাশাময় এক রাতে এটিই ছিল জার্মান ক্লাবটির ম্যাচে ফেরার সামান্যতম সুযোগ। বাকি সময়ে আর তেমন কিছু হয়নি। রক্ষণ সামলে রেখে আরও একবার ম্যাচের অর্ধেকেরও বেশি সময়ে সেরা দল না থেকেও বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ে কার্লো আনচেলত্তির দল।
১২ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৫৮ পিএম
ক্লাব ফুটবলের আপাতত বিরতি, কিন্তু বিরতি নেই ফুটবলারদের। ক্লাবের জার্সি ছেড়ে জাতীয় দলের জার্সি স্যুটকেসে ভরে যে যার মতো যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলগুলোর ক্যাম্পে। আর আন্তর্জাতিক বিরতি মানেই ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ম্যাচ, এবং সে ম্যাচগুলো ঘিরে বিশেষ উদ্দীপনা বাংলাদেশে। নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এবারও দুটি করে ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার প্রস্তুতি
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বাছাই পর্বের ম্যাচকে কেন্দ্র করে আগেই জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন লিওনেল স্কালোনির অধীনে ডাক পাওয়া ফুটবলাররা। প্রাথমিক অনুশীলন সেশনে প্রস্তুতিতে অংশ নিয়েছেন ২০ জন ফুটবলার। লাউতারো মার্তিনেজ, আলেহান্দ্রো গারনাচোরা, নিকোলাস তালিয়াফিকো ও তাতি কাস্তেয়ানোসরা দলের সঙ্গে যোগ দিবেন মঙ্গলবার থেকে।
আরও পড়ুন
কেমন হলো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াড? |
কারা আছেন এবারের আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে?
ছয় দিন আগে আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা করলেও চোটেরর কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার হেরমান পেৎ্সেল্লা। এছাড়া চোটের কারণে দল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নিকো গনজালেসও।
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়াল্টার বেনিতেজ (পিএসভি), হেরোনিমো রুই (অলিম্পিক মার্সেই)
ডিফেন্ডার: নাহুয়েল মলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), গনজালো মনতিয়েল (সেভিয়া), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহাম), লিওনার্দো বালেরদি (অলিম্পিক মার্সেই), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো মার্তিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিঁও)
মিডফিল্ডার: এনজো ফেরনান্দেজ (চেলসি), লিয়ান্দ্রো পারেদেস (এএস রোমা), ইজিকিয়েল পালাসিওস (বায়ার লেভারকুসেন), রদ্রিগো দি পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ), আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালাস্টার (লিভারপুল), গিওভান্নি লো সেলসো (রিয়াল বেতিস), এনজো বারেনেচেয়া (ভালেন্সিয়া), থিয়াগো আলমাদা (বোতাফোগো), ফাকুন্দো বুয়োনানতে (লেস্টার সিটি), নিকোলাস পাজ (কোমো ১৯০৭)
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি), আলেহান্দ্রো গারনাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস গঞ্জালেস (ইয়্যুভেন্তস), হুলিয়ান আলভারেজ (আতলেতিকো মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেজ (ইন্তারনাৎ্সিওনাল), ভালেন্তিন কাসতেয়ানোস (লাৎ্সিও)
আরও পড়ুন
যে কারণে নেইমারকে ব্রাজিল দলে রাখেননি দরিভাল |
আর্জেন্টিনার ম্যাচ সূচি
লাতিন অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সময় আগামী শুক্রবার, ভোর ৫:৩০ এ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নামবে লিওনেল মেসির দল। প্যারাগুয়ের আসুনসিওনের উয়েনো দেফেনসোরেস দেল চাকো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।
এরপর আগামী ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় আর্জেন্টিনার ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা আর্জেন্টিনা খেলবে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের বিখ্যাত লা বম্বোনেরা স্টেডিয়ামে।
ব্রাজিলের প্রস্তুতি
অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের জাতীয় দলকে ঘিরে বয়ে গেছে অস্বস্তির বাতাস। দরিভাল জুনিয়র দলের রেকর্ড তখন বলছে, আটটা বাছাই পর্বের ম্যাচের মধ্যে চারটাতেই হার, একটা ড্র আর তিনটা জয়। তবে চিলি আর পেরুর সঙ্গে দুটো জয়ে দরিভাল জুনিয়র এবং ব্রাজিল দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব পার হতে না পারার শঙ্কা অনেকটাই দূর হয়েছে। ব্রাজিলের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ফুটবলাররা, আর্জেন্টিনার চাইতে অবশ্য ব্রাজিলের জন্য এবারের বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো তুলনামূলক কঠিনই বটে।
কারা আছেন এবারের ব্রাজিলের স্কোয়াডে?
স্কোয়াড ঘোষণার পর ব্রাজিল দলের জন্য দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে দুই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা এদের মিলিতাওর এসিএল এবং রদ্রিগোর পেশির ইনজুরি। এই দুজনের বদলি ফুটবলার অবশ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আগে থেকে ইনজুরির কারণে নেই আলিসন।
গোলরক্ষক: বেন্তো (আল নাসর), এদেরসন ম্যানচেস্টার সিটি), ওয়েভেরতন (পালমেইরাস)
ডিফেন্ডার: দানিলো (ইয়্যুভেন্তস), ভান্দেরসন (এএস মোনাকো), আবনের (লিঁও), গিলের্মে আরানা (আতলেতিকো মিনেইরো), লিও অরতিজ (ফ্লামেঙ্গো), গাব্রিয়েল মাঘালেস (আর্সেনাল), মার্কিনিয়োস (পিএসজি), মুরিলো (নটিংহাম ফরেস্ট)
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে (উলভস), ব্রুনো গিমারেস (নিউক্যাসল), গারসন (ফ্লামেঙ্গো), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হাম), আন্দ্রেস পেরেইরা (ফুলহাম)
ফরোয়ার্ড: এস্তেভাও (পালমেইরাস), গাব্রিয়েল মার্তিনেলি (আর্সেনাল), লুইজ এনরিক (বোতাফোগো), সাভিনিও (ম্যানচেস্টার সিটি), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), ইগর হেসুস (বোতাফোগো), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা)
আরও পড়ুন
২৮ সদস্যের আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা, মেসি থাকলেও নেই বড় এক নাম |
ব্রাজিলের সূচি
নভেম্বর মাসের প্রথম বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে ব্রাজিলকে যেতে হবে ভেনেজুয়েলার মাঠে। শুক্রবার ১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় রাত ৩ টায় দরিভাল জুনিয়রের দল মুখোমুখি হবে ফেরনান্দো বাতিস্তার ভেনেজুয়েলা দলের। আর পাঁচদিন পর ব্রাজিলের সালভাদোরে খেলতে আসবে মার্সেলো বিয়েলসার উরুগুয়ে, যারা কোপা আমেরিকার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। ২০ নভেম্বর বুধবার, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬:৪৫ এ শুরু হবে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি।
লাতিন অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিল :
দল | ম্যাচ | পয়েন্ট |
১. আর্জেন্টিনা | ১০ | ২২ |
২. কলম্বিয়া | ১০ | ১৯ |
৩. উরুগুয়ে | ১০ | ১৬ |
৪. ব্রাজিল | ১০ | ১৬ |
৫. ইকুয়েডর | ১০ | ১৩ |
৬. প্যারাগুয়ে | ১০ | ১৩ |
৭. বলিভিয়া | ১০ | ১২ |
৮. ভেনেজুয়েলা | ১০ | ১১ |
৯. পেরু | ১০ | ৬ |
১০. চিলি | ১০ | ৫ |
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে পাওয়া চোটে বার্সেলোনার শেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি। গোড়ালির আঘাত থেকে সেরে খুব শীঘ্রই মাঠে ফেরা হচ্ছে না লামিন ইয়ামালের। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কমপক্ষে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডকে।
গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পান ইয়ামাল। লা লিগায় এই সপ্তাহে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে তাই ম্যাচটি তাকে দেখতে হয়েছে গ্যালারিতে বসেই। এই মৌসুমে কাতালান ক্লাবটির মাত্র দুটি ম্যাচে একাদশে ছিলেন না তিনি। কাকতালীয়ভাবে সেই দুটি ম্যাচেই হেরে যায় বার্সেলোনার।
সোসিয়েদাদ ম্যাচের পর ইয়ামালের চোট প্রসঙ্গে বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেছিলেন-
“আমি জানি না সে আন্তর্জাতিক বিরতির পরে ফিরবে কিনা। আমরা তাকে জাতীয় দলে যোগ না যাওয়ার জন্য বলেছি। আমি জানি না সে কতদিন বাইরে থাকবে। তার গোড়ালিতে আঘাত আছে।”
১৭ বছর বয়সী এই ইয়ামাল এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে ছয়টি গোল করার পাশাপাশি ৮টি গোলও করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে।
এবারের আন্তর্জাতিক বিরতিতে স্পেনের ইউয়েফা নেশন্স লিগের দুটি ম্যাচের দলে রাখা হয়েছিল ইয়ামালকে। এখন ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ডের ম্যাচের জন্য প্রতিভাবান এই ফুটবলারের বিকল্প খুঁজতে হবে কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তেকে।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে