সিলেটে টি-টোয়েন্টি পর্ব শেষ করে এবার বাংলাদেশ দলের ঠিকানা চট্টগ্রাম। সেখানেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ আজ। সিরিজ জয়ের মিশন নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের টস ভাগ্যটা অবশ্য ভালো ছিল না। চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে টস হেরে আগে বোলিং করতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের।
সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শিশিরের কারণে পরে বোলিং করতে সমস্যা হচ্ছিল। সেকারণে তিন ম্যাচেই টসে জিতে আগে বোলিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সিলেটে শেষ ম্যাচ শুরু হয়েছিল দুপুর ৩টায়, ফলে শিশির খুব একটা ভোগায়নি কোনো দলকেই। চট্টগ্রামে অবশ্য শিশির নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। টস জিতে আগে ব্যাট করতে তাই দ্বিধা বোধ করলেন না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের উইকেট দেখে খুশি মুশফিক, পছন্দ হয়েছে লংকান কোচেরও
এই ম্যাচের আগে বড় প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করবেন কোন দুজন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার নাম্বারে খেলা লিটন দাসকেই শেষ পর্যন্ত ওপেনিংয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া তার সাথে সাথে ওপেন করবেন ওই সিরিজে সেঞ্চুরি করা সৌম্য সরকার।
এছাড়া স্পিন বোলিং আক্রমণে এবারো ভরসা করা হচ্ছে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ওপর। আট নাম্বারে নেমে ব্যাট হাতেও কিছু রান করে দিতে পারেন তিনি। এছাড়া পেস আক্রমণ সাজানো হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানকে বাইরে রেখেই। তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের সাথে আছে তানজিম হাসান সাকিব।
বাংলাদেশের মিডল অর্ডার সামলাবেন তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। এছাড়া শেষ দিকে দলের হাল ধরার জন্য আছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।
বাংলাদেশের একাদশঃ নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
শ্রীলঙ্কার একাদশঃ কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), চারিথ আসালাঙ্কা, আভিষ্কা ফার্নান্দো, পাথুম নিসাঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, জানিথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, আকিলা ধনঞ্জয়া, দিলশান মাদুশঙ্কা, লাহিরু কুমারা ও প্রমোদ মাদুশান।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে