ফুটবল

৩২ ম্যাচেই ‘সেঞ্চুরি’, ফ্লিকের বার্সা দিচ্ছে ‘টি-টোয়েন্টির’ আমেজ!

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:৩৮ পিএম

news-details

চলতি মৌসুমে হান্সি ফ্লিকের অধীনে বার্সেলোনা রীতিমত উড়ছে। কাতালান ক্লাবটিকে যেন থামানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রবিবার রাতে তারা ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে। তাতে নতুন এক রেকর্ডও গড়েছে তারা। মাত্র ৩২ ম্যাচেই তারা ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০ গোলের মাইলফলক, যা ক্লাবটির ইতিহাসে ম্যাচের হিসেবে দ্বিতীয় দ্রুততম।


সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বার্সেলোনা চলতি মৌসুমে করেছে ১০১ গোল। প্রতি ম্যাচে গড়ে তারা গোল করেছে ৩.১৬ টি! এর আগে বার্সেলোনার ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছে একবারই। ১৯৫০ মৌসুমে হেলেনিও হেরেরার অধীনে বার্সা গোলের শতক পূরণ করেছিল ৩১ ম্যাচেই। ফ্লিকের দলের অবস্থান এই তালিকায় এখন দুই নম্বরে। এক ম্যাচ বেশি খেলে তারা ছুঁয়েছে গোলের শতকের রেকর্ড। 


বার্সেলোনা যে গতিতে শততম গোল করেছে তাতে ফুটবল মাঠেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আমেজটা পেতে পারেন অনেক সমর্থক। কে জানে! বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যে ধুম পড়েছে তা হয়তো ছুঁয়ে গেছে বার্সাকেও।  রাফিনিয়া, লেভানডফস্কিরা মাত্র ৩২ ম্যাচে গোলের শতক করে তো সেই স্বাদটাই যেন দিয়ে দলেন সমর্থকদের। 


অবশ্য বার্সার সামনে সুযোগ ছিল এই রেকর্ড আরও আগেই স্পর্শ করার তবে একের পর এক সহজ গোলের সুযোগ মিসে তারা সুযোগ হারিয়েছে সেই রেকর্ড গড়ার। পরিসংখ্যান বলছে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনা শুধু লা লিগায় আর চ্যাম্পিয়নস লিগে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছে ৭১ টি। অন্যান্য প্রতিযোগিতার হিসাব টানলে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৮০-তে। 


এই নিয়ে চলতি মৌসুমে দুইবার ৭ গোলের দেখা পেয়েছে বার্সেলোনা। আর ৩৪ ম্যাচের মধ্যে ১৪ ম্যাচে তারা চার কিংবা তার থেকে বেশি গোল করেছে। এমন পরিসংখ্যান চোখ কপালে তোলার মতই। এক মৌসুম আগে যেই বার্সা খাবি খাচ্ছিল, সেই বার্সাই ফ্লিকের ছোঁয়ায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছে। রিয়াল মাদ্রিদ বা ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচই তার জলন্ত প্রমাণ।


দলের এমন পারফরম্যান্স ফ্লিক বেশ খুশি। “দলের মধ্যে জেতার যে তাড়না তা আমার বেশ ভালো লেগেছে, বিশেষ করে আজকের ম্যাচে। এটা ২-০ কিংবা ৩-০ তে থামেনি। তারা ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গোল করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। এটা বেশ দারুণ ব্যাপার। 


এই জয়ে বার্সেলোনা সমর্থকরা স্বস্তি পেতে পারেন। লা লিগায় ৫৪ দিন পর আবারও তারা ফিরেছে জয়ের ধারায়। অবশ্য পয়েন্ট টেবিলের এখনো তারা আছে তিন নম্বরেই। ২১ ম্যাচে বার্সেলোনা পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৪২। সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল, আর ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ আছে দুইয়ে।

bottom-logo

ফুটবল

‘আর কিছু চাওয়ার নেই’, বললেন মেসি

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫:১৭ পিএম

news-details

একজন ফুটবলারের সম্ভাব্য যা যা জেতার বা অর্জন করার স্বপ্ন থাকে, তার সবই হয়ে গেছে পূর্ণ। বিধাতা লিওনেল মেসিকে দলগত ও ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছেন দুহাত ভরেই। সব জিতেও ছিল যে একটা আক্ষেপ, তাও মিটেছে বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে মেসির কাছে তাই মনে হচ্ছে, বিশেষ আর কিছু চাওয়ার নেই তার।

 

বার্সেলোনায় বেড়ে ওঠা মেসি তার ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছেন সেখানেই। নিজের সেরা সময়ে বদলে দিয়েছেন ক্লাবের ইতিহাসও। ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত রেকর্ডেও হয়েছেন অনন্য। ঠিকানা বদল হলেও এখন ছুটছেন চেনা গতিতেও। সাথে জাতীয় দলের হয়ে যোগ হয়েছে একটি বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকাও। রেকর্ড ৮টি ব্যালন ডি’অর তো রয়েছেই।


 আরও পড়ুন

ইয়ামালের মাঝে নিজের ছায়া দেখছেন মেসি ইয়ামালের মাঝে নিজের ছায়া দেখছেন মেসি


আর কিছু কি চাওয়ার আছে মেসির? সিমপ্লেমেন্তে ফুটবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অকপটে জানিয়েছেন সেই কথাও।

“এখানে আমি আর কিছু চাইতে পারি না। আমার কেবল বিশ্বকাপ জেতাটাই বাকি ছিল। আমি সব কিছুই জিতেছি, আমি সবকিছু অর্জন করে ফেলেছি।”

২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর মেসি আভাস দিয়েছিলেন, এটাই হতে পারে তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে কোচ ও সতীর্থরা বারবার বলেছেন, আরেকটি বিশ্বকাপে তাকে চান তারা। স্পষ্ট করে কিছু না বললেও মেসি এখনও যেভাবে খেলছেন, তাতে আগামী বছরের বিশ্বকাপে তার অংশ নেওয়া খুবই সম্ভব। গত বছরের কোপা আমেরিকার পারফরম্যান্স যে পালে দিয়েছে বাড়তি হাওয়া।

 

তবে মেসি এখনও কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছেন। 

"এই বছরটা আমি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেব, তা দেখার মূল বিষয় হতে যাচ্ছে। আমি যদি আপনাকে বলি যে, আমি এটা নিয়ে ভাবছি না, তাহলে সেটা বড্ড ভুল হবে।”
bottom-logo

ফুটবল

ইয়ামালের মাঝে নিজের ছায়া দেখছেন মেসি

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৩:৪৪ পিএম

news-details

লামিন ইয়ামালকে নিয়ে পুরো বিশ্বের মত প্রশংসা আগেও করেছেন। সেই লিওনেল মেসির সাথে লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা, তরুণ বয়সেই বার্সেলোনায় দাপিয়ে বেড়ানো আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে তার সাথে অনেকেই মিল খুঁজে পান। সেই দলে আছেন আর্জেন্টিনা তারকা নিজেও। বললেন, তার শুরুর দিনের মতোই খেলেছেন ইয়ামাল।

 

গত বছর স্পেনের ইউরো জয়ে বড় অবদান রেখে স্পটলাইটে চলে আসেন ইয়ামাল। বার্সেলোনার হয়ে অবশ্য ১৬-তে পা দেওয়ার আগে থেকেই ছুটছেন ঠিক মেসির মতোই। এই বয়সেই হয়ে গেছেন দলটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। ঠিক একই চিত্র স্পেন জাতীয় দলেও। সমান বয়সে একই দাপট দেখিয়েছিলেন মেসিও। ফলে দুজনের তুলনা নিয়মিতই হচ্ছে এখন।


আরও পড়ুন

বাড়ল লা লিগা থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা বাড়ল লা লিগা থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা


সম্প্রতি সিমপ্লেমেন্তে ফুটবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি আরও একবার মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ইয়ামালকে নিয়ে। 

“লামিন ইয়ামাল মাঠে যা যা করে দেখায়, তা উপভোগ্য। ইতিমধ্যেই সে স্পেনের সাথে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তার বয়স মাত্র ১৭, সে এখনও উন্নতি করছে। আর খেলোয়াড় হিসেবে সে আরও উন্নতি করতেই থাকবে এবং নিজের খেলায় ঠিক আমার মতোই নতুন কিছু যোগ করবে। তার অবিশ্বাস্য প্রতিভা আছে এবং এরই মধ্যে সে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন হয়ে গেছে।”

 

ইয়ামাল এখন যেভাবে খেলছেন, সেভাবে চালিয়ে যেতে পারলে একদিন হয়ত তিনিও বার্সেলোনার ইতিহাসে মেসির মত অংশ হতে পারবেন। তবে তার আক্ষেপ থাকতেই পারে, ক্লাব কিংবদন্তির সাথে যে একই দলে খেলার সুযোগ পেলেন না। ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার পর মেসির ফেরার কথা কয়েকবার হলেও বাস্তবে তা আর রুপ নেয়নি। ফলে ইয়ামালের সাথে তার আর খেলা হয়নি।

 

কেন ২০২৩ সালে পিএসজি ছাড়ার সময় বার্সেলোনাকে বিবেচনায় রাখেননি, সেটাও খোলাসা করেছেন মেসি। 

“আমার বার্সেলোনায় ফেরার ইচ্ছা ছিল, যাতে আমি সেখানেই থাকতে পারি যেখানে আমি সবসময় থাকতে চেয়েছি। তবে সেটা আর সম্ভব না। একটা সময়ের পর এটা পারিবারিক সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। তাছাড়া আমার বিশ্বকাপ জেতাও এখানে একটা ভূমিকা রাখে। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমি ইউরোপের আর কোনো দলে যোগ দেব না। আমি কোনো ক্লাবেই যেতে চাইনি।”


আরও পড়ুন

শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু


পিএসজির সাথে চুক্তি শেষে মেসি যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। তার হাত ধরে দলটি এরই মধ্যে গড়েছে নিজেদের ইতিহাসের দারুণ কিছু রেকরদ, জিতেছে শিরোপাও।

bottom-logo

ফুটবল

বাড়ল লা লিগা থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ২:১৩ পিএম

news-details

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের তিনটি প্রতিযোগিতায় ক্লাবগুলোর পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাড়তি স্পট পেয়েছে লা লিগা। প্রিমিয়ার লিগের মত স্পেনের শীর্ষ লিগ থেকেও অংশ নেবে পাঁচটি দল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ক্লাব সংখ্যা ৩৬-এ নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর দুটি লিগকে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের পারফর্মেন্স স্পট (ইপিএস) দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে বাড়তি দল পেল লা লিগা।


আরও পড়ুন

ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা


এই মৌসুমে ক্লাব ফুটবলের প্রতিযোগিতায় দারুণ করা ইংল্যান্ড আগেই দুটি স্পটের একটি স্থান নিশ্চিত করে, গত ৮ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় স্থানটি স্পেন পেয়েছে ইউয়েফা ইউরোপা লিগ থেকে লাজিওর বাদ পড়া ও টুর্নামেন্ট থেকে রেঞ্জার্সকে স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিক বিলবাও ছিটকে দেওয়ায়।


ফলে এখন প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগার পঞ্চম হওয়া দুটি দলও অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার।

এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ পাঁচের থাকার জন্য দলগুলোর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। নিউক্যাসল ইউনাইটেড (৫৯ পয়েন্ট) তৃতীয় স্থানে, নটিংহ্যাম ফরেস্ট (৫৭) চতুর্থ এবং ম্যানচেস্টার সিটি (৫৫) পঞ্চম স্থানে রয়েছে। এই তিন দলের কাছাকাছি আছে চেলসি (৫৪) এবং অ্যাস্টন ভিলা (৫৪)।


লা লিগায় অবশ্য চিত্রটা ভিন্ন। শীর্ষ চার অবস্থান এরই মধ্যে প্রায় নিশ্চিত হয়েই গেছে। এই মুহূর্তে পঞ্চম স্থানের জন্য লড়াইটা হচ্ছে মূলত ভিলারিয়াল (৫১ পয়েন্ট, এক ম্যাচ কম) রিয়াল বেতিস (৪৮ পয়েন্ট)।


প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য দলের সংখ্যা বাড়তে পারে। আর্সেনাল যদি শেষ পর্যন্ত লিগে চতুর্থ হয়, তাহলে ইংল্যান্ড থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বাধিক ছয়টি দল থাকতে পারে। শীর্ষ চার দল, ইপিএস থেকে একটি এবং ইউরোপা লিগ জিতলে  ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বা টটেনহ্যাম হটস্পার।


আরও পড়ুন

সাহসী ফুটবলে রিয়ালকে হারিয়ে সেমিতে আর্সেনাল সাহসী ফুটবলে রিয়ালকে হারিয়ে সেমিতে আর্সেনাল


তবে আর্সেনাল যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে আর লিগ শেষ করে শীর্ষ চারের মধ্যে থেকে, তাহলে প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাড়তি দল পরের মৌসুমে সুযোগ পাবে না। এই লিগ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে পাঁচ দলই।

bottom-logo

ফুটবল

শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৬:২০ পিএম

news-details

ভক্তরা মুখিয়ে থাকেন তাদের পছন্দের ফুটবলারের খেলায় মত্ত হয়ে থাকতে, তাঁর গোল করা দেখতে। কিন্তু নেইমার ভক্তদের জন্য এ যেন এক বিলাসীতা। যখন তাদের আকুল হয়ে চেয়ে থাকতে হয়--ব্যস, খেলুক বা না খেলুক, চোটে না পরুক নেইমার। 


কিন্তু বলে না, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যে হয়। নেইমারের ক্ষেত্রেও তাই। মাঠে নামলেই কেন যেন চোটের কবলেই পড়তে হয় তাঁকে। বুধবার রাতে এক মাইলফলকের ম্যাচেও সেই দুঃখই সঙ্গী হলো তাঁর। সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে তার শততম ম্যাচ। তাই মাঠে নেমেছিলেন ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে। অনেকটা দিন পর জায়গা করে নিয়েছিলেন শুরুর একাদশে। তাঁকে দেখতে মাঠে ছিল দর্শকের ভীড়, গ্যালারিতে ছিল উন্মাদনা। ম্যাচে দলের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু স্বপ্নময় সেই আবহ বদলে গেল দুঃস্বপ্নে। প্রথমার্ধেই নেইমারকে মাঠ ছাড়তে হলো অশ্রুসিক্ত চোখে।


আরও পড়ুন

সাহসী ফুটবলে রিয়ালকে হারিয়ে সেমিতে আর্সেনাল সাহসী ফুটবলে রিয়ালকে হারিয়ে সেমিতে আর্সেনাল


চোট দুর্ভাগ্য নেইমারের নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে সান্তোসেও। অনেক দিন বাইরে থাকার পর গত রোববার ফ্লুমিনেসির বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে ফেরেন তিনি। বুধবার আতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে তাঁকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ সেজার সাম্পাইয়ো।


নেইমারের ফিট থাকা নিয়ে সংশয় অবশ্য ছিল শুরু থেকেই। দুই উরুতেই মোটা করে টেপ পেচিয়ে নামতে দেখা যায় তাঁকে। মাঠেও খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না তিনি। 


তাঁর দল অবশ্য ২৪ ও ২৭তম মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। তবে ভুগতে থাকা নেইমার ৩৪ তম মিনিটের পর আর পারলেন না। বাঁ উরুতে হাত রেখে একটু খোঁড়াতে দেখা যায় তাকে। ডাগআউটের দিকে ইশারা করেন বদলির জন্য। উরু চেপে বসে পড়েন মাঠে। এতক্ষণ ধরে উল্লাস করতে থাকা গ্যালারিও তখন প্রায় নিশ্চুপ।


সান্তোসে নিজের ১০০ তম ম্যাচের দিনেও এমন করুণ, অসহায় পরিণতিতে কান্না ছাড়া আর কিছুই সঙ্গী হলো না নেইমারের। সেই কান্না তিনি চেপেও রাখতে পারেননি। তাঁর চোখ জোড়া অশ্রুসিক্ত হয়েছে মাঠেই। সতীর্থ ও প্রতিপক্ষ দুদিক থেকেই সকলে তখন নেইমরাকে স্বান্তনা দিচ্ছেন। শেষমেশ দুজনের সহায়তায় কার্টে বসে মাঠ ছাড়েন নেইমার। আর সে সময় গ্যালারি থেকে আসতে থাকে জোর করতালির আওয়াজ।


চোটে পড়ে আগেও নানা সময়ে চোখের পানিতে মাঠ ছেড়েছেন নেইমার। সৌদি আরবের আল-হিলাল থেকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে গিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার মাঠে নামেন তিনি। টানা সাতটি ম্যাচে খেলেন এই তারকা, আস্তে আস্তে তাঁর মাঠে থাকার সময় বাড়তে থাকে। তবে গত ২ মার্চ করিঞ্চাসের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোটে পড়ে বাইরে থাকেন ছয় সপ্তাহ।


আরও পড়ুন

ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা


মাঝে ব্রাজিল জাতীয় দলে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ওই চোটের কারণে মার্চের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। যে উরুর চোটের কারণে তিনি বাইরে ছিলেন, সেখানেই আবার সমস্যা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। চোটের ধরন কী বা কতটা গুরুতর, তা অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানানো হয়নি।

ফুটবল থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ফুটবল

সাহসী ফুটবলে রিয়ালকে হারিয়ে সেমিতে আর্সেনাল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪:০০ এম

news-details

ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে মিকেল আর্তেতা বলেছিলেন, সাহসী ফুটবল খেলবে তার দল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিকদের আরেকটি কামব্যাক রুখে দিতে ম্যাচ জুড়ে ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিল তার দল। আর বাঁচা-মরার ম্যাচে ছন্দহীন ফুটবল খেলল কার্লো আনচেলত্তির দল। লড়াই তো নয়ই, উল্টো বিশাল ব্যবধানে হেরেই তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের।

 

বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের ফিরতি লেগের ম্যাচে আর্সেনাল জিতেছে ২-১ গোলে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আর্সেনাল।

 

গোলের জন্য মরিয়া রিয়াল দ্বিতীয় মিনিটেই শানায় প্রথম আক্রমণ। কিলিয়ান এমবাপের পাস থেকে বাম দিক থেকে বক্সে প্রবেশ করে শট নেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, যা চলে যায় পোষ্টের বাইরে। 

 

আরও পড়ুন

শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু


অষ্টম মিনিটে ধাক্কা খায় রিয়াল। কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে মিকেল মেরিনোকে টেনে বক্সের ভেতর ফেলে দেন রাউল আসেন্সিও। ভিএআর চেকে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। প্রথমে মার্টিন ওডেগার্ড এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার বাঁ পায়ের পানেনকা পেনাল্টি এক হাতে আটকে দিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন থিবো কোর্তোয়া। 

 

খানিক বাদে দারুণ স্কিলের প্রদর্শনী দেখিয়ে গোলের ভালো একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন জুড বেলিংহাম। তবে বাঁ দিক থেকে তার বাড়ানো পাস নাগাল পাননি বক্সের ভেতর থাকা রদ্রিগো।

 

ঘড়ির কাটায় বিশ মিনিট পার হওয়ার পর ফের বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। এবার সেটা যায় রিয়ালের পক্ষে। ডি বক্সের ভেতর এমবাপেকে ফাউল করেছিলেন ডেকলান রাইস, এই ভেবে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সাথে হলুদ কার্ডও। আর্সেনালের খেলোয়াড়দের তুমুল প্রতিবাদের মুখে ভিএআর চেকে যান রেফারি। এরপর নিজেই স্ক্রিনে ফুটেজ দেখে সরে আসেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত থেকে।

 

রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিলের আগে স্পট কিকের প্রস্তুতি সেরেও ফেলেছিলেন এমবাপে। সেই হতাশার কারণেই কিনা, ৩১তম মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া তার শট চলে পোষ্টের বেশ ওপর দিয়েই।

 

এরপর কিছুটা কমে যায় ম্যাচের গতি। তবে চল্লিশ মিনিটের পর টানা তিন কর্নার আদায় করে আর্সেনালের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করে রিয়াল। তবে দলটির আক্রমণের দুই প্রাণভোমরা এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধের বাকি সময়ের পর এই অংশেও থাকেন নিস্প্রভ।

 

ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় সাত মিনিট, যেখানে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ভালো একটা আক্রমণ করে আর্সেনাল। রাইসের পাস থেকে বক্সের বাঁদিক থেকে কঠিন এঙ্গেল থেকে বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, যা দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।

 

লড়াই জমাতে রিয়ালের গোলের ভীষণ প্রয়োজন হলেও বিরতির আগেই দলটির আক্রমণের খেলোয়াড়রা দেখান বাজে পারফরম্যান্স। ফলে গোলের জন্য ছয়টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় আর্সেনাল।


আরও পড়ুন

ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা


রিয়ালের গোলের সামনের এই দুর্দশা চলমান থাকে বিরতির পরেও। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে সেভাবে প্রতিপক্ষকে চাপেই রাখতে পারেনি দলটি। ফলে অধিনায়ক লুকাস ভাজকেজ, ডেভিড আলাবা ও রদ্রিগোকে তুলে ফ্রান গার্সিয়া, এন্দ্রিক ও দানি সেবায়োসকে নামান আনচেলত্তি। 

 

তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি আর। উল্টো ৬৪তম মিনিটে রিয়ালকে স্তব্ধ করে দেন প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করা সাকা। বক্সের বাইরে থেকে মেরিনোর বাড়ানো থ্রু বল থেকে ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে আর্সেনালকে বড় লিড এনে দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। 

 

তবে সেই রাশ না কাটতেই বল এবার চলে যায় আর্সেনালের জালে। প্রতিপক্ষের সীমানায় চ্যালেঞ্জ করে বলের দখল পেয়ে কোনোমতে শরীরের ভারসাম্য ধরে রেখে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন ভিনিসিয়ুস।

 

তবে এরপরই সেই উদ্দীপনা ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৭৫তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এমবাপে। একটা গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও বারবার আর্সেনালের জমাট ডিফেন্সের সামনে থেমে যায় রিয়ালের সব প্রচেষ্টা। তাতে হতাশা বাড়তে থাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে, যারা সেজেছিল আরও একটা কামব্যাকের প্রত্যাশায়।

 

গোলের জন্য রিয়ালের প্রানান্তকর চেষ্টায় বারবার হাইলাইনে উঠে খেলছিল তারা। ফলে প্রায়ই ডিফেন্সে তৈরি হচ্ছিল শুন্যতার। গোলের দেখা না পাওয়া রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ঠুকে দেন মার্তিনেল্লি।

 

ইনজুরি টাইমে কাউন্টার এটাক থেকে দ্রুত বল পেয়ে মেরিনো বাঁদিকে বল দেন মার্তিনেল্লিকে। ফাঁকায় থাকার কারণে অনেকটা সময় নিয়ে প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান তিনি। আর সেটাই হতাশার গভীর চাদরে ঢেকে দেয় রিয়ালকে।

bottom-logo