খেলোয়াড় হিসেবে রাহিম স্টার্লিং এখনও আছেন শীর্ষ পর্যায়েই। ফলে চেলসি তাকে যেভাবে বাতিলের খাতায় ফেলে ক্লাব ছাড়তে বাধ্য করেছে, তা কিছুটা বিস্ময়করই বটে। গ্রীষ্মের দলবদলের শেষ দিন আর্সেনালে যোগ দিয়ে ইংলিশ ফরোয়ার্ড তাই যেন একটা বার্তাই দিলেন পুরনো ক্লাবকে। এখন থেকে নিজের সেরাটা দেখা যাবে বলেই বিশ্বাস স্টার্লিংয়ের।
আরও পড়ুন: ইউরোপা লিগে মুখোমুখি ইউনাইটেড-মরিনিয়ো
শুক্রবার ডেডলাইন ডে-তে স্টার্লিং এক বছরের জন্য ধারের চুক্তিতে দলে টেনেছে আর্সেনাল। চেলসিতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই ইংলিশ তারকাকে সম্প্রতি দলটির কোচ এনজো মারেসকা বলেছেন, ক্লাবে থাকলে এক মিনিটও পাবেন না ২৯ বছর বয়সী স্টার্লিং। ফলে ঠিকানা বদল করা ছাড়া আর উপায় ছিল না তার।
আর্সেনালে নাম লিখিয়ে তাই নিজেকে প্রমাণের বাড়তি তাগিদ ফুটে উঠল স্টার্লিংয়ের কন্ঠে। “আর্সেনালে যোগ দেওয়াটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এটাই আমার জন্য সেরা জায়গা। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে এই ছেলেরা যেভাবে জেতার ক্ষুধা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমি আবার বলতে চাই, একতা আছে এমন একটা দলেরই আমি অংশ হতে চাই। এখন থেকে আপনারা আমার সেরাটা দেখতে যাচ্ছেন।”
আর্সেনালে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে আরও একটি শীর্ষ ইংলিশ ক্লাবে খেলতে যাচ্ছেন স্টার্লিং। প্রথমে লিভারপুলে খেলার পর ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লিখিয়ে সেখানে পার করেন সফল একটি সময়। এরপর ঠিকানা হয় চেলসিতে। গত দুই মৌসুমে দল খারাপ করলেও তিনি ভালোই খেলেছেন। তবে মারেসকা কোচ হয়ে আসার পর থেকেই স্টার্লিংকে পরিকল্পনা থেকে বাদ দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে ৩৭৯টি ম্যাচ খেলে ১২৩টি গোল করা স্টার্লিং গোল করিয়েছেন ৬৩ বার। লিগ শিরোপা জিতেছেন চার বার।
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২:২৬ পিএম
বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুথ্যানে ঝড়ে গেছে কিছু তাজা প্রাণ। একটু নতুন দেশের চাওয়ায় জীবন দেয়া এই শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থী। শহীদদের স্মরণে বসুন্ধরা এবিজি স্পোর্টস ফিল্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্টুডেন্ট আপরাইজিং মেমোরিয়াল কাপ। যার মূল উদ্দেশ্য জুলাইয়ের শহীদদের খেলাধুলার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো। এই মহৎ উদ্দেশ্যে সবাইকে এক করতে পেরে আনন্দিত এই টুর্নামেন্টের আয়োজকরা।
গণ-অভ্যুথ্যানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের অনেকেই স্টুডেন্ট আপরাইজিং মেমোরিয়াল কাপে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা কেউ তাদের বন্ধু, কারও ভাই, কারও আবার খেলার সাথী। আর তাই সেই মহান শহীদদের স্মরণে ওদের আরেকবার একসাথে হওয়া। ফুটবল মাঠেই তারা স্বরণ করলো হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য প্রাণকে।
এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে মোট ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যেও কাজ করছে এক বাড়তি অনুপ্রেরণা। কারণ, এই আয়োজনটি তো তাদেরই বন্ধুদের জন্য। যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম করে দেখিয়েছে, তাদের এক হওয়ার শক্তি ঠিক কতখানি। তাইতো নিজেদের এই ঐক্য ধরতে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই আয়োজন গুলো। দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে সুনাম কুড়াবেন বাংলাদেশের তরুণরা, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজক, পৃষ্ঠপোষক থেকে শুরু করে সকলের।
চোট বা নানা রোগের কারণে ফুটবলারদের অনেকেরই ক্যারিয়ারই আগেভাগে শেষ হওয়ার অজস্র নজির রয়েছে। তবে শীর্ষ পর্যায়ে পা রাখার আগেই যদি একজন তরুণ ফুটবলারের ক্যারিয়ার যদি থেমে যায়, তাহলে সেটা ভীষণ হতাশাজনকই বটে। চোটে জর্জরিত হয়ে রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমি খেলোয়াড় ১৯ বছর বয়সী মার্ক কুকালনকে নিতে হয়েছে সেই কঠিন সিদ্ধান্ত।
স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার ২০১৬ সালে যোগ দেন রিয়ালের একাডেমিতে। এরপর থেকে আছেন এখানেই। তবে দীর্ঘ এই পথচলায় একের পর এক চোটে তাকে বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছে মাঠের বাইরেই। তবে ২০২২ সালে গুরুতর এক চোটই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল প্রতিভাবান এই ফুটবলারের জন্য। ওই চোটের পর অনেক চেষ্টা করলেও আর বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি ক্যারিয়ার। রিয়ালের সিনিয়র দলে খেলার স্বপ্নকে বলি দিয়ে বাধ্য হয়েছে অবসর নেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে।
আরও পড়ুন
‘এটা রিয়াল মাদ্রিদ, ৩ ম্যাচ গোল না করলেই লোকেরা সব ভুলে যাবে’ |
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিশাল বিবৃতিতে রিয়ালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কুকালন।
“আমি বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে এই চিঠিটা শুরু করব। তাই আমি সবাইকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানিয়েই শুরু করলাম। আমি রিয়াল মাদ্রিদ একাডেমিতে ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে একটি ছোট ব্যাকপ্যাকে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম এবং আমি খুব খুশি ছিলাম। “আমার মনে হয় আমি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের সেরা ক্লাবের অংশ হতে পেরেছি এবং স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আমি একজন ব্যক্তি এবং একজন খেলোয়াড় হিসাবে শিখেছি এবং পরিণত হয়েছি। আমি জীবনের বাকি অংশে এই মূল্যবোধগুলি বহন করব, যা আমাকে নানা ভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। ফুটবল আমাকে প্রতিটি জয়ে এবং প্রতিটি পরাজয়ে শিখিয়েছে যে, আপনাকে সবসময় বাধা অতিক্রম করতে হবে এবং লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সেই শিক্ষাগুলো চিরকাল আমার জীবনের অংশ হয়ে থাকবে।”
গত কয়েক বছর ধরেই রিয়ালের একাডেমি থেকে উঠে আসছেন বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কেউই জায়গা করে নিয়েছেন সিনিয়র দলে, আবার কেউ পাড়ি জমিয়েছেন ইউরোপের অন্য কোনো ক্লাবে। চোটের আঘাত না এলে এই দুটি পথের একটির যাত্রী হতে পারতেন কুকালন।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপেক্ষায় থাকে রিয়াল মাদ্রিদ: আনচেলত্তি |
তবে বিদায়বেলায় এটা নিয়ে আক্ষেপ করতে চাননি তিনি।
“আমাকে ভুল বুঝবেন না, এটা মোটেও দুঃখজনক বিদায় নয। সত্যিটা এই যে, আমার জীবন ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একেবারে বদলে যায়, যখন আমি যুব লীগের খেলায় গুরুতর আহত হয়েছিলাম। বিগত এই দুই বছর ধরে আমি আমার সব শক্তি দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে সংগ্রাম করেছি এবং আমি আমার সামর্থ্যের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি এই খেলাটিকে আবার উপভোগ করার। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। আমার বাবা-মাকে ধন্যবাদ, যারা সবসময় আমাকে প্রতিটি সিদ্ধান্তে এবং পথের প্রতিটি পাথরে সমর্থন করেছেন। আমার বন্ধুদেরও ধন্যবাদ, যারা নিঃশর্তভাবে আমাকে সমর্থন যুগিয়ে গেছে।”
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে