১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:২৬ এম
মাসখানেক আগেও বাংলাদেশের ভারত সফর, বিশেষ করে টেস্ট সিরিজ নিয়ে আশাবাদী মানুষের সংখ্যা খুব কমই ছিল। তবে পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে বদলে গেছে চিত্রপট। খেলোয়াড় থেকে সমর্থক, সবার মাঝেই বিশ্বাস জেগেছে এবার ভারতের মাটিতে গিয়ে তাদেরও হারানোর। নিজেদের মাঠে ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী দল হলেও তাই বাংলাদেশের কাছ থেকে কঠিন পরীক্ষা আশা করছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার তাই সতর্ক করে দিয়েছেন রোহিত-কোহলিদের।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে টেস্ট সিরিজের ঠিক আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দল দেখিয়েছে তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা একটি পারফরম্যান্স। যে দলটিকে আগে এই ফরম্যাটে হারাতেই পারেনি বাংলাদেশ, তাদেরই করেছে ধবলধোলাই। ঘরের মাটিতে প্রায় অজেয় ভারতের বিপক্ষে সিরিজেও তাই এবার বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনাই দেখা হচ্ছে।
আর এই কারণেই ভারতের দ্য মিড-ডে পত্রিকায় এক কলামে গাভাস্কার বাংলাদেশ দলকে নিয়ে ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। “তাদের দলে কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে এবং এমন কিছু নতুন প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় রয়েছে, যাদের আর বিপক্ষ দল নিয়ে ভয়ডর নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের শুরুর দিনগুলোতে যা কিনা তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল। আর তাই যে দলই তাদের বিপক্ষে খেলবে, তারা জানে যে দলটিকে তারা হালকাভাবে নিতে পারবে না। আর সেটা করলে তারা উড়ে যেতে পারে, যেমনটা পাকিস্তানিরা টের পেয়েছে। আর তাই এটা এমন একটা সিরিজ, যেখানে আপনার চোখ রাখতেই হবে।”
ভারতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৩টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে হেরেছে ১১টিতে, আর ড্র অন্য দুটিতে। তবে ২০২২ সালে বাংলাদেশে হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিল সাকিব-মুশফিকরা। প্রথম ম্যাচে ১৮৮ রানে হারলেও দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছিল মাত্র ৩ উইকেটে।
সেই সিরিজ আর বর্তমান ফর্ম মিলিয়ে বাংলাদেশকে দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাড়তি সম্মান দেওয়ার পক্ষে মত গাভাস্কারের। “পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা দুটি টেস্টেই পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ দল দেখিয়ে দিয়েছে যে, তারা এখন সমীহ জাগানিয়া একটি শক্তি। এমনকি বছর দুয়েক আগে ভারত যখন বাংলাদেশ সফর করেছিল, তখন বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষে ভালো লড়াই করেছিল।”
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে