বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ও কুমিল্লা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ইমরুল কায়েস কুমিল্লার জার্সিতে এবার খেলছেন স্রেফ খেলোয়াড় হিসেবে। তবে সেটা তার পারফরম্যান্সে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ১৪০ ছাড়ানো পুঁজি এনে দিয়েছেন ইমরুল। শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকে শেষের ঝড়ে লাগাম টেনেছেন শরিফুল ইসলাম।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবারের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে কুমিল্লার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৩।
আরও পড়ুন: প্রথম ওভারেই শরিফুলের উইকেট
টসে জিতে ফিল্ডিং নেন ঢাকা অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। চার-ছক্কায় দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিলেন কুমিল্লার নতুন অধিনায়ক লিটন দাস। তবে চতুরাঙ্গা ডি সিলভার বলে পয়েন্টে নাইম শেখকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ইনিংস। এর আগে ১৬ বলে করেন ১৩ রান।
কুমিল্লার ইনিংসের শুরুটা ছিল ধীরগতির। ২৩ রানে থাকতে উসমান কাদিরের বলে বিগ হিট নিতে চেয়েছিলেন ইমরুল, টপ-এজ হয়ে বল তুলে দেন আকাশে। অনেক সময় পেলেও সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মোসাদ্দেক।
জীবন পেয়ে পরের ওভারে আরাফাত সানিকে ছক্কা মেরে হাত খুলেন ইমরুল। অন্যপ্রান্তে হ্রদয় রান তুলছিলেন রানের সাথে পাল্লা দিয়ে। জুটি জমে গেলে রানের গতি আটকে রাখে ঢাকার বোলাররা।
আরও পড়ুন: টসে জিতে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ঢাকা
দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল ও তাওহীদ গড়েন ৮৭ বলে ১০৭ রানের জুটি। ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেটে দুজনকেই ফেরান তাসকিন আহমেদ। অফস্ট্যাম্পের বাইরে বল শাফল করতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তাওহীদের ৪৭ রানের ইনিংস। বল খেলেন ৪১টি, ছক্কা ২টি, চার ১টি। তিন বল পর বড় শট খেলতে গিয়ে ৫৬ বলে ৬৬ রানে থামেন ইমরুল। চার ও ছক্কা মারেন সমান দুটি করে।
আরও পড়ুন: এবার বিপিএলের শুরু থেকেই থাকছে ডিআরএস
৫ বলের ১৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন খুশদিল শাহ। তবে কুমিল্লাকে ১৫০ রানের কমে বেঁধে রাখতে বড় অবদান শরিফুলের। ইনিংসের শেষ তিন বলে তার শিকার খুশদিল, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৪ ওভারে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে