কী এক পাগলাটে রাতের দেখাই মিললো। একেবারে চ্যাম্পিয়নস লিগের ক্লাসিক নাইট। কামব্যাকের গল্প না লিখলেও, দেখা মিলেছে দুর্দান্ত দুই ম্যাচের। পরিষ্কার ফেভারিট বার্সেলোনা-পিএসজিকে রীতিমত নাকানি-চুবানি খাইয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও অ্যাস্টন ভিলা।
হতে হতেও হলো না। সেই আক্ষেপ করতেই পারেন ডর্টমুন্ড সমর্থকরা। তবে উড়ন্ত বার্সেলোনার বিপক্ষে যেই পারফরম্যান্স তারা দেখিয়েছে তাতে আক্ষেপের সঙ্গে তৃপ্তিটাও থাকার কথা। সিগনাল এদুনা পার্কে ৩-১ গোলের জয় পেলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ছয় বছর বাদে আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনা।
মৌসুম জুড়ে প্রতিপক্ষের উপর ছড়ি ঘুরানো বার্সাকে এদিন পুরো ৯০ মিনিটই চাপে রেখেছিল ডর্টমুন্ড। ১১ অন টার্গেট শট অন্তত সেই প্রমাণই দেয়। ফিনিশিংটা ঠিকঠাক করতে পারলে গল্পটা শেষ পর্যন্ত ভিন্নই হতে পারতো। ম্যাচ শেষে পিচে রাফিনিয়ার শুয়ে পড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলাটা অন্তত সেই ইঙ্গিতই দেয়।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ গল্প এদিন লিখেছেন একজনই। হ্যাটট্রিক করে সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছেন গুইরাসি। শুধুই কী তাই? রাফিনিয়াকে টপকে ১৩ গোল নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও বনে গেছেন। তবে তাতেও কাজের কাজটা হয়নি। নিয়তির খেল শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন হার সঙ্গী করেই।
এদুনা পার্কে ডর্টমুন্ডের শুরুটা হয়েছে দাপুটে। একের পর এক আক্রমণে তারা চেপে ধরে বার্সেলোনাকে। যার ফল পেতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ১০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে দেন গুইরাসি।
গোল পেয়ে যেন ডর্টমুন্ডের আত্মবিশ্বাসের পালে লাগে হাওয়া। ধরে রাখে আক্রমণের ধারা। তবে বার্সেলোনার অফ সাইডের ট্রেপ বারবারই খাবি খাইয়েছে তাদের। প্রতিআক্রমণ থেকে বার্সেলোনাও সুযোগ তৈরি করেছিল, তবে রাফিনিয়া-ফারমিন লোপেজরা তা কাজে লাগাতে পারেননি। তাতে প্রথমার্ধে স্কোরলাইনে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
দ্বিতীয়ার্ধে ডর্টমুন্ড শুরু করে একই তালে। ৪৮ মিনিটে আদেয়েমির শট সেজনি ঠেকিয়ে দেন কর্নারের বিনিময়ে। তবে সেই কর্নার থেকে গুইরাসিকে আর আটকাতে পারেনি বার্সা। হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল খুঁজে নেন ডর্টমুন্ড স্ট্রাইকার। তাতে প্রথম লেগে চার গোলের লিড দুইয়ে নামিয়ে আনে স্বাগতিকরা। আর আশা জাগে ডর্টমুন্ড সমর্থকদের।
তবে সেই আশায় ভাটা পড়ে ৫৪ মিনিটে। ফারমিন লোপেজের বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডার রেমি জড়িয়ে দেন নিজেদের জালে। তাতে বার্সেলোনা ফিরে পায় মোমেন্টাম। ৬৪ মিনিটে ফারমিন লোপেজ পান দারুণ সুযোগ। তবে তার জোরালো শট যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
৭৬ মিনিটে আবারও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন গুইরাসি। তুলে নেন নিজের হ্যাটট্রিক। তাতে শেষ ১৫ মিনিট ম্যাচ জমে উঠলেও আর গোলের দেখা মেলেনি কারও। ফলে ২০১৮/১৯ মৌসুমের পর আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনা।
অ্যাস্টন ভিলা ৩-২ পিএসজি
প্রথম লেগে ৩-১ গোলের জয় পিএসজি স্বস্তি নিয়েই মাঠে নেমেছিল। ১১ মিনিটে আশরাফ হাকিমির গোল তো ম্যাচ করে ফেলে একপেশে। ২৮ মিনিটে নুনো মেন্দেস গোল করতে ম্যাচ পুরটাই হেলে পড়ে লুইস এনরিকের দলের দিকে।
তবে সেখান থেকে সবাইকে চমকে দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলে অ্যাস্টন ভিলা। ৩৪ মিনিটে ইয়েলেমেন্স শোধ দেন একটা গোল। বিরতির পর মিনিট দশেক বাদে জন ম্যাকগিন স্বাগতিকদের ফেরান সমতায়। আর ৫৮ মিনিটে কনসার গোলে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় ভিলা। দুই লেগ মিলিয়ে তখন গোলের ব্যবধান মোটে এক। এরপর আক্রমণ চালিয়ে গেলেও আর গোল পাওয়া হয়নি ভিলার। তাতে ৪-৫ গোলের অগ্রগামিতায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের টিকেট কাটে পিএসজি।
১৮ এপ্রিল ২০২৫, ২:১৩ পিএম
চলতি মৌসুমে লা লিগার ঠাসা সূচী ও ম্যাচের ক্লান্তিকর সময় নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক চলছে শুরু থেকেই। মৌসুমের শেষ ভাগে এসে এটি ক্রমেই বাড়ছে আরও। টানা ম্যাচ খেলার মধ্যে থাকা বার্সেলোনা এই মুহুর্তে পার করছে অবিশ্বাস্য এক সময়। লা লিগা যেভাবে দলগুলোর কথা চিন্তা না করে সূচি সাজাচ্ছে, তাতে বিরক্ত কোচ হান্সি ফ্লিক। তার কাছে বিষয়টি স্রেফ তামাশাই মনে হচ্ছে।
তিন প্রতিযোগিতায় শিরোপার লড়াইয়ে থাকা বার্সেলোনাকে এই মাসে ১০ দিনের মধ্যে খেলতে হচ্ছে ৪টি ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই স্কোয়াডে তাতে যোগ হচ্ছে বাড়তি ক্লান্তি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ফিরতি লেগে তা স্পষ্ট হয়ে যায়, যেখানে বার্সেলোনা হেরে যায় ৩-১ গোলে।
ওই ম্যাচের ৭২ ঘন্টা পার না হতেই স্প্যানিশ সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় লা লিগার ম্যাচ খেলতে হবে বার্সেলোনাকে, যা বিরক্ত করেছে ফ্লিককে।
“আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কারণ, এই পরিস্থিতি অবিশ্বাস্য। বুন্দেসলিগা বা প্রিমিয়ার লিগে তারা তাদের ক্লাবগুলোর যত্ন নেয়। প্রতিটি লিগ তাদের ক্লাবগুলোকে রক্ষা করে, বিশেষ করে তাদের একটি দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলে। এটা অবিশ্বাস্য, আমাদের বিশ্রামের জন্য সময়ই নেই।”
এর আগে তিন দিনের মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলতে রাজি হতে চায়নি রিয়াল মাদ্রিদও। দলটি এরপর এমন সূচিতে না খেলার হুশিয়ারিও দিয়েছিল। বার্সেলোনার জন্য কাজটা চ্যালেঞ্জিং, কারণ ২৬ এপ্রিল তাদের কোপা দেল রের ফাইনাল খেলতে হবে রিয়ালের বিপক্ষে। তার চার দিন বাদে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের ম্যাচ।
এমন সময়ে শনিবার সেল্টা ভিগোর সাথে ম্যাচটির সময় নিয়ে ক্ষুব্ধ ফ্লিক।
“আমি অজুহাত তৈরি করতে বা অভিযোগ করতে চাই না। তবে আমি খুশি যে আমাদের রবিবার দুপুর ২ টা খেলতে হচ্ছে না। আমাকে একটি কারণ দেখান। আমার কাছে এটা স্রেফ একটা রসিকতা এবং এটি স্প্যানিশ ফুটবলকে প্রভাবিত করে।”
লিগ মৌসুমের শুরুতেই কোচ পরিবর্তন হতে যাচ্ছে করিন্থিয়াসে। দলের বাজে পারফরম্যান্সের জেরে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতে চাকরি হারিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ রামন ডিয়াস।
গত বৃহস্পতিবার ক্লাবটি ঘোষণা করে যে, চুক্তি বাতিল করা হয়েছে প্রধান কোচ রামনের সাথে।
রামনের কোচিংয়ে ব্রাজিলের লিগ ব্রাসিলিরাও-তে শুরুটা একেবারেই খারাপ হয়েছিল করিন্থিয়াসের। চার ম্যাচে অর্জন মাত্র চার পয়েন্ট।
গত মার্চেই অবশ্য তার অধীনে দলটি জিতেছিল পলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। তবে ব্রাজিলের শীর্ষ লিগে একেবারেই ছন্দহীন ফুটবল খেলছে দলটি। সবশেষ ফ্লুমিনেন্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে গেছে তারা।
লিগ ছাড়াও কোপা সুদামেরিকানাতেও করিন্থিয়াসের পড়তি ফর্মও কোচের বরখাস্ত হওয়ার পেছনে অবদান রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের জুলাইয়ে করিন্থিয়াসের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান রামন। তার হাত ধরে দলটি রেলিগেশন এড়াতে সক্ষম হওয়ার পর প্রথম মৌসুমেই জেতে পলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপরও টিকতে পারলেন না বেশিদিন।
ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে এখন কাজ চালিয়ে যাবেন করিন্থিয়াসের অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ অরল্যান্ডো রিবেইরো।
একজন ফুটবলারের সম্ভাব্য যা যা জেতার বা অর্জন করার স্বপ্ন থাকে, তার সবই হয়ে গেছে পূর্ণ। বিধাতা লিওনেল মেসিকে দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছেন দুহাত ভরেই। সব জিতেও ছিল যে একটা আক্ষেপ, তাও মিটেছে বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে মেসির কাছে তাই মনে হচ্ছে, বিশেষ আর কিছু চাওয়ার নেই তার।
বার্সেলোনায় বেড়ে ওঠা মেসি তার ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছেন সেখানেই। নিজের সেরা সময়ে বদলে দিয়েছেন ক্লাবের ইতিহাসও। ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত রেকর্ডেও হয়েছেন অনন্য। ঠিকানা বদল হলেও এখন ছুটছেন চেনা গতিতেও। সাথে জাতীয় দলের হয়ে যোগ হয়েছে একটি বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকাও। রেকর্ড ৮টি ব্যালন ডি’অর তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন
ইয়ামালের মাঝে নিজের ছায়া দেখছেন মেসি |
![]() |
আর কিছু কি চাওয়ার আছে মেসির? সিমপ্লেমেন্তে ফুটবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অকপটে জানিয়েছেন সেই কথাও।
“এখানে আমি আর কিছু চাইতে পারি না। আমার কেবল বিশ্বকাপ জেতাটাই বাকি ছিল। আমি সব কিছুই জিতেছি, আমি সবকিছু অর্জন করে ফেলেছি।”
২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর মেসি আভাস দিয়েছিলেন, এটাই হতে পারে তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে কোচ ও সতীর্থরা বারবার বলেছেন, আরেকটি বিশ্বকাপে তাকে চান তারা। স্পষ্ট করে কিছু না বললেও মেসি এখনও যেভাবে খেলছেন, তাতে আগামী বছরের বিশ্বকাপে তার অংশ নেওয়া খুবই সম্ভব। গত বছরের কোপা আমেরিকার পারফরম্যান্স যে পালে দিয়েছে বাড়তি হাওয়া।
তবে মেসি এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছেন।
"এই বছরটা আমি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেব, তা দেখার মূল বিষয় হতে যাচ্ছে। আমি যদি আপনাকে বলি যে, আমি এটা নিয়ে ভাবছি না, তাহলে সেটা বড্ড ভুল হবে।”
লামিন ইয়ামালকে নিয়ে পুরো বিশ্বের মত প্রশংসা আগেও করেছেন। সেই লিওনেল মেসির সাথে লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা, তরুণ বয়সেই বার্সেলোনায় দাপিয়ে বেড়ানো আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে তার সাথে অনেকেই মিল খুঁজে পান। সেই দলে আছেন আর্জেন্টিনা তারকা নিজেও। বললেন, তার শুরুর দিনের মতোই খেলেছেন ইয়ামাল।
গত বছর স্পেনের ইউরো জয়ে বড় অবদান রেখে স্পটলাইটে চলে আসেন ইয়ামাল। বার্সেলোনার হয়ে অবশ্য ১৬-তে পা দেওয়ার আগে থেকেই ছুটছেন ঠিক মেসির মতোই। এই বয়সেই হয়ে গেছেন দলটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। ঠিক একই চিত্র স্পেন জাতীয় দলেও। সমান বয়সে একই দাপট দেখিয়েছিলেন মেসিও। ফলে দুজনের তুলনা নিয়মিতই হচ্ছে এখন।
আরও পড়ুন
বাড়ল লা লিগা থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা |
![]() |
সম্প্রতি সিমপ্লেমেন্তে ফুটবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি আরও একবার মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ইয়ামালকে নিয়ে।
“লামিন ইয়ামাল মাঠে যা যা করে দেখায়, তা উপভোগ্য। ইতিমধ্যেই সে স্পেনের সাথে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তার বয়স মাত্র ১৭, সে এখনও উন্নতি করছে। আর খেলোয়াড় হিসেবে সে আরও উন্নতি করতেই থাকবে এবং নিজের খেলায় ঠিক আমার মতোই নতুন কিছু যোগ করবে। তার অবিশ্বাস্য প্রতিভা আছে এবং এরই মধ্যে সে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন হয়ে গেছে।”
ইয়ামাল এখন যেভাবে খেলছেন, সেভাবে চালিয়ে যেতে পারলে একদিন হয়ত তিনিও বার্সেলোনার ইতিহাসে মেসির মত অংশ হতে পারবেন। তবে তার আক্ষেপ থাকতেই পারে, ক্লাব কিংবদন্তির সাথে যে একই দলে খেলার সুযোগ পেলেন না। ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার পর মেসির ফেরার কথা কয়েকবার হলেও বাস্তবে তা আর রুপ নেয়নি। ফলে ইয়ামালের সাথে তার আর খেলা হয়নি।
কেন ২০২৩ সালে পিএসজি ছাড়ার সময় বার্সেলোনাকে বিবেচনায় রাখেননি, সেটাও খোলাসা করেছেন মেসি।
“আমার বার্সেলোনায় ফেরার ইচ্ছা ছিল, যাতে আমি সেখানেই থাকতে পারি যেখানে আমি সবসময় থাকতে চেয়েছি। তবে সেটা আর সম্ভব না। একটা সময়ের পর এটা পারিবারিক সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। তাছাড়া আমার বিশ্বকাপ জেতাও এখানে একটা ভূমিকা রাখে। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমি ইউরোপের আর কোনো দলে যোগ দেব না। আমি কোনো ক্লাবেই যেতে চাইনি।”
আরও পড়ুন
শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু |
![]() |
পিএসজির সাথে চুক্তি শেষে মেসি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। তার হাত ধরে দলটি এরই মধ্যে গড়েছে নিজেদের ইতিহাসের দারুণ কিছু রেকরদ, জিতেছে শিরোপাও।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের তিনটি প্রতিযোগিতায় ক্লাবগুলোর পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাড়তি স্পট পেয়েছে লা লিগা। প্রিমিয়ার লিগের মত স্পেনের শীর্ষ লিগ থেকেও অংশ নেবে পাঁচটি দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ক্লাব সংখ্যা ৩৬-এ নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর দুটি লিগকে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের পারফর্মেন্স স্পট (ইপিএস) দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে বাড়তি দল পেল লা লিগা।
আরও পড়ুন
ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা |
![]() |
এই মৌসুমে ক্লাব ফুটবলের প্রতিযোগিতায় দারুণ করা ইংল্যান্ড আগেই দুটি স্পটের একটি স্থান নিশ্চিত করে, গত ৮ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় স্থানটি স্পেন পেয়েছে ইউয়েফা ইউরোপা লিগ থেকে লাজিওর বাদ পড়া ও টুর্নামেন্ট থেকে রেঞ্জার্সকে স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিক বিলবাও ছিটকে দেওয়ায়।
ফলে এখন প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগার পঞ্চম হওয়া দুটি দলও অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার।
এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ পাঁচের থাকার জন্য দলগুলোর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। নিউক্যাসল ইউনাইটেড (৫৯ পয়েন্ট) তৃতীয় স্থানে, নটিংহ্যাম ফরেস্ট (৫৭) চতুর্থ এবং ম্যানচেস্টার সিটি (৫৫) পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এই তিন দলের কাছাকাছি আছে চেলসি (৫৪) এবং অ্যাস্টন ভিলা (৫৪)।
লা লিগায় অবশ্য চিত্রটা ভিন্ন। শীর্ষ চার অবস্থান এরই মধ্যে প্রায় নিশ্চিত হয়েই গেছে। এই মুহূর্তে পঞ্চম স্থানের জন্য লড়াইটা হচ্ছে মূলত ভিলারিয়াল (৫১ পয়েন্ট, এক ম্যাচ কম) রিয়াল বেতিস (৪৮ পয়েন্ট)।
প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য দলের সংখ্যা বাড়তে পারে। আর্সেনাল যদি শেষ পর্যন্ত লিগে চতুর্থ হয়, তাহলে ইংল্যান্ড থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বাধিক ছয়টি দল থাকতে পারে। শীর্ষ চার দল, ইপিএস থেকে একটি এবং ইউরোপা লিগ জিতলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বা টটেনহ্যাম হটস্পার।
আরও পড়ুন
সাহসী ফুটবলে রিয়ালকে হারিয়ে সেমিতে আর্সেনাল |
![]() |
তবে আর্সেনাল যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে আর লিগ শেষ করে শীর্ষ চারের মধ্যে থেকে, তাহলে প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাড়তি দল পরের মৌসুমে সুযোগ পাবে না। এই লিগ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে পাঁচ দলই।
১ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে