২২ বছর বয়স সবে। কৈশোর ছুটিতে পাঠিয়েছেন এইতো সেদিন। বগুড়ার তাওহীদ হৃদয় এখন বাংলাদেশের হৃদয়। একটু বাড়িয়ে বলা হলো কী? সম্ভবত না। বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করা মানে তো বাংলাদেশের হয়ে যাওয়াই। সেটাও আবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে, ভারতে। ২২ বছরের হৃদয়ের কাঁধেও পড়ে গেছে বিশাল দায়িত্ব। তবে ইচ্ছেশক্তি দিয়েই হৃদয় জিততে চান সেই চাপ।
১৫ ওয়ানডে ইনিংস আর ছয় মাসের বাংলাদেশের জার্সির বয়স। দূর থেকে যখনই অনুশীলনে দেখা মেলে, কিট ব্যাগের বাংলাদেশের লোগোটাও যেনো নতুন, জানায় নতুনত্বের কথা। তবে হৃদয় অন্তত নতুন থেকে 'জুনিয়র' ট্যাগ নিয়ে পড়ে থাকতে চাইছেন কী?
১৫ ওয়ানডে ইনিংসে ৩৭.০০ গড় আর ৮৬.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৫১৮ রান বলে ভিন্ন কথা। ১৫ ইনিংসের পাঁচটায় আবার পেয়েছেন অর্ধশতক। সবে শুরু!
ভারতে দল দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শূন্য আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ রানের ইনিংস। তবে দলের আস্থা ঠিকই আছে হৃদয়ে।
সাকিব আল হাসান, দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। হৃদয় নিয়ে প্রশংসা করে যান। বগুড়ার হৃদয় নিয়ে প্রশংসার স্তুতি শোনা যায় প্রায়শই নানান বিদেশির মুখেও।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই হৃদয় টি স্পোর্টসকে জানিয়ে রেখেছিলেন নিজ লড়াইয়ের কথা, 'আসলে দেখুন, বিশ্বকাপ হোক বা যে ম্যাচই হোক আমি বড় চিন্তা করি না। আমি আসলে দিনের মধ্যে থাকতে পছন্দ করি, যেমন আজকের দিনটা। সামনে যে দিনগুলো আসবে ঐ দিনগুলো যে চ্যালেঞ্জ ডিমান্ড করবে সে অনুযায়ী চেষ্টা করব। ঐ দিনটা একেবারে ভালো করে কাজে লাগানোর।'
এমনকি সব দিন না পারলেও হৃদয় যেদিন শুরু পাবেন সে দিন যেনো তারই হয়, বলে রেখেছিলেন সেসব। এই ব্যাটার টি স্পোর্টসকে জানিয়েছিলেন, 'আন্তর্জাতিক ম্যাচে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই ফলাফল চায়, পারফর্ম করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এখানে সব ম্যাচেই পারফর্ম করা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সবাই চায় পারফর্ম করতে। আমি সব ম্যাচেই অবদান রাখতে চাই। কিন্তু সব ম্যাচ তো পারব না, আমি চাই যেদিন খেলব সেদিন আমি যেনো বড় রান করতে পারি।'
হৃদয়ের এ এক অন্যরকম শুরুও। বিশ্বকাপের শুরু। যুব বিশ্বকাপটা জিতেছেন, রাঙিয়েছেন। বড়দের বিশ্বকাপেও তেমন কিছু? রাঙাবেন? প্রচণ্ড ইচ্ছেশক্তিতে কিনা হয়। তাওহীদ হৃদয় বোধহয় তা জানেন।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে