ম্যাচের যে প্রেক্ষাপট, তাতে তৃতীয় দিন শেষ একটা প্রশ্নই অবধারিত - বাংলাদেশের পক্ষে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব? সংবাদ সম্মেলনে এসে ঘুরেফিরে সেই প্রশ কয়েকবারই শুনতে হল স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদকে। সাবেক পাকিস্তান লেগ স্পিনার তাতে শুনিয়েছেন ইতিবাচক কথাই। নিজের ও দলের মাঝে বিশ্বাসের মন্ত্র ছড়িয়ে তিনি বারবার অনুপ্রেরণা হিসেবে সামনে নিয়ে আসলেন পাকিস্তান সফরের কথা, যেখানে খাঁদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জেতার কীর্তি গড়েছিল বাংলাদেশ।
মিরপুর টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ৮১ রানের। হাতে আছে আর মাত্র তিনটি উইকেট। প্রথম দিনের তুলনায় উইকেট ক্রমেই যেভাবে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হয়েছে, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপদে ফেলতে হলে বাংলাদেশকে একটা চ্যালেঞ্জ জানানোর মত লিড নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই স্বাগতিকদের। এই মিরাজই গত মাসে পাকিস্তান সফরে একটি টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর নেমে ৭৭ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। সাথে ছিল লিটন দাসের সেঞ্চুরি। সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিতে যায় বাংলাদেশ।
মিরপুরেও তেমন কিছুর আশাই দেখছেন মুশতাক। সংবাদ সম্মেলনে পুরোটা জুড়েই তার কণ্ঠে ছিল ইতিবাকতার সুর। “আমরা ভালো অবস্থানে আছি। দেখুন, আপনাকে এভাবেই সবসময় বিশ্বাসটা রাখতে হবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিলাম, এরপর সেখান থেকে ফিরে এসেছিলাম। আপনি যখন বিশ্বাস করতে শুরু করবেন যে আপনি লড়াই করতে পারবেন, ম্যাচ জিততে পারবেন, তখন পরিস্থিতি যেমনই হোক, ভালো কিছু হবেই। তাই আপনি যখন এমন একটা লড়াই দেখতে পারবেন, এটা সবসময়ই দারুণ কিছু।”
প্রথম ইনিংসে ২০২ রানে পিছিয়ে থাকার কারণেই দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ (৮৭ রান) বীরত্বের পরও এখনও ব্যাকফুটেই বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ২৮৩ রানের স্কোরকে তাই টেনে নিতে আরও অনেক দূর। মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ তাড়ার রেকর্ড ভারতের, ১৪৫ রান ছিল টার্গেট। অন্তত তেমন একটা লিড নিতে হলেও বাংলাদেশকে খেলতে হবে দারুণ ক্রিকেট।
সেটা কী সম্ভব? বা কত রানের লিড হলে বাংলাদেশ সেটা আদর্শ মনে করবে? মুশতাক এখানেও ধরে রাখলেন জয়ের বিশ্বাস। “এই মুহূর্তে আমরা যতোটা সম্ভব ততোটা রান করতে চাই। যতোটা সম্ভব আমাদের ব্যাট করতে হবে, রান করতে হবে। লিড যত হবে, তত ভালো। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, বিশ্বাস ছাড়া যাবে না। আপনার যখন বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে যেকোনো সময়ে আপনি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন।”
এই অবস্থা থেকেও বাংলাদেশের জেতা সম্ভব? এই প্রশ্নেও মুশতাক টেনে আনলেন পাকিস্তান টেস্টের স্মৃতি। “কেন নয়? আমি তো একটু আগেই এই উদাহারণটাই টেনে আনলাম। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আমরা ম্যাচটা জিতলাম। বিশ্বাসটা তাই ধরে রাখা লাগবে। শুরুটা করতে হবে আমাদের থেকে, কোচদের মধ্যে। এরপর সেটা ছড়িয়ে যায় খেলোয়াড়দের মধ্যে।”
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে