২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৮ এম
ইনিংসের শুরুতেই খেই হারানো রংপুর রাইডার্সকে ধুঁকতে হল পুরোটা সময় ধরেই। নুরুল হাসান সোহান ও শামিম হোসেনের ব্যাটে কিছুটা আশার সঞ্চার হলেও বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাঝারি মানের স্কোর পেল দলটি। তামিম ইকবালের আগ্রাসী শুরুর পর মাঝে কিছুটা চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ফরচুন বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় ম্যাচে রংপুরকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তামিম-মুশফিকরা।
আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করেছিল রংপুর। জবাবে ১৯.১ ওভারে রান তাড়া করেছে বরিশাল।
রান তাড়ায় বরিশালের ইনিংসের শুরুতেই আক্রমণের ইঙ্গিত দেন তামিম। আজমতউল্লা ওমারজাইয়ের প্রথম ওভারে তিন বাউন্ডারিতে তুলে নেন ১২ রান। ইব্রাহিম জাদরানও শুরুটা পেয়েছিলেন, তবে ফিরতে হয় ১২ রানেই। সাকিব আল হাসানের ব্যক্তিগত প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এই আফগান ব্যাটার।
তবে তামিম ছিলেন আপন ছন্দে। ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নবিকে ছক্কা মারার পরের বলে আবারও ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন, তবে এবার আর ব্যাতে-বলে হয়নি। তাতে শেষ হয় অভিজ্ঞ এই ওপেনারের ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। ৫টি চারের পাশাপাশি ছক্কা হাঁকান একটি।
পরের ওভারেই ব্রেকথ্রু এনে দেন হাসান মুরাদ। বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে মিড-উইকেটে মোহাম্মদ নবিকে ক্যাচ দিয়ে ১ রানেই শেষ হয় সৌম্য সরকারের ইনিংস। রংপুরের বোলারদের চাপের মুখে ১৪ রানে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ, তবে সালমানের ইরশাদের বলে তা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন মুরাদ। তবে পরের ওভারেই মিরাজকে ফেরান সেই মুরাদই।
২৬ রান করা মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চ ধরে রাখেন সাকিব। তবে বরিশালের দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ ও শোয়েব মালিক দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ২০তম ওভারের প্রথম বলে মাহেদি হাসানকে ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচের ইতি টানেন মাহমুদউল্লাহ। ২ ছক্কায় ১১ বলে ১৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মালিক অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে। ১৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে সাকিবই রংপুরের সফলতম বোলার।
দিনের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর পায় দুঃস্বপ্নময় সূচনা। ইনিংসের প্রথম বলে মোহাম্মাদ ইমরান দারুণ এক ইনসুইং ইয়র্কারে বোল্ড হন ব্র্যান্ডন কিং।
তাকে অনুসরণ করে ১৫ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন রনি তালুকদার ও সাকিব আল হাসানও। লম্বা সময় মাঠে ফেরার ম্যাচে সাকিব করেন ২ রান। আজমতউল্লাহ ওমারজাইও ফেরেন এক ডিজিটে। ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রংপুরের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ লড়াকু স্কোর দাঁড় করানো।
এরপর পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রানের জুটিতে কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দেন নুরুল হাসান সোহান ও শামিম তবে। তবে শোয়েব মালিকের বলে উইকেটের পেছনে সোহানের বিদায়ে আবার মোড়ক লাগে রংপুরের ইনিংসে। খানিক বাদে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৪ রান (৩৩ বলে) করা শামিমও ফেরেন।
এরপর রংপুর ১৩০ রান প্লাস স্কোর পায় মূলত মাহেদির ১৯ বলে ২৯ রানের কার্যকরী এক ইনিংসে। ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। পেসার খালেদ ৪ উইকেট নেন ৩১ রানে।
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এবছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে এই ট্রফি ঘুরবে একাধিক দেশ। যেখানে থাকবে বাংলাদেশও।
এর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একাধিক ট্রফি এসেছে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার বাংলাদেশে। এবারও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আসবে বাংলাদেশে।
১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসবে ঢাকায়। থাকার কথা তিন দিন। ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশে থেকে ঘুরবে ঢাকা আর কক্সবাজার। বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে টি-স্পোর্টসকে।
৮ বছর পর মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে