বরাবরের মত দলবদলের শেষ দিনে ক্লাবগুলো দেখিয়েছে চমক। ঝুলে থাকা অনেক ফুটবলারই শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছে নিজেদের নতুন ঠিকানা। আবার অনেকেই দল ছাড়ার আশায় থাকলেও শেষ সময়ে চুক্তি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় যেতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত ক্লাবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক শীর্ষ কিছু ‘ডেডলাইন ডে’ ট্রান্সফার।
লাল থেকে নীল হলেন সানচো
গেল কয়েক দিন ধরেই সানচোকে দলে টানতে চাইছিল চেলসি। কয়েকবার প্রস্তাব পাঠালেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সেটিকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি। একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌছেছে। যদিও সেটি ধারের চুক্তি। এক মৌসুমের জন্য রেড ডেভিলদের ডেরা ছেড়ে ব্লুদের ডেরায় খুঁটি গেয়েছেন ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড। সেই সাথে চুক্তিতে তাকে কিনে নেওয়ার সুযোগও থাকছে চেলসির সামনে।
আরও পড়ুন: আর্সেনালে নিজের সেরা রুপ দেখানোর হুংকার স্টার্লিংয়ের
আর্সেনালে সামাধান মিলেছে স্টার্লিংয়ের
চেলসির নতুন কোচ এনজো মারেস্কা সুনজরে ছিলেন না রাহিম স্টার্লিং। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে মনমালিন্যও চলছিল বেশ। মারেস্কা তো দিন দুয়েক আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেই দিয়েছিলেন স্টার্লিং দল না ছাড়লে মিনিট পাবে না। তাতে শেষ মূহর্তে ইংলিশ ফরোয়ার্ড বিপাকেই পড়েছিলেন।
য়্যুভেন্তাস, ইউনাইটেডের নাম শোনা গেলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। শেষ মূহর্ত অনেকটা অচমকাই আর্সেনালের নাম সামনে আসে। শেষ পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গানাররা তার সাথে চুক্তিও সেরে ফেলে। এক বছরের জন্য ধারে আর্সেনালে পা রেখেছেন ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড।
মরুর বুকে টনি
ইভান টনির সাথে সৌদি ক্লাব আল আহলির নাম বেশ কয়েক দিন থেকেই শোনা যাচ্ছে। দলবদলের শেষ দিন নিশ্চিত হয়েছে ২৮ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের মরুর বুকে পাড়ি জমানোর খবর। ৪০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ব্রেন্টফোর্ড বিক্রি করেছে তাদের গোল মিশিনকে।
দলবদলের অর্থের খবর জানা গেলেও টনি বছরে কত বেতন পাবেন তা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে মোটা অংকের বেতনই পেতে যাচ্ছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার।
নাপলিতেই আটকা পড়লেন ওসিমেন
চেলসিতে যেতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন ভিক্টর ওসিমেন। শেষ মুহূর্তে চেলসিও চেষ্টা চালিয়েছিল তাকে ধারে দলে টানার। তবে নাপোলি ধারে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারকে ছাড়বে না বলেই জানায়। তাতে চেলসিও সরে আসে।
আরও পড়ুন: বার্সার দারুণ শুরুর পরও শতভাগ সন্তুষ্ট নন ফ্লিক
সৌদি ক্লাব আল আহলিও ওসিমেনকে কেনার দৌড়ে এগিয়ে ছিল বেশ। নাপোলির সাঠে ট্রান্সফার ফি নিয়ে সম্মতিতেও চলে গিয়েছিল তারা। তবে শেষ দিনে তারা ইংলিশ স্ট্রাইকার টনিকে স্কোয়াডে যোগ করছে তারা। তাতে নাপোলিতেই থেকে যেতে হচ্ছে ওসিমেনকে।
অবশ্য এখনো তার সৌদি যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী সেপ্টেম্বরে ৮ তারিখ পর্যন্ত সৌদ আরবের দলবদলের বাজার খোলা আছে। তাতে নতুন কোন প্রস্তাব আসলে নাপোলি সেটিকে লুফে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা সবশেষ ম্যাচে জিতেছিলো ৬-০ গোলে। সেই ম্যাচে একসাথে লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেজ আর হুলিয়ান আলভারেজ শুরু করেছিলেন। মেসি করেছিলেন হ্যাটট্রিক আর লাউতারো ও আলভারেজও পেয়েছিলেন গোল। আর্জেন্টিনার সামনে এবার প্যারাগুয়ে, ফরোয়ার্ড লাইনে এই তিনজনকে একসাথে রেখেই কী শুরুর একাদশ নামাবেন লিওনেল স্ক্যালোনি?
আর্জেন্টিনার কোচ ইঙ্গিত দিয়েছেন তেমনই,
“প্রায় একই দল নিয়েই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবো। এমন এক দলের বিপক্ষে খেলা যারা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে।”
তবে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা দলের কোচের ভাবনাতে আছে আরেক বিকল্প। তিন ফরোয়ার্ড না খেলিয়ে ৪ মিডফিল্ডারকে নিয়েও দল সাজাতে পারেন স্ক্যালোনি। সেক্ষেত্রে লাউতারো মার্তিনেজের জায়গায় একাদশে আসতে পারেন লো সেলসো।
শুরুর একাদশের বাকি ১০ পজিশন নিয়ে তেমন ধোঁয়াশা নেই। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গোলকিপার হিসেবে ফিরছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। লিসান্দ্রো মার্তিনেজের ইনজুরিতে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর সেন্টার ব্যাক সঙ্গী নিকোলাস ওতামেন্দি। ন্যাহুয়েল মলিনার সাথে নিকোলাস ত্যালিয়াফিকো সামলাবেন দুই ফুল ব্যাকের দায়িত্ব। তিন মিডফিল্ডার হিসেবে রদ্রিগো দি পল, এনজো ফার্নান্দেজ আর ম্যাক অ্যালিস্টার থাকছেন। সামনে লিওনেল মেসির সাথে হুলিয়ান আলভারেজ।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
মালদ্বীপের বিপক্ষে আক্রমণের ঝড় তুলেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। দুই উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমণ করেও বল পৌঁছাতে পারেনি রাকিব-ফাহিমরা। স্বভাবতই মন খারাপের একটা রাত পার করতে হয়েছে তাদের! এমন প্রেক্ষাপটে দলকে অনুপ্রাণিত করতে, একটু উদ্বুদ্ধ করতে- সাত সকালে টিম হোটেলে হাজির হন নতুন সভাপতি তাবিথ আওয়াল।
স্বাভাবিক কারণে নতুন সভাপতি তাবিথ আওয়ালেরও মন খারাপ হওয়ার কথা। কারণ তিনি সভাপতি হওয়ার পর এটাই ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ। আর সেখানেই বছরব্যাপী ফিফার নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশ মালদ্বীপকে বাগে পেয়েও হারাতে তো পারেইনি দল, বরং হেরে গেছে।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সবার সঙ্গে নাস্তার টেবিলে বৈঠক করেছেন সাবেক এই ফুটবলার। পরের ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করেছেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। ম্যানেজার আমের খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন 'গত ম্যাচে যা হওয়ার হয়েছে। সামনের ম্যাচে জয়ের জন্য যথাসম্ভব ভুল এড়ানো এবং সেরা খেলা উপহার দেয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সভাপতি'।
শনিবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। তার আগে তাবিথ আওয়ালের এই অনুপ্রেরণা প্রথম ম্যাচের স্মৃতি ভুলতে সহায়তা করবে কাবরেরার দলকে।তাবিথ আউয়াল শুধু বাংলাদেশ দল নয়, সফরকারী মালদ্বীপ দলের সঙ্গেও দেখা করেছেন নাস্তার টেবিলে। এতে খুশি হয়েছে মালদ্বীপ দলের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফ।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজেই জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন ফুটবলারদের সাথে। এসময় তাঁর সাথে বাফুফে’র শীর্ষস্থানীয় কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। আগেরদিন মাঠে বসে দলের খেলা দেখে হতাশ হয়েছেন, পরদিন সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলে ফেডারেশন সভাপতি হিসেবে দলকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে