৩০ অক্টোবর ২০২৪, ৮:২৭ পিএম
চলমান দ্বিতীয় টেস্টে আচমকাই লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যাওয়া মাহিদুল ইসলামের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চটা এখনও ঘোর লাগানিয়া। প্রতিটি বলে আবিষ্কার করছেন ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য। তবে বেশ আগে অভিষেক হওয়া টপ অর্ডারের কয়েকজন ব্যাটার এখনও পায়ের তলা মাটি খুঁজে পেতে হিমসিম খাচ্ছেন। সাদমান-জয়-জাকিররা ঘরোয়ার পাশাপাশি জাতীয় দলেও ভালোই ম্যাচ খেলেছেন। তবে পারছেন না আস্থার প্রতিদান দিতে। স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ তরুণদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন পাশে। তার দাবি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের হিসেবে এই ক্রিকেটাররা বিচারে এই তিনজন নতুনই এখনও।
সাদমান ইসলাম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৮৬টি ম্যাচ খেলেছেন ৮৬টি, রান ৫ হাজারের বেশি। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় যথাক্রমে খেলেছেন ৩৫ ও ১৪টি করে প্রথম শ্রেণির ও টেস্ট ম্যাচ। এই টেস্টে তিনে নামা জাকির হাসানের অভিজ্ঞতা আরও বেশি ঘরোয়াতে। খেলেছেন ১১৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, আর টেস্ট ১৪টি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষবেলায় তিনজনই আউট হয়েছেন এক ডিজিটে। বেশ সুযোগ পেলেও তারা কেউই থিতু হতে পারছেন না দলে।
আরও পড়ুন
সাকিবকে বিদায়ী টেস্ট খেলাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি বিসিবি, বললেন ফারুক |
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশতাক শুরুতে এই ব্যাটারদের তরুণ বলে সময় দিতে বলেছিলেন। এরপর তাদের অভিজ্ঞতার দিকটি তুলে পাল্টা প্রশ্ন করা হলে সাবেক পাকিস্তান স্পিনার এর ব্যাখ্যা দেন। “আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যাপারে কথা বলেছি, ঘরোয়া ক্রিকেট নয়। আপনি ২০-৩০ বা ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতেই পারেন, তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের টেম্পারমেন্ট একেবারেই ভিন্ন ব্যাপার। এমন অনেক উদাহারণ পাবেন যে খেলোয়াড়রা ঘরোয়া তে অনেক অনেক ম্যাচ খেলে আসলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে এসে সেই টেম্পারমেন্ট দেখাতে পারছে না। আমি এই দলের নতুন, তবে আমি তাদের ওপর বিশ্বাস রাখি। আমাদের আস্থা আছে তাদের ওপর। তারা যদি পথ না হারায় আর প্রক্রিয়া ঠিক রাখে, তাহলে আমি মনে করি বাংলাদেশের সামনে খুব ভালো একটা সময় অপেক্ষা করছে।”
এই তিনজন তো বটেই, ভারত সফর থেকে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কেউই নেই সেভাবে ফর্মে। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ইনিংস আসলেও প্রথম ছয় ব্যাটাররা পারছেন না সেভাবে অবদান রাখতে। উত্তরণের উপায় কী? মুশতাক শোনালেন বিশ্বাস রাখার বাণী। “ক্রিকেট খুব পুরনো এবং মজার একটা খেলা। আপনাকে বেসিকটা ঠিক রাখতেই হবে। টেস্ট হোক বা ওয়ানডে, আপনি যদি বেসিক ঠিক রাখেন আর পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলেন, তাহলে যেমনটা একজন বলেছেন যে বিশ্বাসটা রাখুন। আপনাকে বিশ্বাস ধরে রাখতেই হবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রায় দুই দিন ব্যাটিং করে দাঁড় করিয়েছেন ৬ উইকেটে ৫৭৫ রানের বিশাল স্কোর। অথচ একই উইকেটে মাত্র ৯ উইকেট ব্যাট করেই ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে মাত্র ৩৮ রান। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে খাবি খেয়েছেন ব্যাটাররা। এর মধ্যে বাজে শট খেলেছেন সাদমান।
আরও পড়ুন
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ২ ধাপ উন্নতি মিরাজের |
এর পেছনে কী ক্লান্তি দায়ী? মুশতাক তা মানতে অবশ্য নারাজ। “এটা ক্লান্তিকর, তবে পেশাদার দলগুলো এভাবে ভাবে না। পেশাদার দলকে মাঠে ফিরে আসতে হবে এবং যতোটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারানো খুব বড় সমস্যা নয়। কোচ হিসেবে আমি ওভাবে চিন্তা করি না। পরিস্থিতি যাই হোক, আপনাকে লড়াই করতেই হবে আর বিশ্বাস রাখতে হবে।”
ব্যাটারদের এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ দলের এমন ধারাবাহিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণটাই বা কী? এই প্রশ্নে যেন দার্শনিক হয়ে গেলেন মুশতাক। আপনি কি একদিনে একটি গাছ বড় করে ফেলতে পারবেন? পানি দিতে থাকুন, বাগানের পরিচর্যাকারীর ওপর বিশ্বাস রাখুন। কখনো কখনো কোচ হিসেবে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। আপনি একদিনে গাছ বড় করতে পারবেন না। গাছটি কিছুদিন আগে আপনাকে দেখিয়ে দেবে যে সে ছায়া আর ফল দিতে পারবে। আমি এটা বিশ্বাস করি।”
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে