বার্সেলোনায় ডাগআউটে শুরুটা দুর্দান্তই হয়েছে হান্সি ফ্লিকের। টানা তিন ম্যাচ জিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে দলটি। তবে এমন শুরুর পরও শতভাগ সন্তুষ্ট নন এই জার্মান কোচ। উন্নতির আরও অনেক জায়গা আছে বলেই মনে করছেন ফ্লিক।
তিন ম্যাচেই বার্সেলোনা প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দময়ী খেলা উপহার দিয়েছে। যা নিয়ে মূলত কিছুটা হতাশ ফ্লিক। শতভাগ জয়ের রেকর্ডের মধ্যেও তাই বিষয়টি ভাবাচ্ছে তাকে। আগামী শনিবার রাতে ঘরের মাঠে ভায়াদোলিদের সাথে খেলতে নামবে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: ভুটানকে হারিয়ে র্যাংকিংয়ে উন্নতির দিকে নজর কাবরেরা-সোহেলদের
এই ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ ধরে রাখার দিকে চোখ ফ্লিকের। “অবশ্যই আমাদের অনেক কিছু উন্নতির জায়গা আছে। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রস্তুত থাকতে। শুরুর মিনিট থেকেই সবাইকে আত্মবিশ্বাসি থাকতে হবে, এটাই আমি ফুটবলারদের কাছে চাই। এটা খুবই ছোটো বিষয় মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের পরিকল্পনার মূল সারাংশ এটাই। এই দলের মান অনেক ওপরে।”
নিবন্ধন জটিলতা কাটিয়ে শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন দানি ওলমো। পেয়েছেন গোলের দেখাও। অন্যদিকে কিলিয়ান এমবাপের মত বড় বড় তারকা দলে যুক্ত করেও রিয়াল মাদ্রিদকে ভুগতে হচ্ছে বেশ। এরই মধ্যে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট হারাতে হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। শিরোপার আরেক দাবিদার আতলেটিকো মাদ্রিদের অবস্থাও একই। দলবদলে সবাইকে চমকে দেওয়া মাদ্রিদ ক্লাবটিও তিন ম্যাচের দুটিতেই করেছে ড্র। যা বার্সেলোনাকে মৌসুমের শুরুতেই এগিয়ে দিয়েছে বেশ।
যদিও ফ্লিকের প্রতিপক্ষ নিয়ে নেই কোনো মাথা ব্যাথা। “লম্বা মৌসম হতে যাচ্ছে, প্রতিপক্ষ নিয়ে আমার ভাবার সময় নেই। আমার নজর বার্সার দিকে। প্রথম তিন ম্যাচে আমরা ভালো করেছি, আশা করছি আগামীকালও আমরাই জয়ী হবো।”
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২:২৬ পিএম
বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুথ্যানে ঝড়ে গেছে কিছু তাজা প্রাণ। একটু নতুন দেশের চাওয়ায় জীবন দেয়া এই শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থী। শহীদদের স্মরণে বসুন্ধরা এবিজি স্পোর্টস ফিল্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্টুডেন্ট আপরাইজিং মেমোরিয়াল কাপ। যার মূল উদ্দেশ্য জুলাইয়ের শহীদদের খেলাধুলার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো। এই মহৎ উদ্দেশ্যে সবাইকে এক করতে পেরে আনন্দিত এই টুর্নামেন্টের আয়োজকরা।
গণ-অভ্যুথ্যানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের অনেকেই স্টুডেন্ট আপরাইজিং মেমোরিয়াল কাপে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা কেউ তাদের বন্ধু, কারও ভাই, কারও আবার খেলার সাথী। আর তাই সেই মহান শহীদদের স্মরণে ওদের আরেকবার একসাথে হওয়া। ফুটবল মাঠেই তারা স্বরণ করলো হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য প্রাণকে।
এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে মোট ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যেও কাজ করছে এক বাড়তি অনুপ্রেরণা। কারণ, এই আয়োজনটি তো তাদেরই বন্ধুদের জন্য। যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম করে দেখিয়েছে, তাদের এক হওয়ার শক্তি ঠিক কতখানি। তাইতো নিজেদের এই ঐক্য ধরতে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই আয়োজন গুলো। দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে সুনাম কুড়াবেন বাংলাদেশের তরুণরা, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজক, পৃষ্ঠপোষক থেকে শুরু করে সকলের।
চোট বা নানা রোগের কারণে ফুটবলারদের অনেকেরই ক্যারিয়ারই আগেভাগে শেষ হওয়ার অজস্র নজির রয়েছে। তবে শীর্ষ পর্যায়ে পা রাখার আগেই যদি একজন তরুণ ফুটবলারের ক্যারিয়ার যদি থেমে যায়, তাহলে সেটা ভীষণ হতাশাজনকই বটে। চোটে জর্জরিত হয়ে রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমি খেলোয়াড় ১৯ বছর বয়সী মার্ক কুকালনকে নিতে হয়েছে সেই কঠিন সিদ্ধান্ত।
স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার ২০১৬ সালে যোগ দেন রিয়ালের একাডেমিতে। এরপর থেকে আছেন এখানেই। তবে দীর্ঘ এই পথচলায় একের পর এক চোটে তাকে বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছে মাঠের বাইরেই। তবে ২০২২ সালে গুরুতর এক চোটই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল প্রতিভাবান এই ফুটবলারের জন্য। ওই চোটের পর অনেক চেষ্টা করলেও আর বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি ক্যারিয়ার। রিয়ালের সিনিয়র দলে খেলার স্বপ্নকে বলি দিয়ে বাধ্য হয়েছে অবসর নেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে।
আরও পড়ুন
‘এটা রিয়াল মাদ্রিদ, ৩ ম্যাচ গোল না করলেই লোকেরা সব ভুলে যাবে’ |
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিশাল বিবৃতিতে রিয়ালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কুকালন।
“আমি বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে এই চিঠিটা শুরু করব। তাই আমি সবাইকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানিয়েই শুরু করলাম। আমি রিয়াল মাদ্রিদ একাডেমিতে ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে একটি ছোট ব্যাকপ্যাকে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম এবং আমি খুব খুশি ছিলাম। “আমার মনে হয় আমি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের সেরা ক্লাবের অংশ হতে পেরেছি এবং স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আমি একজন ব্যক্তি এবং একজন খেলোয়াড় হিসাবে শিখেছি এবং পরিণত হয়েছি। আমি জীবনের বাকি অংশে এই মূল্যবোধগুলি বহন করব, যা আমাকে নানা ভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। ফুটবল আমাকে প্রতিটি জয়ে এবং প্রতিটি পরাজয়ে শিখিয়েছে যে, আপনাকে সবসময় বাধা অতিক্রম করতে হবে এবং লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সেই শিক্ষাগুলো চিরকাল আমার জীবনের অংশ হয়ে থাকবে।”
গত কয়েক বছর ধরেই রিয়ালের একাডেমি থেকে উঠে আসছেন বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কেউই জায়গা করে নিয়েছেন সিনিয়র দলে, আবার কেউ পাড়ি জমিয়েছেন ইউরোপের অন্য কোনো ক্লাবে। চোটের আঘাত না এলে এই দুটি পথের একটির যাত্রী হতে পারতেন কুকালন।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপেক্ষায় থাকে রিয়াল মাদ্রিদ: আনচেলত্তি |
তবে বিদায়বেলায় এটা নিয়ে আক্ষেপ করতে চাননি তিনি।
“আমাকে ভুল বুঝবেন না, এটা মোটেও দুঃখজনক বিদায় নয। সত্যিটা এই যে, আমার জীবন ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একেবারে বদলে যায়, যখন আমি যুব লীগের খেলায় গুরুতর আহত হয়েছিলাম। বিগত এই দুই বছর ধরে আমি আমার সব শক্তি দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে সংগ্রাম করেছি এবং আমি আমার সামর্থ্যের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি এই খেলাটিকে আবার উপভোগ করার। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। আমার বাবা-মাকে ধন্যবাদ, যারা সবসময় আমাকে প্রতিটি সিদ্ধান্তে এবং পথের প্রতিটি পাথরে সমর্থন করেছেন। আমার বন্ধুদেরও ধন্যবাদ, যারা নিঃশর্তভাবে আমাকে সমর্থন যুগিয়ে গেছে।”
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে