নেই ভয়, নেই ডর। হান্সি ফ্লিকের অধীনে এই বার্সা বরং প্রতিপক্ষ শিবিরে ছড়াচ্ছে ভীতি। যেই ধারা শুরু মৌসুমের প্রথম থেকে, শেষ প্রান্তে এসেও চলছে তা একই তালে। বুধবার রাতে ঘরের মাঠে তারা উড়িয়ে দিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। জয় তুলে নিয়েছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। তাতে প্রথম লেগ শেষে সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটা কাতালান ক্লাবটার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে।
এদিন বার্সেলোনার সবগুলো গোল এসেছে আক্রমণভাগের তিন ত্রয়ী লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়া ও রবার্ট লেভানডফস্কির কাছ থেকে। জোড়া গোল করেছেন লেভানডফস্কি, একটা করে গোল করেছেন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া।
আরও পড়ুন
এবার মুভি জগতে নাম লেখালেন রোনালদো |
![]() |
গোলের ফুয়ারা ছুটানো বার্সেলোনা এই মৌসুমে এই নিয়ে চার কিংবা তার থেকে বেশি গোল করেছে ২১ তম বার। সব মিলিয়ে তাদের গোলের সংখ্যাটা পৌঁছেছে ১৪৫-এ। সে হিসেবে গড়ে ম্যাচ প্রতি কাতালান ক্লাবটা করছে তিন গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগেও গোলের দিক থেকে সবার উপরের নামটা বার্সারই। এরই মধ্যে তারা করে ফেলেছে ৩৬ গোল। গোলের দিক থেকে দুইয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ থেকে তারা এগিয়ে আছে সাত গোলে।
গেল কয়েক মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ধুকতে থাকা বার্সার সামনে এবার প্রতিপক্ষের টেকাই যেন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রক্ষণ, মিডফিল্ড কিংবা আক্রমণভাগ কোথাও তারা পাত্তাই দিচ্ছে না প্রতিপক্ষকে। তাতে বার্সা সমর্থকরা ২০১৪-১৫ কিংবা ২০০৮-০৯ এর সেই অদম্য বার্সার স্মৃতিই যেন ফেরত পাচ্ছেন। শুধুই কী তাই? দলটা আছে আরও একবার ট্রেবল জয়ের দৌড়েও।
আরও পড়ুন
মেসি জাদুতে সেমিফাইনালে মায়ামি, অস্বস্তিতে মাশচেরানো |
![]() |
দলের এমন সাফল্যে বার্সা কোচ খুশি হলেও বরাবরের মতই তার পা আছে মাটিতেই। ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে দিয়েও সংবাদ সম্মেলনে উত্তর দিয়েছেন নিজের স্বভাব সুলভ,
“আমরা এখনো সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়নি। ফুটবল পাগলাটে খেলা, আপনি বলতে পারবেন না পরের লেগে কী হবে। সেমিফাইনালে যেতে হলে আমাদের ডর্ট্মুন্ডে গিয়েও এমন একটা ম্যাচ খেলতে হবে, কোনো ভুল করা যাবে না। আমরা যথেষ্ট ভালো খেলেছি, আপনি যখন এমন খেলবেন তখন গোল আসবেই।”
১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৬:২০ পিএম
ভক্তরা মুখিয়ে থাকেন তাদের পছন্দের ফুটবলারের খেলায় মত্ত হয়ে থাকতে, তাঁর গোল করা দেখতে। কিন্তু নেইমার ভক্তদের জন্য এ যেন এক বিলাসীতা। যখন তাদের আকুল হয়ে চেয়ে থাকতে হয়--ব্যস, খেলুক বা না খেলুক, চোটে না পরুক নেইমার।
কিন্তু বলে না, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যে হয়। নেইমারের ক্ষেত্রেও তাই। মাঠে নামলেই কেন যেন চোটের কবলেই পড়তে হয় তাঁকে। বুধবার রাতে এক মাইলফলকের ম্যাচেও সেই দুঃখই সঙ্গী হলো তাঁর। সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে তার শততম ম্যাচ। তাই মাঠে নেমেছিলেন ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে। অনেকটা দিন পর জায়গা করে নিয়েছিলেন শুরুর একাদশে। তাঁকে দেখতে মাঠে ছিল দর্শকের ভীড়, গ্যালারিতে ছিল উন্মাদনা। ম্যাচে দলের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু স্বপ্নময় সেই আবহ বদলে গেল দুঃস্বপ্নে। প্রথমার্ধেই নেইমারকে মাঠ ছাড়তে হলো অশ্রুসিক্ত চোখে।
আরও পড়ুন
সাহসী ফুটবলে রিয়ালকে হারিয়ে সেমিতে আর্সেনাল |
![]() |
চোট দুর্ভাগ্য নেইমারের নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে সান্তোসেও। অনেক দিন বাইরে থাকার পর গত রোববার ফ্লুমিনেসির বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে ফেরেন তিনি। বুধবার আতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে তাঁকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ সেজার সাম্পাইয়ো।
নেইমারের ফিট থাকা নিয়ে সংশয় অবশ্য ছিল শুরু থেকেই। দুই উরুতেই মোটা করে টেপ পেচিয়ে নামতে দেখা যায় তাঁকে। মাঠেও খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না তিনি।
তাঁর দল অবশ্য ২৪ ও ২৭তম মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে। তবে ভুগতে থাকা নেইমার ৩৪ তম মিনিটের পর আর পারলেন না। বাঁ উরুতে হাত রেখে একটু খোঁড়াতে দেখা যায় তাকে। ডাগআউটের দিকে ইশারা করেন বদলির জন্য। উরু চেপে বসে পড়েন মাঠে। এতক্ষণ ধরে উল্লাস করতে থাকা গ্যালারিও তখন প্রায় নিশ্চুপ।
সান্তোসে নিজের ১০০ তম ম্যাচের দিনেও এমন করুণ, অসহায় পরিণতিতে কান্না ছাড়া আর কিছুই সঙ্গী হলো না নেইমারের। সেই কান্না তিনি চেপেও রাখতে পারেননি। তাঁর চোখ জোড়া অশ্রুসিক্ত হয়েছে মাঠেই। সতীর্থ ও প্রতিপক্ষ দুদিক থেকেই সকলে তখন নেইমরাকে স্বান্তনা দিচ্ছেন। শেষমেশ দুজনের সহায়তায় কার্টে বসে মাঠ ছাড়েন নেইমার। আর সে সময় গ্যালারি থেকে আসতে থাকে জোর করতালির আওয়াজ।
চোটে পড়ে আগেও নানা সময়ে চোখের পানিতে মাঠ ছেড়েছেন নেইমার। সৌদি আরবের আল-হিলাল থেকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে গিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার মাঠে নামেন তিনি। টানা সাতটি ম্যাচে খেলেন এই তারকা, আস্তে আস্তে তাঁর মাঠে থাকার সময় বাড়তে থাকে। তবে গত ২ মার্চ করিঞ্চাসের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোটে পড়ে বাইরে থাকেন ছয় সপ্তাহ।
আরও পড়ুন
ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা |
![]() |
মাঝে ব্রাজিল জাতীয় দলে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ওই চোটের কারণে মার্চের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। যে উরুর চোটের কারণে তিনি বাইরে ছিলেন, সেখানেই আবার সমস্যা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। চোটের ধরন কী বা কতটা গুরুতর, তা অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানানো হয়নি।
ম্যাচের আগে রিয়াল মাদ্রিদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে মিকেল আর্তেতা বলেছিলেন, সাহসী ফুটবল খেলবে তার দল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিকদের আরেকটি কামব্যাক রুখে দিতে ম্যাচ জুড়ে ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিল তার দল। আর বাঁচা-মরার ম্যাচে ছন্দহীন ফুটবল খেলল কার্লো আনচেলত্তির দল। লড়াই তো নয়ই, উল্টো বিশাল ব্যবধানে হেরেই তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের ফিরতি লেগের ম্যাচে আর্সেনাল জিতেছে ২-১ গোলে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আর্সেনাল।
গোলের জন্য মরিয়া রিয়াল দ্বিতীয় মিনিটেই শানায় প্রথম আক্রমণ। কিলিয়ান এমবাপের পাস থেকে বাম দিক থেকে বক্সে প্রবেশ করে শট নেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, যা চলে যায় পোষ্টের বাইরে।
আরও পড়ুন
শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু |
![]() |
অষ্টম মিনিটে ধাক্কা খায় রিয়াল। কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে মিকেল মেরিনোকে টেনে বক্সের ভেতর ফেলে দেন রাউল আসেন্সিও। ভিএআর চেকে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। প্রথমে মার্টিন ওডেগার্ড এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত স্পট কিক নেন বুকায়ো সাকা। তার বাঁ পায়ের পানেনকা পেনাল্টি এক হাতে আটকে দিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রাণ ফিরিয়ে আনেন থিবো কোর্তোয়া।
খানিক বাদে দারুণ স্কিলের প্রদর্শনী দেখিয়ে গোলের ভালো একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন জুড বেলিংহাম। তবে বাঁ দিক থেকে তার বাড়ানো পাস নাগাল পাননি বক্সের ভেতর থাকা রদ্রিগো।
ঘড়ির কাটায় বিশ মিনিট পার হওয়ার পর ফের বেজে ওঠে পেনাল্টির বাঁশি। এবার সেটা যায় রিয়ালের পক্ষে। ডি বক্সের ভেতর এমবাপেকে ফাউল করেছিলেন ডেকলান রাইস, এই ভেবে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সাথে হলুদ কার্ডও। আর্সেনালের খেলোয়াড়দের তুমুল প্রতিবাদের মুখে ভিএআর চেকে যান রেফারি। এরপর নিজেই স্ক্রিনে ফুটেজ দেখে সরে আসেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত থেকে।
রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিলের আগে স্পট কিকের প্রস্তুতি সেরেও ফেলেছিলেন এমবাপে। সেই হতাশার কারণেই কিনা, ৩১তম মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া তার শট চলে পোষ্টের বেশ ওপর দিয়েই।
এরপর কিছুটা কমে যায় ম্যাচের গতি। তবে চল্লিশ মিনিটের পর টানা তিন কর্নার আদায় করে আর্সেনালের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করে রিয়াল। তবে দলটির আক্রমণের দুই প্রাণভোমরা এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধের বাকি সময়ের পর এই অংশেও থাকেন নিস্প্রভ।
ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় সাত মিনিট, যেখানে কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ভালো একটা আক্রমণ করে আর্সেনাল। রাইসের পাস থেকে বক্সের বাঁদিক থেকে কঠিন এঙ্গেল থেকে বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, যা দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।
লড়াই জমাতে রিয়ালের গোলের ভীষণ প্রয়োজন হলেও বিরতির আগেই দলটির আক্রমণের খেলোয়াড়রা দেখান বাজে পারফরম্যান্স। ফলে গোলের জন্য ছয়টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় আর্সেনাল।
আরও পড়ুন
ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা |
![]() |
রিয়ালের গোলের সামনের এই দুর্দশা চলমান থাকে বিরতির পরেও। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে সেভাবে প্রতিপক্ষকে চাপেই রাখতে পারেনি দলটি। ফলে অধিনায়ক লুকাস ভাজকেজ, ডেভিড আলাবা ও রদ্রিগোকে তুলে ফ্রান গার্সিয়া, এন্দ্রিক ও দানি সেবায়োসকে নামান আনচেলত্তি।
তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি আর। উল্টো ৬৪তম মিনিটে রিয়ালকে স্তব্ধ করে দেন প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করা সাকা। বক্সের বাইরে থেকে মেরিনোর বাড়ানো থ্রু বল থেকে ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে আর্সেনালকে বড় লিড এনে দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
তবে সেই রাশ না কাটতেই বল এবার চলে যায় আর্সেনালের জালে। প্রতিপক্ষের সীমানায় চ্যালেঞ্জ করে বলের দখল পেয়ে কোনোমতে শরীরের ভারসাম্য ধরে রেখে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন ভিনিসিয়ুস।
তবে এরপরই সেই উদ্দীপনা ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৭৫তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এমবাপে। একটা গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও বারবার আর্সেনালের জমাট ডিফেন্সের সামনে থেমে যায় রিয়ালের সব প্রচেষ্টা। তাতে হতাশা বাড়তে থাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে, যারা সেজেছিল আরও একটা কামব্যাকের প্রত্যাশায়।
গোলের জন্য রিয়ালের প্রানান্তকর চেষ্টায় বারবার হাইলাইনে উঠে খেলছিল তারা। ফলে প্রায়ই ডিফেন্সে তৈরি হচ্ছিল শুন্যতার। গোলের দেখা না পাওয়া রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ঠুকে দেন মার্তিনেল্লি।
ইনজুরি টাইমে কাউন্টার এটাক থেকে দ্রুত বল পেয়ে মেরিনো বাঁদিকে বল দেন মার্তিনেল্লিকে। ফাঁকায় থাকার কারণে অনেকটা সময় নিয়ে প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান তিনি। আর সেটাই হতাশার গভীর চাদরে ঢেকে দেয় রিয়ালকে।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন ও ইন্তারের শেষ আটের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ অগ্রগামিতায় শেষ চারের টিকিট পেয়েছে ইন্তার।
প্রথমার্ধে বায়ার্ন মিউনিখকে ভালোই আটকে রেখেছিল ইন্টার মিলান। প্রথম ২৫ মিনিট বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েও কাজের কাজটা করতে পারেনি বুন্দেসলিগার দলটি। এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করে ইন্তারও।
৩৯তম মিনিটে লেওন গোয়ের্টজার ক্রস থেকে হ্যারি কেইনের নেওয়া হেড অল্পের জন্য থাকেন লক্ষ্যে। তবে বিরতির পরই লড়াইয়ে সমতা টানেন এই মৌসুমে ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন
ইন্তার বাধায় শেষ আটেই থামল বায়ার্নের পথচলা |
![]() |
৫২তম মিনিটে গোয়ের্টজার পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শট খুঁজে নেন ঠিকানা। প্রথম লেগে ২-১ গোলে হারা বায়ার্ন তাতে পেয়ে যায় লড়াইয়ের রসদ।
তবে পাঁচ মিনিট বাদে ফের ইন্তারকে এগিয়ে দেন লাউতারো মার্তিনেজ। কর্নার থেকে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে গোলের দেখা পান আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে বায়ার্নকে আরও নাজুক অবস্থায় ফেলে দেন বেঞ্জামিন পাভার্ড। হাকান কালহানোগলুর ক্রস থেকে ছয় গজের ভেতর থেকে নেওয়া হেডারে বল জালে পাঠান এই ফরাসি ডিফেন্ডার। দুই লেগ মিলিয়ে ইন্তার লিড পেয়ে যায় ৪-২ গোলের।
পরাজয়ের শঙ্কা মাথায় রেখে আক্রমণে ধার বাড়ায় বায়ার্ন। প্রতি-আক্রমণ থেকে কয়েকটি সুযোগ পায় ইন্তারও। তবে তাদের কাজটা কঠিন করে বায়ার্নের জন্য লড়াই জমিয়ে তোলার কাজটা করে দেন এরিক দায়ার। ৭৬তম মিনিটে সের্জিও জিনাব্রির ক্রস থেকে ছয় গজের ভেতর ঝাঁপিয়ে হেডারে বল জালে পাঠান এই ইংলিশ ফুটবলার।
বাকি সময়ে ইন্তার ব্যস্ত সময় পার করে রক্ষণ সামলাতেই। বায়ার্নের সামনে বেশ কয়েকটি সুযোগ ছিল সমতা টানার, তবে কাজের কাজটা আর করতে পারেননি কেউ। ফলে একরাশ হতাশা নিয়েই আসর থেকে বিদায় নিতে হয় কেইন-মুলারদের।
আরও পড়ুন
রিয়ালকে ফিরে আসার সুযোগই দিতে চান না আর্তেতা |
![]() |
আর তাদের বেদনায় ভাসিয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুমে ইন্তার জায়গা করে নিল সেমিফাইনালে।
যেভাবে কোপা দেল রের সেমিফাইনালে ফাউল করে দেখেছিলেন লাল কার্ড, তাতে সম্ভাবনা জেগেছিল বড় নিষেধাজ্ঞার। তবে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে স্বস্তি দিয়ে সর্বনিম্ন সাজাই পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে।
স্পেনীয় ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, গত রোববার আলাভসের বিপক্ষে সরাসরি লাল কার্ড পাওয়া এমবাপে নিষিদ্ধ হয়েছেন এক ম্যাচের জন্য।
আরএফইএফ-এর ডিসিপ্লিনারি কমিটি বলেছে যে, এমবাপেকে তার ‘সহিংস আচরণের’ জন্য এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
শততম ম্যাচে ‘১০০’ নম্বর জার্সি গায়ে নেইমারের সঙ্গী অশ্রু |
![]() |
নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের ঘটনার জন্য এক থেকে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে। ডিসিপ্লিনারি কমিটি শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে অল্প সাজাই বেছে নিয়েছেন রিয়াল তারকার জন্য।
ফলে এমবাপের আগামী ২৬ এপ্রিল বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনাল খেলায় কোনো সমস্যা রইল না। তিনি নিষেধাজ্ঞায় থাকবেন লা লিগায় আতলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচে।
চলতি সপ্তাহে আলাভাসের বিপক্ষে রিয়ালের ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে বিরতির আগে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার আন্তোনিও ব্লাঙ্কোতে রাফ ট্যাকল করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন এমবাপে। তবে পরে ভিএআর দেখে তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেন রেফারি।
গত গ্রীষ্মে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকে এটাই এমবাপের প্রথম লাল কার্ড দেখার ঘটনা ছিল।
দলটার নাম রিয়াল মাদ্রিদ বলেই পরিস্থিতি যতোই নাজুক হোক না কেন, সবসময়ই আলোচনায় থাকে তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনার কথা। আর্সেনালের সাথে প্রথম লেগে বিশাল ব্যবধানে হারের পরও তাই জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির দলের কামব্যাকের কথা। বিষয়টি নিয়ে খুব ভালোভাবেই অবগত আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতাও। আর তাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে কোনো ছাড় দেবে না তার দল।
আর্সেনালের ম্যানেজার মিকেল আর্টেটা তার খেলোয়াড়দের বুধবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সাহসী হতে এবং নিজেকে বিশ্বাস করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং স্প্যানিশ জায়ান্টদের প্রত্যাবর্তন অস্বীকার করেছেন।
শেষ আটের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে রীতিমতো চমক উপহার দেয় আর্সেনাল। ডেকলান রাইসের জোড়া গোল ও মিকেল মেরিনোর এক গোলে জেতে ৩-০ ব্যবধানে। ফলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগের আগে ভীষণ চাপে পড়ে গেছে এমবাপে-ভিনিসিয়ুসরা। তবে এই প্রতিযোগিতায় বারবার অবিশ্বাস্য সব ফিরে আসার গল্প রচনা করার কারণে অনেকেই হিসাবের বাইরে রাখছেন না রিয়ালকে।
সেটা আচ করতে পারছেন আর্তেতাও। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তাই সাবধান করে দিলেন দলকে।
“আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল, এই ম্যাচটা জিততে হবে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে লন্ডনে আমরা জিতেছিলাম। রিয়াল মাদ্রিদ আমাদের যে জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে, আমরা সেখানে যেতে চাই না। আমি এটা (রিয়ালের ফিরে আসার সম্ভাবনা) বুঝতে পারি, কারণ এটি তাদের ইতিহাসের অংশ। তাদের এই ধরণের (কামব্যাক) পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার সেই অধিকার আছে।”
প্রথম লেগে আর্সেনাল ৩-০ গোলে জেতায় ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে হলেও রিয়ালকে কমপক্ষে তিন গোল করতেই হবে। কাজটা আরও কঠিন, কারণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর এক ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল হজম করেনি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।
তবুও সাবধানী আর্তেতা।
“আমাদের জয়ের জন্য লড়াকু মানসিকতা দেখাতে হবে। সাহসী হতে হবে, প্রাধান্য দেখাতে হবে এবং দৃড়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। আর নিজেদের মাঝে এই বিশ্বাস থাকা দরকার যে, আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল হতে পারি এবং ম্যাচটা জিততে পারি।”
২২ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে