ইতালিয়ান জনপ্রিয় সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো গেল রবিবারই জানিয়েছিলেন লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশি এই মিডফিল্ডারের পরবর্তী গন্তব্য যে শেফিল্ড ইউনাইটেড হচ্ছে সেটাও তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তার কথা রূপ নিয়েছে বাস্তবতায়। শেফিল্ড ইউনাইটেডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক ভিডিও বার্তায় হামজা নিশ্চিত করেন তার নতুন ঠিকানার।
আপতত মৌসুমের বাকি সময়টা হামজা শেফিল্ডে যোগ দিয়েছেন ধারে। তবে চুক্তি অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নশিপের এই ক্লাবের সুযোগ আছে হামজাকে স্থায়ীভাবে দলে যোগ করার।
হামজার এই দলবদলের পেছনে বড় অবদান শেফিল্ডের কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডারের। ওয়ার্টারফোর্ডে তার অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের। দু’জনের যুগলবন্দী আবারও শেফিল্ডে জমে উঠার ভাবনা নিয়েই প্রিমিয়ার লিগ ছেড়ে যোগ দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নশিপের দলটাতে।
“গেল কিছু দিন থেকেই এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল, আমি বেশ খুশি এখানে আসতে পেরে এবং প্রস্তুত নতুন অধ্যায় শুরু করতে। ওয়ার্টারফোর্ডে কোচের সঙ্গে কিছু দিন কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। সময়টা খুবই কম হলেও আমি বেশ উপভোগ করেছিলাম। সে যখন আমাকে ফোন করেছিলো তখন আমার উত্তর ছিল একটাই। ।”
হামজাকে পেয়ে শেফিল্ডও দারুণ খুশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে দিচ্ছে একের পর এক পোস্ট। তাকে স্বাগত জানাতে প্রথম পোস্টে শেফিল্ডের জার্সি পরা এক ছবি দিয়ে তারা ক্যাপশনে লিখেছে, “বাংলাদেশি ব্লেড” । ব্লেড যোগ কারণ অবশ্য শেফিল্ড ইউনাইটেডের নিকনেম দ্য ব্লেডস।
এরপর তারা দিয়েছে আরও একটা পোস্ট। যেখানে হামজার হাসিমাখা এক ছবির পেছনে বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে তারা ক্যাপশনে লিখেছে, “জয়ের মানসিকতা’।
ফেব্রুয়ারির এক তারিখ ডার্বি কাউন্টির সাথে ম্যাচ শেফিল্ডের। সে ম্যাচ দিয়ে দলটির জার্সিতে হামজার অভিষেক হতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তার দল শেফিল্ড আছে বেশ ভালো অবস্থানেই। চ্যাম্পিয়নশিপে ২৯ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান টেবিলের দুই নম্বরে। সেরা দুইয়ে থেকে শেষ করতে পারলে তাদের সামনে সুযোগ আছে আবারও প্রিমিয়ার লিগে ফেরার।
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২:০৮ পিএম
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
মেয়েদের ফুটবল খেলা ঠেকাতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ঘটেছে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা। তাতে চারদিকে বইছে সমালোচনার ঝড়। যা নাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেও। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। সেদিন আক্কেলপুর স্থানীয় 'টি-স্টার ক্লাব' জয়পুরহাট ও রংপুর নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এই ম্যাচের জন্য তারা টিনের বেড়া দিয়ে গ্যালারি তৈরি করে। সেই সাথে রাখা হয় টিকেটের ব্যবস্থাও। যা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি স্থানীয়দের একটি অংশ।
ম্যাচের দিন মঙ্গলবার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠের টিনের বেড়া হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে তৌহিদি জনতার একটি অংশ। ফলে বাতিল করতে হয় ম্যাচ। এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বাফুফে থেকে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়ে বুধবার নিন্দা জানিয়েছে বাফুফে।
“ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নারীদের ফুটবল খেলা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনাকে সমর্থন করে না। ফুটবল সবার জন্য, এবং নারী ফুটবলারদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। নারীদের খেলাধুলায় বাধা সৃষ্টি করা ক্রীড়ার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিপন্থী। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বিশ্বাস করে, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করা হয়েছে বাফুফে থেকে, “আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং নারীদের ফুটবল খেলায় যেন কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করা হোক।”
বাফুফে ছাড়াও আরও বেশ কিছু সংঘঠন থেকে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দার পাশাপাশি সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করা হয়েছে।
জানুয়ারির মাসের শুরুর কয়েকটা দিন দানি ওলমো নিবন্ধন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল লা লিগা ও বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় নিয়ে কোনোমতে স্প্যানিশ ফুটবলারকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে কয়েকটি ম্যাচ খেলিয়েও ফেলেছা হান্সি ফ্লিকের দল। তবে বিষয়টি ভালো ঠেকছে না লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাসের। দিয়েছেন হুশিয়ারি, যেভাবেই হোক বাতিল করবেন ওলমোর নিবন্ধন।
গত ৩১ ডিসেম্বরের সময়সীমার মধ্যে সময় মত লা লিগার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে বিধি (এফএফপি) মেনে চলার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। ফলে নিয়ম অনুযায়ী বাতিল হত ওলমো ও পাউ ভিক্টরের নিবন্ধন, যা আগে হয়েছিল অস্থায়ীভাবে। ফলে ১ জানুয়ারি তিনি লা লিগা ও রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) দ্বারা অনিবন্ধিত ঘোষিত হন।
তবে এক সপ্তাহ পর স্পেনের ক্রীড়া মন্ত্রনালয় (সিএসডি) বার্সেলোনার কাছ থেকে এই দুজনের নিবন্ধন করার কাগজপত্র বিশ্লেষণ করতে সম্মত হওয়ার সাথে সাথে এই দুজককে পুনরায় রেজিস্টার করতে সমর্থ হয় ক্লাবটি।
তবে বরাবরই নিয়ম কানুনের ব্যাপারে কঠোর তেবাস মঙ্গলবার বলেছেন, এক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। “আমাদের অবস্থান এই দুজনের নিবন্ধনের বিরুদ্ধে। আমরা এর সাথে যুক্ত সংস্থাগুলির সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি, অনুরোধ করতে যাতে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়।”
বার্সেলোনার পক্ষে সিএসডি রায়টি দেওয়ার পর লা লিগার ক্লাবগুলো এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এর মধ্যে আতলেতিকো মাদ্রিদ, এস্পানিয়ল এবং ভ্যালেন্সিয়ার মত কয়েকটি দলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
তেবাসও ক্লাবগুলোর সাথে সহমত পোষণ করেছেন। “তারা ঠিকই বলেছে। আমরা লা লিগা হিসেবে যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি, এর কারণ আমরা মনে করি, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বিধিবিধান মেনে নেওয়া হয়নি।”
ওলমো নিবন্ধনের পক্ষে সিএসডি-এর রায় আসাএ পর থেকে বার্সেলোনার হয়ে তিনবার খেলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের ফাইনালও। তবে চোট পেয়ে মিস করেছেন শেষ দুটি ম্যাচ। আর ভিক্টর খেলেছেন এই মাসে মোট ৩৯ মিনিট।
সচরাচর এমনটা হয় না বললেই চলে। সাধারণত যত নিশ্চিত হোক না কেন, একজন খেলোয়াড়কে ক্লাবে নেওয়ার ঘোষণা ক্লাবগুলো দেয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমেই। তবে নেইমারের হাই-প্রোফাইল সাইনিং নিয়ে রোমাঞ্চের কারণেই কিনা, ক্লাবের আগে সান্তোস ক্লাব সভাপতি মার্সেলো টেক্সিরা ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল তারকার ক্লাবের প্রত্যাবর্তনের।
আল হিলালের সাথে চুক্তি বাতিলের পরই নিশ্চিত হয়ে গেছে নেইমারের সান্তোসে ফেরার বিষয়টি। এরই মধ্যে ব্রাজিলের অনেক খেলোয়াড়রা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টও দিয়েছেন। তবে ক্লাবের ব্যাপারটা সবসময়ই আলাদা। কারণ, লিখিতভাবে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল ক্লাব খেলোয়াড় দলে টানার ঘোষণা দেয়।
তবে ব্যতিক্রম ঘটালেন সান্তোস সভাপতি। নিজের ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট দিয়ে টেক্সিরা নেইমারকে সান্তোসে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ক্লাবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে নেইমারের শৈশবের ক্লাবে ফেরাটা।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর খবর অনুযায়ী, আপাতত ছয় মাসের জন্য নেইমারের সাথে চুক্তি করবে সান্তোস। সাবেক বার্সেলোনা তারকার এখনও ইউরোপিয়ান কোনো ক্লাবে ফেরার ইচ্ছা রয়েছে। আর তাই সান্তোসের ইচ্ছা, সেই সুযোগ রেখে নেইমারকে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধারের চুক্তিতে খেলতে দিয়ে এরপর আবার ক্লাবে ফেরানোর।
সান্তোসের যোগ দেওয়ার জন্য নেইমার আল হিলালের সাথে চুক্তি বাতিল করে ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১০ মিলিয়ন ইউরো। চোটের কারণে সৌদি ক্লাবটির হয়ে মাত্র ৭ ম্যাচেই শেষ হয়েছে তার পথচলা।
নতুন ফরম্যাটে চলতি মৌসুম থেকে হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। তাতে বড় ক্লাবগুলো মানিয়ে নিতে বেশ খাবি খেতে হচ্ছে। আর সেই তালিকায় সবার ওপরের দিকেই আছে ম্যানচেস্টার সিটি। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ২৫ নম্বরে। অর্থাৎ, শেষ ম্যাচে পা হড়কালেই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়বে সিটিজেনরা। এই পরিস্থিতি যে কোনো কোচের জন্যই কঠিন। তবে পেপ গার্দিওলা ভাবছেন ভিন্ন কিছুই। তিনি এটিকে দেখছেন বরং সুযোগ হিসেবে।
সাত ম্যাচ চ্যাম্পিয়নস লিগে গার্দিওলার দল খেলে ফেললেও তাদের পয়েন্ট মোটে আট। টেবিলে অবস্থান তাই তলানীর দিকেই। নকআউট পর্বের আগেই তাই জেগেছে বিদায়ের জোর সম্ভাবনা। শেষ ম্যাচটা তাই জয় না পেলে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়াটা নিশ্চিত। এমন পরিস্থিত কঠিন হলেও চাপ নিচ্ছেন না গার্দিওলা।
ফুটবলারদের চাঙ্গা করতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এটাকে দাবি করেছেন সুযোগ হিসেবে। “পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যা আমাদের ম্যাচটা জিততে হবে, সেটা যদি না পারি তাহলে আমরা এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বো। আমরা চাই আরও দুই ম্যাচ খেলার সুযোগটা তৈরি করতে। এটা সমস্যা না, এটা আমাদের জন্য সুযোগ।”
সিটি সমর্থকরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন যে ম্যাচটা তারা খেলবে নিজেদের ঘরের মাঠে। প্রতিপক্ষ বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুগা। যারা চলতি মৌসুমে কিছুটা চমকই দেখাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলে তারা এগিয়ে আছে সিটির থেকে। অবস্থান ২০ নম্বরে।
তাই কাজটা কঠিন হলেও এমন পরিস্থিতির সাথে তার দল পরিচিত বলেও মন্তব্য করেছেন গার্দিওলা। “এই ধরনের ম্যাচ আমাকে অনেকবারই খেলতে হয়েছে। দেরিতে হলেও আপনাকে এই ধরনের ম্যাচ খেলতেই হবে যদি টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চান। আমরা ভালো করতে পারিনি তাই এই পরিস্থিতিতে। তবে এই ধরনের অবস্থা আমরা মোকাবেলা করার অভিজ্ঞতা আছে।”
জিতলেই গ্রুপ সেরা হওয়ার হাতছানি ছিল বসুন্ধরা কিংসের সামনে। সেই সুযোগটা তারা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে তারা। ভেলেরি তিতার দল ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে। তাতে গ্রুপ সেরা হয়ে ফেডারেশন কাপের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা কিংস। অন্যদিকে পুলিশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেও হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় নকআউট পর্বের টিকেট কেটেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, তাতে কোপাল পুড়েছে ফর্টিসের।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিল বসুন্ধরার কাছে। প্রথম গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ। ১৮ মিনিটে মিগেল দামাসেনোর গোলে এগিয়ে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য সেখানে ওয়ান্ডারার্সের ডিফেন্ডারের ভুলই ছিল গোলের মূল উৎস।
বিরতিতে যাওয়ার ঠিক ৫ মিনিট আগে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সোহেল রানা সিনিয়র। ৪০ মিনিটে মিডফিল্ডারের করা গোলটি ছিল দেখার মতো। ডি বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে নিচু শটে পরাস্ত করেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও কিংস ধরে রাখে আক্রমণের গতি। তা সামলাতে গিয়ে ৫৫ মিনিটে কিংসকে আত্মঘাতী গোল উপহার দেন রাসেল। ৭০ মিনিটে গোলের দেখা পান সোহেল রাজা সিনিয়র, আর ম্যাচের শেষ গোলটা আসে ডিফেন্ডার তপু বর্মর্ণের কাছ থেকে।
এই জয়ে চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকেই পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা।
অন্যদিকে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেও করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। অবশ্য তাদের সামনে সুযোগ ছিল জয় পাওয়ার। কিন্তু পেনাল্টি শট নিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এলিটা কিংসলে। তার নেওয়া স্পটকিক ঠেকিয়ে দেন পুলিশের গোলরক্ষক রাকিবুল হাসান তুষার।
তবে ড্র করলেও ঠিকই পরের পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাদার্স। পয়েন্ট কিংবা গোল ব্যবধান দুটিতেই দুই দলের অবস্থান ছিল সমানে সমান। নিয়ম অনুযায়ী তাই তাকাতে হয়েছে হেড টু হেড লড়াইয়ের দিকে। যেখানে জয়টা ছিল ব্রাদার্সের। তাতেই পরের পর্ব নিশ্চিত হয়েছে তাদের।