হামজা চৌধুরী খেলবেন বাংলাদেশের হয়ে, এটা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই দেশে শুরু হয়েছে ফুটবলকে ঘিরে নতুন এক উন্মাদনা। আর সেটার বড় একটা প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলের জার্সিকে কেন্দ্র করে। ভক্তদের মাঝে তুমুল সাড়া ফেলেছে হামজার অভিষেক ম্যাচের জার্সি, যা এরই মধ্যে গড়েছে বেশ কিছু রেকর্ড।
গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ উপলক্ষ্যে নতুন জার্সি উন্মোচন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় দৌড়-এর, যারা মার্চেন্ডাইজিং বিক্রির ক্ষেত্রে এরই মধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তারা তৈরি করে লাল জার্সি, যেখানে তুলে ধরা হয় নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
আর এর প্রভাব চোখে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সব প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে হামজাদের জার্সি উন্মোচনের ভিডিওতে এখন পর্যন্ত ভিউ হয়েছে ২১.২ মিলিয়ন। সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে ১৪ জন কন্টেন্ট বানিয়েছেন জার্সি নিয়ে।
তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে নিয়ন এন্ড অন। হামজাকে নিয়ে করা জনপ্রিয় এই কন্টেণ্ট ক্রিয়েটরের করা ভিডিও সব প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে ভিউ হয়েছে ৭.৮ মিলিয়ন।
আর অফিশিয়াল কিট স্পন্সর দৌড়ের এওয়ে কিট ভিডিওতে ভিউ হয়েছে ২ মিলিয়ন।
টি স্পোর্টসের সাথে এক আলাপচারিতায় বাফুফের ডিজিটাল এন্ড মিডিয়ার সদস্য অমিত হাসান তুলে ধরেন বাংলাদেশের জার্সি ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনার চিত্র।
“আমি মনে করি এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি সেল হয়েছে, দৌড়ের কাছ থেকে যা জেনেছি সেই অনুযায়ী। অফিশিয়াল সংখ্যাটা দৌড় ভালো বলতে পারবে। আর ঈদের কারণে দৌড়ের অনেকগুলো ডেলিভারি আটকে আছে, তাই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।”
আগামী জুনে দেশের মাটিতে অভিষেক হবে হামজার। সেই ম্যাচের জার্সি নিয়ে আলাদা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অমিত হাসান।
“আমরা আশা করছি হোম ম্যাচেও ভালো সাড়া পাব। দৌড়ের সাথে হোম ম্যাচের জার্সি নিয়ে আমাদের কথা হচ্ছে। আমি বলব না সারপ্রাইজ আসছে। এই মুহূর্তে বাফুফের কমিটির কাছে অনেকগুলো ডিজাইন আছে। তাই এটা বলা যায় যে, দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হবে।”
সবচেয়ে বেশি আগ্রহ কার জার্সি নিয়ে? প্রত্যাশিত উত্তরটাই দিয়েছেন অমিত হাসান।
“সংখ্যার দিক থেকে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে হামজার জার্সি। হামজার জার্সি পড়া ভিডিওটা যখন পোস্ট করা হল, এরপর সেটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একদম ভাইরাল হয়ে গেল।”
১২০ মিনিটেও আলাদা করা যায়নি দুই দলকে। শুরুটা ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও শেষটা হয়েছে জমজমাটই। যেখানে জয়ের হাসি আবাহনী লিমিটেডের। ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ালিফায়ারে টাইব্রেকারে মারুফুল হকের দল বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে সবার আগে কেটেছে ফাইনালের টিকেট।
টাইব্রেকারে আবাহনীর নায়ক বনে গেছেন গোলকিপার মিতুল মারমা। অন্যদিকে বদলি হিসেবে নেমে আনিসুর রহমান জিকো টাইব্রেকারে একটা সেইভ দিলেও মাঠ ছেড়েছেন হার সঙ্গী করে। কিংসের হয়ে জনাথন, মোরসালিন গোল করলেও মিস করেছেন দেসিয়েল ও রাব্বি হোসেন রাহুল। অন্যদিকে আবাহনীর একমাত্র গোলটা মিস করেছেন জাফর ইকবাল। তবে রাফায়েল আগুস্তো, এমেকা, সবুজ ও ইব্রাহিম খুঁজে নিয়েছেন জাল। তাতে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আকাশী-নীলরা।
আরও পড়ুন
মায়ামিতে দেখা মিলবে মেসি-ডি ব্রুইনার যুগলবন্দী? |
![]() |
এদিন লম্বা সময় ১০ জনের দল নিয়ে খেললেও আবাহনীকে টলাতে পারেনি বসুন্ধরা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড থেকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আবাহনী ডিফেন্ডার আসাদুজ্জামান বাবলু। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। আবাহনী ডিফেন্ডার ও গোলকিপারের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ কাজে লাগিয়ে মজিবুর রহমান জনি এগিয়ে দেন বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
কিংস যখন জয়ের বন্দরে তখনই চমক নিয়ে হাজির হয় আবাহনী। ৮৪ মিনিটে তাদের ম্যাচে ফেরায় বদলি হিসেবে নামা আরমান ফয়সাল আকাশ। রাফায়াল আগুস্তোর নেয়া ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসলে সেটা ফাঁকা পোস্টে পান আকাশ। এমন সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেননি তরুণ এই ফুটবলার। তাতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও দুই দল লড়ে সমানতালে। গোলের দেখা মেলেনি কারোরই। আর টাইব্রেকারে গিয়ে ৪-২ ব্যবধানে জয় তুলে নেয়ে আবাহনী।
অন্যদিকে দিনের এলিমিনেটর ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করলো রহমতগঞ্জ। এমফোন উদোর দারুণ এক গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় ব্রাদার্স। ৬৩ মিনিটে রহমতগঞ্জকে ম্যাচে ফেরান স্যামুয়েল বোয়াটাং। বাকি থাকা সময়ে দুই দল আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা মেলেনি। তাতে এই ম্যাচও গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অবশ্য টাইব্রেকারে যাওয়ার আগেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন সলেমোন কিং। রহমত মিয়ার ভুলের সুযোগে বল জালে জড়ান গাম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
লিগ জয়র পর অমরত্বের দিকে চোখ এনরিকের |
![]() |
১৫ এপ্রিল ফেডারেশন কাপের ২য় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস-রহমতগঞ্জ।
মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। গুঞ্জন চলছে তার নতুন ঠিকানা হতে পারে মেজর লিগ সকার। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারকে মেসির সঙ্গে একসঙ্গে জুটি বেঁধে খেলার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। গেল দুই দিন থেকে ডি ব্রুইনার সঙ্গে জোড়া হচ্ছে ইন্টার মায়ামির নাম।
ইএসপিএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডি ব্রুইনার ওপর ‘ডিসকভারি রাইটস’ রয়েছে ইন্টার মায়ামির হাতে। এমএলএস-এর নিয়ম অনুযায়ী এই তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি আলোচনার ক্ষেত্রে যেই ক্লাবের হাতে থাকে ‘ডিসকভারি রাইটস’ তারাই পায় প্রাধান্য। সে হিসেবে ডি ব্রুইনা এমএলএসে খেলার সিদ্ধান্ত নিলে সবার আগে তার সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবে মায়ামি।
আরও পড়ুন
২০ মাস পর ফিরলেন নাসির, বল হাতে নিলেন উইকেটও |
![]() |
অবশ্য এবারই প্রথম না গেল গ্রীষ্মেও ডি ব্রুইনার এমএলএসে যোগ দেওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ওই সময় তার সঙ্গে চুক্তি করতে চেয়েছিল সান দিয়েগো এফসি। তবে আর্থিক জটিলতায় তখন ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর টাইলার হিপস এই দলবদল থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
অবশ্য মায়ামিও খুব সহজেই ডি ব্রুইনাকে চাইলেও দলে যুক্ত করতে পারবে না। মেসি, বুসকেটস, জর্দি আলবাদের মতো তারাকাদের দলে ভিড়িয়ে বেতন নিয়ে বিপাকে আছে তারা, তার মধ্যে ডি ব্রুইনার বিশাল বেতন জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার শঙ্কা আছে। যদিও বেশ কিছু গণমাধ্যম বলছে, সেই সমস্যা সমাধানে মায়ামি কর্তারা এরই মধ্যে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন। ক্লাব বিশ্বকাপের আগে দলের শক্তি বাড়াতে ডি ব্রুইনাকে দলে যুক্ত করার উপায়টা খুঁজে বের করার চেষ্টায় আছেন।
ডি ব্রুইনা ১০ বছরের ম্যানসিটি ক্যারিয়ারে ৬টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছেন। এছাড়া পাঁচটি কারাবাও কাপ, দুটি এফএ কাপ, দুটি কমিউনিটি শিল্ড এবং একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা আছে তার নামের পাশে।
আজ বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেই নামছেন বুমরাহ! |
![]() |
লিগ ওয়ানের শিরোপা জয় যে বেশ আগেভাগেই হবে, সেটা পিএসজির দুর্দান্ত ফর্ম নিশ্চিত করে ফেলেছিল মাস দুয়েক আগেই। সেটা বজায় রেখে প্যারিসের ক্লাবটি আরও একবার লিগ চ্যাম্পিয়ন্স হয়ে গেছে পিএসজি। এমন অর্জনে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত কোচ লুইস এনরিকে। দলকে একটা নতুন লক্ষ্য দিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। বললেন, অপরাজিত থেকে মৌসুম শেষ করতে চান তিনি।
ঘরের মাঠে শনিবার রাতে অ্যাঞ্জার্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ে ছয় ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত করে পিএসজি। সব মিলিয়ে এটি দলটির ১৩তম লিগ জয়, আর এই নিয়ে টানা চতুর্থবার। এর মধ্য দিয়ে পিএসজি মে মাসের আগে ষষ্ঠবারের মতো লিগ ওয়ানদের শিরোপা জিতল।
আরও পড়ুন
পিএসলের ধারাভাষ্যকার প্যানেলে আতাহার আলি |
![]() |
ম্যাচ শেষে এনরিকে দলকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। “এপ্রিলের শুরুতে শিরোপা উদযাপন থেকে বোঝা যায়, আমরা এই মৌসুমে খুব উঁচু একটা স্তরে পৌঁছে গেছি। আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি, তবে আমাদের আরও অনেক ম্যাচ বাকি আছে। আমরা এখন এই মৌসুম অপরাজিত থেকে শেষ করার চেষ্টা করার জন্য অনুপ্রাণিত। ফ্রান্সে এর আগে কেউ এটা করতে পারেনি, তাই এটা এমন কিছু, যা আমরা অর্জন করতে চাই।”
২৮ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট এখন ৭৪ পয়েন্ট, যা লিগ ওয়ানের ইতিহাসে মৌসুমের এই পর্যায়ে ক্লাবটির দ্বিতীয় সেরা সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনের রেকর্ড। নিজেদের বাকি ছয় ম্যাচে হার এড়াতে পারলে এনরিকের দল ভেঙে দিবে তিন দশক আগে ন্যান্তেসের ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থেকে লিগ জয়ের রেকর্ড।
গত মৌসুমের পর তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপের বিদায়ের পর এনরিকের কোচিংয়ে পিএসজির সম্ভাবনা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে একরকম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে চলেছে তরুণ দলটি। ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে করেছেন ক্লাবের সর্বোচ্চ ২১টি গোল, ব্র্যাডলি বারকোলার অবদান ১৩টি গোলে। এই মৌসুমে পিএসজির ১৮ জন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় জালের দেখা পেয়েছেন। তাতে ভর করে মাত্র ২৮টি ম্যাচে ৮০টি গোল করেছে পিএসজি।
আরও পড়ুন
১ পয়েন্টও বার্সা কোচের কাছে ইতিবাচক ফলাফল |
![]() |
রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে জয় পেলেই লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে লিডটা বড় হয়ে যেত আরও। তবে তা আর পারেনি বার্সেলোনা। সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। হতাশা থাকলেও কাতালান ক্লাবটির কোচ হান্সি ফ্লিক মনে করেন, এই ফলাফলও মন্দ নয় তাদের জন্য।
গত শনিবার রাতে বেতিসের সাথে বার্সেলোনার লিগ ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ গোলে। এই ড্রয়ের ফলে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৬৭, যা দুইয়ে থাকা রিয়ালের চেয়ে চার পয়েন্ট বেশি। কার্লো আনচেলত্তির দল দিনের অন্য ম্যাচে হেরে যাওয়ায় নিজেদের ম্যাচে জিতলেই লিড বাড়িয়ে নিতে পারত বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
রিয়ালের জেতা উচিত ছিল, মনে করেন আনচেলত্তি |
![]() |
সেটা না হলেও ইতিবাচকই আছেন ফ্লিক।
“আমরা জেতার জন্য সব চেষ্টাই করেছিলাম, কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। আজকের মত একটা দিনে, যখন আপনি গোল করতে পারেন না, তখন আপনাকে এটা (ড্র) মেনে নিতে হবে এবং ফলাফলকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। আমি এটা বলতে পারি যে আমরা সবরকম চেষ্টাই করেছি এবং ম্যাচে স্পষ্ট আধিপত্য দেখিয়েছি।”
স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতা বার্সেলোনা এই মৌসুমে এখন লড়তে আছে ট্রেবল জয়ের জন্য। লা লিগায় শীর্ষে থাকা দলটি জায়গা করে নিয়েছে কোপা দেল রের ফাইনালে। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে শেষ আটে।
দলের নিবেদনে সন্তুষ্ট বার্সেলোনা কোচ।
“এই দলের খেলোয়াড়রা শেষ কয়েকটি ম্যাচে যা করেছে, তা নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি। আমরা (কোপা দেল রের) ফাইনালে পৌঁছেছি এবং এই ড্র সত্ত্বেও আমরা লিগে লিড আরও বাড়িয়েছি। আমি খুশি, দারুণ একটা অবস্থান।”
সুযোগ ছিল বার্সেলোনার সাথে ব্যবধান কমিয়ে আনার। তবে ভ্যালেন্সিয়ার সাথে মলিন পারফরম্যান্স দেখিয়ে হেরে আরও পিছিয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে গোলের সামনে কার্লো আনচেলত্তির দলকে দেখা যায়নি সেরা ছন্দে। তবে কোচ কার্লো আনচেলত্তির রয়েছে ভিন্ন মত। তার মতে, জেতার মতোই খেলেছিল রিয়াল।
গত শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার গোলপোস্টের নিচে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক জিয়েরগি মামারদাশভিলি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেওয়া সহ উপহার দেন দুর্দান্ত কিছু সেভ। ইনজুরি টাইমের গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়েই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে ভ্যালেন্সিয়া। ৮ রাউন্ড বাকি থাকতে বার্সেলোনার চেয়ে দুইয়ে থাকা রিয়াল পিছিয়ে আছে চার পয়েন্টে।
আরও পড়ুন
লিগ জয়র পর অমরত্বের দিকে চোখ এনরিকের |
![]() |
হতাশাজনক ফলাফলের পরও আনচেলত্তি অবশ্য খুব একটা বিচলিত নন।
“এই ম্যাচে জয় পরাজয় আমাদের প্রাপ্য পরাজয় ছিল না। আমরা কি আরও ভাল খেলতে পারতাম? অবশ্যই। তবে এটি লড়াকু মানসিকতার অভাব নয়। আমরা জয়ের যোগ্য ছিলাম এবং ছোট ছোট বিষয়গুলো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
আনচেলত্তি যা বলেছেন, তা খুব একটা ভুল নয়। কারণ, ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক মামারদাশভিলি এই ম্যাচে ছিলেন সেরা ফর্মেই। বিরতির আগে ভিনিসিয়ুসের পেনাল্টি ঠেকানো ছাড়াও বেশ কয়েকবার হতাশ করেন রিয়ালের খেলোয়াড়দের। ফলে দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও একরাশ হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের।
আনচেলত্তি তাই মনে করছেন, তার দল ভালোই খেলেছে।
“আমি মনে করি আমরা একটি ভাল ম্যাচ খেলেছি, আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি এবং গোল করার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। এটি হতাশাজনক। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
এই হারের ধাক্কা সামলে চলতি মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে আর্সেনালের বিপক্ষে খেলতে হবে রিয়ালকে। এছাড়াও মাসের শেষের দিকে রয়েছে বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনাল।
আরও পড়ুন
বায়ার্নই চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে : মুলার |
![]() |
এই ম্যাচগুলোতে ভিন্ন এক রিয়ালকে দেখা যাবে বলেই মত আনচেলত্তির।
“(আর্সেনাল ও বার্সেলোনা) আরও বেশি আগ্রাসী হবে এবং ম্যাচের চিত্রপট অনেক আলাদা হবে। অবশ্যই আমাদের ডিফেন্সে আরও ভাল হতে হবে এবং সামনেও কার্যকর হতে হবে। তবে মনোযোগ হারানো যাবে না।”