বাংলাদেশের অধিনায়ক ও কোচ উভয়ই চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে খুব বড় প্রত্যাশা না করার কথাই বলে আসছেন। বারবারই উঠে আসছে গ্রুপ পর্ব পার করার কথা। তবে একটা দলকে বেড়ে উঠতে হলে তো বড় অর্জনের দিকেও চোখ রাখতে হয়। আর সেটাই নিজের ভেতর ধারণ করছেন সৌম্য সরকার। অভিজ্ঞ এই ওপেনার মনে করেন, স্বপ্ন বড় রেখে তাদের উচিত শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বরাবরই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স গড়পড়তারও নিচে। গ্রুপ পর্বের বৈতরনী পার করাটাই হয়ে ওঠে ভীষণ কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই ফরম্যাটে দল হিসেবে অধারাবাহিক বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে বাছাইপর্বও। এবারের বিশ্বকাপের আগের ফর্ম ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারে তাই খুব বড় আশা করার সুযোগ কমই দেখা হচ্ছে। ঘুরেফিরে আলোচনাই সেই গ্রুপ পর্ব পার করাই।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’-তে সৌম্য বলেছেন, এত অল্প অর্জনেই সন্তুষ্ট হওয়াটা তার মধ্যে নেই। “আমি তো সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এটা আমার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা। আমি সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি। বড় স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল, আমি বলি না ফাইনালে খেলব। তারপরের কথা তো রেজাল্টের তো পরে আসব। আমরা যখন মাঠে ভালো বা খারাপ খেলব, সেটার ওপর ফলাফল নির্ভর করবে। কিন্তু বড় স্বপ্ন দেখাটা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।”
আরও পড়ুন: শেষ বিশ্বকাপ থেকে ভালো করার আশায় বিশ্ব মঞ্চ রাঙাতে চান শরীফুল
শান্ত যে স্বপ্নের কথা বলেছেন, সেটা বাস্তবে রুপ দিতে হলে তিনি তো বটেই, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও। টপ অর্ডারে দলের ভরসা হওয়ার পাশাপাশি দলের নেতৃত্ব সামলাবেন তিনি। কয়েক মাসে আগে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়ার পর এখন পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে তার পারফরম্যান্স ভালো-মন্দের মিশেল। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে শান্তকে নেতা হিসেবে দলকে এগিয়ে নিতে হবে সামনে থেকে।
সৌম্য মনে করেন, সেই সামর্থ্য শান্তর আছে। “শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ সিরিজে তার অধীনে খেলেছি প্রথম৷ আমি যেভাবে ওনাকে মাঠের মধ্যে দেখেছি, সেটা আমার ভালো লেগেছে। সে দলকে সবসময় একতাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছে এবং রাখছেও। তাই আমি আশা করব যে সব কিছু একত্রিত করে দল হিসেবে যেন ভালো একটা কিছু সে সামনে নিয়ে আসতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা, আশা করব সে যেন অধিনায়কত্বের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন একটা কিছু উপহার দিতে পারে।”
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত সৌম্য এখন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তার সাথে আছেন সুই সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাসরাও। দলে বেশ কয়েজন তরুণ সদস্য থাকায় বিশ্ব মঞ্চে অভিজ্ঞদের ছন্দে থাকাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে।
সেই ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করার আশাবাদ সৌম্যর। “শান্ত নতুন অধিনায়ক, দলে সাকিব ভাই, (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাইরা আছেন, বা আমরাও যারা আছি অনেকদিন ধরে খেলছি, তো সবকিছু মিলে সবার অভিজ্ঞতা যদি আমরা একসাথে করতে পারি, সবাই মিলে যদি একসাথে খেলতে পারি, তাহলে একটা ভালো টুর্নামেন্ট আমরা উপহার দিতে পারব।”
১৯ জুলাই ২০২৫, ৫:০৮ পিএম
১৯ জুলাই ২০২৫, ৯:৩৮ এম
১৭ জুলাই ২০২৫, ২:৪৯ পিএম
সদ্য শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ দলকে মোটেও হালকাভাবে নিতে চান না পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা। কারণ হিসেবে তিনি এই ফরম্যাটটিকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও লক্ষ্য তিনটি ম্যাচই জেতা, কিন্তু সিরিজ জিততে পারলেও খুশি মনে বাংলাদেশ ছাড়তে চান নতুন পাকিস্তান অধিনায়ক!
আরও পড়ুন
বদলা’র হুংকার লিটনের, আগ্রাসী ক্রিকেটে মনোযোগ পাকিস্তানের |
![]() |
দু’দেশের ২২ মোকাবেলায় পাকিস্তানের জয় ১৯টি, বাংলাদেশের মাত্র তিনটি। এরমাঝে দু’টিই আবার এই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, একটি এশিয়ান গেমসে চীনের হাংজুতে। গত ৯/১০ বছরে যে ১৩টি ম্যাচ খেলেছে দু’দেশ সেখানে ১২টিই জিতেছে পাকিস্তান, আর তাইতো সফররতরা নিরঙ্কুশ ফেবারিট কিনা সেই প্রশ্নে একটু হতচকিতই ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক-
“আমরা এখন বিদেশ সফরে রয়েছি, বাংলাদেশের জন্য হোম কন্ডিশন। আমরাজানি যেকোন কন্ডিশনেই বাংলাদেশ ভাল দল, বিশেষ করে ঘরের মাঠে তো আরও ভাল দল। সুতরাং বড়সড় চ্যালেঞ্জ আছে আমাদের সামনে! আমরা আসলেই খুব উদগ্রীব ম্যাচ খেলার জন্য, চ্যালেঞ্জটা জেতার চেষ্টা করবো। গত ৯/১০ বছরের পরিসংখ্যান যতই পাকিস্তানের পক্ষে থাক, এটা ভিন্ন একটা সিরিজ। প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি বল ধরে খেলবো”
পাকিস্তান অধিনায়ক একইসাথে চিন্তিত ও রোমাঞ্চিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিপ্লব নিয়ে। তাঁর ভাষায় খুব বেশি পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও প্রযুক্তির ছোঁয়া আবিষ্ট করে ফেলছে এই ফরম্যাটকে। পরিস্থিতির সাথে মানিয়েও নিচ্ছেন তিনি ও তাঁর দল-
“আমার মনে হচ্ছে প্রতি ৬ মাসে বদলে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এর সাথে মানিয়ে ভাল খেলতে হবে। আমার দলে নতুন দু’জন ফাস্ট বোলার আছে, আমি ওদের নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী”
পাকিস্তানের এই দলটিতে বেশ কজন ক্রিকেটার আছেন যাদের সবশেষ বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, মিরপুরের কন্ডিশন সম্পর্কে ভাল ধারনাও আছে। সালমান মনে করছেন এটা তাঁর দলকে বিশাল এক সুবিধা দেবে-
“আমাদের বেশ কজন খেলোয়াড় এখানে বিপিএল খেলে গেছে। তাঁর তাদের অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যে শেয়ার করেছে বাকিদের সাথে, সেই অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনাও সাজিয়েছি”
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দেশ, যেখানে পাকিস্তানের জয় ৫টি ম্যাচে, বাংলাদেশের ২টি।
গ্লোবাল সুপার লিগ ফাইনালের মঞ্চ। প্রস্তুত স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। প্রস্তুত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। প্রস্তুত প্রভিডেন্সের দর্শক। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত গায়ানার। যেই পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিল তারা তা এক্কেবারে ঠিকঠাক এক্সিকিউট করেছে দল।
জনসন চার্লস ও এভিন লুইসে শুরু। ম্যাচের ৪র্থ ওভারে দলের রান যখন ২১ খালেদের বলে বাউন্ডারি লাইনে সাইফ হাসানের দুর্দান্ত এক ক্যাচ। মাত্র ৫ রানে ফিরে যান লুইস। প্রথম ইনিংসে রংপুরের গল্প এটুকুই। এরপর পুরোটা আলো কেড়েছে চার্লস ও গুরবাজ জুটি। ৭০ বলে ১২১ রানের এই পার্টনারশিপ এবারের আসরে জিএসএলের সর্বোচ্চ।
চার্লস কিছুটা দেখেশুনে খেললেও রহমানুল্লাহ গুরবাজ কারো ধার ধারেননি। বেদম পিটিয়েছেন রংপুরের বোলারদের। ১৬ তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ১৭০ এর ওপর স্ট্রাইকরেটে করেন ৬৬ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬ টি চার ও ৪ টি ছক্কা। তাবরাইজ শামসির বলে গুরবাজ আউট হবার আগে অবশ্য ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৭ করে রিটায়ার্ড আউট হন জনসন চার্লস।
আরও পড়ুন
জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস |
![]() |
এই জুটি ফিরলেও গায়ানার ততক্ষণে যা করার করা হয়ে গেছে। শেষদিকে শেরফানে রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ডের ক্যামিও দুই ইনিংসে জিএসএল ইতিহাসের সবোর্চ্চ রান বোর্ডে তোলে ইমরান তাহিরের দল। ১ টি করে উইকেট নেন খালেদ, ইফতিখার ও শামসি। রংপুরের সামনে ১৯৭ এর পাহাড়সম টার্গেট তখন।
রংপুর খেই হারিয়েছে প্রথম ইনিংসেই। ইনিংসের ২য় বলেই জাদরানকে ফেরানোর আবেদন। তবে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু প্রায় দুশোর লক্ষ্য চাপে ফেলেছিল দলকে মানসিকভাবেই। তিন টপঅর্ডার ফিরে যান সেই চাপেই। ৫ ওভারে ৩০ রানের আগেই আউট হন ইব্রাহিম জাদরান, সৌম্য সরকার ও কাইল মায়ার্স। প্রথম ১০ ওভারে দলের রান তখন ৬৫। রিকোয়ার্ড রানরেট উঠে যায় ১৩’র ওপর।
রক্ষণাত্মকভাবে খেলছিলেন মিডল অর্ডারের সাইফ হাসান ও ইফতিখার আহমেদও। রংপুরের যখন সব হারানো শেষ মনে হচ্ছিল তখনই হঠাৎ জ্বলে ওঠে সাইফের ব্যাট। তাঁর ৩ চার ও ৩ ছক্কা আশা জাগিয়েছিল। পরে সেই উৎসবে যোগ দেন ইফতিখারও।
তবে ১৩ তম ওভারে জমে ওঠে নাটক। বাউন্ডারিতে ইফতিখারের ক্যাচ ধরা নিয়ে তেঁতে ওঠেন ইমরান তাহিররা। তবে বার বার রিপ্লে দেখে বহাল থাকে নট আউটের ডিসিশন। কিন্তু পরের বলেই কপাল পোড়ে রংপুরের। ইফতিখারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের শিকার হন দারুণ খেলতে থাকা সাইফ। ভাঙে দুজনের ৪৪ বলে ৭৩ রানের জুটি।
আরও পড়ুন
ওপেনার হিসেবেই ফেরার লড়াইয়ে নাঈম |
![]() |
ব্যাকফুটে থাকা রংপুর ম্যাচে ফিরল। গড়ল দারুন এক জুটি। কিন্তু ওই ভুল বোঝাবুঝির রানআউটেই এক নিমিষে সব শেষ। ভুলের মাসুল অবশ্য দিতে পারননি ইফতিখার। তিন তিন বার বেঁচে যাওয়া এই ব্যাটার শেষমেশ কাটা পড়েন প্রিটোরিয়াসের ফাঁদে। ফেরেন ২৯ বলে ৪৬ করে।
শেষদিকে মাহিদুল অঙ্কনের ১৭ বলে ৩০ এর ক্যামিও কিছুটা আশা জাগালেও কমিয়েছিল কেবল হারের ব্যবধান। অবশেষে ৩২ রানে ম্যাচ জিতে ২য় আসরে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতল হোস্ট গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। টানা ২য় বারের শিরোপাটা জেতা হলো না। দুর্দান্ত সিজন কাটানো রংপুর শেষ করল রানার্সআপ হয়েই।
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) ফাইনালে পাওয়া চোটে মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস। ফলে মিস করবেন জিম্বাবুয়েতে চলমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং এরপর টেস্ট সিরিজও।
গত ১৩ জুলাই ওয়াশিংটন ফ্রিডমের হয়ে ফাইনাল খেলার সময় কুঁচকির চোট পান ফিলিপস। এরপরও রাখা হয়েছিল ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে। জিম্বাবুয়েতে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর তাঁর অবস্থা মূল্যায়ন করে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এরপর এক বিবৃতিতে তারা জানায়, সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ফিলিপসের অন্তত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আর তাই দেশে ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন
রংপুরকে হারিয়ে জিএসএলের ২য় আসরে চ্যাম্পিয়ন গায়ানা ওয়ারিয়র্স |
![]() |
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ফিলিপসের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডে যুক্ত হওয়া টিম রবিনসন দলের সঙ্গেই থাকবেন ত্রিদেশীয় সিরিজের বাকি অংশে। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে ফিলিপসের বিকল্প কে হবেন, তা পরে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ফিলিপস ছাড়াও বেন সিয়ার্স (সাইড ইনজুরি) ও ফিন অ্যালেন (পায়ের চোট) এই দুই সিরিজে থাকছেন দলের বাইরে। তবে কিউইদের জন্য স্বস্তির খবর হলো, দীর্ঘদিনের হাঁটুর চোট কাটিয়ে টেস্ট দলে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার আজাজ প্যাটেল। তিনি সম্প্রতি গায়ানায় চলমান গ্লোবাল সুপার লিগে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড ২১ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
স্পেশালিষ্ট হিসেবেই তার মূল পরিচিতি। তবে শ্রীলঙ্কা সফরে লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরে নাঈম শেখকে ব্যাট করতে হয় চার নম্বরে, যেখানে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা তার নাই বললেই চলে। একেবারে খারাপ না করলেও খুব যে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন, সেটা বলা যায় না। ফলে বাদ পড়েন দল থেকেই। সেই অভিজ্ঞতা পেছনে ফেলে পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে অনুশীলনে নেমেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। জানালেন, দলে ফেরার ছক কষছেন ওপেনার হিসেবে ফেরার লক্ষ্যে নিয়েই।
প্রায় তিন বছর পর সদ্য শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে ফেরেন নাঈম। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করে ডাক পান ওয়ানডে দলেও, তবে মেলেনি সুযোগ। ২০ ওভারের সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে জায়গা হলেও খেলতে হয় চারে নেমে। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেও পারেননি আহামরি কিছু করতে। পুরো ইনিংসেই খেলেন মোটে একশ স্ট্রাইক রেটে।
আরও পড়ুন
রংপুরকে হারিয়ে জিএসএলের ২য় আসরে চ্যাম্পিয়ন গায়ানা ওয়ারিয়র্স |
![]() |
পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে শুক্রবার মিরপুরে একাই অনুশীলন করেন নাঈম। এরপর সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় জানান ভিন্ন পজিশনে খেলার বিভ্রাটের কথা।
“হুট করেই চার নম্বরে নামলে কীভাবে খেলতে হয় বা মিডল অর্ডার ব্যাটাররা কোন চ্যালেঞ্জ বেশি মোকাবিলা করে, ওই জিনিসটা স্বাভাবিকভাবেই আমার জানা নেই। বাইরে থেকে অনেক সময় সহজ মনে হয়। এখন খেলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। পুরোপুরি ভিন্ন একটা পজিশন।”
আর এই ভিন্ন পজিশনে ব্যাটিং যে একেবারেই উপভোগ করতে পারেননি, সেটা নাঈমের ইনিংসেই প্রমাণ মিলেছে। নেমেছিলেন চারে, ইনিংসের শুরুতেই। আর ব্যাট করেন শেষ পর্যন্ত। ২৯ বল খেলে অপরাজিত থাকেন মাত্র ৩২ রানে! বড় শট খেলার সহজাত দক্ষতা থাকলেও সেদিন বেশ আড়ষ্টতা ছিল তার ব্যাটিংয়ে। ওই ম্যাচে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ পরের দুই ম্যাচে জয় পায় নাঈমকে বাইরে রেখেই।
আরও পড়ুন
দেশে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল |
![]() |
শুক্রবারের অনুশীলনে তিন থ্রোয়ার নিয়ে অনুশীলন করা নাঈম অনুশীলন করেছেন ওপেনার ব্যাটার হিসেবেই। কারণটাও জানালেন পরে।
“এখন পর্যন্ত যত দিন খেলেছি, ওপেনার হিসেবেই ব্যাটিং করেছি। তো ওই মানসিকতা নিয়েই (অনুশীলন) করলাম। কিন্তু মাথায় এটাও থাকে যে, এমন তো না যে, সেট হওয়ার পর মাঝের ওভারে খেলিনি।”
প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জেতা টাইগাররা ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই দেশের মাটি স্পর্শ করেছে। আজ(বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় ঢাকায় পৌঁছে লিটন দাসের দল।
তিন ফরম্যাটে এই সফরে ৮টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ ১-০, ওয়ানডে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় টাইগাররা। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরেও টানা দুই জয়ে সিরিজ পকেটে পোরে কোচ ফিল সিমন্স শিষ্যরা। সবমিলে এই সিরিজে শ্রীলঙ্কা জিতেছে চারটি ম্যাচ, আর বাংলাদেশ জেতে তিন ম্যাচ, গল টেস্ট ড্র হয়েছিল। আর তাই সাফল্যের নিরিখে এটা একটা মিশ্র সিরিজই টাইগারদের জন্য। টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাধ্যমে ব্যাডপ্যাচ কাটিয়েছেন লিটন দাস। অফ-ফর্মের কারণে দীর্ঘ সময় ট্রলের শিকার হচ্ছিলেন, সেই চাপ উপেক্ষা করে পারফর্ম করাটা মোটেও সহজ ছিল না, সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন দলের ম্যানেজার নাফীস ইকবাল খান, “কাজটা সহজ ছিল না লিটনের জন্য, কারণ ব্যাড প্যাচটা ছিল দীর্ঘ! আমরা জানি খারাপ খেললে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল হয়, আমরা খুব আবেগী জাতি! ওর ফিরে আসাটা দারুণ হয়েছে, অধিনায়কত্বও করেছে খুব ভাল”।
আরও পড়ুন
রংপুরকে হারিয়ে জিএসএলের ২য় আসরে চ্যাম্পিয়ন গায়ানা ওয়ারিয়র্স |
![]() |
এয়ারপোর্টে সিরিজ জয়ের ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা তানজিদ তামিম ও শেখ মেহেদী সহ বাকি সব খেলোয়াড়কে দেখা গেছে প্রাণবন্ত। দেশে ফিরলেও বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা, কাল থেকেই নেমে পড়তে হবে অনুশীলনে। দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২০ জুলাই থেকে, সবগুলো ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে।
ইতিমধ্যে সালমান আলী আগা’র নেতৃত্বে পাকিস্তান দল ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সদ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা। গত মে মাসে পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা, এবার দেশের মাটিতে বদলা নেয়ার লক্ষ্য লিটন দাসের দলের।
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে